নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

আমি সেই দিন হব শান্ত....

বিদ্রোহী ভৃগু

সকল অনাচার আর অনিয়ম জাগায় দ্রোহ.....

বিদ্রোহী ভৃগু › বিস্তারিত পোস্টঃ

স্বপ্ন সংহিতা ১ - ক্ষুদে মানুষের দেশে

১২ ই জানুয়ারি, ২০২০ দুপুর ১:০৯

অনেক দিন দেখা নেই জাফরের সাথে। ছেলেটা বেশ ভাল- সহজ, সরল। মনে কোন প্যাচ নাই। সাদাসিদে পোষাক আশাকের মতো মনটাও সাদা। কিন্তু সব সময় যেন কিসের ভাবনায় ডুবে থাকে। একা থাকলে আরো বেশি ডুবে থাকে আপন ভুবনে। পরিবারের সবাই এ নিয়ে বেশ হতাশ। বিএ পাশ দিয়ে ছেলে যদি অমন বাউন্ডেলে হয়, তবে লেখাপড়া করে লাভ হল কি? চাকরি করার কোন ইচ্ছা দেখা যায় না। পরিবারের দায় দায়িত্ব নিতে হবে কে তারে বোঝাবে?

তার বিষয়ে আমার আগ্রহের কারণটা অন্যখানে। মোবারকের বিখ্যাত টি ষ্টলে বসে মাঝে মাঝে তার সাথে আমার আলাপ জমে ওঠে। চা খেতে খেতে, সিগারেট ফুঁকতে ফুঁকতে কত যে কথা হয়। আমার মতো আগ্রহী শ্রোতা পেয়ে তারও যেন কথার খই ফোটে। তবে তা স্রেফ দুজনের মধ্যেই। তৃতীয় কেউ আগ্রহী হলে জাফর কেমন মিইয়ে যায়। কথা বন্ধ করে দেয়।

সাধু, সাধক, সাধনা নিয়ে আমার আবার পরম আগ্রহ। সেই ছাত্রাবস্থায় লালন সাইয়ের মাজারে গিয়ে মনটা অজান্তেই শুন্য হয়ে গিয়েছিল। চৈত্রের খোলা মাঠের হু হু করা হাওয়ার মতো পরম শুন্যতা ঘিরে ধরেছিল। সত্যিইতো - কি লাভ এত মোহাবিষ্টতায়! বেলা শেষে সবইতো শেষ! কিচ্ছুটি নিজের নয়।
আহা, মৃত্যুর পর যখন মানুষটির হাত থেকে তার প্রিয় আংটিটি খুলে নেয়- সে কি চিৎকার করে ওঠে?

- না। তোমরা ওটা খুলো না। এটা আমার। এটা আমার কত প্রিয় জানো না। তবে খুলে নিচ্ছ কেন?
তার আওয়াজ পৌছায় না জীবিতদের কানে। তারা খুলে নেয়। প্রিয় সব কিছু রেখে দেয়। একদম জনম ন্যাংটো করে বিদায় দেয়!

ইশশ কি কষ্ট! ভাবতেই বুকের ভেতর এক অসীম শুন্যতা ফেঁপে ওঠে। অবোধ্যতার কষ্ট এক সময় দীর্ঘশ্বাস হয়ে মিশে যায় মহাকালে।

যদিও আমি সংসারধর্ম, চাকুরী ব্যবসা সব নিয়েই আছি তবু -আমার আগ্রহটা দিন দিন বাড়ে বৈ কমে না। শুনে জাফর হাসে। বলে - আপনি হলে সালেক মজনু।
আমার অবাক মুখে কথা বেরুবার আগেই বলতে থাকে
- যারা সংসার ধর্ম করেও মনে বৈরাগ্য লালন করে তারা সালেক মজনু। আর যারা বৈরাগ্যের সাধনে সংসার ধর্ম ছেড়ে ছুড়ে দেয়- তারা মজনুন। আর যারা খাদ্য, বস্ত্র মোহও ত্যাগ করে তারা মজজুব। স্রস্টার প্রেমে বিভোর হয়ে থাকে। মজজুবদের জন্য শরিয়তি বিধানও প্রযোজ্য নয়।

আমি হেসে বলি -তুমিতো তবে মজনুন হালে পৌঁছে গেছো। মিষ্টি লাজুক হাসি দিয়ে বলে- ম্যা’ভাই যে কি বলেন?
প্রথম দিন ম্যা’ভাই শুনে অবাক হয়েছিলাম। জাফর হেসে বলে- আমাদের এলাকায় বড়, গুরুজন যাকে ভালবাসা যায়, সম্মান করা যায়- তাকে মিয়া ভাই বলে। মিয়া ভাই-ই সংক্ষেপে কথ্যতে ম্যা’ভাই হয়ে যায়। সেদিন থেকে জাফর আমাকে ভালবেসে ম্যা’ভাই বলে, আমার বেশ লাগে।
মনটা আকুলি বিকুলি করে ওঠে। আহা মজজুব না হোক মজনুন ও যদি হতে পারতাম! গিন্নির ফোনে ভাবনাটা ভাবনাই থেকে যায়। চাল, ডাল আলু পিয়াজের উর্ধগতির চিন্তায় ভাটা পড়ে সাধু হবার সাধে।

সপ্তাহ খানেক পর, একা একা চায়ের কাপে চুমুক দিয়ে নিজের ব্যর্থ বৈরাগ্য নিয়ে আনমনা হয়ে ছিলাম। হন্তদন্ত হয়ে ঢুকলো জাফর। চোখে মূখে উজ্জ্বল দ্যুতি।

গরম চায়ে চুমুক দিয়েই বললো -আলহামদুলিল্লাহ। নিরবে চেয়ে রইলাম। জাফর আপন মনেই বলতে লাগলো- আমাদের তিন মাত্রার জগতের এক মাত্রার জ্ঞান নিয়েই আমরা কত্ত বড়াই করি। টু ডি থ্রিডি ভার্চুয়াল ইফেক্টে মুগ্ধ হই। অথচ আত্মার জগতের বহুমাত্রিকতায় সন্দেহ পোষণ করি! কি অদ্ভুত বৈপরীত্য তাই না ম্যা’ভাই? আমি সম্মতিসূচক মাথা নাড়ি।

অথচ দেখুন সেদিন পরম দয়াল, (বলেই অদৃশ্যে হাত জোর করে ভক্তি জানাল দয়ালকে) কত দয়াময়। ভক্ত খাঁটি দিলে চাওয়া মাত্র তার ইচ্ছা পূরণ করে দেন। নতুন কিছুর সন্ধান পেয়ে নড়েচড়ে বসি। নতুন করে সিগ্রেটে আগুন দিয়ে আয়েশ করে শুনতে থাকি জাফরের কথা।

-নফসকে যখন আপনি নিয়ন্ত্রন করতে পারবেন, তখন প্রাণ সাগরে আসবে জোয়ার । আপনার দেহ নৌকা ভাব সাগরে তরতর করে চলতে থাকবে। দয়ালের কৃপা হলে উড়বে পাল। পালে লাগবে হাওয়া। বাড়বে গতি । প্রায় ঠান্ডা কাপেই তৃপ্তির সাথে চুমুক দেয় জাফর।

আপনাকে তো আগেই বলেছি- এলিয়েনদের সাথে আমার যোগাযোগ হয়। আমার ভাষায় এঞ্জেল। বলেই হাসে। আমাকে ভ্রমন করায় মহাজগতের বহু স্থানে। বিস্ময়কর সব অভিজ্ঞতা। যদিও বাসার এবং পরিচিত সবাই বলে - আমাকে নাকি জ্বিনে ধরেছে! বলেই হো হো করে হেসে নেয় এক চোট। আমিও হাসি তালে তালে।

-তো এইবার কোন জগতে ঘুরে এলে? হাসতে হাসতেই বলি।
এবার বেশ সিরিয়াস মুডে চলে আসে জাফর হঠাৎই। তা বলতেই তো দৌড়ে আপনার কাছে এসেছি। --- জানেন ম্যা’ভাই সত্য শোনার, বুঝার আর মানার লোকের খুব অভাব দুনিয়ায়। বেশ দার্শনিক ভঙ্গিতে বলে কথাগুলো। বেশির ভাগ লোক যারা হেসেই উড়িয়ে দেয় সত্যকে, তারাই আবার মিথ্যের পিছে, মোহের পিছে পাগলের মতো ছুটছে।
পলকে মুড সুইং করে চলে আসে বর্তমানে। আরেক কাপ চায়ের অর্ডার দেই। হাসি মূখে জাফর চায়ে মনোযোগ দেয়। যেন কাপের গরম ধোঁয়ায় খুঁজে ফেরে রহস্যভেদী তত্ত¡।

অনেকদিন বিরতির পর তারা গতরাতে এসেছিল। ওরা আসলেই আমি অদ্ভুত একটা ঘ্রান পাই। বেরিয়ে পড়ি শুনশান এলাকার দিতে। অতিদ্রুত পৌঁছে যাই। তখন তাদের শক্তির প্রভাবে আমার গতি যেন বেড়ে যায় বহুগুন। দৌড়ে গেলে মনে হয় উড়ে উড়ে যাচ্ছি। স্বপ্ন আর বাস্তবের মিশেলে এক জটিল হাল । সকল দৃশ্যগুলো স্পষ্ট স্বচ্ছ, এই যে, আপনাকে যেমন দেখছি বলে আমার দিকে তাকাল- এমনি স্পষ্ট। প্রথম প্রথম তাদের দেখতে পেতাম না। আমার শুন্যানুভবে কষ্ট হয় অনুভব করে আমার দৃষ্টি সহনীয় মনুষ্য আকৃতির ছায়া রুপে দৃশ্যমান হয়। তাতে আমি খুব আরাম বোধ করি।

তো এবার পৌঁছাতেই অতিদ্রুত তাদের ক্যাপসুলে উঠে বসি। শুয়ে পড়ি নির্ধারীত সীটে। প্রচন্ড গতি দেহ সইতে পারেনা দেখেই শুধু আত্মিক ভ্রমনে যেতে দেহটাকে ক্যপসুলে শুইয়ে চলে যেতে হয় অসীমের দেশে। জানেন নিশ্চয়ই আত্মা আলো আর শক্তির তৈরী। আরবীতে বলে নূর। তার শক্তিকে বহুমাত্রায় বুষ্ট আপ করা যায়। তখন হাজার লক্ষ আলোক বর্ষ পথ পলকে পেরিয়ে যাওয়া যায়।


দুই দুয়ারী হলো বহুমাত্রিক জগতের প্রবেশ দ্বার। দুই দুয়ারী পেরিয়ে যাচ্ছি তো যাচ্ছি। কত গতি, কতটুকু পথ মাপার একক বোধকরি পৃথিবী এখনো ভাবতে পারেনি। হঠাৎ যান থামলো এক ঘাটে। নামতেই টানেলের মতো পথ। হালকা অন্ধকার। হামাগুড়ি দিয়ে চলতে হয়! হঠাৎ পেছনে চেয়ে দেখি আমার জন্মদাতা পিতা। আরেহ, বাবা এলেন কোত্থেকে! বিস্ময়ের ঘোর কাটতে দেখি মাথায় খনি শ্রমিকদের মতো হেলমেট লাগানো। তারচে' অবাক করা বিষয় হলো- তা থেকে আলো ঠিকরে বেরিয়ে পথটাকে আলোকিত করেছে। ইন্তেকালের এত দীর্ঘ সময় পর বাবাকে এইরুপে দেখে, সাথে পেয়ে আমি খুবই খুশি। বিস্মিত, আপ্লুত আমার সাধনার পথেও উনার এই ভালবাসা আমাকে বিগলিত করলো। আমি বিনয়ের সাথে বল্লাম - আব্বা আপনি সামনে থাকুন। তিনি মাথা নাড়িয়ে মানা করে আমাকে সামনে তাকাতে ইশারা দিলেন।
সামনে তাকিয়ে আমি বিস্ময়ে হতবাক। আরেহ আমার মাথায় হেলমেট এলো কোত্থেকে? আর তা থেকে অমনি আলোও নির্গত হচ্ছে। এখন পথটা বেশ আলোকিত। যেন ভরা পূর্ণিমার জোছনায় মাখামাখি।

দুজনে পথ চলছি। বামে মোড় ঘুরতে গিয়ে ছোট্ খাট কারো সাথে ধাক্কা লাগতেই পুতুল পুতুল সফটি ছোঁয়া লাগলো। বল্লাম ইনি কে? অদৃশ্য কন্ঠ আওয়াজ দিলো- উনাকে চিনো না? উনিতো অমুক নবী। বিস্ময়ের ধাক্কা সামলে চলছি। একটু পরই বেশ খোলামেলা জায়গা। দুজনেই সোজা হয়ে দাড়ালাম। সামনে তাকালাম কোন কিছু নেই। নীচের দিকে তাকাতেই চমকে গেলাম!

একি বিস্ময়! এতো দেখছি অতিকায় ক্ষুদ্র মানুষদের জগত। বড়জোর মধ্যমার সমান আকৃতি বিশিষ্ট। অতি সাবধানে পা ফেলছি। আহারে, না জাতি কতপ্রাণ পায়ের নীচে পড়ে মারা যাবে। জড়তায় হাটাহাটি না করে ভাল করে তাকিয়ে শুধু দেখছি।

ছোট ছোট প্রাসাদ। সম্ভবত রাজবাড়ী হবে। ছোট ছোট রাজা-রানী। পারিষদ। বেশ উৎসব আমেজ। আরেকটু নীচু হয়ে দেখতে গভীর ভাবে তাকালাম। হুম বিয়ের আয়োজন। ঘোড়ার গাড়ী সাজানো। বর-কনে উঠে বসলো গাড়ীতে। চলতে থাকলো ছোট্ট ছোট্ট ঘোড়ার ছোট্ট ছোট্ট গাড়ীগুলো। খানিকটা এগিয়ে ডানে মোড় নিতে গিয়ে কাত হয়ে গেল বড় গাড়ীটা। ঘোড়া গুলো কোনভাবেই উঠতে পারছে না, গাড়ীকেও টেনে উঠাতে পারছে না। সাবধানে হাত বাড়িয়ে দিলাম। আলতো করে গাড়ীটাকে সোজা করে দিতেই চলতে থাকলো।

এমন সময় আগন্তুক কন্ঠ অদৃশ থেকেই বললো আপনার এখানে দাড়িয়ে কেন? আসুন আসুন মেহমান খানায় আসুন। আগন্তুকের কন্ঠ অনুসরন করে রওনা দিলাম!
বলেই চুপ করে রইল।

পরম আগ্রহে জানতে চাইলাম- তারপর কি হলো?
জাফর চুপ।
চেহারায় বিষন্নতার ছাপ ভাসছে যেন। অনেক দূরের গভীর থেকে যেন ভেসে আসছে কন্ঠ- - মায়ের জলের ছিটায় ধরফর করে জেগে উঠতে হলো। মাতো জানেনা এভাবে জাগালে যে কোন দিন মরেও যেতে পারি। আত্মা ফিরে আসতে যে সময়টুকু লাগে তা না পেলে আত্মা আটকে যাবে ঐ জগতেই! কিন্তু

মা ভেবেছে আমি ঘুমুচ্ছি। তাই বেশ রাগের সাথেই এই কান্ড ঘটালো। কিন্তু মাতো জানেন না আমি কোথায় ছিলাম।
তবুও কোন রাগ নেই। মাতো। মায়ের সাথে কি রাগ করা যায়?
বলেই হেসে ফেললো। সেই চিরচেনা হাসি। আমিও ঘড়ির দিকে তাকিয়ে হেসে বল্লাম - আজ তাহলে আসি

ছবি কৃতজ্ঞতা: গুগল

মন্তব্য ৩৩ টি রেটিং +১৩/-০

মন্তব্য (৩৩) মন্তব্য লিখুন

১| ১২ ই জানুয়ারি, ২০২০ দুপুর ২:০৮

ভুয়া মফিজ বলেছেন: হে হে হে.......স্বপ্নটা মনে হয় গ্যালিভার ট্রাভেলস পড়তে পড়তে ঘুমিয়ে গিয়ে দেখা! অথবা টাইম ট্রাভেল, কিংবা পাগলের পাল্লায়ও পরতে পারেন। যাই হোক, স্বপ্ন তো স্বপ্নই......যা খুশী দেখতে কোন মানা নাই। ;)

তবে, চায়ের কাপের সুইমিং পুল আর বিকিনি পরা তিন ললনার ছবির মাজেজা বুঝলাম না। এরাও কি স্বপ্নে দেখা লিলিপুট! :P

১২ ই জানুয়ারি, ২০২০ বিকাল ৩:০৫

বিদ্রোহী ভৃগু বলেছেন: হে হে হে

ম্যা ভাই বলে কথা ;)

নামইতো ভায়া গপ্পো! গপ্পে রিয়েলিটি থাকে না, থাকে সুপার রিয়েলিটি ;)
যেখানে সব অসম্ভব সম্ভব! হা হা হা

টিপিকাল সাইজ এস্টিমেশন থিম কইতে পারেন চায়ের কাপে সুইমিং পুল ফুটুককে।
এভরিথিং ইজ ফেয়ার ফর লাভার এন্ড স্টোরি টেলার :P
হা হা হা

অনেক অনেক ধন্যবাদ ম্যাভাই

২| ১২ ই জানুয়ারি, ২০২০ বিকাল ৩:২০

ভুয়া মফিজ বলেছেন: এভরিথিং ইজ ফেয়ার ফর লাভার এন্ড স্টোরি টেলার =p~ =p~ =p~

১২ ই জানুয়ারি, ২০২০ বিকাল ৩:৩৬

বিদ্রোহী ভৃগু বলেছেন: হা হা হা

খালি গপ্প টাই দেখলেন ভায়া,
গপ্পের মাঝে অসীমত্ব জয়ের হাতছানি দেখলেন না :((

গতি এবং ভাবনার সসীমতাকে দুমড়ে মুচড়ে কল্পলোকের অন্তহীন প্রকাশের দূরন্ত সাওয়ারীর সাথেই থাকুন ;)

৩| ১২ ই জানুয়ারি, ২০২০ বিকাল ৫:৩৩

রাজীব নুর বলেছেন: কিচ্ছু বুঝি না। মাথা ঘুরায়।

১২ ই জানুয়ারি, ২০২০ সন্ধ্যা ৬:১৭

বিদ্রোহী ভৃগু বলেছেন: অমা ! কিতা কন যে!

স্বপ্নতো স্বপ্নই! মাতা ঘুরানো কিসু না!
;)

মন্তব্যে অংশ নেয়ায় ধন্যবাদ :)

৪| ১২ ই জানুয়ারি, ২০২০ সন্ধ্যা ৬:৩৬

চাঁদগাজী বলেছেন:


পড়েছি, লেখার উপর মন্তব্য করবো না, আপনার মন খারাপ হয়ে যাবে।

১২ ই জানুয়ারি, ২০২০ সন্ধ্যা ৭:৫৫

বিদ্রোহী ভৃগু বলেছেন: কত কিছুইতো বলেন কতজনায়
সব কি আর ধরা যায় গোনায় ? ;)

পাঠে ধন্যবাদ

৫| ১২ ই জানুয়ারি, ২০২০ সন্ধ্যা ৬:৫৮

করুণাধারা বলেছেন: কিছুটা বুঝলাম, কিছুটা বুঝলাম না। দেখা যাক স্বপ্ন সংহিতা ২ কেমন হয়!

১২ ই জানুয়ারি, ২০২০ রাত ৮:০০

বিদ্রোহী ভৃগু বলেছেন: হুম। তবেতো লেখার ব্যার্থতাই বটে, যা লেখকেরও :)

স্বপ্নের মধ্য দিয়ে ভাবনার দুয়ার খুলে যায় গল্পের নায়কের। লেখকের সাথে গল্পচ্ছলে সে কথাই বলে মাঝে মাঝে।
আজ তার ক্ষুদে মানুষের দেশ ভ্রমনের স্বপ্ন বলেছে।
আমাদের ভার্সের বাইরেও মাল্টিভার্সে স্বপ্নে ঘোরাঘুরি নিয়েই সিরিজ।

একেক পর্বে একেক জগতের ভ্রমন কথা বলা। যা বাহ্যত অনুপিস্থত বা অসম্ভব বলে মনে হলেও
আত্মার ভ্রমনে যা খুবই সহজগম্য। চেতনায় যা বিস্ময়কর ভাবনার দুয়ার খুলে দেয়।

অনেক অনেক ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা

৬| ১২ ই জানুয়ারি, ২০২০ রাত ১১:০৭

আহমেদ জী এস বলেছেন: বিদ্রোহী ভৃগু,




এই শীতে মাথাটা মনে হয় জমে গেছে । :||
যা বলার ভুয়া মফিজ তা আগেই বলে ফেলেছে তাই এই চড়ক সংহিতায় আর সংগ দিলুম না। ;)
আজ তাহলে আসি ..........................

১৩ ই জানুয়ারি, ২০২০ বিকাল ৪:১৮

বিদ্রোহী ভৃগু বলেছেন: হা হা হা

শুরুতেই হ্যং ওভার ;)
তবেতো গেছি। এখানেই ক্ষান্ত দিতে হয় ;)

আচ্ছা , আবার আসবেন কিন্তু নতুন পর্বে নতুন গল্পে :)

৭| ১২ ই জানুয়ারি, ২০২০ রাত ১১:২৮

পদাতিক চৌধুরি বলেছেন: সময় নিয়ে আগামীকাল আবার আসছি..

১৩ ই জানুয়ারি, ২০২০ বিকাল ৪:১৮

বিদ্রোহী ভৃগু বলেছেন: অপেক্ষায় .....

৮| ১৩ ই জানুয়ারি, ২০২০ রাত ১২:১৫

সুমন কর বলেছেন: স্বপ্নে বিভোর.........+।

১৩ ই জানুয়ারি, ২০২০ বিকাল ৪:২১

বিদ্রোহী ভৃগু বলেছেন: অনেক অনেক ধন্যবাদ দাদা :)

অনুপ্রাণীত হলাম
শুভেচ্ছা অন্তহীন

৯| ১৩ ই জানুয়ারি, ২০২০ সকাল ৯:২১

রাজীব নুর বলেছেন: আবার পড়লাম। মন্তব্য সহ।

১৩ ই জানুয়ারি, ২০২০ বিকাল ৪:৫১

বিদ্রোহী ভৃগু বলেছেন: আবারো ধন্যবাদ অন্তরিকতা সহ :)

১০| ১৩ ই জানুয়ারি, ২০২০ সকাল ১০:০২

নীল আকাশ বলেছেন: দাদা,
তিন ললনার ছবির মাজেজা আমিও বুঝি নি। তবে লেখা পড়ার সময় হারিয়ে গিয়েছিলাম। কিছু জায়গা কন্ট্রোভারশিয়াল টপিক আছে যেইগুলি নিয়ে আলাপ না করি। এভাবে ট্রাভেল মনে হয় আধ্যাত্মিক ভাবেই সম্ভব।
এইলেখার কী আরও পর্ব আসবে?
ধন্যবাদ।

১৩ ই জানুয়ারি, ২০২০ বিকাল ৪:৫৬

বিদ্রোহী ভৃগু বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ ভায়া

মাজেজাতো খবুই সিম্পল -গল্পের ক্ষুদে মানুষদের কনসেপ্টটা সহজবোধ্যতায় অনুভব করা।
:)
হারিয়ে যাওয়ায় যেমন খুশি হয়েছি যা কন্ট্রোভার্সি মনে হয়েছে তা আলাপ না করায় রাগ করেছি।
আশা করি খটকা থাকলে অবশ্যই তা ক্লিয়ার করে নেবেন :)

মানব দেহের সীমাবদ্ধতাতো অসীম ;)
তাই কল্পনার জগতে হোক আধ্যাত্বিকতায় বা ধ্যানে বা গল্পকােরর উদ্ভট কল্প ভাবনায় ঘোরাঘুরি :)

প্রতিটা ভিন্ন ভিন্ন পর্ব হবে, এভাবেই ভাবছি। পরামর্শ থাকলে শেয়ার করতে পারেনভ

অনেক ধন্যবাদ ও শুভেচ্ছা

১১| ১৩ ই জানুয়ারি, ২০২০ বিকাল ৩:৩৫

পদাতিক চৌধুরি বলেছেন: চমৎকার লাগলো আপনার দুই জগতের মধ্যবর্তীকালীন একটি কাল্পনিক সংলাপকে গল্পকারে উপস্থাপন। আমি তো পাঠের সঙ্গে সঙ্গে চলেই গেছিলাম সেই সুদূরের দেশে। বিশ্বাস / অবিশ্বাস মানুষের মধ্যে থাকতেই পারে কিন্তু গল্প আমার ভালো লেগেছে।
শুভকামনা শ্রদ্ধেয় কবি ভাইকে।

১৩ ই জানুয়ারি, ২০২০ বিকাল ৫:০২

বিদ্রোহী ভৃগু বলেছেন: অনেক অনেক ধন্যবাদ প্রিয় পদাতিক দা :)

বিশ্বাস অবিশ্বাস নিয়ে গল্পপাঠে গল্পের মজা নষ্ট হয় বলেই আমার বিশ্বাস
জেকে রাউলিংয়ের হ্যারি পটার পাঠে বা মুভিতে বিশ্বাস অবিশ্বাস নিয়ে পগলে বা দেখলে মনে হয় পুরো আমেজটাই নষ্ট করে দেবে :) হা হা হা

আপনার সুদূরে হারিয়ে যাওয়া অনুপ্রানীত করলো।
আর বিনীত অনুরোধ রইলো অবশ্যই যদি কোন অসংগতি চোখে পড়ে নির্ধিধায় দেখিয়ে দেবেন।
কৃতজ্ঞ রবো।
অনেক অনেক শুভেচ্ছা আর শুভকামনা


১২| ১৪ ই জানুয়ারি, ২০২০ সকাল ৯:৫৯

রূপম রিজওয়ান বলেছেন: দারুণ! প্রথমে বুঝতে একটু কষ্ট হচ্ছিল, পদাতিক দা'র মন্তব্য পড়ে পোস্টটা আবার পড়ে মোটামুটি বুঝলাম। আপনার এ ধরণের লেখাগুলো দারুণ লাগে।
সালাম জানবেন।

১৪ ই জানুয়ারি, ২০২০ সন্ধ্যা ৭:৫৭

বিদ্রোহী ভৃগু বলেছেন: পদাতিকদারে ধন্যবাদ দিতেই হয় :)

হুম... এবার একটু পেঁচিয়ে গেছে মনে হচ্ছে। প্রথমটার মতো সাবলীল করতে হবে। বুঝতে পাচ্চি ;)
কষ্ট করে দুবার পড়েছেন জেনে কৃতজ্ঞ।

অনেক অনেক শুভেচ্ছা ভায়া

১৩| ১৯ শে জানুয়ারি, ২০২০ সন্ধ্যা ৬:২৮

ভ্রমরের ডানা বলেছেন:




লেখাটি বহুদূর নিয়ে গেল, তারপর হারিয়ে গেলাম...

০২ রা ফেব্রুয়ারি, ২০২০ বিকাল ৪:০৬

বিদ্রোহী ভৃগু বলেছেন: আহাহা ভায়া...

হারিয়ে যাবেন না। ফিরে আসুন ;)

অনেক অনেক ধন্যবাদ ভায়া।
সরি -হলো অনেক দেরী :)

১৪| ০২ রা ফেব্রুয়ারি, ২০২০ দুপুর ২:৪৩

ওয়াহেদ সবুজ বলেছেন: কল্পনার কত রং!!

০২ রা ফেব্রুয়ারি, ২০২০ বিকাল ৪:০৮

বিদ্রোহী ভৃগু বলেছেন: :)

ভাবনার নেই কোন সীমা
অসীমের সমুদ্দুরে দা্ও মেলে ডানা
আরশ কুরশী লওহ কলম
সবই হবে জানা :)

অনেক ধন্যবাদ ভাই
শুভেচ্ছা জানবেন।

১৫| ০৪ ঠা ফেব্রুয়ারি, ২০২০ রাত ১১:০৯

ডঃ এম এ আলী বলেছেন:


গল্পের শীরোনাম দেখে পাঠ করতে এসে প্রাথমিক প্যারায় জাফরের কথামালা পাঠে মনে হয়েছিল সাদামাটা কোন কাহিনী বুজি হবে । কিন্তু খানিক বাদেই ধারণাটি পাল্টে যায় । এটা সত্য যে কেউ বড় বড় কাজ করে জীবনে মহান হয়, কেউ বা শুয়ে বসেই থাকে চিরকাল ৷ কেউ অনেক সাধনা করেও সিদ্ধি লাভ করেনা , আবার কেউ বা অল্প সাধনাতেও সিদ্ধি লাভ করে । এরকম সিদ্ধি লাভের পিছনের রহস্য কি তা ভাবতে ছিলাম । কিন্তু লেখাটিতে আধ্যাতিক সাধনার পদমর্যাদা তথা সালেক মজনু, মজনুন ও মজজুব এর কথামালায় এসে বড় মগে আরেক কাপ চা ঢেলে নড়ে চড়ে বসলাম । বুজলাম মজনু মজনুন আর মজজুব পার্থক্য ব্যপক । মাদারি ফকির যারা, ঝান্ঢা নিয়া নাচে তারা, মোতাসাবা চাহে খালি হাল। কেহত পাগল ন্যায়, চলে ফেরে নাচে গায়, নানা মত তাতে মজনুন মিছাল। অপরদিকে আব্দাল কিবা আউলিয়াগন যখন মজজুব স্তর অতিক্রম করেন, তখন তারা বিশেষ মর্তবা ও রহমানী প্রভাবের হেফাজতে চলে আসেন, বিচরণ করতে পারেন দুনিয়াময় ।

তাই তো মনে হল হাকিকতে আহাম্মদ আলি যে মোকাম। সাধিতে পারিলে সিদ্ধ হবে মনস্কাম। যে লতিফা আতশে যবে সালেক বসিবে দেহ তার পরিনত হবে বিশেষ অবয়বে আর মজজুব আব্দাল কিবা আউলিয়া হয়ে আকাশে উড়িবে । সাধনা অনুযায়ী সর্বনিম্ন স্তর থেকে আরম্ভ করে সর্বোচ্চ স্তর পর্যন্ত আধ্যাতিক পদমর্যাদা প্রাপ্ত হবে ।

দুধের মধ্যে যে রকম ঘি ব্যাপ্ত হয়ে থাকে আর মন্থন করলে সেটা ওপরে উঠে আসে, ঠিক সেই রকম জাফরের মাঝেও পরমপুরুষ ব্যপ্ত ছিল, সাধনারূপী মন্থনের দ্বারা সে সম্ভবত তাঁকে পেয়ে গেছে । যত বিপত্তি ঘটাল তার মা তাকে ঘুম হতে ডেকে তুলে !
গল্পটি পাঠে মুগ্ধ । দেখা যাক পরের পর্ব কোন দিকে নিয়ে যায় ।

শুভেচ্ছা রইল

০৫ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২০ সন্ধ্যা ৭:৪৩

বিদ্রোহী ভৃগু বলেছেন: মুগ্ধতা অসীম :)

এমন একটা মন্তব্যের জন্য বুঝি হাজার রজনী জেগে লেখা যায় :)

আরেক কাপ চা ঢেলে নড়ে চড়ে বসার হাকিকত তো পরের কথা গুলোতেই খুঁজে পেলাম।
আহা বুঝের মানুষের কাছে দুটো মন খুলে কথা বলার তৃপ্তি যেন ঠোটে মেয়নিজের স্বাদের মতো তেলতেলে হয়ে লেগে রইল:)

হুম । তার সাধনা নিয়েই সে ছুটে চলে -অসীম পানে। সমাজের সকল ভ্রুকুটি দুপায়ে দলে।
সত্য লাভের আকুল আকাংখায়।
অনেক অনেক ধন্যবাদ আর কৃতজ্ঞতা।
অন্তহীন অনুপ্রাণ বীজ রুয়ে গেলেন হৃদমাজারে।

১৬| ১৪ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২০ রাত ২:৫১

সোহানী বলেছেন: ভৃগু, আর যাই করো এ ধরনের রোগী পাইলে সোজা হাসপাতালে পাঠায়ে দিয়েন, রোগ আর বাড়তে দিয়েন না.......।

অনেক কিছুই আসছে সেটা স্বপ্ন হোক বা অস্বপ্ন হোক যা গভীর চিন্তার অবকাশ রাখে।

ভুয়া মফিজের মতো আমিও ছবির সাথে স্বপ্নের মিল খুঁজতাছি B-))

১৪ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২০ রাত ৮:৪১

বিদ্রোহী ভৃগু বলেছেন: হা হা হা

চলমান সত্যের বাইরের সত্য মানুষ সহজে কে কবে মেনেছে?
খূঁজে পেলে জানিও ;)

ধন্যবাদ। বাসন্তী শুভেচ্ছা রইল

১৭| ১৯ শে ফেব্রুয়ারি, ২০২০ রাত ১০:৩০

কাছের-মানুষ বলেছেন: জাফরের স্বপ্নটা আরেকটু বড় হলে ভাল লাগত। তার মা আর পানি ঢেলে ঘুম ভাঙ্গানোর সময় পেল না!!

আত্মার ব্যাপারে আমরা অনেক কিছুই জানি না। এর আগে কয়েকটি আর্টিকেলে পড়েছিলাম, কিছু বিজ্ঞানী আত্মার ওজন বের করার চেষ্টা করেছিলেন, জীবিত অবস্থার ওজন এবং মৃত্যুর পরে ওজন, এই দুই ওজনের বিয়োগ ফলই আত্মার ওজন। উদ্ভট সব আইডিয়া। মোদ্দকথা হল, মানুষের এই বিষয়ের কৌতূহল অপরিসীম।

ভাল লাগল লেখা। পরের পর্ব কি আসবে!!

২০ শে ফেব্রুয়ারি, ২০২০ সকাল ১১:১৪

বিদ্রোহী ভৃগু বলেছেন: এক্কবারে বেরসিক বটে ;)

হুম। আত্মা নিয়ে বস্তুগত ভাবনা যেমন চলছে, আধ্যাতিকতায়ও চর্চা চলছে অবিরাম!
তবে যে লাভ করেছে- সে ধন্য হয়েছে। দারুন রোমাঞ্চকর, প্রচলিত জ্ঞান এবং বোধের অনেক উর্ধে সে সত্য।
আর যেহেতু যাপিত জীবনের পুরোটাই আত্মারই খেলা - আগ্রহ থাকবেও অনন্তকাল

হুম পরের পর্ব আসবে। একটু অফিসের ব্যাস্ততায় পিছিয়ে পড়েছি।
আপনার আগ্রহ আমাকে অনুপ্রানীত করলো :)
অনেক অনেক কৃতজ্ঞতা আর শুভেচ্ছা

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.