নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

এখানে নেই কোন হিসেব, শুধু আছে নীল আকাশ

বিপুলা পৃথিবী //

বিপুলা পৃথিবী // › বিস্তারিত পোস্টঃ

বিমান দা ও নাংগা দা\'র দেশে

১১ ই নভেম্বর, ২০১৮ রাত ১:১৫

ইচ্ছে ছিল ২০ নাম্বারের রচনামুলক প্রশ্নের উত্তর যতটুক হয় তত বড় একটা বর্ণনা লিখব, কিন্তু সারাদিন মৌমাছির মত ভন ভন করে ঘুরে বেড়ানোর পর এখন আমার মাথাটাই ভন ভন করে ঘুরছে।তাই ৫ নাম্বারের একটা সংক্ষিপ্ত উত্তর দিয়াই বিমান দা ও নাংগা দা'র দেশ নিয়া দুইটা কথাঃ

সিলেট শহর থেকে অল্পবিস্তর দূরে অবস্থিত ফেঞ্চুগঞ্জে ঘুরে এলাম আমরা ছয় বন্ধু।সুযোগ হলেই বেরিয়ে পরার নেশাটা আমাদের বহু দিন থেকেই।তবে এবার কোন প্রাকৃতিক সৌন্দয্যে বিষেশায়িত জায়গায় না গিয়ে দুইজন বিশেষ ব্যাক্তির সাথে দেখা করার জন্য ফেঞ্চুগঞ্জের সার কারখানার আবাসিক এলাকা ও তার আশেপাশের চা বাগানে গিয়েছিলাম এবার।বিমান দা ও নাংগা দা সম্পর্কে অনেক কথা শুনেছি আমাদেরই এক বন্ধুর কাছে।তাদের পরিচয় দেবার আগে আমাদের সারাটা দিন কেমন কাটলো তা অল্প করে একটু বলে নেই।
খরা রোঁদের মধ্যে ফেঞ্চুগঞ্জের সার কারখানায় পৌঁছার পরে কোথায় এলাম কোথায় এলাম এমন একটা ভাব দিয়ে শুরুটা কারোরই ভালো লাগছিল না।উদ্দেশ্যহীনভাবে কিছুক্ষন এদিক সেদিক হাটলাম।আমাদেরই এক বন্ধু ওখানেই ছিল, সে যোগ দিল খানিক বাদে।দুপুরের আহারটা সেরে নিলাম সেখানেই, রেস্টুরেন্টের নাম 'আবরা হোটেল' সাধারণ মানের অসাধারণ হোটেল।তারপরেই হাটা ধরলাম মাথা ছাটা চা গাছের বাগান দিয়ে।মৌলভীবাজার শ্রীমঙ্গলের চা বাগানগুলোয় যাওয়ার অভিজ্ঞতার কারণে এখানকার চা বাগানটা আর মন টানছিলো না। তারপরেও জোঁকের দাবড়ানি খাওয়ার আগ পর্যন্ত কারো আর থামাথামি নেই।
বিকেল বেলাটা আবাসিক এলাকার অলিগলি বেড়ানোর পর সন্ধ্যা যখন হয় তখন আমরা লাল পাহাড়ে।কারখানার গাঁ ঘেষে সেখানে একটা ছোটমত পাহাড় আছে যার বিশেষ দিক হচ্ছে এতে কোন গাছগাছালী বা লতাপাতা নাই, পুরোটাই ল্যাংটা।হু হু করে বিভিন্ন দিক থেকে আসা বাতাসে যখন ক্লান্ত দেহে ঘুমের জোগাড় তখনই মনে হল ফিরতে হবে।অতঃপর আমরা ফিরে এলাম।
বিমান দা ও নাংগা দা'র কথা কী ভুলে গেলেন??? তারা আসলে তেমন কোন ভি আই পি ব্যাক্তি নন।প্রথম জন, বিমান দা পেশায় একজন নাপিত। আমাদের মধ্যে যে বন্ধুটির বাসা সেখানেই তার আড্ডা দেয়ার প্রধান জায়গা হচ্ছে এই বিমান দা'র সেলুন। সেখানে পৌঁছেই প্রথমে আমরা তার দোকানে যাই।এত পোলাপান এক সংগে দেখে বিমান দা মোটামুটি ভড়কে গেলেন।তাকে বললাম 'আমারা সিলেট থেকে আসছি আপনাকে দেখার জন্য'।তিনি আরো অবাক হয়ে গেলেন। আসলে অবাক হওয়ারই কথা। কারণ, এত দূর থেকে তাকে দেখতে যাবার কোন কারণ থাকতে পারে না।
আরেকজন হচ্ছেন নাংদা দা।তিনি চা বাগানের শ্রমিক।তামাটে কালো বর্ণের একজন মানুষ হবেন বলেই আমার ধারণা।উনার সংগে আমাদের সাক্ষাত হয়নি।চা শ্রমিকরা যে পল্লীতে থাকে তা চষে বেড়ালাম কিন্তু তার দেখা পাইলাম না। দেখা হলে ভালো লাগতো।
এই দুইজনের মত মানুষদের সাথে হয়ত আমাদের আত্মার সম্পর্ক।তারাও আমাদের মত সহজসরল ও বোতলবাজ।

মন্তব্য ০ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (০) মন্তব্য লিখুন

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.