![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
“শ্রেষ্ঠত্বের অর্থ কি ?
‘শ্রেষ্ঠ’ হওয়ার অর্থ হল অন্যদের চেয়ে অধিক জ্ঞান অর্জন করা।
অর্থাৎ, গুরুত্ব এই বিষয়ে নয়, কত জ্ঞান স্বয়ং অর্জন করলো কেউ…গুরুত্ব এই বিষয়ে যে লাভ করা জ্ঞান অন্য ব্যক্তিদের চেয়ে অধিক কিনা।
অর্থাৎ, শ্রেষ্ঠ হওয়ার ইচ্ছা জ্ঞান প্রাপ্তির বাসনাকেও এক প্রতিযোগিতা বানিয়ে ফেলে। আর প্রতিযোগিতায় হয় বিজয়…শেষ বিজয় হয়না।
কিছু সময়ের জন্য শ্রেষ্ঠ অবশ্যই হওয়া যায়…কিন্তু সর্বদা কেউ কখনো শ্রেষ্ঠ থাকতে পারেনা। তারপর আবার অসন্তোষ, পীড়া আর সংঘর্ষের সৃষ্টি হয়।
কিন্তু শ্রেষ্ঠ হওয়ার বদলে যদি ‘উত্তম’ হওয়ার প্রয়াস করা যায়, তবে কি রকম হয়?
উত্তমের অর্থ হল যা যা প্রাপ্ত করা যায় সেই সমস্ত অর্জন করা। কারোর চেয়ে অধিক লাভ করার ইচ্ছা থেকে নয়…শুধুমাত্র আত্মার তৃপ্তির জন্য কিছু অর্জন করা।
উত্তম হওয়ার পথে অন্য কারো সাথে প্রতিযোগিতা থাকে না। স্বয়ং নিজের সঙ্গে প্রতিযোগিতা হয়।
অর্থাৎ, উত্তম হওয়ার চেষ্টা যে করে সে কখনো না কখনো সমস্ত জ্ঞান অর্জন করে ফেলে। প্রয়াস না করেই সে শ্রেষ্ঠ হয়ে উঠে।
কিন্তু, যে শ্রেষ্ঠ হওয়ার প্রয়াস করে সে শ্রেষ্ঠ হোক বা নাহোক…উত্তম কখোনই হতে পারেনা।”
২| ০৪ ঠা জুন, ২০১৭ সন্ধ্যা ৭:২৮
কানিজ রিনা বলেছেন: স্বতু সাঁইএর সাথে একমত, শকুনও ডানা
মেলে ময়ূর হতে চায়। ধন্যবাদ,
©somewhere in net ltd.
১|
০৪ ঠা জুন, ২০১৭ বিকাল ৪:৩১
স্বতু সাঁই বলেছেন: শ্রেষ্ঠত্ব বলতে আমরা সাধারণত বুঝে থাকি সর্বসেরা। কিন্তু মানবশ্রেষ্ঠ বলতে এক মানব থেকে অন্য মানবের মধ্যে শ্রেষ্ঠত্বের বিচার নয়। প্রতিটি মানব রিপু দোষে দুষ্ট। এই রিপু দোষের কারণে মানুষের সু-প্রবৃত্তিগুলো দূর্বল হতে থাকে এবং কু-প্রবৃত্তিগুলো শক্তিশালী হতে থাকে। কু-প্রবৃত্তিগলো শক্তিশালী হওয়ার কারণে মানুষ তার মানবীয়গুণগুলি হারিয়ে হিংস্র পশুর স্বভাবগত স্বরূপ আকার ধারণ করে। তখন মানুষ আর মানুষ থাকে না, হিংস্র পশুতে রূপান্তর ঘটে। মানুষের এই অবস্থানকে মানুষের নিকৃষ্টরূপ বোঝায়। রিপু দমনের মাধ্যমে মানুষের এই নিকৃষ্টতম অবস্থান থেকে নিজেকে উন্নিত করে জীবকুলের শ্রেষ্ঠ মানবে নিজেকে প্রতিষ্ঠিত করাই হলো মানবের শ্রেষ্ঠত্ব অর্জন। এই শ্রেষ্ঠত্ব দ্বারা মানবে মানবে প্রতিযোগীতার লড়াই নয়। কারণ মানবকুলে কেউ কারো প্রতিদ্বন্দ্বী হতে পারে না। পরিচ্ছন্নকর্মীর প্রতিদ্বন্দ্বী মালী হতে পারে না, মালীর প্রতিদ্বন্দ্বী রাধুনী হতে পারে না। সকলই সকলের অবস্থানে শ্রেষ্ঠ। আসলে আমরা কেউ নিজের প্তিভা অন্বষণ করি না, তাই শকুনও ডানা মেলে ময়ূর হতে চায়। তখন লাগে প্রতিযোগীতা। যার শক্তি ও সামর্থ(তোষামুদির) আছে সেই শ্রেষ্ঠের আসনে পৌঁছে যায়। যদি আমরা প্রতিভা অন্বেষণ করতে জানতাম তাহলে, তাহলে কখনই শ্রেষ্ঠত্ব প্রতিযোগীতা নিজেকে যুক্ত করতাম না। নিজেকে যোগ্য করে তুলবার চেষ্টা করতাম। সেটা উত্তম নয় শ্রেষ্ঠই হতো।