নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

আমি একজন মানুষ। ভালো মানুষ হয়তো এখনও হতে পারিনি তবে মন্দ কিছু করি না- কারো মন্দ কিছু করাতে বিশ্বাসও করি না। উপকার করতে না পারলেও কারো ক্ষতি অন্ততঃ করি না!!

বীরেশ রায়

সবার উপরে মানুষ সত্য! চেষ্টা করি সেই সত্যকে অনুসরণ করতে।

বীরেশ রায় › বিস্তারিত পোস্টঃ

মধ্যপ্রাচ্য ও দক্ষিণ এশিয়ার একটা মোটামুটি অতীত প্রভাবিত বর্তমান আন্তর্জাতিক রাজনৈতিক হালচাল!!

০৭ ই জুলাই, ২০১৫ সকাল ১০:০৯

দীর্ঘ দিন শাসন করার পর শেষের দিকে ব্রিটিশরা বুঝেছিল- এই ভারতবর্ষকে আর বেশি দিন শাসন ও শোষণের নাক-পাশে ধরে রাখা যাবে না, এখান থেকে যত দ্রুত সম্ভব সম্পদ লুফে নিয়ে ভারতবর্ষকে কয়েক ভাগে ভাগ করে এখানে দ্বন্দের ইস্যু তৈরি করে রেখে যেতে হবে যাতে ভবিষ্যতে পুনরায় ছলে বলে কলে কৌশলে এই ভারতবর্ষে পা রাখার একটা প্লাটফর্ম তৈরি হয় এবং শাসকদের উপর ছড়ি ঘুরানো যায়! তাই দ্বি-জাতি তত্ত্বের অবতারণা করে ভারত -পাকিস্থানের সৃষ্টি করেন! ব্রিটিশরা সেই প্লানকে কাজেও লাগিয়েছিল ভারত-পাকিস্থানের বিভিন্ন জায়গায় হিন্দু ও মুসলিম জনগোষ্ঠীর বসবাসকে টার্গেট করে! আমার কাছে আর একটা বিষয় মনে হয় তা হলো- আন্তর্জাতিক কোন কূট-কৌশলগত কারণেই ( যেখানে পশ্চিমা কোন শক্তি বিশেষ করে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র কিংবা অন্য কোন আন্তর্জাতিক চক্রের হাত থাকতে পারে) পাকিস্থানকে ভৌগলিক ভাবে দূর্বল রাখতেই বিচ্ছিন্নভাবে পূর্ব ও পশ্চিম পাকিস্থানের সীমানা নির্ধারণ করেন যাতে পাকিস্থানকে ব্যবহার করে ভারতকে ভৌগলিকভাবে ভেঙ্গে আরো ছোট করা যায়। এই বিভাজনের দর্শনের উদ্দেশ্য একটাই কোন রাষ্ট্র ভৌগলিকভাবে যত ছোট হবে তার পরাক্রমশালী শক্তি তত কম হবে! এবং কারণে-অকারণে সেই রাষ্ট্রের উপর হস্তক্ষেপও সহজ হবে! যদিও পরবর্তীতে পূর্ব পাকিস্থান আর পাকিস্থানের অংশ হিসেবে টেকেনি পাকিস্থানী বর্বর শাসকদের কারণে! তৎকালীল পাকিস্থানের স্বৈরাচারী (তৎকালীল অবস্থা দৃষ্টে বলতেই পারি পশ্চিম পাকিস্থানের শাসক) মনোভাব, শোষণকারী শাসন ব্যবস্থা ও পশ্চিম পাকিস্থানী সংস্কৃতি বিশেষ করে উর্দু ভাষাকে পূর্ব পাকিস্থানের এই বাংলার মানুষের উপর জোর করে চাপিয়ে দেওয়ার মনোভাবের কারণেই পাকিস্থান আর একক সত্ত্বায় পৃথিবীর মানচিত্রে থাকতে পারেনি। যদিও সেই সময় পাকিস্তান শেষ চিকিৎসা হিসেবে পরাক্রমশালী মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের কাছে ধর্ণা দিয়েও নিজের ভাংগন ঠেকাতে পারেনি ভারত ও রাশিয়ার প্রত্যক্ষ হস্তক্ষেপের কারণে। তাই ভারতের উপর যে পশ্চিমা শক্তি বিশেষ করে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ক্ষোভ আছে এটা নিঃসন্দেহে বলা যায়! তাছাড়া ভারত ও চীনের ক্রমান্বয়ে অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি এবং জ্ঞান-বিজ্ঞান, প্রকৌশল ও প্রযুক্তিগত উন্নতি পশ্চিমা শক্তি বিশেষ করে আন্তর্জাতিক পরাক্রমশালী মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রকে ভাবিয়ে তুলেছে দীর্ঘদিন ধরে! আন্তর্জাতিক এসব হিসেব-নিকেশের পিছনে একদিকে যেমন অর্থনৈতিক লাভ-লোকসান জড়িত তেমনি জড়িত পরাক্রমশালীতা প্রদর্শন করে আন্তর্জাতিকভাবে সর্বক্ষেত্রে নিজেদের প্রভাব খাটানো্র মতো দর্শন! আর এসব কিছুর জন্য বিভিন্ন রাষ্ট্র নেতাদের লেজ ধরে খেলছেন আন্তর্জাতিকভাবে পূঁজি খাটানো পূঁজিবাদী ব্যবসায়ীরা। যদিও মাঝখানে আন্তর্জাতিকভাবে পরাক্রমশালী তৃ্তীয় শক্তি হিসেবে মধ্যপ্রাচ্যের ইসলাম ধর্মকেন্দ্রিক শক্তি বিশেষ করে পেট্র-ডলার সমৃদ্ধ ওয়াহাবি-সুন্নি মতবাদের অনুসারীরা নিজেদের দখল দারিত্ব পেতে চাচ্ছে এবং সেইভাবে জানানও দিচ্ছে মধ্যপ্রাচ্যের বিভিন্ন রাষ্ট্রের ক্ষমতায় থাকা সরকার ও বিভিন্ন দেশে আত্মঘাতী জঙ্গীদের মাধ্যমে সমরাস্ত্রের ব্যবহার ও ধ্বংসাত্বক কার্যকলাপ দ্বারা চ্যালেন্স ছুড়ে দিয়ে! সমরাস্ত্র ব্যবসায়ীরাও মধ্য-প্রাচ্যের সেই ওয়াহাবি-সুন্নি মতবাদের অনুসারীদেরকে ক্রমান্বয়ে ইন্ধন দিয়েই যাচ্ছেন নিজেদের সর্বোচ্চ প্রফিট হাতিয়ে নেওয়ার জন্য! এটাই আপাতদৃষ্টে মধ্যপ্রাচ্য ও দক্ষিণ এশিয়ার একটা মোটামুটি অতীত প্রভাবিত অনুমেয় বর্তমান আন্তর্জাতিক রাজনৈতিক হালচাল হতে পারে! এখন সময় কিভাবে কথা বলে আর এই অঞ্চলের জনগণের মনোজতাত্ত্বিক গতিবিধি কোন দিকে ধাবিত হয়, কোন রাষ্ট্র নায়ক সামগ্রিক পরিস্থিতিকে কিভাবে সঞ্চালন ও নি্যন্ত্রণ করেন সেটাই দেখার বিষয়!!!

মন্তব্য ০ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (০) মন্তব্য লিখুন

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.