নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

আমি সেই দিন হব শান্ত....

বিদ্রোহী ভৃগু

সকল অনাচার আর অনিয়ম জাগায় দ্রোহ.....

বিদ্রোহী ভৃগু › বিস্তারিত পোস্টঃ

উদ্বিগ্ন অভিভাবক ও নাগরিক সমাজ’ এর স্মরকলিপি : বাস্তবতার সত্যোচ্চারণ

২৪ শে ডিসেম্বর, ২০১৯ রাত ৯:২৮

খুব কঠিন কিছু সত্য সাহসের সাথে উচ্চারণ করেছেন উদ্বিগ্ন অভিভাবক ও নাগরিক সমাজ। যে প্রশ্নগুলো স্বাভাবকি সমাজে করতেই হতো না। এরকম ব্যার্থতা বা অপরাগতার দায় নিয়ে বহু আগেই পদত্যাগ করতেন দায়িত্বশীলগণ।
কিন্তু আমাদের দেশ বলে কথা!
প্রলয় হয়ে গেলেও মৃত্যুর আগে কেউ পদ ছাড়তে রাজী নন। মূখে যাই বলুন না কেন?

সংবাদে বলা হয়েছে -
গত রোববার ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (ডাকসু) ভবনে সহসভাপতি (ভিপি) নুরুল হকের কক্ষে হামলা ও ভাঙচুর চালান ছাত্রলীগ ও মুক্তিযুদ্ধ মঞ্চের একাংশের নেতাকর্মীরা৷ এতে নুরুলসহ অন্তত ২৪ জন আহত হন৷ এই ঘটনায় বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ুয়া নিজের সন্তানদের নিরাপত্তা নিয়ে উদ্বিগ্ন অভিভাবক ও নাগরিক সমাজের প্রতিনিধিরা আজ মঙ্গলবার বিকেলে উপাচার্য কার্যালয় সংলগ্ন লাউঞ্জে গিয়ে উপাচার্য অধ্যাপক মো. আখতারুজ্জামানকে স্মারকলিপি দেন৷উদ্বিগ্ন অভিভাবক ও নাগরিক সমাজের পক্ষ থেকে উপাচার্যের সামনে স্মারকলিপি পড়ে শোনান লেখক ও অ্যাকটিভিস্ট রাখাল রাহা৷

স্মারকলিপিতে ভিপি নুরুলের ওপর হামলার প্রসঙ্গ টেনে অভিযোগ করা হয়, পয়েন্টগুলোর গুরুত্বপূর্ণ
* ‘আক্রান্ত ছাত্ররা আপনার প্রশাসনের সাহায্য প্রার্থনা করেছিল। কিন্তু আপনি ও আপনার প্রশাসন এ ঘটনা বন্ধ করার কোনোপ্রকার উদ্যোগ না নিয়ে উল্টো তাঁদেরই কটুকথা বলে বহিষ্কারের হুমকি দিয়ে তাড়িয়ে দিয়ে আক্রমণকারীদের পরোক্ষভাবে সহযোগিতা করেছেন।

* অতীতেও এ ধরনের নানা অভিযোগ আপনি ও আপনার প্রশাসনের বিরুদ্ধে বিভিন্ন সময়ে উত্থাপিত হয়েছে, আপনি তার একটারও সুষ্ঠু তদন্ত করে বিচার করেছেন বলে আমরা দেখতে পাইনি।

স্মারকলিপিতে আরও বলা হয়, বিশ্ববিদ্যালয়ে অধ্যয়নরত ছাত্র-ছাত্রীরা হরহামেশাই বিভিন্ন প্রকার নিপীড়ন-নির্যাতনের শিকার হচ্ছেন, কিন্তু তাঁরা আপনার কাছ থেকে কোনা প্রতিকার পাচ্ছেন না।

* বিশ্ববিদ্যালয়ের একজন উপাচার্য হওয়া সত্ত্বেও আপনি সব শিক্ষার্থীর প্রতি শিক্ষকসুলভ নিরপেক্ষতা প্রদর্শন করতে ব্যর্থ হচ্ছেন। আপনি এ বিশ্ববিদ্যালয়ের বেতনভুক সর্বোচ্চ ও সার্বক্ষণিক কর্মকর্তা।

* আমাদের রাষ্ট্রীয় তহবিল থেকে আমাদের করের টাকায় আপনার বেতন-ভাতা সম্মানী পরিশোধ করা হয়। আমাদের সন্তানসন্ততির নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে আপনি আইনত দায়িত্বপ্রাপ্ত জেনেই আমরা আমাদের সন্তানদের আপনার অভিভাবকত্বে বিশ্ববিদ্যালয়ে প্রেরণ করেছি।

* আপনি রাষ্ট্রীয় তহবিলের টাকায় বেতনভাতাপ্রাপ্ত একটি স্বায়ত্তশাসিত প্রতিষ্ঠানের প্রধান হওয়া সত্ত্বেও কেন একটি দলীয় সরকারের কর্মকর্তার মতো আচরণ করছেন তা আমাদের বোধগম্য নয়। দিনের পর দিন আপনার পক্ষপাতমূলক, অমানবিক আচরণে আমরা হতবাক, বিমর্ষ এবং উদ্বিগ্ন। আপনার এই আচরণ অপরাধীদের আরও অপরাধ করতে ধারাবাহিকভাবে উসকানি দিয়ে চলেছে বলে আমরা মনে করছি৷

উদ্বিগ্ন অভিভাবক ও নাগরিক সমাজের পক্ষ থেকে উপাচার্যকে বলা হয়, আমরা চলমান অবস্থার অবসান চাই এবং কেন আপনি ও আপনার প্রশাসন আমাদের সন্তানদের সঙ্গে এমন অশিক্ষকসুলভ আচরণ করছেন তার কারণ জানতে চাই।

স্মারকলিপি পড়া শেষ হলে উপাচার্যকে বিভিন্ন প্রশ্ন করেন উপস্থিত সাংবাদিকেরা ডাকসু ভবনের সিসিটিভি ফুটেজ গায়েব হওয়ার বিষয়ে জানতে চাইলে উপাচার্য মো. আখতারুজ্জামান বলেন, তাঁরা এ বিষয়ে পুলিশের সাহায্য চেয়েছেন৷ বিষয়টি গুরুত্বের সঙ্গে দেখা হচ্ছে৷

সাংবাদিকেরাসহ উপাচার্যের কাছে নানা প্রশ্ন ও অভিমত জানিয়ে বক্তব্য দেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিভাগের শিক্ষক তানজীমউদ্দিন খান, জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের নৃবিজ্ঞানের শিক্ষক সাঈদ ফেরদৌস, গণসংহতি আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়কারী জোনায়েদ সাকি প্রমুখ৷ উপস্থিত ছিলেন আলোকচিত্র শিল্পী শহিদুল আলম, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অর্থনীতি বিভাগের সহকারী অধ্যাপক রুশাদ ফরিদীসহ অনেকে৷ বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের পক্ষ থেকে সেখানে ছিলেন প্রক্টর এ কে এম গোলাম রব্বানী, সহকারী প্রক্টর বদরুজ্জামান ভূঁইয়া, জনসংযোগ দপ্তরের পরিচালক মাহমুদ আলমসহ কয়েকজন।

ক্যাম্পাসে দল-মত নির্বিশেষে সব শিক্ষার্থীর সহাবস্থান নিশ্চিতে প্রশাসনের তৎপরতা কেন নেই- রাখাল রাহা এমন একটি প্রশ্ন করলে উপাচার্য তাঁর কোনো জবাব দেননি বিভিন্ন ঘটনায় ছাত্রলীগের মারমুখী ভূমিকার জন্য সংগঠনটির বিরুদ্ধে কোনো ব্যবস্থা নেওয়া হবে কি না- এক ব্যক্তির এমন একটি প্রশ্নের উত্তরে উপাচার্য প্রথমে ইতস্তত করেন৷ পরে তিনি বলেন,‘আশা করি আমরা সবাই দায়িত্বশীল আচরণ করব, যে যেখানেই থাকি৷ কোনো সংগঠন বা ব্যক্তিকে দায়ী না করি৷ আমরা যেন নিয়ম-নীতি ও মূল্যবোধের মধ্যে থাকি৷’

উদ্বিগ্ন অভিভাবক ও নাগরিক সমাজ’এর প্রশ্ন যেমন চলমান চরম বাস্তবতাকে তুলে ধরেছে। অসহায় নাগরিক জীবনের সত্য যা উচ্চারণ করতে সাধারন মানুষ উচ্চকিত কিন্তু সন্ত্রস্ত! অপরদিকে মাননীয় ভিসি মহোদয় শেষ কথাতেও যেন তাদের দাবীকেই সত্য প্রতিপন্ন করলেন কোন সংগঠন বা ভ্যাক্তিকে দায়ী না করার অনুরোধে! কারণ কোন ব্যাক্তি বা সংগঠনইতও এসব করছে- ভিনগ্রহী এলিয়েনরাতো ঘটাচ্ছে না! তাহলে একথার মানে কি?

প্রশ্ন অনেক। উত্তরে অসীম নিরবতা!

মন্তব্য ৩৪ টি রেটিং +৮/-০

মন্তব্য (৩৪) মন্তব্য লিখুন

১| ২৪ শে ডিসেম্বর, ২০১৯ রাত ৯:৪৬

চাঁদগাজী বলেছেন:


অভিভাবকেরা জানে কিনা, ডাকসুর ভিপির কাজ কি?
ভিপির অফিস কি ক্লাশরুম, নাকি মধুর ক্যান্টিন, ওখানে ৫০ জনের মতো ছাত্র কেন উপস্হিত ছিলো? অভিভাবকেরা তাদের সন্তানদেরকে ডাকসু অফিসে ক্লাশ করতে বলেছেন?
ডাকসু অফিসে বাহিরের লোকজন কি করছিলো? এদের অভিভাবকেরা কি জানে যে, তাদের ছেলেরা ঢাকা ইউনিভার্সিটির ছাত্র নন?

নুর ডাকসু অফিসকে শিবিরের অফিসে রূপান্তরিত করেছে?

২৪ শে ডিসেম্বর, ২০১৯ রাত ৯:৪৯

বিদ্রোহী ভৃগু বলেছেন: ধন্যবাদ। আপনার মতামত জানলাম।

২| ২৪ শে ডিসেম্বর, ২০১৯ রাত ৯:৪৯

চাঁদগাজী বলেছেন:


নুর সম্প্রতি খালা-খালুর কন্ট্রাক্টিং ফার্মের ১৩ কোটী টাকার কন্ট্রাক্টের কাজকর্ম সেরেছে ডাকসু অফিসে বসে।

২৪ শে ডিসেম্বর, ২০১৯ রাত ৯:৫৯

বিদ্রোহী ভৃগু বলেছেন: বাহ! আপনিতো দেখি এফবিআইর চেয়েও শক্তিশালী ;)

আইন আদালতকে কি ছুটি দিয়ে দিয়েছেন?

৩| ২৪ শে ডিসেম্বর, ২০১৯ রাত ১০:২২

চাঁদগাজী বলেছেন:


লেখক বলেছেন, " বাহ! আপনিতো দেখি এফবিআইর চেয়েও শক্তিশালী "

-ব্লগিং নিশ্চয় কঠিন বিষয়; ইহা নিশ্চয় মাত্র ৫ লাইন পদ্য লেখা নয়।

২৫ শে ডিসেম্বর, ২০১৯ দুপুর ১২:৩১

বিদ্রোহী ভৃগু বলেছেন: হা হা হা

৪| ২৪ শে ডিসেম্বর, ২০১৯ রাত ১০:২৪

রাজীব নুর বলেছেন: আসল কথা হলো দেশে সুশাসন নেই। রাজনৈতিক অস্থিরতা দীর্ঘদিন।
দূর্নীতি এবং নব্য ধনীর সংখ্যা বেড়ে যাওয়ার কারনে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে এমনটা ঘটছে।

২৫ শে ডিসেম্বর, ২০১৯ দুপুর ১২:৩২

বিদ্রোহী ভৃগু বলেছেন: হুম ভাল বলেছেন্

রাজনৈতিক দুর্বত্তায়ন একটা বড় ফ্যাক্টর।
শাজাহান খান যখন প্রেসিডিয়ামে ঠাই পায়, তখন সুস্থ রাজনীতির বিকাম রুদ্ধ হয় বৈকি।

৫| ২৪ শে ডিসেম্বর, ২০১৯ রাত ১১:৩৫

ঠাকুরমাহমুদ বলেছেন: বিতর্কিত ফটোগ্রাফার শহিদুল আলম ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে কি করছেন? তিনিও অভিভাবক নাকি নাগরিক সমাজ?

২৫ শে ডিসেম্বর, ২০১৯ দুপুর ১২:৩৩

বিদ্রোহী ভৃগু বলেছেন: মৌলিক নাগরিক অধিকার কিন্তু সকলের জন্য সমান ভায়া।
সংবিধানতো তাই বলে নাকি?
উনি সম্ভবত নাগরিকত্বহীন নন।
:)

৬| ২৫ শে ডিসেম্বর, ২০১৯ রাত ১২:২৮

সোহানী বলেছেন: এ জীবনে যত ভিসি দেখেছি এবারের সব বিশ্ববিদ্যালয়ের মতো আত্মসন্মানহীন ভিসি আর দেখেনি।..... এদেরকে শুধু ছি: বলে নিজেরই অপমান।

২৫ শে ডিসেম্বর, ২০১৯ দুপুর ১২:৩৪

বিদ্রোহী ভৃগু বলেছেন: হুমম.. খুবই দু:খজনক।
আত্ম সম্মান আর আত্মমর্যাদাবোধের জায়গাগুলো ঠুনকো হয়ে যাচ্ছে তাদের আচরনে।

৭| ২৫ শে ডিসেম্বর, ২০১৯ ভোর ৫:০৪

ডঃ এম এ আলী বলেছেন:
অবস্থা পরিদৃষ্টে মনে হচ্ছে ইস্যু তৈরীর জায়গাগুলি ক্রমেই
সংকোচিত হয়ে যাচ্ছে । সরকার জেনে যাচ্চে কোথায়
কি ভাবে কি হচ্ছে , সে অনুযায়ী ব্যবস্থা নিতে পারছে ।
ঘটনাস্থলে নিয়ন্ত্রন লাভে ব্যর্থ হলেও ঘটনার প্রভাব দমনে
বেশ দক্ষতার পরিচয় দিচ্ছে । আহত ভিপি নুরকে
নানকের দেখতে যাওয়া অনেক কিছুর ঈঙ্গিত দিচ্ছে।
উদ্বিগ্ন কতক অভিবাবক ও নাগরিক সমাজের কার্যকলাপ
ঘনীভুত নিন্ম চাপকে বরং দুর্বল করে দিয়েছে।
তারা ভিসিকে কিছু প্রশ্ন করে নীজেরাও অনেক
প্রশ্নের জন্ম দিয়েছে ।



২৫ শে ডিসেম্বর, ২০১৯ দুপুর ১২:৩৮

বিদ্রোহী ভৃগু বলেছেন: রাজনীতির কুট খেলায় আওয়ামীলীগ বরাবরই দক্ষ ;)
শত্রুরও তা স্বীকার করতে হবে।

কিন্তু এই দক্ষতা কোন কাজে আসছে।
জাতীয় স্বার্থ, নাগরিক অধিকার সব কুচলে দিয়ে, ভিন্নমতো জিরো টলারেন্সে গিয়ে
কোন অদৃশ্য শত্রুর সাথে তাদের লড়াই তারাই জানে।
বাক রুদ্ধতায় অনেক কথাই অনেকে বলতে পারছে না। তার মাঝে অন্তত: চোখে আঙুল দিয়ে
যে কথা ক'টি বলেছে তা অনেক প্রশ্নের জন্ম দিলেও এর উত্তরেই সত্য লুকানো।
জাতির মুক্তির নাগরিক স্বাধীনতার এবং মৌলিক অধিকারের অনেক চাপা সত্য উদঘাটনের ভূমিকার মতো।

৮| ২৫ শে ডিসেম্বর, ২০১৯ ভোর ৫:২২

মলাসইলমুইনা বলেছেন: আপনি সত্যি সত্যিতো দেখি বিদ্রহী প্রজাতির ব্লগার !
নইলে কি আর এই বিষয়ে লিখেই যাচ্ছেন ক্লান্তিহীন ! একটা অনুদার গণতন্ত্রে (illeberal democracy) এটাইতো হবে ।
সরকারের চরিত্র (characteristics) না বদলালে এর সুরাহা হবারতো কোনো পথ নেই । আর অদূর ভবিষ্যতে সরকারের চরিত্র বদলাবে সেটারতো কোনো লক্ষণ কোথাও দেখা যাচ্ছে না । অন্যায় করে যে ন্যায় প্রতিষ্ঠা করা যায় না সেটা যে কবে আমাদের কর্ণধাররা বুঝবেন আল্লাহই জানেন ।তবুও লিখুন । কারো না কারো বলে যেতেই হবে না থেমে শুভবাদের কথা । লেখায় ভালো লাগা ।

২৫ শে ডিসেম্বর, ২০১৯ দুপুর ১২:৪২

বিদ্রোহী ভৃগু বলেছেন: লিখতে আর পারছি কই ভায়া?
চেপে ধরা কন্ঠের আর্তচিৎকারেও তাদের ভয়!

রুদ্ধশ্বাস যাপিত জীবনে অতি নগন্য প্রয়াস। বিবেকর দায়ের অতি নগন্য প্রচেষ্টা!
সত্য, আলো আর সুগন্ধ আটকে রাখা যায় না।
তবু অনন্ত কাল কত প্রচেষ্টা অশুভ শক্তির- মাঝে মাঝে অট্রহাস্য করি মহাকালের খেলা দেখে!

ধন্যবাদ আর শুভকামনা অফুরান

৯| ২৫ শে ডিসেম্বর, ২০১৯ দুপুর ১:০৫

প্রামানিক বলেছেন: শিক্ষার সুষ্ঠ পরিবেশ ফিরে আসুক এই কামনা করি।

২৫ শে ডিসেম্বর, ২০১৯ দুপুর ১:০৭

বিদ্রোহী ভৃগু বলেছেন: হুম

শিক্ষা, রাজনীতি, বাক-স্বাধীনতা, ভোটাধিকার সকলে ক্ষেত্রেই সুষ্ঠ পরিবেশ ফিরুক।

১০| ২৫ শে ডিসেম্বর, ২০১৯ বিকাল ৩:২৪

আকতার আর হোসাইন বলেছেন: আইনের প্রয়োগ নেই। একটা বড় পদে থাকা মানে দায়ীত্বশীল হওয়া। চিন্তাভাবনা করা তার সেক্টরের কার্যাদি কিভাবে যথাযতভাবে সম্পাদন করা যায় এবং সর্বোচ্চ সেবা করা যায়।

কিন্তু বাংলাদেশে কেউ পদে বসলেই নিজেকে অনেক ক্ষমতাশীল মনে করে। এটাও সমস্যা না, তাঁদের ক্ষমতার অপব্যবহার করে, তারা তাঁদের দায়িত্বের প্রতি উদাসীন থাকে, সেবা করতে আন্তরিক নয়ব।।

আপনি সুন্দর লিখেছেন।

২৮ শে ডিসেম্বর, ২০১৯ বিকাল ৫:৫৬

বিদ্রোহী ভৃগু বলেছেন: দারুন গুছিয়ে বলেছেন।

অনেক ধন্যবাদ।
দেরীতে উত্তর দেয়ায় আন্তরিক দু:খিত। গত ৩ দিন নেটে বসতেই পারিনি।
আশঅকরি ক্ষমা সুন্দর দৃষ্টিতে দেখবেন।

১১| ২৫ শে ডিসেম্বর, ২০১৯ বিকাল ৫:১৯

পদ্মপুকুর বলেছেন: মার্টিন নিমল্যরের কবিতাটা সবাই পড়ি, কিন্তু আক্রান্ত হওয়ার আগে কেউ বুঝতে চাইনা।

২৮ শে ডিসেম্বর, ২০১৯ বিকাল ৫:৫৮

বিদ্রোহী ভৃগু বলেছেন: দেরীতে উত্তর দেয়ায় আন্তরিক দু:খিত। গত ৩ দিন নেটে বসতেই পারিনি।
আশা করি ক্ষমা সুন্দর দৃষ্টিতে দেখবেন।

যখন ওরা প্রথমে কমিউনিস্টদের জন্য এসেছিল,
আমি কোনো কথা বলিনি,কারণ আমি কমিউনিস্ট নই।
তারপর যখন ওরা ট্রেড ইউনিয়নের লোকগুলোকে ধরে নিয়ে গেল,
আমি নীরব ছিলাম, কারণ আমি শ্রমিক নই।
তারপর ওরা যখন ফিরে এলো ইহুদিদের গ্যাস চেম্বারে ভরে মারতে,
আমি তখনও চুপ করে ছিলাম,কারণ আমি ইহুদি নই।
আবারও আসল ওরা ক্যাথলিকদের ধরে নিয়ে যেতে,
আমি টুঁ শব্দটিও উচ্চারণ করিনি,কারণ আমি ক্যাথলিক নই।

শেষবার ওরা ফিরে এলো আমাকে ধরে নিয়ে যেতে,
আমার পক্ষে কেউ কোন কথা বলল না,
কারণ, কথা বলার মত তখন আর কেউ বেঁচে ছিল না।

......মার্টিন নিম্যোলার

১২| ২৫ শে ডিসেম্বর, ২০১৯ বিকাল ৫:৫৩

শের শায়রী বলেছেন: ‘নুর আহত হয়েছে নাকি নিহত হয়েছে, এটা ডাজ নট ম্যাটার’ ডাকসু জি এস রাব্বানী- এটাকেই তো বোধ হয় রাজনীতি বলে তাই না ভৃগু ভায়া? রাজনীতি বুজি না, তাই না বুজে অবুজের মত কিছু বললে মার্জনা করবেন।

২৮ শে ডিসেম্বর, ২০১৯ সন্ধ্যা ৬:০০

বিদ্রোহী ভৃগু বলেছেন: সবাই এখন অবুঝের কাতারেই ভায়া!

বুঝের মানে যদি এমন হয়, তবে না বোঝাই শ্রেয়!

দেরীতে উত্তর দেয়ায় আন্তরিক দু:খিত। আশা করি ক্ষমা সুন্দর দৃষ্টিতে দেখবেন।


১৩| ২৫ শে ডিসেম্বর, ২০১৯ সন্ধ্যা ৭:০৪

অক্পটে বলেছেন: অনেকের মাঝে আপনি অন্যরকম। সঠিক পথেই আছেন। শুভকামনা। মলাসইলমুইনা'র সাথে একমত।

২৮ শে ডিসেম্বর, ২০১৯ সন্ধ্যা ৬:০০

বিদ্রোহী ভৃগু বলেছেন: আপনার আন্তরিক মন্তব্যে আপ্লুত :)

সঠিকই যেন থাকতে পারি আজীবন দোয়া করবেন।

দেরীতে উত্তর দেয়ায় আন্তরিক দু:খিত। আশা করি ক্ষমা সুন্দর দৃষ্টিতে দেখবেন।

১৪| ২৫ শে ডিসেম্বর, ২০১৯ রাত ৯:৩৪

অখ্যাত নবাব বলেছেন: গুরুত্বপূর্ণ বিষয়গুলো তুলে ধরা হয়েছে।
কিন্তু অনেকেই আছে যে, চোখ থাকিতেই অন্ধ। মূলত তারাই এসে এখানে উল্টো পাল্টা কমেন্ট করবে।
যেমন, রাব্বানী সাহেব বলেন"‘নুর আহত হয়েছে নাকি নিহত হয়েছে, এটা ডাজ নট ম্যাটার’।
তার মানে একদিন রাব্বানী সাহেব মারা গেলেও কি আমরা একই কথা বলবো?

২৮ শে ডিসেম্বর, ২০১৯ সন্ধ্যা ৬:০২

বিদ্রোহী ভৃগু বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ।

রব্বানীর জন্যতো তেমনটা হওয়াই স্বাভাবিক ! প্রকৃতির নিত্যতা সূত্রে।
বিবেক যখন মৃত তখনই এমন অর্বাচীনতা গ্রাস করে। তাকে সমর্থনো করে কেউ কেউ!

দেরীতে উত্তর দেয়ায় আন্তরিক দু:খিত। আশা করি ক্ষমা সুন্দর দৃষ্টিতে দেখবেন।

১৫| ২৮ শে ডিসেম্বর, ২০১৯ সন্ধ্যা ৬:১৯

আকতার আর হোসাইন বলেছেন: একি বলছেন, আপনার শ্রদ্ধেয়জন।

আর মন্তব্যের প্রতি উত্তর যে তৎক্ষণাৎ দিতে হবে এমন কোন বাধ্যবাধকতা নেই। মানুষ ব্যস্ত থাকেকেন। ব্যস্ততারও পরেও যে আন্তরিকতার সাথে প্রতি উত্তর দিন সেটাই তো অনেক বেশি। ভালোবাসার আরেক পরিচয় ।

এই যে আমি, কোন ব্যস্ততা নাই। পড়ালেখা তেমন করি না। ফুটবল খেলি, ক্রিকেট খেলি, আড্ডা দিই ঘুরাঘুরি করি, উপন্যাস পড়ি আর ব্লগিং করি। তবু আমি নিয়ম করে উত্তর দিই না। অনেক সময় মনে থাকে না। আর অনেক সময় থাকলেও মন খারাপ থাকলে আর উত্তর দিই না। ভালো থাকুন শ্রদ্ধেয়। ভালোবাসা অবিরাম।

২৮ শে ডিসেম্বর, ২০১৯ সন্ধ্যা ৭:১৪

বিদ্রোহী ভৃগু বলেছেন: হুমম

অনেক অনেক ধন্যবাদ।
অন্তহীণ শুভকামনা রইল

১৬| ২৮ শে ডিসেম্বর, ২০১৯ সন্ধ্যা ৭:০৪

সোহানাজোহা বলেছেন:


শের শায়রী বলেছেন: রাজনীতি বুজি না, তাই না বুজে অবুজের মত কিছু বললে মার্জনা করবেন।

@শের শায়রী, আপনি রাজনীতি বুঝলে বিপদ হয়ে যাবে ব্লগে। বিজ্ঞান+ধর্ম+রাজনীতি মিকচার করে যা কপিপেষ্ট পোষ্ট দেবেন তাতে পরিস্থিতি সামলানোর মতো ধৈর্য্য আপনার থাকবে না। আমি কবিতা বুঝি না তাই বলে কবিতা পোষ্টে গিয়ে টিপ্পনি করি না। আপনি রাজনীতি বুঝেন না - ভালো, তাতে টিপ্পনি করা কেমন না? যাইহোক দোয়া করি মানসিক ভাবে সুস্থ থাকুন।

২৯ শে ডিসেম্বর, ২০১৯ দুপুর ১:০৫

বিদ্রোহী ভৃগু বলেছেন: হিরক রাজার দেশে সত্য মিথ্যা আর ন্যায়ের মানদন্ড যে শুধু সেখানেই চলে!

তাই নিরবতাই আমজনতার প্রতিবাদ!
কবরের নিস্তব্দতায় গুমরে ফেরে
সমর্থনহীনতার কালো প্রচ্ছায়া
রাতের আঁধারে হয় লুট - ভোটাধিকার আর গণতন্ত্র!!!

১৭| ২৯ শে ডিসেম্বর, ২০১৯ দুপুর ১২:৩৭

সেলিম আনোয়ার বলেছেন: দারুন পোস্ট। আমি বলবো ব্লগারদের কথা । অনেক ব্লগারদের মনে হয় তারা সরকারি কর্মকর্তা । এতো তৈলাক্ত কথাবার্তা সরকারি কর্মকর্তারাও করেন না । আগে অকপটে সত্য বলা ব্লগের মুখপাত্র মনে হতো । আর এখন তা নেই । অথচ ব্লগ নিষিদ্ধ হয়েছে এই সময়ে । তবু একটা মিথ্যা জঘন্য অপবাদে । বিস্ময়কর।

২৯ শে ডিসেম্বর, ২০১৯ দুপুর ১:০৭

বিদ্রোহী ভৃগু বলেছেন: সেইই...

প্রকৃত মানুষতো সেই যে নিজের অন্যায়কেও অন্যায় বলতে পারে।
কারো কারো শাক দিয়ে মাছ ঢাকার প্রবণতায় বিস্মিত হই.!!!


আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.