নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

জ্ঞানীরা ছাড়া উপদেশ কেউ গ্রহণ করে না।

বিন কাওসার

বর্ণ জানে ...... অক্ষরে তার মূল্য কতটুকু !

বিন কাওসার › বিস্তারিত পোস্টঃ

তাবলীগ ও আমরা

০৩ রা নভেম্বর, ২০১৭ রাত ১২:১১



প্রত্যেক মুমিন নারী ও পুরুষের দায়িত্ব ভালো কাজের আদেশ এবং খারাপ কাজে নিষেধ করা। আল্লাহ তায়ালার বাণী

وَلْتَكُن مِّنكُمْ أُمَّةٌ يَدْعُونَ إِلَى الْخَيْرِ وَيَأْمُرُونَ بِالْمَعْرُوفِ وَيَنْهَوْنَ عَنِ الْمُنكَرِ ۚ وَأُولٰٓئِكَ هُمُ الْمُفْلِحُونَ

আর যেন তোমাদের মধ্য থেকে এমন একটি দল হয়, যারা কল্যাণের প্রতি আহবান করবে, ভাল কাজের আদেশ দেবে এবং মন্দ কাজ থেকে নিষেধ করবে। আর তারাই সফলকাম।
(সূরা আলে ইমরান : ১০৪)

তাবলীগের ভাইরা তাই করেন। কিন্তু দুঃখজনক ভাবে তারা দাওয়াতে তাবলীগকে ফাযায়েলের মধ্যে সীমাবদ্ধ করে রেখেছেন। অনেক তাবলীগের ভাই আছেন যারা তাবলীগ এর অর্থটাও জানে না। তাদের ধারণা তাবলীগ মানে ফাযায়েল পড়া, তিন দিনে যাওয়া, চিল্লায় যাওয়া ইত্যাদি। আর তারা ভাবেন যে,
যারা নামায পড়েন তারা ভালো বাকিরা খারাপ। তাবলীগ মানে হলো পৌছিয়ে দেওয়া। রাসূল (সাঃ) বলছেন, বুখারী শরীফের হাদিস।

"بلغوا عني ولو آية"
অর্থ : তোমরা আমার পক্ষ হতে একটি আয়াত হলেও পৌছিয়ে দাও। ( সাহীহ বুখারী শরীফ : ৩৪৬১)

এর থেকে স্পষ্ট বুঝা যায়, আমাদের দায়িত্ব দাওয়াত দেওয়া, দ্বীনের পথে আহবান করা। ভালো খারাপ মাপা নই। ভালো খারাপ আল্লাহ তায়ালা যাচাই করবেন। আপনার ধারণা মতে যদি তারা খারাপ হয়ে থাকেন। তাহলে আপনার দায়িত্ব তার কাছে বার বার যাওয়া, তাকে দ্বীনের কথা বুঝানো এবং সুন্দর কথা দিয়ে সুন্দর আচরণ দিয়ে তাকে দ্বীনের পথে আনা। সূরা নহলে আল্লাহ তায়ালা বলছেন

ادْعُ إِلٰى سَبِيلِ رَبِّكَ بِالْحِكْمَةِ وَالْمَوْعِظَةِ الْحَسَنَةِ ۖ وَجٰدِلْهُم بِالَّتِى هِىَ أَحْسَنُ ۚ إِنَّ رَبَّكَ هُوَ أَعْلَمُ بِمَن ضَلَّ عَن سَبِيلِهِۦ ۖ وَهُوَ أَعْلَمُ بِالْمُهْتَدِينَ

অর্থ: তুমি তোমরা রবের পথে হিকমত ও সুন্দর উপদেশের মাধ্যমে আহবান কর এবং সুন্দরতম পন্থায় তাদের সাথে বিতর্ক কর। নিশ্চয় একমাত্র তোমার রবই জানেন কে তার পথ থেকে ভ্রষ্ট হয়েছে এবং হিদায়াতপ্রাপ্তদের তিনি খুব ভাল করেই জানেন। (সূরা নহল : ১২৫)
যারা সৎ পথে নাই আপনি তাদের এড়িয়ে কাকে দাওয়াত দিবেন। যদি তাদেরই আপনি এড়িয়ে যাচ্ছেন তাহলে আপনার দাওয়াত তো তাদের দ্বারে যাবে না। তাদেরকে এড়িয়ে আপনি আর কাকে দাওয়াত দিবেন।

َِأْمُرُونَ بِالْمَعْرُوفِ وَيَنْهَوْ عَنِ الْمُنكَرِ
মানে তো এটায়, সৎ কাজের আদেশ অসৎ কাজে নিষেধ করা। কেউ নামায কালাম পড়ছেনা বলে তাকে এড়িয়ে গেলে আয়াতের উপর আমল করা তো হচ্ছে না। বরঞ্চ আয়াতের বিপরীত হচ্ছে।

আগে আমাদের জানতে হবে তাবলীগ মানে কি? আমি কেন তাবলীগ করব? তাবলীগ কি শুধু তিন দিন বা চিল্লায় যেয়ে পালন করতে হয়? শুধু কি ফাযায়েল ই তাবলীগের সিলেবাস? এই সব প্রশ্নের উত্তর আমাকে আগে জানতে হবে। যারা তাবলীগ করেন তাদের বেশির ভাগ জানেও না তাবলীগ আসলে কি। তাদের মতে তাবলীগ মানে তিন দিনে যাওয়া। চিল্লায় যাওয়া ফাযায়েল পড়া এই সব।
তবে এইসব আসলে অনেক ভালো কাজ। একজন মুমিনের ঈমান আরো বাড়িয়ে দেয়। তবে তাকে যদি তাবলীগ মনে করেন তাহলে গোমরাহীর মধ্যে আছেন।

তাবলীগ করার জন্য আপনাকে তিন দিনে কিংবা চিল্লায় যেতে হবে না। আপনি আপনার অফিসে কিংবা বাসায় ও তাবলীগ করতে পারেন। যেমন আপনার অফিসের সবাইকে নামাযের আহবান জানালেন, আপনার বাসার আশেপাশের সবাই ডেকে নিয়ে নামাযে গেলেন। এটাও তাবলীগ। তাবলীগ প্রত্যেক মুমিনের উপর ফরয। আল্লাহ তায়ালা বলছেন, "তারাই উত্তম বক্তা যার মানুষকে আল্লাহর পথে ডাকে, নেক আমল করে এবং বলে আমি একজন মুসলিম।

وَمَنْ أَحْسَنُ قَوْلًا مِّمَّن دَعَآ إِلَى اللَّهِ وَعَمِلَ صٰلِحًا وَقَالَ إِنَّنِى مِنَ الْمُسْلِمِينَ

অর্থ: আর তার চেয়ে কার কথা উত্তম, যে আল্লাহর দিকে দাওয়াত দেয়, সৎকর্ম করে এবং বলে, অবশ্যই আমি মুসলিমদের অন্তর্ভুক্ত’ (সূরা ফুসসিলাত : ৩৩)

আল্লাহ তায়ালা অন্য আয়াতে বলছেন
আমাদেরকে উত্তম জাতী হিসাবে সৃষ্টি করেছেন। আমাদের কাজ হচ্ছে সৎ কাজে আদেশ করা অন্যায় অবিচার থেকে বিরত রাখা। সূরা আলে ইমরানে আল্লাহ তায়ালা বলছেন

كُنتُمْ خَيْرَ أُمَّةٍ أُخْرِجَتْ لِلنَّاسِ تَأْمُرُونَ بِالْمَعْرُوفِ وَتَنْهَوْنَ عَنِ الْمُنكَرِ وَتُؤْمِنُونَ بِاللَّهِ ۗ

অর্থ: তোমরাই হলে সর্বোত্তম উম্মত,যাদেরকে মানুষের জন্য বের করা হয়েছে। তোমরা ভাল কাজের আদেশ দেবে এবং মন্দ কাজ থেকে বারণ করবে, আর আল্লাহর প্রতি ঈমান আনবে।
(সূরা আলে ইমরান : ১১০)

একজন মুমিনের প্রথম ও প্রধান কাজ হচ্ছে أْمُرُونَ بِالْمَعْرُوفِ وَيَنْهَوْ عَنِ الْمُنكَرِ
আল্লাহ তায়ালা আমাদের সবাইকে যেন সঠিক ভাবে বুঝার তাওফিক এনায়েত করেন।

মন্তব্য ১৩ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (১৩) মন্তব্য লিখুন

১| ০৩ রা নভেম্বর, ২০১৭ রাত ১২:২৮

ঢাকার লোক বলেছেন: ভালো লিখেছেন, আল্লাহ পাক আমাদের সবাইকে সঠিকটা বুঝার তৌফিক দান করুন।

০৩ রা নভেম্বর, ২০১৭ রাত ১২:৩৭

বিন কাওসার বলেছেন: আমীন

২| ০৩ রা নভেম্বর, ২০১৭ রাত ১:৩০

মোহাম্মদ আলী আকন্দ বলেছেন:


ইন্ডিয়ার মুহাম্মদ ইলিয়াস আল-কান্ধলাবী ১৯২৭ সালে তাবলীগ জামাত প্রতিষ্ঠা করেন।

এই জামাতের মূল উদ্দেশ্য ছিল, যে সব মুসলমান কুরআন হাদিস জানেনা, আবার তাদের পক্ষে মাদ্রাসা বা মক্তবে যেয়েও শিখা সম্ভব না, তাদেরকে মসজিদে এনে ইসলামের কয়েকটি মৌলিক জিনিস শিক্ষা দেয়া। যাতে কমপক্ষে শুদ্ধ ভাবে নামাজ পড়তে পারে, আর কালেমা সহ কিছু সূরা কালাম শিখতে পারে।

এটা ঠিক দাওয়াত না, বা ধর্ম প্রচারও না। এটা একটা ভ্রাম্যমাণ মাদ্রাসা।

এর স্লোগান ছিল, "হে মুসলমান, মুসলমান হও।"

০৩ রা নভেম্বর, ২০১৭ সকাল ৭:৪৩

বিন কাওসার বলেছেন: এটা ঠিক দাওয়াত না, বা ধর্ম প্রচারও না
আপনার এই লাইন পুরা টায় ভুল।

ادْعُ إِلٰى سَبِيلِ رَبِّكَ بِالْحِكْمَةِ وَالْمَوْعِظَةِ الْحَسَنَةِ ۖ وَجٰدِلْهُم بِالَّتِى هِىَ أَحْسَنُ
অর্থ: তুমি তোমরা রবের পথে হিকমত ও সুন্দর উপদেশের মাধ্যমে আহবান কর এবং সুন্দরতম পন্থায় তাদের সাথে বিতর্ক কর।
তাগলীগ মানে হচ্ছে দাওাত দেওয়া। আপনি বল্লেন সেটা তাবলীগ ও না ধর্ম প্রচার ও না। তাহল্র আপনি নিজেই সঠিক পথে নাই।
ভাই আগে তাবলীগ কি সেটা জানুন।

৩| ০৩ রা নভেম্বর, ২০১৭ ভোর ৪:০৫

বিচার মানি তালগাছ আমার বলেছেন: তাবলীগ এখন যা করছে ৩ দিন, ৪০ দিন, চিল্লা, এজতেমা এসব বিদআ'ত-এর পর্যায়ে পড়ছে...

৪| ০৩ রা নভেম্বর, ২০১৭ সকাল ৭:২২

নিরাপদ দেশ চাই বলেছেন: ইন্ডিয়ার মুহাম্মদ ইলিয়াস আল-কান্ধলাবী ১৯২৭ সালে তাবলীগ জামাত প্রতিষ্ঠা করেন।
এই জামাতের মূল উদ্দেশ্য ছিল, যে সব মুসলমান কুরআন হাদিস জানেনা, আবার তাদের পক্ষে মাদ্রাসা বা মক্তবে যেয়েও শিখা সম্ভব না, তাদেরকে মসজিদে এনে ইসলামের কয়েকটি মৌলিক জিনিস শিক্ষা দেয়া। যাতে কমপক্ষে শুদ্ধ ভাবে নামাজ পড়তে পারে, আর কালেমা সহ কিছু সূরা কালাম শিখতে পারে।
এটা ঠিক দাওয়াত না, বা ধর্ম প্রচারও না। এটা একটা ভ্রাম্যমাণ মাদ্রাসা।

এইটুকু পর্যন্ত থাকলেতো ঠিকই ছিল। কিন্তু তাব্লীগের যেই রীতি দেখে আসছি তা রিতিমত ভয়াবহ । কাজ কাম ফেলে চল্লিশ দিনের চিল্লায় গিয়ে পড়ে থাকা, রাস্তা দখল করে এজতেমা করা,বাসার মেয়েদের অন্দরমহলে ঠেলে দেয়া, লেখাপড়া বন্ধ করে দেয়া, চাকুরি না করতে দেয়া , তাবুর মত কাল বোরখা মেয়েদের ওপড় চাপিয়ে দেয়া ইত্যাদি । এর মাঝে কি ধর্ম পালন হচ্ছে কে জানে!। কিন্তু দুঃখজনকভাবে বছরের পর বছর ধরে এসবই চলছে। যদি এর বীপরিতে কেউ কিছু বলতে যায় তো তাদের ভাবখানা যে পারলে অভিসাপ দিয়ে তখনই ভস্ম করে দেবে!!

০৩ রা নভেম্বর, ২০১৭ সকাল ১০:০৪

বিন কাওসার বলেছেন:
আপনি কোন ধর্মের তাতো জানি না, তবে আপনার এই কথায়
"বাসার মেয়েদের অন্দরমহলে ঠেলে দেয়া, লেখাপড়া বন্ধ করে দেয়া, চাকুরি না করতে দেয়া , তাবুর মত কাল বোরখা মেয়েদের ওপড় চাপিয়ে দেয়া ইত্যাদি "
আমি একদম ই এক মত না। ইসলামী বিধি নিষেধ পালন করে নারী সব কাজ করতে পারবে। প্লিজ আপনি ইসলামকে না বুঝে কুরুচিপুর্ণ মন্তব্য করবেন না। ইসলামকে জানতে হলে বুঝতে হলে (কোর আন, হাদীস) অধ্যায়ন করুন। কাউকে দেখে ইসলামের বিচার করবেন না।একান্তই যদি কাউকে দেখতে হয় তাহলে রাসূলের জীবনী পড়ুন, সাহাবীদের জীবনী পড়ুন।
আপনি যাকে দেখেছেন সে হয়তো সঠিক নিয়ম নাও জানতে পারে।

৫| ০৩ রা নভেম্বর, ২০১৭ সকাল ৯:৪২

নাহিদ০৯ বলেছেন: বেশি কিছু জানিনা, তবে এতটুকু বুঝলাম, আপনার কথা থেকে যে, "অনেক ব্লগার আছেন যাঁরা জানেন ই না যে ব্লগে কোন ধরনের ভাষায় লিখতে হবে, অতএব সামহোয়ার ইন ব্লগ খারাপ এবং এটা চলতে পারে না!"

০৩ রা নভেম্বর, ২০১৭ সকাল ৯:৫৫

বিন কাওসার বলেছেন: আমার ভাষায় কি সমস্যা ছিল এবং কি খারাপ ছিল একটু বলেন।
"অতএব সামহোয়ার ইন ব্লগ খারাপ এবং এটা চলতে পারে না!" এটার মাধ্যমে কি বুঝাতে চাইলেন?

৬| ০৩ রা নভেম্বর, ২০১৭ সকাল ১০:১২

নাহিদ০৯ বলেছেন: আপনার ভাষায় কোন সমস্যা নাই। অনেকেরই আছে, তাই বলে ভালো উদ্দেশ্য নিয়ে তৈরি একটা মাধ্যম বন্ধ বা পুরোপুরি খারাপ তো হয়ে যেতে পারে না।

তেমনি হাতে গোনা যে কয়েকজনকে আপনি ভুল পথে চলতে দেখেছেন তাদের কে মাপকাঠি হিসেবে নিয়ে পুরো বিষয় টাকে ভুল বলতে পারেন না। এটা অবশ্যই একটা ভালো কাজ, আর আল্লাহ পাক আমাদের সবাইকে সঠিকটা বুঝার তৌফিক দান করুন।

০৩ রা নভেম্বর, ২০১৭ সকাল ১০:২১

বিন কাওসার বলেছেন: আমি খারাপ বলিনি ,তাদের কাজের ধরণ পরিবর্তন করা উচিৎ। আমার কথা আপনি হয়তো ভালো করে বুঝনেনি ।

৭| ০৩ রা নভেম্বর, ২০১৭ সন্ধ্যা ৭:৪৯

মোহাম্মদ আলী আকন্দ বলেছেন:


সূরা নহল আয়াত ১২৫ আল্লাহ বলেছেন,
ادْعُ إِلَىٰ سَبِيلِ رَبِّكَ بِالْحِكْمَةِ وَالْمَوْعِظَةِ الْحَسَنَةِ ۖ وَجَادِلْهُم بِالَّتِي هِيَ أَحْسَنُ ۚ إِنَّ رَبَّكَ هُوَ أَعْلَمُ بِمَن ضَلَّ عَن سَبِيلِهِ ۖ وَهُوَ أَعْلَمُ بِالْمُهْتَدِينَ

অর্থ -- আপন পালনকর্তার পথের প্রতি আহবান করুন জ্ঞানের কথা বুঝিয়ে ও উপদেশ শুনিয়ে উত্তমরূপে এবং তাদের সাথে বিতর্ক করুন সুন্দরতম পন্থায়। নিশ্চয় আপনার পালনকর্তাই ঐ ব্যক্তি সম্পর্কে বিশেষ ভাবে জ্ঞাত রয়েছেন, যে তাঁর পথ থেকে বিচ্যুত হয়ে পড়েছে এবং তিনিই ভাল জানেন তাদেরকে, যারা সঠিক পথে আছে।

প্রথমত: আপনি আয়াতটির প্রথম অংশ উদ্ধৃত করেছেন। দ্বিতীয় অংশ করেন নি।

দ্বিতীয়ত: প্রথম অংশ উদ্ধৃত করলেও আপনি "তাদের সাথে বিতর্ক করুন সুন্দরতম পন্থায়" এটা মানেন না।

তৃতীয়ত: আপনি আমার সম্পর্কে রায় ঘোষণা করেছেন, "তাহল্র আপনি নিজেই সঠিক পথে নাই।" অথচ এই আয়াতের দ্বিতীয় অংশেই আছে, "নিশ্চয় আপনার পালনকর্তাই ঐ ব্যক্তি সম্পর্কে বিশেষ ভাবে জ্ঞাত রয়েছেন, যে তাঁর পথ থেকে বিচ্যুত হয়ে পড়েছে এবং তিনিই ভাল জানেন তাদেরকে, যারা সঠিক পথে আছে।"

চতুর্থ: আপনি আল্লাহর ভূমিকায় অবতীর্ণ হয়েছেন, আপনি আমার সম্পর্কে বিশেষ ভাবে জ্ঞাত রয়েছেন, যে আমি আল্লাহর পথ থেকে বিচ্যুত হয়ে পড়েছি এবং আপনিই ভাল জানেন কারা সঠিক পথে আছে।

আপনার ধারণা হয়েছে আমি তাবলিক জামাতের বিরুদ্ধে, তাই আপনার ভাষা আক্রমণাত্মক।
আল্লাহ যে ভাবে বিতর্ক করতে বলেছেন, আল্লাহর আদেশকে অমান্য করে আমার সাথে বিতর্কের পরিবর্তে ঝগড়া করতে চাচ্ছেন।

আমরা সম্পর্কে আপনার ধারণা সঠিক না। আমি তাবলিক জামাতের বিরুদ্ধে না।

"এটা ঠিক দাওয়াত না, বা ধর্ম প্রচারও না। এটা একটা ভ্রাম্যমাণ মাদ্রাসা।" এই কথার দ্বারা আমি তাবলিক জামাতকে ছোট বা বড় করতে চাই নি। তাবলিক জামাতের মহৎ এবং আসল উদ্দেশ্যটাকে বুঝিয়েছি।

এর স্লোগানটা থেকেই উদ্দেশ্যটা পরিষ্কার হয়ে যায়, স্লোগানটা ছিল, "হে মুসলমান, মুসলমান হও।" মূল উর্দুতে "!اﮮ مسلمانو! مسلمان بنو" (এ মুসলমান! মুসলমান হোঁ !) অর্থাৎ ইংরেজ আমলের শেষ দিকে, মুসলমানদের মধ্যে ধর্ম চর্চা কমে গিয়েছিল। ধর্ম চর্চা বাড়ান, এবং মুসলমানদের মৌলিক বিষয়গুলি শেখানোর জন্য এটা একটা ভ্রাম্যমাণ মাদ্রাসা।

আশা করি আল্লাহ নির্দেশিত পন্থায় সুন্দরভাবে বিতর্ক করবেন। আল্লাহ আমাদের ভুলভ্রান্তি মাফ করুন এবং সঠিক পথের হেদায়েত দেন করুন।

০৪ ঠা নভেম্বর, ২০১৭ রাত ১:০৯

বিন কাওসার বলেছেন: আপনি ই বলছেন এটা তাবলীগ না। এখন বলছেন তাবলীগ জামাত। তাবলীগ মানেই তো পৌছিয়ে দেওয়া। তাবলীগ ছাড়া তাবলীগ জামাত কেমনে হয়? আপনার কথা পরশপর বিরুদ্ধি। মানুষকে দাওয়াত কি তাবলীগ নই? আপনি বলছেন এটা কোন তাবলীগ না। উর্দু স্লোগান টিও তাবলীগের অন্তর্ভুক্ত। যারা গোমরাহ হয়েছে তাদের তাদেরকে আবার দ্বীনের পথে আসার আহবান করা হয়েছে। আমার কথায় কষ্ট পেয়ে থাকলে দুঃখিত। খুব সম্ভবত আপনি আমার পোষ্ট ভালো করে উপলব্ধি করেন নি। আমি তাবলীগের পদ্ধতি এর কথা তুলে ধরেছি, তাদের দাওয়াতে তাবলীগকে ছোট করিনি।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.