নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

আমি সেই দিন হব শান্ত....

বিদ্রোহী ভৃগু

সকল অনাচার আর অনিয়ম জাগায় দ্রোহ.....

বিদ্রোহী ভৃগু › বিস্তারিত পোস্টঃ

বেলফোর রোড টু কাশ্মীর ! : সভ্যতার ব্লাকহোলে সত্য, বিবেক, মানবতা!

১৮ ই আগস্ট, ২০১৯ দুপুর ১:৪০

ফিলিস্তিন আর কাশ্মীর! যেন আয়নার একই পিঠ!
একটার ভাগ্য নিধ্যারিত হয়েছিল একশ বছর আগে ১৯১৭ সালে; আর অন্যটি অতি সম্প্রতি ২০১৯ এ!
বর্তমানকে বুঝতেই তাই অতীতের সিড়িঘরে উঁকি দেয়া। পুরানো পত্রিকার ভীরে যেন হিরের দ্যুতিতে চমকাচ্ছেে সত্য ইতিহাসের নিমর্ম
সত্য পাঠ লয়ে।
”২০১৭র অক্টোবরের শেষে এক সন্ধ্যায় লন্ডনে সিনেমাটির প্রথম শো হয়েছিল, যাকে বলে ‘প্রিমিয়ার’। দর্শকরা সকলে অভিভূত। বিস্মিতও। এত সাংঘাতিক কথাটা যে এত সহজ ভাবে বলা যায়, কেউ কল্পনা করেননি। সিনেমায় দেখা গেল একটি ব্রিটিশ পরিবারের কাহিনি, যাঁদের পদবি ‘জনি’। জনি-দের কাছে এক সকালে সরকারী নোটিশ এসে পৌঁছল যে, তাঁদের বাড়ি তাঁদের ছেড়ে দিতে হবে, এখন থেকে বাড়ির ব্যাকইয়ার্ডে তাঁদের থাকতে হবে, ওই বাড়িটির বাসিন্দা হবেন স্মিথ পরিবার। সরকারি আদেশক্রমে স্মিথেরা এসেও গেলেন যথাসময়ে, জনিরা বাক্সপ্যাঁটরা নিয়ে ব্যাকইয়ার্ডে মাথা গুঁজলেন। ক্রমে দেখা গেল, জনি পরিবারের জন্য কারও কোনও মাথাব্যথা নেই, রাষ্ট্রিয়, সামাজিক কিছুমাত্র বন্দোবস্ত নেই, তাঁরা খাবার-দাবার পান না, স্কুলকলেজ যেতে পারেন না, অসুখ হলে ওষুধবিষুধও পান না, সব রকম নাগরিক অধিকার থেকে বঞ্চিত। কাউকে কিছু বলার জায়গাও নেই, কেননা তাঁদের নাগরিকত্বই নেই। ব্রিটেনের সঙ্গে পুরো দুনিয়া মেনে নিয়েছে, এ ভাবেই তাঁদের জীবন কাটাতে হবে, আর তাঁদের এত দিনের সাধের ঘরবাড়ি জুড়ে বিলাসে ব্যসনে বাস করবেন স্মিথেরা।— সিনেমাটির নাম? ‘ব্যালফর রোড’।”

এভাবেই প্রবন্ধটির দারুন চমকানো শুরু করেছেন। লেখক। চুম্বকের টানে পাঠককে ধরে রাখার দারুন সক্ষমতায়।

পৃথিবীর অন্যতম দুর্ভাগ্যজনক ঘটনা ‘ব্যালফর ডিক্লারেশন’ ও ইজরায়েল-প্যালষ্টাইন সমস্যার উৎসকে এই ভাবে একটা পাশের বাড়ির গল্পের মধ্য দিয়ে তুলে ধরাটা সত্যিই অসাধারণ। ব্যালফর ডিক্লারেশনের শতবর্ষ উদ্যাপনের অংশ হিসেবেই এই ছবির প্রদর্শন। এ ঘটনা অনেকেই জানি, তবু চেনাশোনা সাহেবসুবোর নাম দিয়ে ঘটনাটা বর্ণনা না করলে আমাদের মাথায় ব্যাপারটা ঠিকমত ঢোকে না। ‘আমাদের’ তো এটাই মুশকিল। বিপদটা ‘আমাদের’ না হয়ে ‘ওদের’ হলে বিপদের চরিত্র বা গুরুত্ব আমরা কিছুতেই বুঝতে পারি না!

সে দিন ওই ফিল্মের দর্শকরা সকলেই মনেপ্রাণে ইজরায়েল-বিরোধী, প্যালেষ্টাইনের সমর্থক, না হলে ফিল্ম শো-টির ধারও মাড়াতেন না তাঁরা। ঠিক যেমন, আজ, ব্যালফর ডিক্লারেশনের শতবর্ষ পালনে যখন ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী টেরেসা মে-র ডাকা ডিনারে ইজরায়েলি প্রধানমন্ত্রী বিনইয়ামিন নেতানিয়াহু এবং অন্যান্য অভ্যাগতরা ঘর আলো করবেন, গোটা শহর তখন ফেটে প়ড়বে আন্দোলনে বিক্ষোভে। দাবি উঠবে, ডিনার না খেয়ে ব্যালফরের হয়ে ক্ষমা চাক ব্রিটেন। বিরোধী লেবার নেতা জেরেমি করবিন ডিনারের আমন্ত্রণ উপেক্ষা করে প্রতিবাদ জানাবেন। আজও এতটাই তীব্র রাজনৈতিক, সামাজিক, নৈতিক বিভেদ এই বিষয়কে ঘিরে। এতটাই আক্রমণ, এতটাই রক্তক্ষরণ প্যালেষ্টাইনের নামে। আর এই সব কিছুরই সূচনা— একশো বছর আগে, ২ নভেম্বর ১৯১৭, ব্রিটিশ ফরেন সেক্রেটারি লর্ড আর্থার জেমস ব্যালফরের লেখা চিঠি: ব্যালফর ডিক্লারেশন।


ব্রিটিশ জিউইশ কমিউনিটির নেতা লর্ড রথসচাইল্ডকে সম্বোধন করা ওই চিঠিতে ছিল ৬৭টি মাত্র শব্দ। কিন্তু ওই কয়েকটি শব্দই এক পৃথিবী আগুন জ্বালিয়ে দেওয়ার পক্ষে যথেষ্ট! প্রথম বিশ্বযুদ্ধ চলছে তখন। অটোমান তুর্কিরা হেরে গেলে মধ্য-পশ্চিম এশিয়ার ভাগাভাগিটা কেমন হবে, বুঝতে না পেরে তখন হিমশিম খাচ্ছে প্রধানমন্ত্রী ডেভিড লয়েড জর্জের ব্রিটেন, ক্লেমেন্সুর ফ্রান্স আর প্রেসিডেন্ট উড্রো উইলসনের আমেরিকা। রাশিয়াও দলে আছে, তবে এমনই কপাল, রুশ বাহিনীর অবস্থা সেই সময় সঙ্গিন। তাদের দেশে তখন রুশ বিপ্লবের বিধ্বংসী উত্থান, মাত্র ক’দিন পর ৭ নভেম্বর রচিত হবে দুনিয়া-কাঁপানো ইতিহাস। এরই মধ্যে মনে হল, জায়নবাদী অর্থাৎ ইহুদি গরিমার ধ্বজাধারীদের তুষ্ট করে পশ্চিম এশিয়ায় প্যালেস্তাইন অঞ্চলটা কবজা করলে ব্রিটিশ সাম্রাজ্যের প্রভূত লাভের সম্ভাবনা। সুতরাং, আর দেরি নয়। ইহুদিদের ‘বঞ্চনা’র প্রতিকারে যাঁরা ইহুদি বাসভূমি চাইতেন, সেই জায়নবাদীদের ‘হোমল্যান্ড’ দাবি মেটাতে এ বার তাঁরা উঠে-পড়ে লাগলেন। অত্যন্ত দ্রুততায় তৈরি হল পরিকল্পনা: তারই প্রথম রূপ মিলল ব্যালফরের চিঠিতে।


ইহুদি হোমল্যান্ড? কোথায় সেটা? কেন, বাইবেল-কথিত ‘হোলি ল্যান্ড’ অর্থাৎ জেরুসালেম -এর চেয়ে ভাল জায়গা আর কী? যদিও তখন তার নাম প্যালেষ্টাইন, যদিও তখন সেখানে একগাদা অন্য ধর্মের মানুষ, তাতে কী, সেখানেই হোক ‘ন্যাশনাল হোম ফর দ্য জিউইশ পিপল’! যদিও অন্য লোকগুলো সংখ্যায় বহু বেশি, মোট অধিবাসীর ৯০ শতাংশ, তাতেই বা কী! ব্যালফর বলে দিলেন, ইহুদি বসবাসের ঢালাও ব্যবস্থা হোক, শুধু ‘অ-ইহুদি’গুলির বেশি ঝামেলা না হলেই হল।

না, ঝামেলা আর কিসের! শুরু হল হোমল্যান্ড তৈরির ‘ঝামেলাহীন’ পদ্ধতি, ব্রিটিশ সেনার বন্দুক-বেয়নেটের খোঁচায় ৯০ শতাংশকে নিজেদের ঘরবাড়ি ছেড়ে উৎখাত হতে হল ১০ শতাংশের জন্য, স্মিথদের জন্য জনিদের যেমন করতে হয়েছিল। যুদ্ধ নয়, জাতিদাঙ্গা নয়, কেবল ঠান্ডা মাথার ঔপনিবেশিক ছক— নিজ ভূমি থেকে উচ্ছেদ হল কয়েক লক্ষ ফিলিস্তিনি মুসলমান। দলে দলে ইহুদিরা আসতে শুরু করল নানা দেশ থেকে। নাৎসি ভয়ংকরতার পর বেড়ে গেল নব বাসিন্দাদের ঢল, বেড়ে গেল ইহুদিদের প্রতি বিশ্বজোড়া সহমর্মিতা। ইহুদি-অনুকম্পা প্রবাহের মধ্যে সর্বৈব চাপা পড়ে গেল ফিলিস্তিনিদের অবর্ণনীয় দুরবস্থা, তাঁরা যেন ইতিহাসের বলিপ্রদত্ত। ‘ওয়ান নেশন সলেম্নলি প্রমিসড্ টু আ সেকেন্ড নেশন দ্য কান্ট্রি অব আ থার্ড’: ব্যালফর নথি নিয়ে আর্থার কোয়েসলারের অবিস্মরণীয় সেই উক্তি। অসামান্য আত্মদম্ভে ভরপুর এক রাষ্ট্র জন্ম নিল ক্রমে, ১৯৪৮ সালে, যার নাম ইজরায়েল, জাতিবিদ্বেষ যার পরতে পরতে প্রোথিত। ফিলিস্তিনিদের জন্য পড়ে রইল কেবল নির্যাতনের বাস্তব, বাস্তবের প্রতিবাদ, প্রতিবাদের সংগ্রাম, সংগ্রামের সন্ত্রাস— প্রজন্মের পর প্রজন্ম।

এক দিক দিয়ে দেখলে ব্যালফর নিমিত্তমাত্র, ইহুদি হোমল্যান্ড তৈরি বৃহত্তর ইতিহাসেরই এক আবশ্যিক ফল। তবু, অন্য দিকটা, মানে, ব্যালফরের চিঠি ও ব্রিটিশ সরকারের ভূমিকাটাও উড়িয়ে দেওয়া যায় না। ব্রিটিশ ঔপনিবেশিকতার কুৎসিততম অধ্যায় এই ব্যালফর ডিক্লারেশন। যে অমিত স্পর্ধা আর অলজ্জিত জাতিবিদ্বেষ এই একটি ঘটনার পিছনে রয়েছে, তাতে বলাই যায় যে এমন সচেতন সুপরিকল্পিত অন্যায় মানব-সভ্যতার ইতিহাসে বেশি ঘটেনি। ব্যালফর-এর চিঠির খোঁচায় অত বড় একটা মুসলিম সভ্যতা ‘অ-ইহুদি’ অভিধার অসম্মানজনক কোটরে নির্বাসিত হয়ে গেল, মানুষগুলি আর কোনও দিন ‘পিপল’ বলে স্বীকৃত হতে পারল না, কেননা ব্রিটিশ সাম্রাজ্যবাদের ভাষায় ইজরায়েল হল, ‘আ ল্যান্ড উইদাউট আ পিপল ফর আ পিপল উইদাউট আ ল্যান্ড।’ ১৯৪৮ থেকে ১৯৬৭, ১৯৬৭ থেকে ২০১৭: হয় রক্তক্ষয়ী যুদ্ধ, নয়তো অলক্ষ্য আগ্রাসন— ইজরায়েল ক্রমে নিজেকে বিশ্বের অন্যতম মহাশক্তিধর দেশ হিসেবে মেলে ধরল। তার পিছনে আশ্বাস ও আশ্রয়ের পাখা মেলে দাঁড়িয়ে রইল খোদ মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ও ব্রিটেন। কার সাধ্য ইজরায়েলকে চটায়! আজও তাই হাতে-গোনা কয়েকটি দেশ ছাড়া কেউ প্যালেস্তাইনের অস্তিত্বটুকু মানতে রাজি নয়। ব্রিটেন তো নয়ই।
ব্যালফর বন্দোবস্তের লকলকে শিখায় আজও পুড়ে খাক হচ্ছে সিরিয়া থেকে ভারত মহাসাগর পর্যন্ত মধ্য এশিয়ার বিস্তীর্ণ ভূমি, তার গনগনে আঁচ ছড়িয়ে পড়ছে অস্ত্রের শাণিত ঝলকে, আজীবন প্রতিশোধের রক্তাক্ত শপথে। ”

ফিচার পাঠ শেষে স্মৃতি চারণের রেশ শেষ হতে না হতেই, ভাবনার দু:খ বোধের বাষ্প না শুকাতেই মনে পড়ে গেল আরেক ভয়াবহ ঘোষনার কথা। যার ভিত্তিতে রচিত হতে চলছে আগামী কাশ্মীর রোড মুভির স্ক্রিপ্ট। পৃথিবীর ইতিহাসে বোধকরি আরেকটা একই রকম ঘটনার পুনরাবৃত্তি ঘটলো আগষ্ট ২০১৯ এ। ভারতীয় সংসদে ৩৭০ ধারা বাতিলের মাধ্যমে নিজভূমে পরবাসী বানানো হলো কাশ্মীরিদের। পুনরাবৃত্তি বুঝি ঘটতে চলেছে কাশ্মীরে ফিলিস্তিনি বাস্তবতার! অবরুদ্ধ কাশ্মীরের খবর জানতে পারছে খুবই কম! কারফিউর বিভিষিকায় পার করলো ঈদ! কি ঘটছে ভেতরে? ছিটেফোটা যা আসছে তাতেই পিলে চমকে ওঠার অবস্থা। আমাদের একাত্তরের ২৫ শে মার্চের কালো রাতকে যেন স্মরন করিয়ে দেয়।

এর শান্তিপূর্ণ সমাধানে জাতিসংঘকেই শক্তিশালী ভূমিকা রাখতে হবে। যেমন তারা রেখেছিল পূর্ব তিমুর ইস্যুতে। প্রসংগত: স্মরণ করতে হয় পূর্ব তিমুরের কথা। ১৯৭৫ সাল পর্যন্ত এ দ্বীপটি পর্তুগাল এর একটি উপনিবেশ ছিলো। ১৯৭৫ সালে ইন্দোনেশিয়া এ দ্বীপটি দখল করে নেয়।সেই থেকে দ্বীপটি তে চরম সহিংসতা উত্তেজনা ও অসন্তোষ বিরাজ করছিলো। অবশেষে ১৯৯৯ সালের ৩০ আগস্ট জাতিসংঘের তত্ত্বাবধানে স্বাধীনতা প্রশ্নের গণভোট অনুষ্ঠিত হয় এবং গণভোটে ৭৮.৫% ভোট স্বাধীনতার পক্ষে যায়। এবং তারা স্বাধীনতা লাভ করে জাতিসংঘেরই তত্ত্বাবধানে।

অথচ এই একই দাবী এবং একই অধিকারের ক্লজ নিয়ে কাশ্মীরি জনগন ভুগছে ১৯৪৮ সাল থেকে। গণভোটের মাধ্যমে তাদের মতামত প্রকাশকে বারবার টুটি চেপে ধরছে অধিকৃতরা। গণভোটে স্বভাবতই তারা স্বাধীনতাকেই বেছে নেবে এই ভয়েই চলছে দমন-পীড়ন নীতি। যদিও বারবার বিভিন্ন সরকার ৩৭০ ধারায় জোর দিয়ে তাদের নিজেদের সাথেই রাখতে তৎপর ছিলেন। কিন্তু তাদের মনের কথা কি তা কেউ ইচ্ছা করেই জানতে চায় নি। আর আজতো সর্বাত্বক দখলদারিত্বে নিজেদের আগ্রাসী রুপটাই প্রকাশ করে ফেললো।

পূর্ব তিমুরে যেভাবে গণভোটের মাধ্যমে জনগনের মতামতের ভিত্তিতে তাদের স্বাধীনতা অর্জিত হয়েছিল, তেমনি গণভোটের মাধ্যমেই সমাধান হয় তো ভালো; না হলে আত্মনিয়ন্ত্রনাধিকার রক্ষায় বা স্বাধীনতা অর্জনে সম্ভবত সর্বাত্বক যুদ্ধ ছাড়া কাশ্মীরিদের সামনে আর কোন রাস্তা খোলা নেই।

ফিলিস্তিন থেকে কাশ্মীর, আরাকান থেকে উইঘুর সহ এমন সকল সমস্যার একটা সুন্দর সমাধান হোক। বেলফোর ডিক্লারেশনের বিষফলের বাস্তবতায় বিশ্ব বিবেক জেগে উঠুক । সমাপ্ত হোক একটা স্বাধীন দেশের নাগরিকদের গ্লানিকর, পরাধীন জীবনের। মানবতার বানী শুধু সেমিনারে না আউরে বাস্তবতার মাটিতে ন্যায়, ন্যায্য অধিকার প্রতিষ্ঠায় ভূমিকা পালন করুক বিশ্ব বিবেক।

একই সাথে স্ব-দেশের ইনভিজিবল ডেমোক্রসিকে ভিজিবল করার জন্যেও জেগে উঠুক আমাদের চেতনা। সত্য বলতে ব্যান খেয়ে থাকা নয়, গুম খুন আতংক নয়, স্বাধীনতার প্রকৃত চেতনায় বাঁচার অধিকার নিশ্চিত হোক ১৮ কোটি নাগরিকের। রোহিঙ্গারা ফিরে পাক মাতৃভূমি। কাশ্মীর ফিরে পাক জাতিসংঘ ঘোষিত ন্যায় ন্যায্য অধিকারের গণভোট। তাদের স্বাধীন সার্বভোম দেশ। বিশ্বের সকল মানুষ তার ন্যায় সংগত ন্যায্য অধিকার নিয়ে বাঁচুক সুন্দর এ পৃথিবীতে।

সম্পাদিত, সংযোজিত, পরিমার্জিত
কৃতজ্ঞতা মূল লেখক:
সেমন্তী ঘোষ, ভারতীয় কলামিস্ট
তথ্যসূত্র: আনন্দবাজার, গুগল, উইকি, বিবিসি বাংলা।

মন্তব্য ৪৫ টি রেটিং +১১/-০

মন্তব্য (৪৫) মন্তব্য লিখুন

১| ১৮ ই আগস্ট, ২০১৯ দুপুর ২:৫৯

মাহের ইসলাম বলেছেন: পছন্দ হয়েছে, লেখাটা।

সামনে তুলে ধরার জন্যে ধন্যবাদ।
শুভ কামনা রইল।

১৮ ই আগস্ট, ২০১৯ বিকাল ৩:৪৬

বিদ্রোহী ভৃগু বলেছেন: অনেক অনেক ধন্যবাদ।

কাশ্মীরের বাস্তবতায় তথ্য খুঁজতে গিয়েই সত্য গুলো পেলাম।
কি ভয়াবহ সত্য অথচ চোখে ঠুলি বাঁধা বিশ্ব বিবেক! জাতিসংঘ!
সবচে দু:খজনক এবং ভয়াবহ হরো তথাকথিত মুসলিম বিশ্বের ভূমিকা!
খঁজেল দেখা যায় মূল অপরাধী তারাই।

আপনার জন্যেও অনেক শুভকামনা রইল্

২| ১৮ ই আগস্ট, ২০১৯ বিকাল ৩:৩৬

মাহমুদুর রহমান জাওয়াদ বলেছেন: আবেগ দিয়ে অনেক কথাই বলা যায় কিন্তু বাস্তবতার কাছে সেটা বার বার পরাভূত হয়।

১৮ ই আগস্ট, ২০১৯ বিকাল ৩:৫২

বিদ্রোহী ভৃগু বলেছেন: বাস্তবতাও আবেগী হয়ে যায় আপেক্ষিকতায়!

আবার আবেগও সত্য হয়ে যায়- দৃঢ়তায়। মুসলিম বিশ্বের ভূইফোর ক্ষমতালোভী, পদলেহী
কু শাসকদের জন্যেই আজ ফিলিস্তিন সহ সারা মুসলিম বিশ্বের করুন দশা!
না তারা বৃহত্তর জাতিগত দিশা দিতে পারছে? না মৌলিক অবস্থানে ঠিক থাকতে পারছে।

স্রেফ ক্ষমতার মোহে সত্য, বিবেক সব ভুলে ক্রীতদাস হয়ে বসে আছে পুতুল নবাবের মতো।
যার ফায়দা লুটছে শত্রুরা।

আত্ম পরিচয় আর আত্ম মর্যদারা শুন্য ঘর যেদিন ভরতে পারবে জ্ঞানে, ধ্যানে সাধনে
সেদিন যদি কিছু আশা করা যায়!

৩| ১৮ ই আগস্ট, ২০১৯ বিকাল ৩:৫৪

শায়মা বলেছেন: ভাইয়া লেখাটা সহজ সুন্দর ও মুগ্ধ করেই বুঝিয়ে লিখেছেন লেখক।

আমাদেরও দাবী-

কাশ্মীর, রোহিঙ্গাদের মত আর কাউকেই যেন নিজ ভূমে পরবাসী না হতে হয়.....

১৮ ই আগস্ট, ২০১৯ বিকাল ৪:২৬

বিদ্রোহী ভৃগু বলেছেন: হুম।
কাশ্মীর নিয়ে ভাবনা থেকেই দারুন কিছু তথ্য খুঁজছিলাম।
পেয়েো গেলাম অসাধারন এক সূত্র।

কথা সেটাই নিজ ভূমে পরবাসী না হতে হয় কাউকে!
আর ন্যায্যতার এই লড়াই কখনোই জাতিগত সীমায় আবদ্ধ থাকেনি। এই দাবী সার্বজনীন।
বিশ্বের মুক্তিকামী মানুষেরা তাই যুগে যুগে লড়াই করেছে এ সত্যের জন্য।
তাইতো দেখি ১৯৭১ সালে যখন বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধ চলছিল, তখন জর্জ হ্যারিসন নিউইয়র্কের ম্যাডিসন স্কোয়ার গার্ডেন প্রাঙ্গনে দুটি দাতব্য সঙ্গীতানুষ্ঠান(কনসার্ট) এর আয়োজন করেন। অনুষ্ঠানটি তে জর্জ হ্যারিসন, রবি শংকর ছাড়াও গান পরিবেশন করেন বব ডিলান, এরিক ক্ল্যাপটন, অপ্র বিটল্‌ রিঙ্গো স্টার সহ আরও অনেকে।

তাই একে কারো অভ্যন্তরীন সমস্যা বলে ইগনোর করার যেমন উপায় নেই! তেমনি নিষ্পৃহ থাকারও উপায় নেই। যত ছোটই
হোকনা কেন, হোকনা খুবই নগন্য বালির তুল্য অবদান- তাও করতে হবে আত্মার তাগিদে। একটা প্রতিবাদী কাব্য, ছবি! গান কিংবা ভাবনাগুলো শেয়ার করা।

জেগে উঠূক বিশ্ব মানবতা। কেতাবী জ্ঞান ছেড়ে প্রয়োগের বাস্তবিক মহাবিশ্বে।

৪| ১৮ ই আগস্ট, ২০১৯ বিকাল ৪:০৩

সেতুর বন্ধন বলেছেন: ভারতের কেন্দ্রীয় সরকার ৩৭০ ধারা বাতিল করে আরো জটিলতার দিকে ঠেলে দিলো ।

১৮ ই আগস্ট, ২০১৯ বিকাল ৫:১১

বিদ্রোহী ভৃগু বলেছেন: হুম।

ভারতীয় গণতন্ত্রের উপর উগ্রবাদ ক্রমশ জয়ী হচ্ছে। ধর্মান্ধ দলের ক্রমশ উত্থানতো তাই বলছে।
দেখা যাক জটিলতার শেষ হয় কোন লুপে!

ধন্যবাদ।

৫| ১৮ ই আগস্ট, ২০১৯ বিকাল ৪:৪৪

চাঁদগাজী বলেছেন:


যখন প্যালেষ্টাইন অটোম্যান সাম্রাজ্যের অধীনে ৮০০ বছর (আনুমানিক) ছিল, উহার মালিকানা কি প্যালাষ্টানীদের ছিলো, নাকি প্যালেষ্টাইন স্বাধীন ছিলো? ১৯১৭ সালে, ১ম বিশ্বযুদ্ধে অটোম্যানরা পরাজিত হয়ে প্যালেষ্টাইন হারায়; তখন প্যালেষ্টাইন কি স্বাধীন, নাকি বৃটিশের দখলে?

বৃটিশ যখন দখল করলো, সেখানে 'কলোনিয়েল' সিষ্টেম চালু হলো; তখন দেশ কি প্যালেষ্টাইনীদের নাকি বৃটিশের?

ভারতে বৃটিশ যখন ২ দেশ করার সিদ্ধান্ত নেয়, মহাত্না গান্ধী ও কংগ্রেস কি বাধা দিতে পেরেছিলো? তা'হলে, প্যালেষ্টাইন কলোনীতে ২টি দেশ করার ঘোষণা যদি বৃটিশ দেয়, সেটাকে ঠেকেনোর ক্ষমতা কার ছিলো? ঠেকানোর ক্ষমতা না থাকলে, বৃটিশের সিদ্ধান্ত অনুসারে ২য় দেশ কারা মানেনি, ইহুদীরা নাকি আরবেরা?

১৯৪৮ সালের ১৪ই মে, জাতি সংঘে ইহুদীরা উপস্হিত থেকে ইসরায়েলের পক্ষ থেকে দেশে বুঝে নিয়েছে; প্যালেষ্টাইনীদের পক্ষ উহা বয়কট করে, যুদ্ধ করে দেশ দখলের প্ল্যান নিয়েছিলো, ওরা যুদ্ধ করে পরাজিত হয়েছিলো

১৯৪৮ সালের ১৫ই মে, কয়টি দেশ ও কোন কোন দেশ ইসরায়েল আক্রমণ করেছিলো? সেই যুদ্ধে কারা পরাজিত হয়েছিলো? পরাজয়ের ফলাফল কি?

৬| ১৮ ই আগস্ট, ২০১৯ বিকাল ৫:২৪

ঠাকুরমাহমুদ বলেছেন: মানবতার গুষ্টি কিলাই। সাবাস কিম জং উন সাবাস

১৮ ই আগস্ট, ২০১৯ বিকাল ৫:৪৭

বিদ্রোহী ভৃগু বলেছেন: হা হা হা
উপায় নাই গোলাম হোসেন হলে এ ছাড়া আর গতি কি?

যখন ভদ্রতা হয়ে যায় দুর্বলতা, যখন অধিকার হয়ে যায় দয়া! যখন বিবেক হয়ে যায় টাকা আর ক্ষমতার গোলাম
তখন গর্জে উঠতেই হয়!

৭| ১৮ ই আগস্ট, ২০১৯ বিকাল ৫:২৮

জুনায়েদ বি রাহমান বলেছেন: ১৯৪৮ সালের পূর্বে প্লান করে আস্তে আস্তে ইহুদিরা ফিলিস্তিনে বস শুরু করে; এবং সারা বিশ্ব থেকে এখানে এসে এক হয়। তারপর (১৯৪৮ সালে) জাতিসংঘ ফিলিস্তিনকে দ্বিখণ্ডিত করে এক অংশ ইহুদি ও এক অংশ মুসলিমদের দিয়েছে। ইহুদীরা তাদের অংশ বুঝে নিয়েছে। মুসলিমরা জাতিসংঘের রায় মানেনি। অর্থাৎ তারা যুদ্ধ করে......
রায় মানলে হয়তো সমস্যা থাকতো না।
(জাতিসংঘের রায়ের বৈধতা নিয়ে আমি কিছু বলতে চাইছি না। ৫০ বছর পর, রোহিঙারা যদি চিটাগাং দাবী করে বসে। এবং মিমাংশা হিসেবে জাতিসংঘ রায় দেয় ' অর্ধেক চিটাগাং রোহিঙ্গাদের! রায়টা বাংঙ্গালিরা মেনে নেবে না।)

১৯৪৮ সালের পরে ইহুদীদের অংশ 'ইসরাইল'কে সোভিয়েত ইউনিয়ন স্বীকৃতি দিলো, মুসলিম তুরস্ক স্বীকৃতি দিলো। আরো অনেকেই স্বীকৃতি দিলো। মুসলিম যে দেশগুলো এখনো স্বীকৃতি দেয়নি, তারাও ফিলিস্তিনের জন্য কিছু করছে বলে মনে হচ্ছেনা। করবেও না।

কাশ্মীরের ব্যপারে জাতিসংঘের এমন কোন সিদ্ধান্ত এখনো নেই। ভারত জোর করে পুরুটা নিজেদের দখলে নিতে চাইছে। এখন দেখা যাক জাতিসংঘ কি বলে?

১৮ ই আগস্ট, ২০১৯ সন্ধ্যা ৭:৫১

বিদ্রোহী ভৃগু বলেছেন: ভাল বলেছেন।
সবশেষে এখন সেটাই কথা - দেখা যাক জাতিসংঘ কি বলে?

আর মানুষ হিসেবে সত্য, ন্যায় আর বিবেকের তাড়নায় সত্যের পক্ষে বলতে লিখতে ভাবতে হবে।
মিথ্যা, জুলুম, দখলবাজি, সাম্রাজ্যবাদী নীতিকে ঘৃনা করতে হবে।
আমাদের স্বাধীনতার জন্য যেমন বিশ্ব ব্যাপি মানবতাবোধ সম্পন্ন অনেকেই হাত বাড়িয়ে দিয়েছিলেন
আমরাও মুক্তিকামী মানুষের পক্ষে থাকবো এটাইতো হওয়া উচিত। নয়কি?

৮| ১৮ ই আগস্ট, ২০১৯ সন্ধ্যা ৬:৪০

চাঁদগাজী বলেছেন:


কাশ্মীর সমস্যার সৃষ্টি করেছে মুসলমানেরা: রাজা হরি সিং'এর সময় শেষ ভোটে মুসলমানেরা শেখ আবদুল্লাহ ও চৌধুরী গোলাম আব্বাস'এর নেতৃত্বে ১ ভাগ হয়ে যায়।

শেখ আবদুল্লাহ কংগ্রেস'এর সাথে আঁতাত করেন, আর চৌধুরী গোলাম আব্বাস মুসলিম লীগের সাথে যোগ দেন; রাজা নিজ রাজ্য রক্ষার পক্ষে থাকেন।

১৯৪৭ সালের ১৫ই আগষ্টের পর, চৌধুরী গোলাম আব্বাস পাকী প্রধানমন্ত্রী লিয়াকত আলী খানের সাহায্য নিয়ে, উপজাতি লোকদের হাতে রাইফেল দিয়ে কাশ্মীর দখলে নেমে যান।

কাশ্মীরের অর্ধেকের বেশী দখল করে ফেলার পর, রাজা বাধ্য হয়ে ভারতের সাথে যোগ দেন; রাজা যদি স্বাধীন থাকতো, কাশ্নীর একদিন স্বাধীন দেশে পরিণত হতো।

১৮ ই আগস্ট, ২০১৯ সন্ধ্যা ৭:৫৫

বিদ্রোহী ভৃগু বলেছেন: হুম তা বুঝলাম।
এরপরতো গণভোটের কথা বলা হয়েছিল। কিন্তু তা আজো হয়নি।
একটি বিশেষ ধারা দিয়ে তাদের সংবিধা, পতাকা এবং স্বাতন্ত্য দিয়েই চলছিল।

আমরা ইতিহাসে আগেও দেখেছি কিভাবে হায়দরাবাদ স্বাধীন থেকে থাকতে পারেনি?
কিভঅবে সিকিম গ্রাস করে নিয়েছে?

এখন কাশ্মীরে যে অভিযান চলছে- আপনি তার বিষয়ে কি বলবেন?
এর সমাধান কিভাবে হলে তা ন্যায় সংগত হয়? বলে মনে করেন?

৯| ১৮ ই আগস্ট, ২০১৯ সন্ধ্যা ৬:৪১

চাঁদগাজী বলেছেন:


টাইপো---"কাশ্মীর সমস্যার সৃষ্টি করেছে মুসলমানেরা: রাজা হরি সিং'এর সময় শেষ ভোটে মুসলমানেরা শেখ আবদুল্লাহ ও চৌধুরী গোলাম আব্বাস'এর নেতৃত্বে ১ ভাগ হয়ে যায়। "

সঠিক--"কাশ্মীর সমস্যার সৃষ্টি করেছে মুসলমানেরা: রাজা হরি সিং'এর সময় শেষ ভোটে মুসলমানেরা শেখ আবদুল্লাহ ও চৌধুরী গোলাম আব্বাস'এর নেতৃত্বে ২ ভাগ হয়ে যায়। "

১৮ ই আগস্ট, ২০১৯ সন্ধ্যা ৭:৫৫

বিদ্রোহী ভৃগু বলেছেন: হুম বুঝতে পেরেছি। সংশোধনীর জন্য ধন্যবাদ

১০| ১৮ ই আগস্ট, ২০১৯ সন্ধ্যা ৬:৫২

ঠাকুরমাহমুদ বলেছেন: আবুহেনা মোঃ আশরাফুল ইসলাম কোনো দেশের রাষ্ট্র প্রধাণ নিয়ে এমন ছবি আমরা ব্লগে আমরা আশা করিনা। এটি একটি রাষ্ট্রের ভাবমূর্তি নষ্ট করে। আমরা বাংলাদেশী কেমন জাতি? কাউকে নিয়ে লেখার অনেক বিষয় আছে আপনি যা জানেন তথ্য নির্ভর বা আপনার ধারনাই হোক তা লিখুন গঠণমূলক আলোচনা হোক তর্ক বিতর্ক হোক। কিন্তু ফেসবুকিয় নোংরা ছবি ব্লগে অশালীন যা আপনি ব্লগে পোস্ট কমেন্ট কন্টেন্ট ব্যাবহার করতে পারেন না জনাব আবুহেনা মোঃ আশরাফুল ইসলাম সাহেব। রাষ্ট্র প্রধাণের বিরুদ্ধে আপনার হাজারটা অভিযোগ থাকতে পারে তার অর্থ এই নয় বিকৃত ছবি ব্লগে নিয়ে আসবেন। এই সব বিকৃত ছবির আঘাতে আজ দেশে ব্লগ ব্লকড করা। সবাই সুস্থ্য ব্লগিংয়ে ফিরে আসুন এটাই অনুরোধ।

১৮ ই আগস্ট, ২০১৯ সন্ধ্যা ৭:৫৮

বিদ্রোহী ভৃগু বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ।
আমি কাজে ব্যাস্ত ছিলাম। এসে ছবিটা দেখে অবাক হয়েছি। হেনা ভাই আমাদের সকলের প্রিয়। বিশেষ করে আমরা যারা আড্ডাঘরে যাতায়াত করি।
ছবিটা মুছে দিয়েছি হেনা ভাই। আশা করি মনে কষ্ট নেবেন না।
আমাদের রাগ, ক্রোধ, ক্ষোভ সবই ঠিকাছে। কিন্তু তার প্রকাশো হওয়া চাই সার্বজনীন গ্রহনযোগ্য। ইন্টেলেকচুয়াল।
বিশেষত আমরা যেহেতু এমনিতেই ব্যানের জালে আবদ্ধ আমাদের সতর্কতা আরো একটু বেশিই চাই।

ঠাকুর মাহমুদ ভাইকে ধন্যবাদ বিষয়টি বুঝিয়ে বলায় :)

হেনা ভাইয়ের বিজ্ঞ মতামত আশা করছি ইস্যুটির উপর।

১১| ১৮ ই আগস্ট, ২০১৯ সন্ধ্যা ৭:০৭

চাঁদগাজী বলেছেন:


আপনি ভুল লেখা পছন্দ করে, ভুল ভাবনার প্রসার ঘটাচ্ছেন; লেখার এনালাইসিস ও পর্যবেক্ষণ সঠি নয়; লেখক ইতিহাসকে সঠিকভাবে অনুধাবন করেননি।

১৮ ই আগস্ট, ২০১৯ রাত ৮:০২

বিদ্রোহী ভৃগু বলেছেন: এটা আপনার ভাবনা।

একজন মুসলমানের চোখে নিজ ভুমে পরবাসীর যাতনার অনুভব
আর একজন দখলদারের অনুভব ভিন্নইতো হবে।

আমি পরবাসীর পক্ষে। আমি নির্যাতিতের পক্ষে।
কি কারণ? কার ব্যার্থতা সে সব সূক্ষ হিসেব আর ধারনার বাইরে একজন মানুষ হিসেবে
এটা আমার ঔচিত্যবোধের দায়। আপনার মাঝে তা অনুপস্থিত থাকলে আমি বলতে যাবো না কেন নেই?
আপনি ভুল করছেন? আপনি দখলদারের পক্ষপাতিত্ব করছেন। না আমি বলবো না। কেন?
সেটা আপনার জীবন, আপনার জ্ঞান এবং আপনার বিবেক বোধের সামগ্রীকতার নির্যাস- আপনার আচরণ।

হয়তো বড়জোর ইগনোর করে যাব। কারণ কাউকে জোর করাও নীতিগত ভাবে নীতির এথিকসের বাইরে।
ভাল থাকুন।

১২| ১৮ ই আগস্ট, ২০১৯ সন্ধ্যা ৭:১০

ভুয়া মফিজ বলেছেন: শেয়ার করার জন্য ধন্যবাদ ভৃগুদা।

প্যালেস্টাইন আর কাশ্মীর....এই দুই অন্চলের মানুষের দূর্ভোগ সহসা দূর হবে না। আদৌ হবে কিনা সন্দেহ। আর এর জন্য মুসলমানদের দায় কম না। আশাকরি, বর্তমান বিশ্বের ক্ষমতাধর মুসলিম দেশগুলোর অচিরেই হুশ ফিরবে।

১৮ ই আগস্ট, ২০১৯ রাত ৯:৩৪

বিদ্রোহী ভৃগু বলেছেন: অনেক অনেক ধন্যবাদ প্রিয় ভূয়া মফিজ ভায়া :)

হুম। কথিত মুসলমান নেতাদের দায় শতভাগ! যার সুবিধা ভোগ করছে অন্যরা।
অথবা সুবিধার জন্য তাদের কিনে নিয়েছে এবং তারাও বিক্রি হয়েছে!
হুম ফেরার অপেক্ষায় যুগ যুগ পেরিয়ে গেল। আল্লাহর দয়া ছাড়া আর আপাত কোন পথ দেখিনা।

আপনার প্রার্থনা সথ্য হোক। হুশ ফিরুক দ্রুত!

১৩| ১৮ ই আগস্ট, ২০১৯ রাত ৮:০০

রাজীব নুর বলেছেন: কাশ্মীর সম্পর্কে খুব কম জানি আমি। এই পোষ্ট অনেক কিছু জানতে সাহায্য করলো।

গতকাল মিরপুরে আগুন লাগলো। সব পুড়ে শেষ। একটা ঘরও আস্ত নেই। কিন্তু দম কল বাহিনির ২০ ইউনিট আগুন নিভাতে সক্ষম হয়েছে। সব তো পুড়ে শেষ। এখানে সক্ষম হলো কিভাবে??

বস্তিতে আগুন লাগিয়ে দিয়ে একরাতে ৫০ হাজার দরিদ্র আর অসুস্থ নারী-পুরুষ-শিশুকে গৃহহীন করে দেয়া দেশের মানুষেরা দিনে শতবার তজবিহ জপে- 'মানুষ সৃষ্টির সেরা জীব।'

১৮ ই আগস্ট, ২০১৯ রাত ৯:৩৭

বিদ্রোহী ভৃগু বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ রাজিব নুর ভায়া।

ব্যার্থ রাষ্ট্রের ষোলকলা পূর্ণ হয়েছে বুঝি এবার! প্রতিটিা সেক্টরে যেন ছেলে খেলা চলছে!
পুড়ছে গরিব, দু:খি আমজনতা!
ধনে, মানে, জানে তারাই অকাতরে জীবন বিলিয়ে যাচ্ছে রাষ্টের্ ব্যার্থতার দায় চুকাতে।

কোটি কোটি টাকার জমি উদ্ধারে বস্তিতে আগুন লাগানো তো দেশি বিদেশী সিনোমর অতি কমন পদ্ধতি!
তারা কখনোই ধরা পড়ে না। তাই সাহস বাড়ে আবারো লাগায়,
মানুষ মরে! অসহায় দরিদ্র মানুষ!

১৪| ১৮ ই আগস্ট, ২০১৯ রাত ৯:২২

পদাতিক চৌধুরি বলেছেন: প্রিয় কবি ভাই খুব সুন্দর লিখেছেন। সেমন্তী ঘোষের ঐ আর্টিকেলটা পড়েছিলাম। আপনি প্যালেস্টাইনের প্রসঙ্গ এনে বিষয় দুটিকে নিয়ে সুন্দর তুল্যমূল্য আলোচনা করেছেন।
গতকাল রাষ্ট্রপুঞ্জে নিযুক্ত ভারতের বিদেশ সচিব আকবরউদ্দীন বলেছেন আর পিছনে তাকিয়ে লাভ নেই। কাশ্মীর ভারতের অবিচ্ছেদ্য অংশ।
কাজেই পিছনের ইতিহাস পড়লে কাশ্মীরিদের হয়ে কথা বলতেই হবে। যে কারণে তাদেরকে অ্যাডভান্টেজ দেওয়া হয়েছিল ভারতের মূল ভূখণ্ড থাকার ঘুষ হিসাবে। আজ অবশ্য সে ঘুষের প্রয়োজন শেষ হয়ে গেছে। ঠিকই তো আর কতদিনই বা এভাবে ঘুষ বয়ে নিয়ে যেতে হবে । ওরা কাশ্মীরে পণ্ডিতদের হত্যা করেছে,, তাড়িয়েছেও। সুতরাং তার মধুর প্রতিশোধ একটু তো তুলতেই হবে। আর আপনাদের বলছি, খবরদার সম্প্রদায় নিয়ে কথা একেবারেই তুলবেন না। ভারত এক দেশ, এক ভাষা, এক ধর্ম, এক আইন-মানতে না পারলে পৃথিবীর যেকোন দেশে চলে যান।।হাহাহা....

এখন এখানে জাতীয়তাবাদের জোয়ার চলছে।সুতরাং ভারতের রাষ্ট্রক্ষমতা বা জাতিয়তাবাদে আপনাকে গলা মেলাতে হবে। অন্যথায় দেশবিরোধীর তকমা দিয়ে দেশছাড়া করেই ছাড়বো। আমরা কাশ্মীর ভূখণ্ড চাই। অপ্রিয় হলেও সত্য কাশ্মীরের জনগণ নিয়ে আমাদের মাথা ব্যথা নেই। ইতিমধ্যে প্লেট গান ব্যবহার করেছি। তাতেও ব্যাটারা শিক্ষা নেয়নি। এখন যে কটা বাড়াবাড়ি করবে, সমুচিত শিক্ষা দেবো।বুঝলেন তো ব্যাপারটা,এটা ভারতের আভ্যন্তরীণ ব্যাপার
হাহাহাহা।


শুভকামনা প্রিয় কবি ভাইকে।

১৮ ই আগস্ট, ২০১৯ রাত ৯:৪৯

বিদ্রোহী ভৃগু বলেছেন: আপনি বষিয়টা গভীর ভাবে পূর্ণ উপলদ্ধি করায় ধন্যবাদ ও ‍কৃতজ্ঞতা।

হুম সেই দারুন আর্টিকেলের সত্য তথ্যরে সাথে সমসাময়িত কাশ্মীর নিয়ে তুলনামুলক উপস্থাপনের চেষ্টা করেছি।
নিউজে দেখলাম উনার ছোটাছুটি।

আপনার উজ্জিবীত জাতীয়তাবাদী চেতনায় মুগ্ধ ;)
হুম, এভাবেই উগ্রতা প্রমোটেড হয়! কখনো ধর্মের নামে, কখনো জাতীয়তাবাদের নামে!
সার্বভৌমত্ব নিয়ে কোন আপোষ নেই জানি! এবং মানিও।

কিন্তু যা শুরু থেকেই আমার ছিল না! ছলে বলে কৌশলে সেই আটচল্লিশ থেকে গণভোটকে বারবার প্রত্যাখ্যান করে
দমন নীতিতে, নিপিড়নের পথে গায়ের জোরে ধরে রাখতে চাওয়া বাড়াবাড়ি নয়? দাদা?
হায়দ্রাবাদ স্বাধীন থাকতে চেয়েছিল, পারেনি? সিকিমও একই পথে!

অথচ ভারত ভাগের শর্তানুসারে কিন্তু স্পষ্ট বলা ছিল - যারা ভারত ডোমিনিয়নে যোগ দেবে তারা দেবে
যারা পাকিস্তানে যোগ দেবে তারা দেবে, যারা কোনটাতেই যেতে আগ্রহী নয়, তারা স্বাধীন ভাবে থাকতে পারবে।

এই যে মূল চুক্তি সহজ কথা, তাকে ভায়োলেট করেছে কে?
কখনো ছলে, কখনো বলে, কখনো প্রতারনায়! - এটাইতো অন্যায়!
নয়তো হয়তো এমন হতো আরো বেশ কয়েকটা স্বাধীন দেশ নিয়েও ভারত বর্ষ একটা দারুন আইডিয়াল কন্টিনেন্ট হতে পারতো।

কিন্তু ওই যে, আগ্রাসী মন! লোভী চেতনা! ক্ষমতার দম্ভ ওইতেইতো খেল!
ব্যাস চলছে হয়তো চলবেও হানা হানি, যুদ্ধ বিগ্রহ, ক্ষমতার মোহে উন্মাদনায় প্রাণ যাবে উলু খাগড়ার!
---

তা যা বলেছেন দাদা? এক্কবারে অভ্যন্তরীন ব্যাপার তো বটেই! সেই বিজ্ঞাপনের মতো
ইয়ে অন্দর কি বাত হ্যায় ;)
হা হা হা

অনেক অনেক শুভকামনা

১৫| ১৮ ই আগস্ট, ২০১৯ রাত ৯:৫৬

প্রবালরক বলেছেন: পদাতিক চৌধুরী বলেছেন – ওরা কাশ্মীরে পণ্ডিতদের হত্যা করেছে,, তাড়িয়েছেও।
মাত্র ২ শতাংশ কাশ্মীরি পন্ডিতদের হাতে শাসিত, অত্যাচারিত ও নির্যাতিত হচ্ছিল বলে একসময়ে বিক্ষুব্ধ হয়ে কাশ্মীরি জনগন পন্ডিত শ্রেনীকে তাড়া করে।

১৯ শে আগস্ট, ২০১৯ সকাল ৮:১৮

বিদ্রোহী ভৃগু বলেছেন: জ্বি। উনিও তাদের সো কলড দাবীর কথাই বলেছেন ব্যাঙ্গ করেই!

ধন্যবাদ ও শুভেচ্ছা রইল

১৬| ১৮ ই আগস্ট, ২০১৯ রাত ১০:৪৭

নাসির ইয়ামান বলেছেন: মনের সুপ্ত বেদনাগুলো নিজেকে তাড়িয়ে বেড়াচ্ছে! আপনার মতো আমার হৃদয়ও দাবানলে পুড়ছে!

তবে চিরমুক্তি কোনোদিন গণতন্ত্র বা ভোটাভুটির রাজনীতিতে সম্ভব নয়।জাতিসংঘ তো কচুগাছ; খেতে খুবই পুষ্টিকর,কিন্তু আচলে আগলে রাখার যোগ্যতাটুকু অর্জিত নেই।
একথা স্বীকার্য যে,সারাবিশ্বে মুসলিমরা নির্যাতিত।তাই ব্যক্তিক সংশোধনের মাধ্যমে ইসলামের আদর্শে উজ্জীবিত হয়ে,সোনালী অতীত ফিরিয়ে আনতে হবে!

১৯ শে আগস্ট, ২০১৯ সকাল ৮:২৭

বিদ্রোহী ভৃগু বলেছেন: ব্যক্তিক সংশোধনের মাধ্যমে ইসলামের আদর্শে উজ্জীবিত হয়ে,সোনালী অতীত ফিরিয়ে আনতে হবে!
আপনার কথা আংশিক সত্য।
কারণ কেন্দ্রীয় মোটিবেশন এবং নিয়ন্ত্রন ছাড়া ব্যক্তিক আয়োজন অপ্রতুল হয়ে পড়ে কখনো কখনো!
স্রেফ মক্কা আর মদীনাকে বিশ্ব মুসলিম নেতৃেত্বর হাতে যদি রাখতে পারেন- দেখবেন চোখের পলকে বিম্ব মুসলিমের অবস্থান বদলে যাবে।
সারা বিশ্বের মুসলিম দেশগুলো থেকে হাক্কানী নায়েবে রাসুল, আলেম প্রতিনিধিদের দিয়ে পবিত্র হারামাইন শরীফ পরিচালনা পরিষদ গঠন করুন। তারাই ইসলামী বিধী বিধানের পবিত্র ক্বাবা সহ মদীনা এবং বায়তুল মাকাদ্দাসের দেখভাল করবেন। এবং ইসলামী চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত দেবেন। আরেবর রাজনৈতিক নেতৃত্ব থাকুক আরবেদর পছন্দ মতো! কিন্তু ধর্মীয় এই টুকু ক্ষমতা যদি কেন্দ্রীভুত করা যায়! মুসলিম বিশ্বের অবস্থা অতিদ্রুত উন্নতির দিকেই ধাবিত হবে।

১৭| ১৮ ই আগস্ট, ২০১৯ রাত ১১:১৭

হাসান কালবৈশাখী বলেছেন:
ইসরাইল গঠন না হওয়া পর্যন্ত ফিলিস্তিনিরা কোন দেশ বা স্বাধিকার চায় নি।
ফিলিস্তিনিদের যারা ব্যাকিং দিয়েছিল তারাও কখনো শান্তি চায় নি।
৯০ দশকের প্রথমদিকে ফিলিস্তিনি শান্তিচুক্তি স্বাক্ষর হওয়ার পর বেশিরভাব ফিলিস্তিনিরা মেনে নিলেও গাজা অঞ্চলের হামাস তা প্রত্যাখ্যান করে হামলা শুরু করেছিল।

আর কাশ্মিরিদের কথা কি বলব।
একটা কথা বলা যায় - ভারতী অঞ্চলের কাশ্মিরিরা পাকি অঞ্চলের কাশ্মিরিদের চেয়ে হাজারগুন ভাল আছে। (কাশ্মিরি প্রবাসি স্টুডেন্টদের কথা) শীয়া-সুন্নি ভাল সহবস্থান। যদিও শিয়ারা কাশ্মিরে সংখাগরিষ্ট। শিয়ারা ভালভাবে জানে কাশ্মির স্বাধীন বা পাকি খপ্পরে পড়লে নিশ্চিতভাবে আরেকটা ইয়ামেনে পরিনত হবে।

বর্তমানে কাশ্মিরে যারা জ্যাঞ্জাম করছে কট্টরপন্থি ওহাবিষ্টরা তথা বহিরাগত রাজনৈতিক ইসলামিষ্টরা এরা সম্মিলিত ভাবে ৮% অধিক হবে না। আর হামলা করছে প্রত্যক্ষ পাকি সাপোর্টে বহিরাগতরা যারা অনেকেই কাশ্মিরি তো নয়ই, পাকিস্তানিও নয়।

সুতরাং কাশ্মিরিদের সমস্যা ভারত ও কাশ্মিরিদেরই ভাবতে দেন।
এজাবৎ কোন কাশ্মিরি নেতা সরাসরি স্বাধিনতা চায় নি।
তাই আমি আপনি স্বাধিনতা চেয়ে মাথাকুটে মরলে লাভ হবে? এসবে মাথা না ঘামিয়ে আসেন আমাদের দেশকে ডেঙ্গুমুক্ত করার চেষ্টা করি।

১৯ শে আগস্ট, ২০১৯ সকাল ৮:৩৭

বিদ্রোহী ভৃগু বলেছেন: হা হা হা
তা যা বলেছেন

স্বৈরাচার মুক্ত করতে ব্যার্থ হয়েছে বিরোধী দল, সো বেটার আমজনতা ডেঙ্গু নিয়েই ব্যাস্ত থাকি!
ভিক্ষা চাইনা কুত্ত সামলা মা জননী নীতিতে ;) হা হা হা

না আমি স্বাধীনতার কথা বলিনি, আমি শিয়া সুন্নী ভেদের কথা বলিনি! কাশ্মীরি জনগন কি চায় তাই ১৯৪৮ এ ঘোষিত গৃহিত সিদ্ধান্ত মোতাবেক গণ ভোটের কথা বলেছি। তারা যদি ভারত ডোমিনিয়নে থাকে ভাল! যাদি স্বাধীনতা চায় তাো ভাল।
কিন্তু তাদের ভৌটাধিকার প্রয়োগের অধিকার টুকু তো দিতে হবে।
আমাদের ভোটাধীকার তো চেতনার দোহাই দিয়ে মধ্যরাতে ছিনতাই হয়ে গেছে!

মৌলিক নীতি এবং ন্যাযতা দেশ, জাতীয়তাবাদ, ধর্ম সব কিছুর উর্ধে! সার্বজনীনন।
সেখানেই বিশ্বের জাগ্রত বিবেকবানদের দাবী -তাদের ন্যায্য মত প্রকাশের সুযোগ টুকু দেয়া হোক। তারা কি চায়?

আর ইসরাইলের আধীপত্যবাদের বিরুদ্ধে এটা খভুই ঠুনকো যুক্তি যে তারা স্বাধীনতা চায় নি!
রাতের আঁধারে অস্ত্রের মূখে জবর দখল করে নেয়াকে কোন ভাবেই জাস্টিফাই করা যায় না। করা উচিত নয়।
যেমন উচিত নয় অনির্বাচিত সরকারের পক্ষে স্বৈরাচারিতার পক্ষে সো কলড উন্নয়নের দোহাই দিয়ে গণতন্ত্রের হত্যাকে জাস্টিফাই করার চেস্টা!
এটাই নীতির অ আ ক খ! মিনিমাম স্পেস।

১৮| ১৮ ই আগস্ট, ২০১৯ রাত ১১:৩৪

মা.হাসান বলেছেন: ইহুদিরা ইউরোপে অত্যন্ত ঘৃণিত ছিল। শাইলক শব্দটা এখনো একটা গালি হিসেবেই ব্যবহৃত হয়। আমাদের দেশে বাংলাদেশের পাসপোর্টধারী সবাই ই বাংলাদেশি। কিন্তু ইউরোপে দেখেছি একজন ইহুদিকে রাশান, জার্মান, ফ্রেঞ্চ ইত্যাদি বলা হয় না, ইহুদি হিসেবেই পরিচয় দেয়া হয়। ইউরোপিয় নেতারা ইহুদিদের থেকে মুক্তি চেয়েছিলেন, সে জন্যই ইসরায়েল প্রতিষ্ঠা।
১৯৫০এ ইজরায়েলের জনসংখ্যা ছিল পনেরো লাখের মতো, এখন কোটির কাছাকাছি। ষাটের দশকে আরব-ইজরায়েল যুদ্ধের সময়ে এদের জন সংখ্যা ছিল পচিশ লাখের মতো। আরবরা যদি একত্রিত হয়ে হিসুও করে দিতো তাহলে ইসরায়েল ভেসে যেতো। বরং আরবরা নিজেদের মধ্যে রক্তক্ষয়ি যুদ্ধ করেছে, এখনো করছে। মুসলমানরা নিজেদের হাতেই মরছে। পাকিস্তানের বিভিন্ন এলাকায় এখনো সেনাবাহিনী সাধারন লোকদের উপর নির্মম অত্যাচার চালাচ্ছে। আফগানিস্তান, সিরিয়া, ইরাক, লিবিয়া, ইরান সবখানেই অশান্তি। মুসলিম বিশ্বে প্রয়োজন একজন মানবতার জননী। আমরা ঘরে সমাধান থাকতে বাইরে সমাধান খুঁজছি।

১৯ শে আগস্ট, ২০১৯ সকাল ৮:৪১

বিদ্রোহী ভৃগু বলেছেন: মুসলমানের শত্রু বাইরের চেয়ে ভেতরে বেশি!

পবিত্র ভূমির নিয়ন্ত্রন যখন অপবিত্রদের হাতে - যা হবার তাই হচ্ছে!
রাজতন্ত্র ধ্বংস হোক। কোরআন ও সুন্নাহ ভি্ত্তিক নেতৃত্ব আসুক মক্কা মোয়াজ্জেমায়।
বদলে যাবে সব আপনাতেই।

অনেক ধন্যবাদ ও শুভেচ্ছা

১৯| ১৯ শে আগস্ট, ২০১৯ রাত ১:৪৩

কাওসার চৌধুরী বলেছেন:



চমৎকার একটি তথ্যবহুল ফিচার। অনেক দরকারী বিষয় জানা হলো। +++

১৯ শে আগস্ট, ২০১৯ সকাল ৮:৪২

বিদ্রোহী ভৃগু বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ ভায়া

শুভেচ্ছা অফূরান

২০| ১৯ শে আগস্ট, ২০১৯ দুপুর ২:২২

মোঃ মাইদুল সরকার বলেছেন: মূল লেখক ও আপনাকে ধন্যবাদ এমন সুন্দর করে বিষয়টি উপস্থাপনের জন্য।

মানবতার জয় হোক।

১৯ শে আগস্ট, ২০১৯ বিকাল ৫:৪৭

বিদ্রোহী ভৃগু বলেছেন: আপনাকেও অনেক অনেক ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা

সত্য সবাই বলতে চায় না! পারে না। উনি পেরেছেন।

হুম কথা সেটাই মানবতার জয় হোক।

২১| ২২ শে আগস্ট, ২০১৯ রাত ২:৫৫

কানিজ রিনা বলেছেন: সমস্যা হোল বিচারক যখন ধর্ষকের পক্ষ
নেয়, উকিল তখন আইনের প্যাচ মারতে
সাহস পায়, এক সময় ধর্ষক বিচারিক
ভবনের পিছন দরজা পার হয়ে যায়।
আমাদের কলিমদ্দি চাঁন্দুও ধর্ষকের পক্ষ
নেয়।

অনেক কিছু জানতে পারলাম সময় উপযুক্ত
পোষ্ট। অনেক শ্রদ্ধায় ধন্যবাদ।

২২ শে আগস্ট, ২০১৯ সকাল ১১:০৫

বিদ্রোহী ভৃগু বলেছেন: হুম!

অনেক ধন্যবাদ ও শুভেচ্ছা

২২| ২২ শে আগস্ট, ২০১৯ দুপুর ১২:০৬

কাজী ফাতেমা ছবি বলেছেন: সুন্দর পোস্ট

২৫ শে আগস্ট, ২০১৯ দুপুর ১:৪৪

বিদ্রোহী ভৃগু বলেছেন: ধন্যবাদ অনেক অনেক :)

২৩| ২৫ শে আগস্ট, ২০১৯ দুপুর ১২:৪৩

সেলিম আনোয়ার বলেছেন: কাশ্মির স্বাধীনতা লাভ করুক। একজন হিন্দু রাজা দিল্লীতে পালিয়ে গেলেন আর কাশ্মিরে প্রায় শতভাগ মুসলিম ভারতের নাগরিক হয়ে গেলেন ।কতটা অযৌক্তিক। তাছাড়া তাদের উপর হত্য ধর্ষণ লুটতরাজ যেভাবে চলছে তাদের মুক্তির পক্ষেই আমার অভিমত। আমার কেবল একাত্তরে বিভীষিকা চোখে ভাসছে। যদিও আমার জন্মেরও আগের ঘটনা কিন্তু সেইসব বিভীষিকায় যেন কাশ্মিরের মানুষকে পুড়তে না হয় ।

২৫ শে আগস্ট, ২০১৯ দুপুর ১:৪৬

বিদ্রোহী ভৃগু বলেছেন: হুম।

৪৭ এর ভারত ভাগের অনেক কথাই কাগুজ রেয়ে গেছে তাদের স্বার্থপরতার কারণে।
যে কারণে হায়দ্রাবাদ স্বাধীন থাকতে পারেনি। সিকিম গিলে খেয়েছে ...
গণভোটে কাশ্মীরের ভাগ্য নির্ধারিত হবার কথা ঝুলিয়ে রাখলো অর্ধশত বছর!
আর এখন
ঐতিহাসিক ২৫ মার্চের কালো রাতের কথাই আমারও মনে পড়েছে।
কাশ্মীরিদের চাওয়া অনুযায়ী তাদের ভাগ্য নির্ধারতি হোক।
কারো অত্যাচার জুলুম আর নির্যাতনে নয়।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.