নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

আমি সেই দিন হব শান্ত....

বিদ্রোহী ভৃগু

সকল অনাচার আর অনিয়ম জাগায় দ্রোহ.....

বিদ্রোহী ভৃগু › বিস্তারিত পোস্টঃ

ত্যাগ চাই মর্সিয়া ক্রন্দন চাহিনা - হোক নববর্ষের প্রত্যাশা

০১ লা সেপ্টেম্বর, ২০১৯ বিকাল ৫:২২

আজ পহেলা মহররম।

আমি একজন বাঙালী। আমি একজন মুসলিম।
পহেলা বৈশাখ আমাকে যেভাবে আলোড়িত করে, একই ভাবে আলড়িত করে মহররম।
শোক, ত্যাগ আর মহান অনেক ঘটনার মাস মহররম। সবচে বেশি যাতনা ছড়ায় কারবালার মর্মন্তুদ ইতিহাস।

তাইতো কবি বলে উঠেন

মহররমের চাঁদ এলো ঐ
কাঁদাতে ফের দুনিয়ায়
ইয়া হোসেনা ইয়া হোসেনা
তারই মাতম শোনা যায়!

সবাইকে আরবীয় নববর্ষের শুভেচ্ছা।এ নতুন বছর মুসলমানদের জন্য এবং বিশ্ববাসীর জন্য নিয়ে আসুক মুক্তির বারতা।
সকল অকল্যান দূর হোক। মঙ্গল, শান্তি আর কল্যানে ভরে উঠুক সকলের গৃহ।
জ্ঞান এবং প্রজ্ঞার চর্চায় জাগ্রত হোক মুসলিম মানস।

মুহররম হলো ইসলামি বর্ষপঞ্জির প্রথম মাস। চারটি পবিত্রতম মাসের মধ্যে এটি একটি। মুহররম শব্দটি আরবী যার অর্থ পবিত্র, সম্মানিত। প্রাচীনকাল থেকে মুহররম মাস পবিত্র হিসাবে গন্য। মহররমের ১০ তারিখ বিশেষ মর্যাদাসম্পন্ন দিন, যাকে আশুরা বলা হয়ে থাকে।
এই দিনটি নানা কারণে স্মরনীয় বলে গণ্য। বিশেষ করে মুহররম মাসের দশম দিন ইসলামে বিশেষ মর্যাদাসম্পন্ন একটি দিন। প্রচলিত আছে যে, এই দিনে বেশকিছু গুরুত্বপূর্ণ ঘটনা ঘটেছিল। যে কারণে মহহরম মাসটিও বিশেষায়িত হিসেবে গণ্য। ঘটনাগুলোর মধ্যে উল্লেখযোগ্য হলো:

এই দিনে প্রথম মানব আদি পিতা আদম আ: কে সৃষ্টি করেন;
আদম-কে এদিনেই স্বর্গ বা জান্নাতে স্থান দেয়া হয়
এবং পরবর্তীতে এই দিনেই পৃথিবীতে পাঠিয়ে আল্লাহ তাকে প্রতিনিধি মনোনীত করেছেন।
নূহ-এর সময়কালে এই দিনে মহাপ্লাবন হয়।
ইব্রাহীম জন্ম নেন এই দিনে এবং মূসা ও তার সাথীরা ফেরাউনের কবল থেকে উদ্ধার পানও এই দিনে।
মূসার সমসাময়িক ফেরাউন ও তার সৈন্যদেরকে আল্লাহ এই দিনে নীল নদের পানিতে ডুবিয়ে মারেন।
ইউনুছ মাছের পেট থেকে মুক্তি পান এই দিনে।
আইয়ূব রোগ মুক্তি পান এই দিনে।
ঈসা (খ্রিস্টধর্মমতে যিশু) এই দিনে জন্ম নেন এবং পরবর্তিতে তাকে সশরীরে ঊর্ধ্বাকাশে উঠিয়ে নেয়া হয় এই দিনে।
নবী মুহাম্মদ-এর দৌহিত্র ইমাম হুসাইন এই দিন কারবালার ময়দানে ইয়েজিদের সৈন্যদের হাতে মৃত্যুবরণ করেন।

মহররম নিয়ে সাহিত্যের মাঝে অমর সৃষ্টি জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলামের মহররম কবিতা।
এ যেন শুধু কবিতা নয়। পুরো কারবালার বাস্তব চিত্রায়ন। পাঠে প্রতিটা ছত্রে ছত্রে যেন চোখের সামনে ভেসে ওঠে
কারবালার সেই যাতনাভরা মুহুর্তগুলো।

আজ মহররমের নতুন দিনে আসুন পাঠ করি সেই অমর কাব্য।

মহররম
-কবি কাজী নজরুল ইসলাম

নীল সিয়া আসমান লালে লাল দুনিয়া –
আম্মা লাল তেরী খুন কিয়া খুনিয়া,
কাঁদে কোন ক্রন্দসী কারবালা ফোরাতে?
সে কাদনে আসু আনে সিমারের ও ছোরাতে।
রূদ্ধ মাতাম ওঠে দুনিয়া দামেস্কে –
জয়নালে পরালো এ খুনিয়ারা বেশ কে ?
হায় হায় হোসেনা ওঠে রোল ঝন্ঝায়,
তলোয়ার কেপে ওঠে এজিদের পান্জায়
উন্মদ দুল দুল ছুটে ফেরে মদিনায়
আলী জাদা হোসেনের দেখা হেথা যদি পায়।

মা ফাতিমা আসমানে কাদি খুলি কেশপাশ
বেটাদের লাশ নিয়ে বধুদের শ্বতবাস
রণে যায় কাশিম ঐ দু’ঘড়ির নওশা
মেহেদির রং টুকু মুছে গেল সহসা –
হায় হায় কাদে বায় পূরবী ও দক্ষিনা
কন্কন পৌচী খুলে ফেল সকিনা
কাঁদে কেরে কোলে করে কাশেমের কাটা শীর
খান খান খুন হয়ে ক্ষরে বুক ফাটা নীর
কেঁদে গেছে থামি হেথা মৃত্য ও রুদ্ধ
বিশ্বের ব্যাথা যেন বালিকা এ ক্ষুদ্র

গড়া গড়ি দিয়ে কাঁদে কচি মেয়ে ফাতিমা
আম্মাগো পানি দেও ফেটে গেল ছাতিমা
নিয়ে তৃষ্ষা সাহারার দুনিয়ার হাহাকার
কারবালা প্রান্তরে কাঁদে বাছা আহা কার
দুই হাত কাটা তবু শের নর আব্বাস
পানি আনে মুখে হাকে “দুশমন ও সাব্বাস” ।
দ্রিম দ্রিম বাজে ঘন দুন্দভী দামামা
হাকে বীর “শীর দেগা নেহী দেগা আমামা”

কলিজা কাবাব সম ভূনে মরু রোদ্দুর
খাঁ খাঁ করে কারবালা নাই পানি খজ্জুর
মার স্তনে দুধ নাই বাচ্চারা তড়পায়
জিভ চুষে কচি জান থাকে কিরে ধড়টায়
দাও দাও জ্বলে শিরে কারবালা ভাষ্কর
কাঁদে বানু পানি দেও মরে যাদু আসগর
পেলনাতো পানি শিশু পিয়ে গেল কাঁচা খুন
ডাকে মাতা পানি দেব ফিরে আয় বাছা শোন –

পুত্র হীনা আর বিধবার কাঁদনে
ছিড়ে আনে মর্মের বত্রিশ বাধনে
তাম্বুতে সজ্জায় কাদে একা জয়নাল
দাদা তেরী ঘর কিয়া বরবদ পয়মল
হায়দারী হাক হাকে দুল দুল আসওয়ার
শমশের চমকায় দুশমুনে ত্রাসবার
খসে পড়ে হাত হতে শত্রুর তরবার
ভাষে চোখে কেয়ামতে আল্রার দরবার।
নিঃশ্বেষ দুশমুন ওকে রণশ্রান্ত
ফোরাতের নীরে নেমে মুছে আখি প্রান্ত।

কোথা বাবা আসগর শোকে বুক ঝাঝরা
পানি দেখে হোসেনের ফেটে যায় পাজরা
ধুকে মলো আহা তবু পানি এক কাতরা
দেয়নিরে বাছাদের মুখে কম জাতরা
অন্জলী হতে পানি পড়ে গেল ঝর ঝর
লূটে ভূমে মহাবাহু খন্জর জর্জর।

হলকুমে হানে তেগ ওকে বসে ছাতিতে
আফতাব ছেয়ে গেল নীল আধীয়ার রাতিতে
আসমান ভরে গেল গোধুলীতে দুপুরে
লাল নীল খুন ঝরে ফুরাতের উপরে
বেটাদের লহুরাঙ্গা পীরহান হাতে আহা
আশরের পায়া ধরে কাদে মাতা ফাতেমা
এয় খোদা বদলাতে বেটাদের রক্তের
মার্জনা কর গোনা পাপী কম বখতের

কত মহরম এল গেল, চলে গেল বহু কাল
ভুলিনি গো আজো সেই শহীদের লহুলাল
মুসলিম তোরা আজ জয়নাল আবেদীন
ওয়া হোসেনা ওয়া হোসেনা কেদে তাই যাবে দিন
ফিরে এল আজ সেই মহরম মাহিনা
ত্যাগ চাই মর্সিয়া ক্রন্দন চাহিনা।
উষ্ষীষ কোরআনের হাতে তেগ আরবীর
দুনিয়াতে নত নয় মুসলিম কারো শীর।

তবে শোন ঐ শোন বাজে কোথা দামামা
শমশের হাতে নাও বাধ বুকে আমামা
বেজেছে নাকাড়া হাকে নাকিবের তুর্য
হুশিয়ার ইসলাম ডুবে তব সুর্য্য
জাগো ওঠো মুসলিম হাকো হায়দারী হাক
শহীদের দিলে সব লালে লাল হয়ে যাক।

নওশার সাজ নাও খুন খচা অস্তিন
ময়দানে লুটাতেরে লাশ এই খাস দিন
হাসানের মত পিব পিয়ালা সে জহরের
হোসেনের মত নিব বুকে ছুরি কহরের
আসগর সম দেব বাচ্চাদের কুরবান
জালিমের দাদ নেব দেব আজ গোর জান
সখিনার শ্বেত বাস দেব মাতা কন্যায়
কাশিমের মত দেব জান রূধি অন্যায়
মহরম কারবালা কাদো হায় হোসেনা
দেখ মরূ সুর্য্য এ খুন যেন শোষেনা ।।


ছবি ঋণ: গুগল

মন্তব্য ৩২ টি রেটিং +৬/-০

মন্তব্য (৩২) মন্তব্য লিখুন

১| ০১ লা সেপ্টেম্বর, ২০১৯ বিকাল ৫:৩৪

ইসিয়াক বলেছেন: অনেক অনেক সুন্দর ..।যতটুকু পড়েছি ।পড়ছি.............

০১ লা সেপ্টেম্বর, ২০১৯ বিকাল ৫:৪১

বিদ্রোহী ভৃগু বলেছেন: অনেক অনেক ধন্যবাদ শেষ করুন। অপেক্ষায় . . .

২| ০১ লা সেপ্টেম্বর, ২০১৯ বিকাল ৫:৩৬

ইসিয়াক বলেছেন: কাজী নজরুলের কবিতাটি জন্য ধন্যবাদ ++++

০১ লা সেপ্টেম্বর, ২০১৯ সন্ধ্যা ৬:২২

বিদ্রোহী ভৃগু বলেছেন: অনেক অনেক ধন্যবাদ

আসলেই অনন্য এক মহাকাব্য মহররম!
পড়তে পড়তে আমার শুধু গীতিনাট্য করার দৃশ্য চোখে ভাসে......

অনেক অনেক শুভেচ্ছা রইল।

৩| ০১ লা সেপ্টেম্বর, ২০১৯ সন্ধ্যা ৬:৩৩

আরোগ্য বলেছেন: মাত্রই ভাবছিলো যে নববর্ষ উপলক্ষে কি কোন পোস্ট আসে নি ওমনি দেখি ভৃগুদার এই পোস্ট।

অনেক শুভেচ্ছা নতুন বর্ষের।

০১ লা সেপ্টেম্বর, ২০১৯ সন্ধ্যা ৬:৪৮

বিদ্রোহী ভৃগু বলেছেন: আমিও অপেক্ষায় ছিলাম। না দেখে দিনান্তে স্মরণের ক্ষনে স্মরন করলাম।

আপনাকেও শুভেচ্ছা ভায়া

৪| ০১ লা সেপ্টেম্বর, ২০১৯ সন্ধ্যা ৬:৩৫

ঠাকুরমাহমুদ বলেছেন: সমালোচনা করা যাবে?

০১ লা সেপ্টেম্বর, ২০১৯ সন্ধ্যা ৬:৫০

বিদ্রোহী ভৃগু বলেছেন: হা হা হা

লজ্জ্বা দিলেন ভায়া। সকল মতেই সমালোচনা আছে থাকবে। ভিন্নমতে আপত্তি ছিলনা কখনো নেইও।
কিন্তু ব্যাক্তি আক্রমন বা ভিন্নমত হলে গুম, খুন তাতেতো অবশ্যই আপত্তি ;)

আপনার মূল্যবান সমালোচনার অপেক্ষায়।

৫| ০১ লা সেপ্টেম্বর, ২০১৯ সন্ধ্যা ৬:৪৬

রাকিব আর পি এম সি বলেছেন: অনেক কিছু জানলাম। ধন্যবাদ আপনাকে।

০১ লা সেপ্টেম্বর, ২০১৯ সন্ধ্যা ৬:৫২

বিদ্রোহী ভৃগু বলেছেন: আপনাকেও অনেক ধন্যবাদ ভায়া।

মহররমরে চেতনা আমাদের শানিত করুক বিশ্বাসে, কর্মে এবং বাস্তবায়নে।

অফুরান শুভেচ্ছা রইল

৬| ০১ লা সেপ্টেম্বর, ২০১৯ সন্ধ্যা ৭:১১

নীল আকাশ বলেছেন: মুসলিম উম্মাহ আজ একি হাল
দিকে দিকে শুধুই ক্রন্দন আর হাহাকার
আকিদা ভুলে গিয়ে শয়তানের প্ররোচনায়
লুন্ঠিত সম্মান আর কষ্ট সব যাতনার!

শুভ ইসলামিক নববর্ষ। ইনসাল্লাহ একদিন হলেও এই দিক বিভ্রান্ত মুসলিম উম্মাহ
সিরাতুল মুস্তাকীম খুজে পাবে।
ধন্যবাদ ভাই এত সুন্দর একটা পোস্ট দেবার জন্য।
কবি গুরু নজরুলের এই কবিতাটা আগে পুরো পড়িনি। এবার পড়লাম।

০১ লা সেপ্টেম্বর, ২০১৯ রাত ১০:০৭

বিদ্রোহী ভৃগু বলেছেন: আপনাকেও ধন্যবাদ।

অনেকেই প্রথম কয়েক স্তবক পড়া। তাই পুরোটা শেয়ার করলাম আগ্রহীদের জন্য।

শুভেচ্ছা রইল।

৭| ০১ লা সেপ্টেম্বর, ২০১৯ সন্ধ্যা ৭:৪৯

ঠাকুরমাহমুদ বলেছেন: আমি একজন বাঙালী। আমি একজন মুসলিম। - আপনি মানুষ কিনা তা বলেননি?
মুই জানতে চাই বাহে আফনে কেডা?

০১ লা সেপ্টেম্বর, ২০১৯ রাত ১০:০৯

বিদ্রোহী ভৃগু বলেছেন: হা হা হা

অন্য কোন প্রাণীর ধর্ম পরিচয় হয় জানা ছিল না ;)
যেহেতু হয়না। তাই এ প্রশ্নটাই অবান্তর। কেবলই কথার জন্য কথা।

মুই কইছিতো। মুই বাঙালী। মুই মুসলিম।

৮| ০১ লা সেপ্টেম্বর, ২০১৯ রাত ৯:১৪

চাঁদগাজী বলেছেন:


লুনার-ইয়ার লজিক্যাল নয়, সেজন্য এটার সমাদর কমছে ক্রমেই; আরবী নতুন বছর, প্রতি ৩ বছর পর, ১ মাস আগে চলে আসে; ফলে, পরিবর্তিত ঋতুতে নববর্ষ আসে, বেশ ভালোই বিরক্তিকর।

০১ লা সেপ্টেম্বর, ২০১৯ রাত ১০:১২

বিদ্রোহী ভৃগু বলেছেন: লুনার ইয়ারের এ বিবর্তনটা আসলেই কেমন যেন লাগে।

চন্দ্রবর্ষ নিয়ে যারা গবেষনা করে তারা কি এর কোন সমাধানের চেষ্টা করেনি?
যদি ইংরেজী বা বাংলা সাথে তুলনামূলক না মিলাই- তবুওতো এই সময়ের ব্যবধানটা থেকেই যায়!
এ নিয়ে একটা গ্রহণযোগ্য সমাধানের চেষ্টা করা যেতেই পারে।

ধন্যবাদ আর শুভেচ্ছা

৯| ০১ লা সেপ্টেম্বর, ২০১৯ রাত ৯:৩৮

নাসির ইয়ামান বলেছেন: আপনার নবী কি (সা.) কী নববর্ষ পালন করেছেন,? কোনো সাহাবীকে পালন করতে বলেছেন? নাকি কোনো সাহাবী নিউ ইয়ার সেলিব্রেট করেছেন?

তাহলে আপনি কার অনুসরণে এটা উদযাপন করছেন? নিশ্চয় এটি ইসলামি রীতি নয়!

০১ লা সেপ্টেম্বর, ২০১৯ রাত ১০:১৪

বিদ্রোহী ভৃগু বলেছেন: হা হা হা

একি বললেন ভাই?

তবে কি এখন উটের পিঠে মক্কায় যাব?
নেট ব্যবহার করছেন ক্যান? এটাওতো নবী জি করেন নি। আপনি তবে কার অনুসরন করছেন?

ভাই দয়া করে ইসলামকে আর পেছনে টেনে নেবেন না। স্থবিরতায় আর থামিয়ে দেবেন না।
এখন প্রচন্ড গতি চাই।
সময় অনেক এগিয়ে গেছে।

একসময় ইংরেজী শেখা বেদাত ফতোয়ায় মুসলিম জাতি ১০০ বছল পিছিয়ে গেছে!
আজকের এই দিনে যদি আপনারা এমনতরো ভাবনাকে জিইয়ে রাখেন=- তো মাশাল্লা- আরো ৫০০ বছর পর নিজেদের গুহা যুগে খুঁজতে হবে!

ভাল থাকুন।

১০| ০১ লা সেপ্টেম্বর, ২০১৯ রাত ১০:৩৩

রাজীব নুর বলেছেন: এই মাস নিঃসন্দেহে অত্যন্ত ফজিলতপূর্ণ।

০২ রা সেপ্টেম্বর, ২০১৯ বিকাল ৪:৫৬

বিদ্রোহী ভৃগু বলেছেন: হুম।
কিন্তু আমরা বুঝি বড়উ উদাস আমাদের নিজস্ব ধর্মীয় সংস্কৃতিকে উদযাপনে।

শেকড়ে ফেরায় আত্মমর্যাদা দৃঢ় হয়।
ধন্যবাদ আপনাকে।
শুভেচ্ছা

১১| ০১ লা সেপ্টেম্বর, ২০১৯ রাত ১১:৪৫

পদাতিক চৌধুরি বলেছেন: বিষয়টা আমার কাছে সম্পূর্ণ নতুন। ধন্যবাদ আপনাকে এমন একটি পোস্ট উপহার দেওয়ার জন্য।
আল্লাহপাক এই দিনে আদি পিতা আদম আ: কে সৃষ্টি করেন। এদিনেই তাকে জান্নাতে স্থান দেওয়া হয়। এদিনেই আল্লাহপাক ওনাকে পৃথিবীতে পাঠিয়ে প্রতিনিধি মনোনীত করেন। নুহু নবীর সময় এই দিনেই মহাপ্লাবন হয়। ইব্রাহিম জন্ম নেন এই দিনেই। মুসা এবং তার সঙ্গী দল এই দিনেই ফেরাউনের কবল থেকে মুক্তি পান। ফেরাউন ও তার সৈন্যদলকে আল্লাহপাক এই দিনে নীলনদে ডুবিয়ে মারেন। ইউনুস ও আইয়ুবের ব্যাপারে আরো একটু জানার আগ্রহ রইল। ঈসা আলাইহি সালাম জন্ম নেন এই দিনে এবং পরে এদিনেই তিনি ঊর্ধ্বাকাশে প্রেরিত হন। হাসান হোসেন কারবালার ময়দানে ইয়াজিদের সৈনিকদের হাতে মৃত্যুবরণ করেনও এই দিনে।-ঘটনাবহুল আরবী নববর্ষ দিনের মহত্ত্ব জেনে ঋদ্ধ হলাম।

শ্রদ্ধা ও শুভকামনা জানবেন।

০২ রা সেপ্টেম্বর, ২০১৯ বিকাল ৪:৫৯

বিদ্রোহী ভৃগু বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ প্রিয় দাদা :)

যে ঘটনাগুলোর মহত্ব অনুধাবন করেছেন তা এই নতুন মাসের বটে। নতুন দিনের নয়। এই মাসেই একটা দিন আছে আশুরা বা মহররমের দশ তারিখ। সেই তারিখেই উল্লেখিত ঘটনাগুলো ঘটেছে বলে বিবরণ পাোয়া যায়।

আপনি উপহারে প্রীত হয়েছেন জেনে আমারো আনন্দ হলো। :)
অন্তহীন শুভেচ্ছা আর শুভকামনা আপনার জন্যেও

১২| ০২ রা সেপ্টেম্বর, ২০১৯ রাত ৩:৩৪

জুনায়েদ বি রাহমান বলেছেন: পোস্টের জন্য ধন্যবাদ ভৃগু ভাই।

০২ রা সেপ্টেম্বর, ২০১৯ বিকাল ৪:৫৯

বিদ্রোহী ভৃগু বলেছেন: আপনার প্রতিও রইল অশেষ কৃতজ্ঞতা

শুভেচ্ছা জানবেন।

১৩| ০২ রা সেপ্টেম্বর, ২০১৯ ভোর ৬:৩২

নাসির ইয়ামান বলেছেন: আপনি বিষয় বুঝতে পারেননি,
প্রযুক্তির ব্যবহার,যেকোনো পার্থিব সুখ,বা সহজলভ্য জীবন.যাপন এগুলো ক্ষেত্রে তো ধর্ম বাধা নয়! কিন্তু ধর্ম বা মুসলিম সংস্কৃতি হিসেবে আপনি তো ইসলামই মানবেন! তা নয়কি?

নিউ ইয়ার এটা একটা ক্রিশ্চিয় বা সনাতনী সংস্কৃতি,এটা তো মুসলিমদের সাথে যায়না!

০২ রা সেপ্টেম্বর, ২০১৯ বিকাল ৫:০৫

বিদ্রোহী ভৃগু বলেছেন: আরে ভাই, আপনারা সমাধান হওয়া জিনিষকে আবার সমস্যায় টেনে আনলে কেমনে হবে?

নতুন সকল কিছুকেই যদি বিদআত ধরে বসে থাকেন- তো আপনার জন্মটাওতো নতুন!
আপনি নিজেই আগে ছিলেন এখন এয়েচেন। তো আপনিইতো একটা আস্ত বিদআত! (নবাগত/ নব সংযোজিত) ;)
হা হা হা

ইসলামে মৌলিক বিষয়ে কোরআন এবং তার পর সুন্নাহ তে অনুসন্ধান করার আদেশ আছে।
তারপর নতুন কিছু হলে তার জন্য ইজমা এবং কিয়াসের ব্যবস্থাতো সেই আদি থেকেই অনুমোদিত।
আর কত সময় লাগবে ভায়া- ধর্মের প্রকৃত রুপ অনুধাবনে?

আজো টিভি নাজায়েজ? সিনেমা হারাম!

আর ফলে কি হচ্ছে দেখছেনতো? ঘরে ঘরে টিভি সিরিয়ালের মাধ্যমে পূজা, মন্দির, সংষ্কৃতি হয়ে ঢুকে পড়ছে!
ঘরে ঘরে টিভির সিরিয়ালে উলূধ্বনিতে মূখরিত। এটা সংষ্কৃতি!
আপনি সংষ্কৃতি বললেই আজান, নামাজ আর ওয়াজে ঠেকে যান!!! ফলে তকমা লাগে মৌলবাদীতার! তারপরো
আপনি/আপনারা হাতের আড়াল দিয়ে রোদ ঠেকাতে চাইছেন?

চলেন টিভি সিনেমাকে অতি হারামের বেড়াজাল থেকে মুক্ত করি। যাতে আরো দুইশত বছর পিছনে পড়তে না হয় জাতিকে!
আসবেন কি?

১৪| ০২ রা সেপ্টেম্বর, ২০১৯ সকাল ১০:৩৯

সেলিম আনোয়ার বলেছেন: সুন্দর শেয়ার।

০২ রা সেপ্টেম্বর, ২০১৯ বিকাল ৫:০৫

বিদ্রোহী ভৃগু বলেছেন: ধন্যবাদ কবি?

শুভেচ্ছা রইলো

১৫| ০৫ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৯ সকাল ১০:০৭

রাকু হাসান বলেছেন:


আগেরও পড়েছিলাম । এমন শক্তিশালী কবিতা নজরুলের দ্বারাই সম্ভব । ধন্যবাদ শেয়ার করার জন্য ।

০৭ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৯ সন্ধ্যা ৭:৫২

বিদ্রোহী ভৃগু বলেছেন: অসম্ভব প্রাণময়, শক্তিশালী এক ঐতিহাসিক কাব্য!

জাতীয় কবির অনন্য সৃষ্টি কারবালােক মহররমকে অনন্তকাল জাগরুক রাখবে মানুষের হৃদয়ে।

ধন্যবাদ আর অফুরান শুভেচ্ছা

১৬| ২১ শে অক্টোবর, ২০১৯ রাত ১০:১৮

খায়রুল আহসান বলেছেন: কবি নজরুলের এ কবিতাটি বাল্যকালে সংক্ষেপিত আকারে স্কুলে পাঠ্য ছিল। পুরো কবিতাটি সম্ভবতঃ এই প্রথম পড়লাম। কবিতাটি পড়ে তখনো যেমন বুকটা হু হু কররে উঠতো, এখনো তাই করলো। পুরো কবিতাটি এখানে তুলে ধরার জন্য ধন্যবাদ।
৪, ৮ ও ৯ নং প্রতিমন্তব্য ভাল লেগেছে।

২২ শে অক্টোবর, ২০১৯ রাত ৯:২৯

বিদ্রোহী ভৃগু বলেছেন: অনেক অনেক ধন্যবাদ প্রিয় সিনিয়র :)

আপনার এই গুনটা সত্যি অন্যরকম। অেনক পুরােনা লেখাকে আবার জীবন্ত করে তোলেন! :)

আমাদের বিশ্বাস আমাদের সংস্কৃতি।
অথচ আমরা যেন শেকড় ছেড়া বনসাই বৃক্ষ হয়ে উঠছি ক্রমশ!
তাই স্মরনের ক্ষুদ্র প্রচেষ্টা্ আপনার ভাললাগায় তৃপ্তি পেলাম। শ্রম সার্থক হলো

অনেক অনেক শুভেচ্ছা আর শুভকামনা

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.