নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

আমি সেই দিন হব শান্ত....

বিদ্রোহী ভৃগু

সকল অনাচার আর অনিয়ম জাগায় দ্রোহ.....

বিদ্রোহী ভৃগু › বিস্তারিত পোস্টঃ

রাসুল আল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম এর মি’রাজ বা উর্ধ্ব গমন : শেষ পর্ব

০৫ ই এপ্রিল, ২০১৯ রাত ৮:৩৬

পবিত্র শবে মেরাজ রজনীতে মহান আল্লাহ তাঁর প্রিয় বন্ধুকে দর্শন দিয়েছিলেন। দর্শন করিয়েছিলেন সৃষ্টির গুপ্ত রহস্য সমূহ। এই পবিত্র রজনীতে অনেকেই যারা বিস্তারিত অবহিত নন, তাদের জন্য সংকলিত পোষ্ট শেয়ার করার লোভ সামলাতে পারলাম না। আল্লাহ আমাদের সবাইকে সেই জ্ঞান সমুদ্রে অবগাহনের সুয়োগ দিন।
প্রথম পর্বের লিংক

প্রর্তাবর্তন ও পুনঃগমন
অনেক রাজ ও নেয়াজের কথার পর আল্লাহ তাআলা উম্মতে মুহাম্মদীর জন্য ৫০ ওয়াক্ত নামাজ দিনে রাতে ফরজ করলেন এবং নবী করীম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামকে বিদায় দিলেন। রাসুলে আকরাম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম যখন ষষ্ঠ আকাশে এলেন তখন মুসা আলাইহিস সালাম এর সাথে দেখা হল।… হযরত মুসা আলাইহিস সালাম আরজ করলেন — কত ওয়াক্ত নামাজ ফরজ করা হল আপনার উম্মতের উপর?
হযরত মুহাম্মদ মুস্তফা সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বললেন — পঞ্চাশ ওয়াক্ত।
হযরত মুসা আলাইহিস সলাম বললেন — আমার অভিজ্ঞতা থেকে বলছি আপনার উম্মত তা আদায় করতে পারবে না। কেননা আমার উম্মতের উপর আরও কম হওয়া সত্ত্বেও তারা তা আদায় করতে পারে নি। সুতরাং আপনি আপনার রবের কাছে আবার ফিরে যান এবং কম করানোর প্রার্থনা করুন।

হুযুর সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম এরশাদ করেন — অতঃপর আমি ফিরে গেলাম। আল্লাহ তাআলা এবার পাঁচ ওয়াক্ত কমালেন। আমি ষষ্ঠ আকাশে ফিরে এলাম। আবারও মুসা আলাইহিস সালাম আমার রবের কাছে ফিরে যেতে আরজ করলেন।
এভাবে নয় বার ষষ্ঠ আকাশ থেকে খোদার দরবারে নবী করীম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম যাওয়া আসা করলেন। আল্লাহ তাআলা প্রতিবার পাঁচ ওয়াক্ত কমাতে থাকলেন এবং পয়তাল্লিশ ওয়াক্ত কমিয়ে কেবল পাঁচ ওয়াক্ত বহাল রাখলেন।
এবারও হযরত মুসা আলাইহিস সালাম পুনরায় খেদার দরবারে ফিরে যাওয়ার আরজ পেশ করলেন।
নবী করীম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বললেন — আমি পাঁচ ওয়াক্তেই রাজী হলাম। পুনরায় ফিরে যেতে লজ্জা লাগে।
আল্লাহ সাথে সাথে ওহী নাজিল করলেন —
আল্লাহর কালামের বা তাঁর চুড়ান্ত সিদ্ধান্তের আর কোন পরিবর্তন করা হবে না।

তবে আল্লাহ তাআলা নবী করীম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামকে সান্ত্বনা দিয়ে বললেন, আপনার উম্মত পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ আদায় করলে আমার এখানে পঞ্চাশ ওয়াক্তই লেখা হবে। সুতরাং আপনার উম্মতকে পাঁচ ওয়াক্ত দেয়া যেমন ঠিক, তেমনি আমার পঞ্চাশ ওয়াক্তের নির্দেশও ঠিক। পার্থক্য শুধু সংখ্যার — গুণের নহে।
পাঁচ ওয়াক্তের মধ্যে সীমাবদ্ধ রাখার হেকমত রুহুল বয়ান, ইতকান, বেদায়া ওয়া নেহায়া, প্রভৃতি গ্রন্থে উল্লেখ করা হয়েছে।
ফজর নামাজ হযরত আদম আলাইহিস সালাম আদায় করেছেন।
জোহর নামাজ হযরত ইবরাহীম আলাইহিস সালাম আদায় করেছেন।
আসর নামাজ হযরত ইউনুস আলাইহিস সালাম আদায় করেছেন।
মাগরিবের নামাজ হযরত ঈসা আলাইহিস সালাম আদায় করেছেন।
এশার নামাজ হযরত মুসা আলাইহিস সালাম আদায় করেছেন।
আল্লাহ তাআলা পছন্দ করে পাঁচজন পয়গম্বরের নামাজ একত্র করে উম্মতে মুহাম্মদীকে দান করেছেন। সুতরাং নামাজের ইবাদতটি নবীদের স্মৃতিবাহীও বটে।… নামাজের মধ্যে রুকু, সেজদা, কিয়াম, তসবিহ ইত্যাদি ফেরেশতাদের ইবাদতের নমুনা যা নবী করীম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম মেরাজে প্রত্যক্ষ করে এসেছেন।

প্রশ্ন জাগে মেরাজ থেকে প্রত্যাবর্তনকালে শুধু হযরত মুসা আলাইহিস সালাম এর সাথে নবী করীম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম এর সাক্ষাৎ এবং তাঁর অনুরোধে নবীজির বার বার খোদার দরবারে যাতায়াত কি খোদার ইচ্ছায় হয়েছিল এবং খোদার পরিকল্পনা মত হয়েছিল? নাকি দুই নবীর ইচ্ছায় হয়েছিল?
আরেকটি প্রশ্ন হল — নবী করীম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম আল্লাহর দরবারে বার বার কোন বাহনে করে গিয়েছিলেন এবং দুনিয়াতে ফেরত এলেন কেমন করে? আরও একটি প্রশ্ন জাগে — হযরত মুসা আলাইহিস সালাম কি কেবল উম্মতে মুহাম্মদীর জন্য সুপারিশ করেছিলেন নাকি অন্য উদ্দেশ্য নিহিত ছিল?
বিভিন্ন কিতাবে প্রশ্নগুলোর যেসব জবাব মেলে তা নিচে দেয়া হল —
প্রথম প্রশ্নের জবাব : আল্লাহতাআলার পরিকল্পনা মোতাবেক মুসা আলাইহিস সালাম ষষ্ঠ আকাশে অপেক্ষমান ছিলেন। আল্লাহর ইচ্ছা ছিল তাঁর প্রিয় হাবীব তাঁর দরবারে বার বার ফিরে যান এবং দশবার তাঁর সাথে হাবীবের দিদার নসিব হোক।
দ্বিতীয় প্রশ্নের জবাব : ষষ্ঠ আকাশ থেকে খোদার দরবারে যাতায়াতের ক্ষেত্রে এবং ফিরে আসার ক্ষেত্রে রফরফ বা বোরাক ব্যবহারের উল্লেখ হাদিসের কিতাবে সরাসরি পাওয়া যায় না। তফসিরে রুহুল মাআনীতে বলা হয়েছে, নবী করীম সাল্লাল্লাহু আলাইহি যেভাবে মেরাজে গমন করেছেন সেভাবেই ফেরত এসেছেন। কিন্তু তফসিরে রুহুল বয়ান তফসিরে রুহুল মাআনীরও পূর্বে রচিত, কাজেই এর মতামত অধিক শক্তিশালী।
তফসিরে রুহুলবয়ানে সুরা নজম এর তিনটি আয়াত এর ব্যাখ্যায় বলা হয়েছে -
“নিম্নগামী তারকার শপথ, তোমাদের সাথী মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম পথ ভোলেননি বা পথভ্রষ্টও হননি এবং টেরা বাঁকাও হননি।”
উক্ত আয়াত মেরাজের ঘটনার সাথে সম্পৃক্ত। সাধারণ অর্থে অস্তমিত তারকার কথা বলা হলেও ইমাম জাফর সাদিক রাদ্বিআল্লাহু আনহু বলেছেন :
“নাজম দ্বারা উক্ত আয়াতে রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামকেই বোঝানো হয়েছে। কেননা, হুজুর সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম এর এক হাজার নামের মধ্যে আন-নাজম একটি নাম।”
আর هَوَى অর্থ নিম্নগামী। এই আয়াতের অর্থ তাহলে দাঁড়ায় আল্লাহর দরবার থেকে নিম্নগামী তারকা মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম এর শপথ। আর, “পথ ভোলেননি বা টেরা বাঁকা হননি” দ্বারা বোঝা যায় — যে পথে তিনি গিয়েছেন সেপথেই ফেরৎ এসেছেন। বোরাক বা রফরফ এর মাধ্যমে ফেরৎ এলে একথার প্রয়োজন হত না। কেননা তখন বোরাক বা রফরফই তাঁকে পথ দেখিয়ে নিয়ে যেত। সুতরাং মেরাজ থেকে আসার পথে নবী করীম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম আল্লাহর কুদরতে একাই ফিরেছেন। কেননা তিনি নূর। নূর বা আলো সব ভেদ করে সোজা ধাবিত হয়।
তৃতীয় প্রশ্নের জবাব : হযরত মুসা আলাইহিস সালাম এর মত একজন নবী ইন্তিকালের আড়াই হাজার বছর পরও আমাদের উপকার করতে পারেন। যেমন করেছিলেন মুসা আলাইহিস সালাম উম্মতে মুহাম্মদীর জন্য। এছাড়াও হযরত মুসা আলাইহিস সালাম এর আরও একটি উদ্দেশ্য ছিল। তিনি তুর পর্বতে আল্লাহর দর্শন চেয়ে ব্যার্থ হয়েছিলেন। এমনকি আল্লাহর যে তাজাল্লী তুর পর্বতে আপতিত হয়েছিল তা তিনি বেহঁশ হবার কারণে দেখতে পারেননি। কিন্তু মেরাজের রাত্রিতে রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম আল্লাহর সান্নিধ্যে ফানা হয়ে যে তাজাল্লী নিয়ে এসেছেন সেই দৃশ্য দেখে হযরত মুসা আলাইহিস সালাম এর মনে তুর পর্বতের সেই সাধ জেগে উঠল। তিনি বারবার আল্লাহর তাজাল্লী দেখার জন্যই নবী করীম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামকে বারবার আল্লাহর দরবারে যেতে অনুরোধ করেছিলেন।

মিরাজ থেকে ফিরে এসে নবী করীম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম দেখলেন বিছানা এখনও গরম রয়েছে। ভোরে তিনি কাবাগৃহে তশরিফ নিয়ে সকলের কাছে এ ঘটনা বললেন। আবু জাহেল প্রমুখ কুরায়শ দলপতিরা পরীক্ষার ছলে বাইতুল মুকাদ্দাসের দরজা জানালা ইত্যাদির বিবরণ জানতে চাইল। তারা জানত যে নবী করীম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম কখনও বাইতুল মুকাদ্দাস দেখেননি। আল্লাহ পাক সাথে সাথে জিবরাইলের মারফতে বাইতুল মোকাদ্দাসের পূর্ণ ছবি নবীজির চোখের সামনে তুলে ধরলেন যেন বর্ণনা দিতে হুজুরের তকলিফ না হয়। হুজুরে আকরাম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম দেখে দেখে সব বলে দিলেন। তবু প্রশ্নকারীরা ক্ষান্ত হল না।
তারা প্রশ্ন করল — আপনি কি আমাদের বানিজ্য কাফেলা দেখেছেন?
হুজুর আকরাম বললেন — হ্যাঁ। তারা মক্কার অতি নিকটে পৌঁছেছে এবং বুধবার সূর্য ওঠার পূর্বেই তারা মক্কায় প্রবেশ করবে।

আবু জাহেল প্রমুখ ঐদিন ঘরের ছাদে উঠে কাফেলার আগমন পরীক্ষা করতে লাগল। এদিকে সূর্য ওঠে ওঠে অবস্থা। আবু জাহেল বলতে লাগল, এবার প্রমাণ হয়ে গেল যে নবীর ভ্রমণ মিথ্যা। কেননা তিনি বলেছেন বুধবার সূর্য ওঠার পূর্বে কাফেলা মক্কায় প্রবেশ করবে। অথচ আমরা আমাদের দৃষ্টি পথে কাফেলার কোন চিহ্নই দেখছি না। আল্লাহ তাআলা নবীর কথাকে ঠিক রাখার জন্য সেদিন রাত্রিকে আরও দীর্ঘ করে দিলেন এবং সূর্যের গতি থামিয়ে দিলেন। পরে দেখা গেল সূর্য ওঠার পূর্বেই কাফেলা মক্কায় পৌঁছে গেছে।

আবু জাহেল হযরত আবু বকরকে বাড়ি আসতে দেখে মিরাজের ঘটনা বলে ধোঁকা দেবার চেষ্টা করল। হযরত আবু বকর রাদ্বিআল্লাহু আনহু বললেন, কে বলেছে? আবু জাহেল বলল, তুমি যার পেছনে ঘুরেছ এমন অসম্ভব কথা তিনি ছাড়া আর কে বলবে?
হযরত আবু বকর বললেন, নবী করীম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলে থাকলে সত্যই বলেছেন।
একথা শুনে আবু জাহেল দমে গেল। আবু বকর রাদ্বিআল্লাহু আনহু নবীজির খেদমতে যেয়ে এর সত্যতা জানতে চাইলেন। নবী করীম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম এরশাদ করলেন — তুমি কেমন করে অন্ধভাবে বিশ্বাস করলে?
আবু বকর রাদ্বিআল্লাবু আনহু বললেন — এটা বিশ্বাস করা তো খুবই সহজ। এর চেয়ে কঠিন বিষয় অর্থাৎ আল্লাহ যে আছেন তা না দেখে বিশ্বাস করেছি, তখন তাঁর কাছে যাওয়া তো অতি সহজ ব্যাপার।
হযরত আবু বকর এর জবাব শুনে নবীজি খুবই প্রীত হলেন এবং তাঁকে সিদ্দিকে আকবর খেতাব দিলেন।

(সমাপ্ত)

সংকলন সূত্র:
গ্রন্থ সূত্র : নূর নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম ।
রচনা : অধ্যক্ষ হাফেজ আবদুল জলীল।
পোস্ট : আনিসুল আরওয়াহ- انیس الارواح-রুহের বন্ধু

মন্তব্য ৪১ টি রেটিং +৭/-০

মন্তব্য (৪১) মন্তব্য লিখুন

১| ০৫ ই এপ্রিল, ২০১৯ রাত ৯:০০

হাবিব বলেছেন: ভৃগু ভায়া, মেরাজের ঘটনা সবিস্তারে শেয়ার করার জন্য ধন্যবাদ। আল্লাহ আপনাকে এর উত্তম প্রতিদান দিন।

০৫ ই এপ্রিল, ২০১৯ রাত ১০:১৬

বিদ্রোহী ভৃগু বলেছেন: আমিন সুম্মাআমিন।

এবং এর সকল নেয়ামত পৌছে যাক মূল লেখক ও এর প্রচারকারীর নিকটও।

অনেক অনেক ধন্যবাদ শুভকামনা।

২| ০৫ ই এপ্রিল, ২০১৯ রাত ৯:১৭

পদাতিক চৌধুরি বলেছেন: প্রিয় কবিভাই,

মিরাজের বিস্তারিত ঘটনা, ওই পর্বের বিভিন্ন প্রশ্ন এবং তার যথাযথ উত্তর অত্যন্ত সুন্দর ভাবে বুঝিয়ে দিয়েছেন। ++++
একটি প্রশ্ন,ফানা হয়ে ও তাল্লাজি নিয়ে এসেছেন - এখানে ফানা ও তাল্লাজি বিষয়টা ঠিক বুঝলাম না। আর তুর পর্বতে অবস্থান কালে মুসা আলাইহিস সালাম আল্লাহর দর্শন চেয়ে ব্যর্থ হয়েছিলেন। এর কি কোনো নির্দিষ্ট কারণ আছে?

বিনম্র শ্রদ্ধা ও শুভকামনা জানবেন।

০৫ ই এপ্রিল, ২০১৯ রাত ১০:২৯

বিদ্রোহী ভৃগু বলেছেন:
অনেক ধন্যবাদ প্রিয় পদাতিক দা
জহুরী জওহর চেনে!র মতো আপনিও এক্কেবারে গভীরের জায়গায় হাত দিয়েছেন :)
শুকরিয়া।

রাসূর সা যখন দীদারে যাচ্ছেন তখন ফানা বা তাতে বিলিন হয়েছিলেন। সেই ফানার হাল থেকে ফিরে এলেও
মহান আল্লাহর নূরের তাজাল্লি উনার অস্তিত্বে বিরাজমান থাকতো। যা বারবার দেখার আশাতেই মূসা আ: দশবার উনাকে সালাত কমানোর আব্দার দিয়ে পাঠাচ্ছিলেন।

এটা সাধারন বোধে অনুভব কষ্টকর হলেও আশিক মাত্রই অনুভব করতে পারে সহজে। আপনি যখন আপনার প্রিয়তার সাতে দারুন খোশমেজাজে সাক্ষাত করে আসেন বা মিলন করে আসেন তার ছাপ চেহারায় বিরাজ করে। করেনা কি?
আরো ঘনিস্ট অনুভব সমন্ন লোক সেই মিলনের ঘ্রানও অনুভব কররতে পারে।

মাওলার সাথে তাঁর প্রিয় হাবিবের মিলনে যখন তিনি ফানা বা বিলিন হয়ে মিশেযাচ্ছিলেন, আল্লাহর নূরের তাজাল্লি বা চমক উনার মাঝে প্রস্ফুটমান ছিল। যা দেখে দেখে মূসা আ: উনার অতৃপ্তির সাধ মেটাচ্ছিলেন।

মূসা আ: দর্শন চেয়ে পাননি, তার কারণতো অবশ্যই আছে। বিনা কারেনতো আল্লাহ কাউকে ফেরান না।
আবার উম্মতে মোহাম্মদী এতই ভাগ্যবান যে বনী ইসরাইলের নবীদের চেয়েও উচু মরতবা অর্জন করতে পারার সুখবর আচে যদি তারা চেষ্টা করে।

আপনার জন্যোও অনেক অনেক শ্রদ্ধা ও সালাম। শুভকামনা রইল

৩| ০৫ ই এপ্রিল, ২০১৯ রাত ৯:২৭

আরোগ্য বলেছেন: মিরাজ বিষয়টি সত্য তবে সেখানে আল্লাহর সাথে নবীজীর সাক্ষাৎ হয়েছে কিনা তা নিয়ে মতভেদ আছে। ইবনে ইসহাকের লেখা সিরাতেও স্পষ্ট উল্লেখ নেই আল্লাহকে দেখার বিষয়টি। নবীজী সাঃ বলেছেন তিনি কেবল আলো দেখেছেন কিংবা সেদিকে শুধু আলো ছিল।

আর যদি এমন কিছু ঘটে থাকে তবে তা নিয়ে গবেষণা করা ইসলাম পালনের জন্য জরুরী নয়।

আমরা মুসলিমরা কোরআন পড়ি কম কিন্তু যে বিষয়গুলোতে মতভেদ আছে তা নিয়ে যথেষ্ট মাথা ঘামাই।

০৬ ই এপ্রিল, ২০১৯ সকাল ৮:১১

বিদ্রোহী ভৃগু বলেছেন: বিষয়টি নিয়ে কোনই সন্দেহ নাই। ঈমানের দঢ়তায়তেই আবুবকর রা: সিদ্দিক উপাধি পেয়েছেন।
আর আবু জেহেলকে বায়তুল মুকাদ্দাসের দরজা জানালার উত্তর দেবার পরো বিশ্বাস করেইনি!

তো ইসলাম পালনের জন্য কি নিয়ে গবেষনা করা জরুরী ভায়া?
ঢিলা কুলুখ নিয়ে কয়বার রাউন্ড দেবে? মিলনের সময় বাত্তি জ্বালাবে না অন্ধকার রাখবে?
ঘুষ দূর্নীতির টাকায় মসজিদে এসি লাগিয়ে বেহেশতে হুরের রুপ কল্পনার গবেষনা?

না। বরং যিনি ইসলাম আনলেন এবং যার কাছ থেকে আনলেন সেটাইতো সর্বোচ্ছপ্রয়োরিটি পাবার কথা। আপনার বিশ্বাসই যদি 'যিদ' আর নড়বড়ে হয় তবে বাকী কর্ম বা ইবাদততো তেমনই হবে। তাই আগে বিশ্বাসের গভীরে শিকড় দৃঘ ভাবে প্রোথিত করতে হবে। যা বিশ্বাস করবেন দৃঢ়তায় করবেন। যার ঈমান যত দৃঢ় সেই তত সফলকাম।

এভারেজ কমেন্ট সবসময় সবার জন্য নয়। আপনি কি অবহিত আছেন সবার ব্যাপারে? কে কোরআন পড়ে কে পড়ে না?
আর বিবদমান বিসয়গুলোর সুন্দর মিমাংসাই আমাদের ঐক্যের গন্তব্যে পৌছাতে পারে।
আলোচনা বিষয় ভিত্তিক এবং অনুসন্ধানী হলে সকলের জন্যই কল্যানকর।

অনেক অনেক শুভকামনা রইল।

৪| ০৫ ই এপ্রিল, ২০১৯ রাত ৯:৩৭

আরোগ্য বলেছেন: প্রিয় পদাতিক ভাইটি তুমি মুসা নবীর আল্লাহকে না দেখতে পাওয়ার বিষয়টি জানতে চেয়েছো।

এ ব্যাপারে কথা হল মাইক্রোস্কোপ ছাড়া যেমন ক্ষুদ্র জিনিস চোখে দেখা যায় না, সানগ্লাস ছাড়া উদ্দীপ্ত সূর্যের দিকে তাকানো যায় না , তেমনি দুনিয়াবী চোখ দ্বারা আল্লাহকে দেখা যায় না ।এ কারনেই আনেকে বলেন নবীজী ও আল্লাহকে দেখেন নি।

০৬ ই এপ্রিল, ২০১৯ সকাল ৮:২২

বিদ্রোহী ভৃগু বলেছেন: মূসা আ: আল্লাহর নূরের তাজাল্লি বা প্রভাবে পাহাড় ছাই হয়ে যাওয়া দেখেই অজ্ঞান হয়ে গিয়েছিলেন।

তিনি সপ্ত আকাশ পরিভ্রমন করেন নি। তিনি আল্লাহর হাবীব বা শেষ নবীও ছিলেন না। তাই সে অনুপাতে নবীজিও আল্লাহকে দেখেন নি ফায়সালা ভুল।
মূসা আ: এর সময় কলেমা কি ছিল? জানেন আশা করি। উনাকে বাক্যালাপ দ্বারাই আল্লাহ সর্বোচ্চ সম্মানীত করেছেন।
কিন্তু রাসুল সা: এর মর্তবা সর্বোচ্চ । তাই পরপর তিনবার সিনাচাকের মাধ্যমে মানবীয় বাঁধা দূরিভূত করা হয়। এবং যখন তিনি মিরাজে যান তখন উনাকে প্রস্তুত করেই নেয়া হয়েছে । সেই গুনেই গুনান্বিত করা হয়েছে যাতে উনার কোন কিছুই বাঁধা হয়ে না দাড়ায়। এবং তিনি যা দেখেছেন তা সত্য, যা বলেছেন তা সত্য। কারণ তিনি আলআমিন।

যার ঈমানে সংশয় সে যেমন খুশি যুক্তি দিক। কিন্তু বিশ্বাসী মাত্রই মুসলিম মাত্রই রাসুল সা: এর সত্যবাদীতায় কোন দ্বিধা রাখে না। উনার কথা কাজে উনার শত্ররাও কোনদিন কোন অমিল ছিল বলে যায় না। স্বাক্ষ্য দেয় নি। উনার ঈমানদারীর উপর এতই আস্থা ছিল যারা উনাকে হত্যা করতেও উদ্বত ছিল, তারাই উনার কাছে বিনা দ্বিধায় সম্পদ গচ্ছিত রাখতো। কখনো আমানতের খেয়ানত করেন নি। সেই সুপরীক্ষিত প্রিয় নবী যখন আল্লাহ দর্শন করেন - তখন বিম্বাস করে আবু বকর হয়ে যান সিদ্দিক। আর সন্দেহ করে আবু জেহেল আবু জেহেলই রয়ে যায়।

৫| ০৫ ই এপ্রিল, ২০১৯ রাত ৯:৫৭

আরোগ্য বলেছেন: view this link

০৬ ই এপ্রিল, ২০১৯ সকাল ৮:২৭

বিদ্রোহী ভৃগু বলেছেন: ইয়াসির ক্বাধির ব্যক্তিগত চেতনার উপর আমি আস্থা আনতে রাজি নই।
কারণ তার ঈমান, তার সততা, তার জীবনাচার আল্লাহ কর্তৃক সত্যায়িত নয়।
কিন্তু নবীজির সকল কিছূ সত্যায়িত।
নবীজির মিরাজের কথায় ঈমান এনে আবু বকর রা: সিদ্দিক উপাধী প্রাপ্ত।

লিংকের জন্য ধন্যবাদ। ভাল থাকুন। শুভেচ্ছা অফুরান।


৬| ০৫ ই এপ্রিল, ২০১৯ রাত ১১:০১

রাজীব নুর বলেছেন: এই পর্ব পড়েও মুগ্ধ হলাম।

০৬ ই এপ্রিল, ২০১৯ সকাল ৮:২৮

বিদ্রোহী ভৃগু বলেছেন: অনেক অনেক ধন্যবাদ ভায়া।
আল্লাহ আপনাকে বিশ্বাসের প্রতিদান দেবার মালীক।
রাসূল সা: আপনার প্রতি সদয় হোন।

শুভকামনা।

৭| ০৫ ই এপ্রিল, ২০১৯ রাত ১১:৩৫

নীল আকাশ বলেছেন: প্রিয় ভাই,
আপনার ২ পর্বের এই লেখা আমার চোখে পড়েছে। এই বিষয়টা আমার খুবই পছন্দের একটা অজানা বিষয়। আপনি লিখেছেন তার মানে খুবই মনোযোগ দিয়ে পড়তে হবে। আপনার প্রবন্ধ গুলি মাস্টারপীস হয়। ২টা পর্ব পড়া শেষ হলে আবার আমি এখানেই মন্তব্যে ফিরব।
আল্লাহ আপনাকে এই কষ্টের উপযুক্ত প্রতিদান দিবেন, ইনসাল্লাহ।
ধন্যবাদ এবং শুভ কামনা রইল!!

০৬ ই এপ্রিল, ২০১৯ সকাল ৮:৩৩

বিদ্রোহী ভৃগু বলেছেন: আপনার ভালবাসার অনুভবে লজ্জ্বায় মাথা কাটা যায়! কৃতজ্ঞতায় নইয়ে আসে।
আমার অতি সামান্য লেখনিতে আপনার মুগ্ধতা আমার অনুপ্রেরণা।
আপনার ঋদ্ধ মন্তভ্যের অপেক্ষায়।

আমিন। সুম্মা আমিন।
শুভেচ্ছা আর শুভকামনা অন্তহীন।

৮| ০৬ ই এপ্রিল, ২০১৯ সকাল ৯:৪২

নতুন নকিব বলেছেন:



পোস্টে লাইক দিয়েছি।

০৬ ই এপ্রিল, ২০১৯ সকাল ৯:৪৬

বিদ্রোহী ভৃগু বলেছেন: :)

কৃতজ্ঞতা ভায়া।

শুভেচ্ছা রইল

৯| ০৬ ই এপ্রিল, ২০১৯ সকাল ৯:৫৩

চাঁদগাজী বলেছেন:

নবী মুসা (আ: )'এর পরামর্শে, ৫০ ওয়াক্ত থেকে নামাজ ৫ ওয়াক্তে আনাটা বুদ্ধিমানের কাজ হয়েছে; ইহুদীরা সব সময়ই বুদ্ধিমান ছিলেন, আরবেরা এইজন্য ইহুদীদের সাথে পেরে উঠেনি কোনদিন।

০৬ ই এপ্রিল, ২০১৯ সকাল ১০:১৯

বিদ্রোহী ভৃগু বলেছেন: অতি চালাকের গলায় দড়ির মতো তাদেরই তাওরাত কিতাবে বর্ণিত সত্যকেই তারা অস্বীকার করে আজ পথভ্রষ্ট!
তাদের কথিত অতি বুদ্ধিমান স্বভাবের জন্য বারবার তাদের কাছে রাসূল পাঠানো হয়েছে এবং তারা অতি বুদ্ধির নেগেটিভ ফল অহংকার বশত হত্য করেছে। এবং অভিশপ্ত হয়েছে।

এখনো তারা সত্যকে অস্বীকার করে অহংকারের বশেই জোর করে ইসরাইল রাস্ট্র প্রতিষ্টার চেষ্টা করছে যার স্বীকৃতি আজো মেলেনি। আজো তারা অন্যের জায়গা দখলকারী হিসেবেই চিহ্নিত।
আর আরবদের মাঝেও মোনাফিক আছে। তারা রাষ্ট্রক্ষমতায় বলেই ৫০ বছর অবৈধ ইহুদী রাস্ট টিকে আছে। প্রতারণা মিথ্যা আর অস্ত্রের জোরে! মুসলিম বিশ্বে বিশেষত স্রেফ মক্কা মদীনায় ঈমানদার রাষ্ট্রপতি এলে ৫০ দিনও টিকবে না।

ধন্যবাদ ।

১০| ০৬ ই এপ্রিল, ২০১৯ সকাল ১০:২১

নীলপরি বলেছেন: এতো বিস্তারিতভাবে জানতাম নাহ । ভালো লাগলো পোষ্ট । এবার আগের পর্ব পড়তে যাচ্ছি ।
++++

শুভকামনা :)

০৬ ই এপ্রিল, ২০১৯ সকাল ১০:৪৮

বিদ্রোহী ভৃগু বলেছেন: হুম। এখন জানাজানিটাও অনেক সংক্ষিপ্ত হয়ে যাচ্ছে!

ফেসবুক আর ইউটিউব ভিডিও যখন জ্ঞন চর্চার উৎস হয়ে যায়, তখন কি এমনই হয়? কি জানি।
দিনের পর দিন মাসের পর মাস বইয়ে মূখ বুজে সময় পার করা মানুষতো!
লিংক আর কারো কারো ভাসমান জ্ঞানের কথায় তব্দা খেয়ে যাই! ;)

আপনার ভালো লাগা আমাকে আপ্লুত করলো। প্লাসে ভীষন খূশি এবং অনুপ্রানীত হলাম ।
শুভকামনা অফুরান

১১| ০৬ ই এপ্রিল, ২০১৯ সকাল ১০:৫৯

নীলপরি বলেছেন: একদম ঠিক বলেছেন । ছোটো একটা হোটাস্যাপ পোষ্ট পড়ে মানুষ তর্ক করে । মতামত দেয় । এখানেও এরকম অদ্ভূুত পোষ্ট দেখেছি । সবাই যেন বিশ্ব পন্ডিত । তবে , অবশ্যই সামুতে এরকম গঠনমূলক পোষ্ট পাই পড়তে । সেখান থেকেই জানি ।

শুভকামনা কবি



০৬ ই এপ্রিল, ২০১৯ সকাল ১১:২১

বিদ্রোহী ভৃগু বলেছেন: হুম। জ্ঞনকেও যেন ফাষ্ট ফুডের মতো সহজলভ্যতায় ভাবে।
এ যে সাধনার ধন। একে অর্জন করতে হয়। বিনয়, প্রেম আর ধৈর্য্যে বুঝতে চায়না কেউ কেউ।
তারা অবশ্য হিন্দি চটুল গানের মতো। আসে দু-এক হপ্তা মার্কেট নাচিয়ে দ্রুতই হারিয়ে যায়।
আর মৌলিক জ্ঞান ধারা গোল্ডেন সংয়ের মতো - সবসময়ের টিকে থাকার যোগ্যতায় অমরত্ব পায়।

আপনার জন্যেও শুভকামনা কবি। না কথাশিল্পী? ;)

১২| ০৬ ই এপ্রিল, ২০১৯ সকাল ১১:২৩

মেমননীয় বলেছেন: ১। "কেননা তিনি নূর।"
২। "নূর বা আলো সব ভেদ করে সোজা ধাবিত হয়।"

১ নং বক্তব্যের সুত্র জানা থাকলে জানাবেন।

২ নং বক্তব্যঃ আলো সোজা বা সরল পথে চলে এটা সিম্পল ফিজিক্স কিন্তু আলো সব ভেদ করে চলতে পারে না।

ধন্যবাদ!

০৬ ই এপ্রিল, ২০১৯ সকাল ১১:৫৯

বিদ্রোহী ভৃগু বলেছেন: অনেক অনেক ধন্যবাদ ভায়া!
সূরা মায়েদায় বলা হয়েছে - তিনি নূর।

নূর অর্থ শুধু আলো নয় আলো এবং শক্তির সংম্রিশনই হল নূর। যদিও প্রচলিত অনুবাদে লাইট বলা হয়েছ।
কিন্তু নূর আরো গভীর অর্থবোধক। যেমন আল্লাহর নূরের বর্ণনায় বলেছেন- একটা কাঁচের পাত্র, তাতে স্তরে স্তরে সজ্জিত নূর। যাকে জ্বালাতে হয়না, নিজে নিজেই জ্বলে!

তাই এই ক্ষেত্রে সাধারন ফিজিক্সের সংগা প্রযোজ্য কিনা তা গবেষনার দাবী রাখে।

যেমন উনার সিনা চাকের মাধ্যমে উনাকে মধ্যাকর্ষন মুক্ত করা সহ ভ্রমনের অন্যান্য প্রয়োজনীয সকল সক্ষমতা প্রদান করা হয়। এবং তিনি টাইম এন্ড স্পেস কে এমন ভাবে জয় করে আসেন যেখানে মিরাজ কালীন ২৩ বছর অতিক্রম করার পরও পৃথিবীর সময় বয়ে যায় মাত্র কয়েক সেকেন্ড! বিছানা গরম ছিল, পানি গড়িয়ে যাচ্ছিল বা শিকলটা নড়ছিল। উপমায় যা খূঁজে পাই।

সমস্যা হল এ বিষয়ে গবেষনা বলতে গেল শূন্যের কোঠায়। আর বিশ্বাসে দরিয়া পর সূত্রে বিশ্বাসেই মুক্তি চিন্তায় এ বিষয়ে স্থবিরতা লক্ষনীয়। সুযোগ থাকলে গবেষনার যথেষ্ট উপাদান আছে বৈকি।

ভাল থাকুন। শুভেচ্ছা সতত।

১৩| ০৬ ই এপ্রিল, ২০১৯ দুপুর ১২:১৩

নীলপরি বলেছেন: আরে 'কথা শিল্পী' ? সে কী এই জন্মে হতে পারবো ? যা অলস আমি ! যা কিছু হাবিজাবি মাথায় আসে , তাও আলসেমিতে ঠিকঠাক লিখতে পারি না! :( আপনারা তাই পড়ে উৎসাহ ও প্রশ্রয় দেন বলে কিছু লিখতে পারি । এরজন্য আন্তরিক কৃতজ্ঞতা ও ধন্যবাদ জানবেন ।

আপনাকেও অনেক শুভকামনা

০৬ ই এপ্রিল, ২০১৯ দুপুর ১২:১৯

বিদ্রোহী ভৃগু বলেছেন: এ আপনার বিনয় :)

দেখা যাক মহাকাল কোর রুপে চেনে :)

শুভেচ্ছা আর শুভকামনা। দুটোতেই :)

১৪| ০৬ ই এপ্রিল, ২০১৯ দুপুর ১:১৩

মেমননীয় বলেছেন: "সূরা মায়েদায় বলা হয়েছে - তিনি নূর।"

আয়াত নাম্বারটা কত?

২৩ বছর কথাটার মানে কি?

"বিছানা গরম ছিল, পানি গড়িয়ে যাচ্ছিল বা শিকলটা নড়ছিল।"

আমি যতদূর জানি, মেরাজে যাত্রার আগের সময়ে নবীজী(সাঃ) ছিলেন হাতিমে। হাতিম একটা খোলা জায়গা, সেখানে শিকল এলো কি ভাবে?

কঠিন হয়ে যাচ্ছে আমাদের জন্য!

ধন্যবাদ!

০৬ ই এপ্রিল, ২০১৯ দুপুর ১:৪০

বিদ্রোহী ভৃগু বলেছেন: قد جاءكم من الله نور و كتاب مبين
অর্থ: “নিশ্চয়ই মহান আল্লাহর নিকট থেকে এক উজ্জ্বল জ্যোতি (নূর) এবং একখানা সুস্পষ্ট কিতাব তোমাদের নিকট এসেছে।”
[সূরা মায়েদা, আয়াত নং ১৫]

মেরাজে কাটানো সময় কাল নিয়ে এরকম বিবরন আছে।

রজব মাসের ২৭শে রাত্রের শেষাংশে নবী করীম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বিবি উম্মেহানী রাদ্বিআল্লাহু আনহা এর ঘরে অবস্থান করছিলেন। উক্ত ঘরটি ছিল হেরেম শরিফের ভেতর।

ফিকির করলে কিছূই কঠিন নয়।

ধন্যবাদ আপনাকেও

১৫| ০৬ ই এপ্রিল, ২০১৯ দুপুর ২:৩৫

নতুন বলেছেন: হাদিসের সংরক্ষন শুরু হয়েছিলো রাসুল সা: মারা যাবার অনেক পরে তাই হাদিসের কাহিনির মাঝে অনেক ভ্যাজাল আছে।

কিছু জিনিস মেলেনা...

দিনে ৫০ ওয়াক্ত নামাজ মানে... ২৪ ঘন্টায় ৫০ বার মানে ঘন্টায় ২ বার...

আর যদি রাতে ঘুমের জন্য কিছু সময় বাদ দেন... তবে প্রতি ঘন্টায় আরো বেশি বার নামাজ পড়তে হবে...

সৃস্টিকতা কি জানেন না এটা মানুষের জন্য কস্টকর...এবং প্রায় অসম্ভব। ??? যে তার কাছে ৯ বার গিয়ে আবেদন করতে হবে?

* আল্লাহ তাআলা নবীর কথাকে ঠিক রাখার জন্য সেদিন রাত্রিকে আরও দীর্ঘ করে দিলেন এবং সূর্যের গতি থামিয়ে দিলেন। পরে দেখা গেল সূর্য ওঠার পূর্বেই কাফেলা মক্কায় পৌঁছে গেছে।

যে বন`না করেছেন তিনি জানেন সূয` ঘোরে তাই এইভাবে বলেছেন আসলে কি সূয` ঘোরে??? আর পৃথিবির গতি কমিয়ে দেওয়া অসম্ভব.... <<<<

০৬ ই এপ্রিল, ২০১৯ সন্ধ্যা ৬:২২

বিদ্রোহী ভৃগু বলেছেন: হুম। কথা সত্য।
শুধু তাই নয়, ক্ষমতার দিগদারীতে ইয়াজিদি চাপে অনেক ম্যানিপুলেশন হয়েছে নবীর বিরুদ্ধে নবী বংশের বিরুদ্ধে!

৫০ ওয়াক্ত বা ৯ বার আসা যাওয়ার আরেকটা কারণ কিন্তু পোষ্টেই উল্লেখ আছে। মনে হয় খেয়াল করে পড়েন নি।
কার্যকারণে বাহ্য দৃশ্যমানতাই যে সব নয়, তা বোঝাতে কোরআনে মূসা আ: এর সাথে খিজির আ: এর সাক্ষাত পর্ব গুরুত্বপূর্ন।
আমাদের সীমাবদ্ধ ভাবনা এবং দৃষ্টি নিয়ে মহাকালের মহাসত্যকে জেনারাইলজ করে বুঝতে গেলে যা হবার তাই হচ্ছে অনেক ক্ষেত্রে!
প্রকৃত জ্ঞানীরা কার্যকারণ অনুসন্ধানের সকল প্রযোজ্য পথ ব্যবহার করে পরিতৃপ্ত হয়ে দৃঢ় ভাবে বিশ্বাস করছেন সত্যকে।
আর সাধারনীকরণকারীরা বুঝতে অপরাগ হয়ে সত্য নয় বলেই ট্যাগ করে ক্ষান্ত দিচ্ছেন।

যিনি সৃষ্টি জগতের মালীক তার কাছে কিছূই অসম্ভব নয়। কারণ যিনি এ কথাগুলো বলেছেন তিনি সত্যবাদী হিসেবেই আগে সমাজে প্রতিষ্ঠিত। তিনি কখনো মিথ্যা বলেন নাই। তাই মিরাজ এবং সকল বিষয়ে ঈমান আনা বিশ্বাসীদের দায়িত্ব।
অবিশ্বাসির জন্য কোন জবরদস্তি নেই।

ভাল থাকুন ভায়া।
শুভকামনা সবসময়।

১৬| ০৬ ই এপ্রিল, ২০১৯ বিকাল ৫:১৪

চাঁদগাজী বলেছেন:


তোরাহ লিখেছিলেন নবী মুসা (আ: ); এটাই আসল বই, বাকীগুলো এর থেকে কপি করা হহয়েছে।

০৬ ই এপ্রিল, ২০১৯ সন্ধ্যা ৬:৪১

বিদ্রোহী ভৃগু বলেছেন: এরকম অপবাদ আজ নতুন নয়। কোরআন নাজিলের সময়েও দেয়া হয়েছে।

এবং পরীক্ষার্থে বহু অজানা (ঐ সময়ের প্রেক্ষিতে জানা প্রায় অসম্ভব বিষয় নিয়েও প্রশ্ন করেছে। নবীকে মিথ্যা প্রমাণ করার জন্য। কিন্তু আল্লাহর ওহি দিয়ে সকল ষড়যন্ত্র নস্যাত করেছেন বারবার। সত্যকে করেছেন বিজয়ী।

১৭| ০৬ ই এপ্রিল, ২০১৯ বিকাল ৫:১৮

চাঁদগাজী বলেছেন:


@নতুন,
আপনি বলেছেন, "নামাষ এর ওয়াক্ত কমানোর জন্য আল্লাহের কাছে আমাদর নবীকে (স: ) ৯ বার যেতে হয়েছে?"

-আমাদের নবী নিজ মুখে এই ধরণের কথা বলেছেন বলে মনে হয় না; সব যুগেই ব্লগার ছিলেন বলে মনে হচ্ছে।

০৭ ই এপ্রিল, ২০১৯ সকাল ১০:৫০

বিদ্রোহী ভৃগু বলেছেন: কেন নয় বার যাতায়াত করতে হয়েছে তার কারণ কিন্তু পোষ্টেই আলাদা করে বলা আছে।

বুঝতে না চাইলে কেউ বোঝাতে পারেনা।

আর সত্যে কারো বোঝা না বোঝায় বদলায়ওনা। নিজেরই যা ক্ষতি হয়। মানা না মানাতে।

১৮| ০৭ ই এপ্রিল, ২০১৯ রাত ১২:০৭

নতুন বলেছেন: মানুষ কিছু জিনিস নিয়ে ভাবেনা....

ঘটনা ঘটলো ৬ স্ঠ আসমানে.... সেখানে ছিলো শুধুই মুসা আ: আর রাসুল সা: দুইজন... তাদের কথপকথন কে বলেছেন আমাদের???

রাসুল সা: ই সুধ এই ঘটনা বলতে পারেন..... কিন্তু হাদিস সংকলোন হয়েছে রাসুল সা: মারা যাবার ২০০ বছর পরে....

২০০ বছর পরে ঐ কথপকথন গুলি ১০০% পিয়র আছে সেটা যারা বিশ্বাস করে তাদের আর কি বলবো।

০৭ ই এপ্রিল, ২০১৯ সকাল ১০:২৪

বিদ্রোহী ভৃগু বলেছেন: আবার মানুষ এটাও ভাবেনা, রাসূল সা: কে পাওয়া যায়, দেখা যায়, নির্দেশ দান করেন!
উর্ধাকাশ ভ্রমনের অনুমতি আল্লাহ কিন্তু মানুষকে ই দিয়েছেন।


সমন্বয় চাই জ্ঞান এবং প্রজ্ঞার। সাধনা এবং গবেষনার।

১৯| ০৭ ই এপ্রিল, ২০১৯ রাত ১২:১৪

বলেছেন: আগেকার মানুষ ৬০০ থেকে ৮০০ বছর বাঁচত তাদের নামাজ লম্বা হলে দোষ ছিলো না -

০৭ ই এপ্রিল, ২০১৯ সকাল ১০:২৬

বিদ্রোহী ভৃগু বলেছেন: হায়াত হয়তো লম্বা ছিল কিন্তু দিনের দৈর্ঘ্যতো একই। সেই ক্ষেত্র ৫০ ওয়াক্তে সমস্যা ছিল বৈকি।
তবে তার হাকীকী কারণ কিন্তু পোষ্টেই বলা আছে। ৫০ থেকে ৫ এ আনা এবং সে জন্যে ৯ বার যাতায়তের ব্যাখ্যা।

শুভেচ্ছা রইল

২০| ১০ ই এপ্রিল, ২০১৯ সন্ধ্যা ৭:৩৩

নীল আকাশ বলেছেন: ভাই আবার ফিরে এলাম। এবং মুগ্ধতা নিয়ে মন্তব্য করছি।
ভাই আবার ফিরে এলাম এবং একরাশ মুগ্ধতা নিয়ে মন্তব্য করছি।
ইসলামে অনেক কিছুই বিশ্বাসের উপর তাওক্কাল রাখতে হয়। কিছু বিষয় আছে
সেগুলি আমাদের মতো সাধারন মানুষের জ্ঞান বুদ্ধি বা জানার অনেক
উপরের স্তরের হয়। এই সব নিয়ে তর্ক করতে যেয়ে বহু মুসলিম পথভ্রস্ট হয়ে
গেছেন। তাকদীর নিয়ে যেমন সরাসরি বিশ্বাস আনতে বলা হয়েছে, মীরাজের
ব্যাপারটাও ঠিক তাই।
সামান্য আনাল হকের অর্থই কত বড় বড় বুজর্গরা ভুল বুঝেছেন। নিজের জীবন দিয়ে
একজন প্রমান করে গেছেন তিনি যে আনাল হক বলতেন সেটা দেহজ জ্ঞান নয় মারফতী জ্ঞান।
অথচ অনেকেই তখন সেটা বুঝতেই পারেন নি।
আপনার এই লেখাটাও আমার যথেষ্ঠই পছন্দ হয়েছে, তাই এটাও প্রিয়তে রেখে দিলাম।
সালাম রইল ভাই, আল্লাহ আপনাকে এর উপযুক্ত প্রতিদান দিবেন ইনসাল্লাহ।
শুভ কামনা রইল!!

১০ ই এপ্রিল, ২০১৯ রাত ১০:০১

বিদ্রোহী ভৃগু বলেছেন: আপনার আন্তরিক অনুধারনে মুগ্ধ।
আল্লাহ আপনাকে উত্ম প্রতিদান দান করুন।

আনাল হকের সত্যতো মূসা আ: এর মতো চলতি সাধারনো বোধে অনুভব করা সম্ভব নয়।
চাই খিজিরুল খাঁজার পূর্ণ জ্ঞান। যা কোরআনে বর্ণিত। বিশাল অধ্যায় নিয়ে।

প্রিয়তে রাখায় সম্মানীত বোধ করছি।
হৃদয়ের গহনে এক বিশাল জায়গা করে নিলেন আপন মনেই।
অনেক অনেক শুভকামনা

২১| ৩১ শে জুলাই, ২০২০ রাত ৯:৩২

মোহাম্মদ রিদওয়ান আল হাসান বলেছেন: অনবদ্য। ইয়া রাসুলাল্লাহ(দ)

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.