নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

বাংলাদেশী

মোঃ শেখ সাদী

হে মানব জাতি। তোমরা তোমাদের পালনকর্তাকে ভয় কর এবং ভয় কর এমন এক দিবসকে. যখন পিতা পু্ত্রের কোন কাজে আসবে না এবং পুত্রও তার পিতার কোন উপকার করতে পারবে না। নিঃসন্দেহে আল্লাহর ওয়াদা সত্য। অতএব পার্থিব জীবন যেন তোমাদেরকে ধোঁকা না দেয় এবং আল্লাহ্‌ সম্পকে প্পতারক শয়তানও যেন তোমাদেরকে প্পতারিত না করে । আল-কুআন

মোঃ শেখ সাদী › বিস্তারিত পোস্টঃ

ধর্ষিতা ও নারীর সম্মান !

০৭ ই মার্চ, ২০১৫ বিকাল ৩:১৭

ধর্ষণ একটি সামাজিক ব্যাধি।
১। ধর্ষনের মত জঘন্য কাজ সহজে ঘটানো যায় কিন্তু এটা প্রমান করা খুবই কটিন বিষয়।
মহান আল্লাহর আইন ব্যাতিরে মানুষ কতটুকু নারী জাতিকে সম্মান দেখান। হয়ত আমি পরিস্কার বলতে পারবো না। কিন্তু সমাজে যা, সমাজে একটি দরিদ্র পরিবারের মেয়ে ধর্ষনের শিকার হলে।
গ্রাম্ম বিচারে হয়ত ৫০০০০ হাজার টাকা জরিমানা হয় অথবা ঐ মেয়েকে বিয়ে করতে হয়, এতে তার পরবর্তি জীবন কেমন যাবে ! আমার জানা নেই। কিন্তু ধর্ষিতা ঠিকে বুঝে।
২। ধর্ষিতার পরিবার যদি আইনের ব্যবস্থা নেয়, তাহলে ধর্ষক কিছুদিন পালিয়ে থাকে ! চারশিটের অপেক্ষায়। এর পরে হাজিরা দিলে তাকে গ্রেপ্তার করে। অর্থসম্পদ বেশী থাকলে তিন মাসের মধ্যে বেরিয়ে আসে। একপ্রর্যায়ে ধর্ষিতা পরবর্তি তার ও তার পরিবারের জীবনের চিন্তা করে, ধর্ষণ মামলা মীমাংশা করে নেয়। (ধর্ষিতাকে হত্যা করলে যাজ্বীবন জেল ও কোন কোন সময় ফাসি হয়।)

তবে নারী জাতির সম্মান ইসলাম কেমন দিয়েছে একটু নিচে পড়ে নেই।
হযরত আব্বাস (রাযিআল্লাহু আনহু) ঘটনাটি বর্ণনা করলেন
এভাবেঃ
★আমি একদিন মসজিদে নববীতে বসে ছিলাম।
আরো বহুলোক ফারুকে আযমের কাছে বসা ছিল। তখন এক
যুবতী এসে আমীরুল মুমিনীনকে সালাম দিল। তিনি সালামের
জবাব দিয়ে জানতে চাইলেন তোমার কিছু বলার আছে?
সে বলল হ্যাঁ আমার পেটে জন্ম নেয়া এ বাচ্চাটি আপনার।
তিনি বললেন আমি তো তোমাকে চিনিই না।
যুবতীটি কেঁদে ফেলে বললো সন্তানটি আপনার নয়, আপনার
ছেলের। তিনি জানতে চাইলেন ,হালাল পথে না হারাম পথে?
সে বললো , আমার দিক হালাল কিন্তু তার দিক থেকে হারাম
ছিল। উমার (রাযিআল্লাহু আনহু) ঘটনাটি পরিষ্কার
করে বলতে বললেন। সে বললোঃ বেশ কিছু দিন
আগে আমি একদিন বনী নাজ্জারের এক বাগানের কাছ
দিয়ে যাচ্ছিলাম। তখন আপনার ছেলে আবু শামা মদ্যপ
অবস্থায় আমার কাছে এসে তার কামনা চরিতার্থ করার
প্রস্তাব দিল এবং আমাকে জোর করে বাগানের
দিকে টেনে নিয়ে বাসনা চরিতার্থ করলো। আমি বেহুশ
হয়ে পড়েছিলাম। আমি এ ঘটনাটি গোপন রেখেছিলাম। এক
সময় আমি পেটে বাচ্চার অস্তিত্ত্ব টের পেলাম।
ফলে আমি অন্যত্র চলে গেলাম। সেখানে আমার এ শিশু
জন্ম নিয়েছে। আপনি আমার ও তার ব্যাপারে আল্লাহর
নির্দেশিত বিধান প্রয়োগ করুন। খলিফা উমর (রাযিআল্লাহু
আনহু) সাথে সাথে ঘোষককে লোক জমায়েত হওয়ার
ঘোষনা দিতে বললেন। মসজিদে লোক সমবেত হল।
তিনি বললেন আপনারা কেউ কোথাও যাবেন
না,আমি এখনি আসছি। তারপর তিনি আমাকে বললেন
আপনি আমার সাথে আসুন। সেখান
থেকে তিনি ঘরে এসে হেঁকে বললেন , আবু
শাহমা কি ঘরে আছে? জবাবে বলা হল সে আহার
করতে বসেছে। তিনি ভেতরে প্রবেশ করে বললেন হে ,আমার
সন্তান! আহার সেরে নাও, এটাই হয়তো তোমার শেষ
আহার। আব্বাস (রাযিআল্লাহু আনহু) বলেন ,
আমি দেখতে পেলাম যে, সাথে সাথে ছেলের চেহারা বিবর্ণ
হয়ে গেল এবং কাঁদতে কাঁদতে হাতের লোকমা পড়ে গেল।
তিনি বললেন হে আমার সন-ান! বলতো আমি কে?
সে বললো আপনি আমার পিতা ও আমিরুল মুমিনীন।
তিনি বললেন আমার কি তোমার আনুগত্য লাভের অধিকার
আছে? সে বললো হ্যা দুভাবে আপনি আনুগত্য লাভের
অধিকারী। পিতা ও আমিরুল মুমিনীন হিসাবে। তখন
তিনি বললেন তোমার নবী ও তোমার পিতার দাবির
প্রেক্ষিতে বল , তুমি কি ইহুদিদের পাল্লায় পড়ে মদ পান
করেছিলে? সে বললো হ্যা তবে আমি তওবা করেছি।
তিনি বললেন আমার প্রিয় সন্তান! তুমি কি বনী নাজ্জারের
বাগানে গিয়েছিলে এবং সেখানে এক যুবতীর
সাথে পাপাচারে লিপ্ত হয়েছিলে? এ প্রশ্ন শুনে আবু
শাহমা চুপ হয়ে গেল ও কাঁদতে লাগল।
তিনি বললেনঃ বেটা লজ্জার কিছু নেই, সত্য বল। আল্লাহ
সত্যবাদীকে ভালোবাসেন। সে বললো, হ্যা তবে আমার
দ্বারা তা হয়েছে। তবে আমি সেজন্য অনুতপ্ত
হয়ে তওবা করেছি। হযরত ফারুকে আযম
সাথেসাথে তাকে গ্রেপ্তার করলেন এবং তার
জামা ধরে টেনে মসজিদে নিয়ে গেলেন। আবু শাহমা তখন
কেঁদে কেঁদে বলছিল, হে আমার পিতা!
তরবারী দিয়ে আমাকে কেটে টুকরা টুকরা করে ফেলুন, মানুষের
সামনে নিয়ে আমাকে লজ্জা দিবেননা। উমার (রাযিআল্লাহু
আনহু) তখন বলেন তুমি কি এ আয়াত পড়নি: “আর তাদের
দুজনের এ দন্ড দানের সময় মুমিনদের একদল লোক উপসি’ত
থেকে তা প্রত্যক্ষ করবে”।
অতঃপর উমার (রাযিআল্লাহু আনহু)
তাকে টেনে নিয়ে আসহাবে রাসুলের সামনে হাজির করলেন
এবং বললেন যুবতীটি সত্য বলেছে এবং আবু শাহমা তা স্বীকার
করেছে। তারপর তিনি তার দাস আফলাহকে বললেন একে শক্ত
হাতে ধর এবং দোররা মার। একাজে বিন্দুমাত্র শৈথিল্য
দেখাবেনা। আফলাহ কাঁদতে কাঁদতে বললো একাজ
আমি করতে পারবো না। তিনি বললেন আফলা!আমার
আনুগত্য মানে রাসুল (সাল্লাল্লাহু
আলাইহি ওয়া সাল্লাম)এর আনুগত্য। তাই আমি যা নির্দেশ
দেই তাই কর। ইবনে আব্বাস বললেন , তিনি আবু
শাহমাকে দিয়ে তার জামা খোলালেন। তা দেখে সবাই
জোরে জোরে কান্না জুড়ে দিল। আবু
শাহমা সকাতরে বললো হে আমার পিতা !আমার
প্রতি দয়া করুন। উমারও কান্না জড়িত কন্ঠে বললেন তোমার
রব তোমার প্রতি দয়া করবেন। আমি তোমাকে এজন্য দন্ড
দিচ্ছি যেন আমাদের পরয়ারদিগার তোমার ও আমার উভয়ের
উপর দয়া করেন। তারপর তিনি আফলাহকে দোররা মারার
নির্দেশ দিলেন। সে মারা শুরু করলো। আবু শাহমা করুণ
স্বরে কাতরাতে লাগলেন। আফলাহ যখন সত্তর দোররায়
পৌছলেন তখন আবু শাহমা বললেনঃ হে আমার পিতা !
মাকে এক ঢোক পানি পান করান। তিনি বললেন হে আমার
পুত্র! যদি আমার রব তোমাকে কবুল করেন তাহলে মুহাম্মদ
(সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম)
তোমাকে হাওজে কাওসারের পানি পান করাবেন। তারপর আর
কখনো তোমার পানির পিপাসা লাগাবনা। তারপর
তিনি আফলাকে লক্ষ্য করে নির্দেশ দিলেন মারতে থাক। যখন
আশি দোররায় পৌছল তখন আবু শাহমা বললেন হে আমার
পিতা !আসসালামুয়ালায়কা। উমার (রাযিআল্লাহু আনহু)
বললেন ওয়ালাইকাস সালাম। যদি তোমার সাথে মুহাম্মদ
(সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম)এর দেখা হয়
তাহলে তাকে আমার সালাম
পৌছিয়ে বলবে,আমি তাকে কোরআন পড়তে তার উপর
আমল করতে এবং তার দন্ডবিধি বাস-বায়ন
করতে দেখে এসেছি। তারপর বললেন আফলাহ মারতে থাক।
যখন নব্বই দোরার মারা হল তখন আবু শাহমা নিশ্চুপ ও
নিস্তেজ হয়ে গেল। ইবনে আব্বাস (রাযিআল্লাহু আনহু)
বলেন: রাসুলের (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম)
সাহাবীগণ বললেন ,যে কয়
দোররা বাকি রয়েছে তা পরে মারুন। উমার (রাযিআল্লাহু
আনহু)বললেন পাপের কাজে যখন দেরি করা হয়নি তখন
দন্ডদানে দেরি করা হবে কেন?
আফলাকে তিনি দোররা মারতে বললেন। শেষ দোররাটি যখন
মারা হল তখন আবু শাহমা চিৎকার
করে মাটিতে লুটিয়ে পড়লো। ফারুকে আযম তখন তার
মাথাটি নিজের কোলে তুলে নিয়ে কেঁদে কেঁদে বললেন: সত্যের
জন্য তোর মুত্যু হল। তুই শেষ দন্ডটিও নিয়ে মরেছিস।
তোর বন্ধু বান্ধব, আত্মীয়-স্বজন এমনকি তোর বাপও
তোকে বাচাতে পারলোনা।

-সংগ্রহ

মন্তব্য ০ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (০) মন্তব্য লিখুন

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.