![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
সবার উপরে মানুষ সত্য! চেষ্টা করি সেই সত্যকে অনুসরণ করতে।
সুবিধাভোগীরা ভোগের সমুদ্রে আজীবন থাকতে চায় ছলে-বলে-কলে কিংবা কৌশলে। আর কাঁঠাল ভেঙ্গে খেতে চায় দূর্বল কিংবা সুবিধাবঞ্চিতদের মাথায়। স্বার্থে সামান্য আঘাত লাগলেও এই সুবিধাভোগীরা সিংহের মতো গর্জে উঠে হুঙ্কার দিয়ে! অথচ দেখুন মিছিল-মিটিং এ এই সুবিধাভোগীরাই সাম্যের কথা বলে, বৈষম্যহীন সমাজ গঠনের কথা বলে মুখে ফেনা তুলে বেড়াচ্ছে! নিপীড়িত, শোষিতদের জন্য মায়া কান্না করে চোখ ফোলানোর অভিনয় করছে, বুক ভাসানোর বিলাপ করছে! কী অদ্ভূদ এই সমাজ, কী অদ্ভূদ এই সমাজের মানুষ গুলো। ১৬+ কোটি মানুষের এই দেশে মাত্র ১৩ লাখ মানুষের সুযোগ-সুবিধা নিয়ে চলছে হৈ হৈ রৈ রৈ কান্ড! বাকি ১৫ কোটি ৮৭ লাখ চুলোয় যাক! আবার মাত্র এই ১৩ লাখ মানুষের সুযোগ-সুবিধা দিতে গিয়ে সরকার তার সর্বোচ্চ বুদ্ধিদাতাদের দিয়ে দেশের অলিতে গলিতে হারিকেন জ্বালিয়ে খুঁজছে ভ্যাট, ট্যাক্স আদায়ের ফাঁকফোকর! দেশের বাঘা বাঘা সব বিশ্ববিদ্যালয় থেকে পাশ করা ছাত্র-ছাত্রীরাই মাথার ঘাম পায়ে ফেলে ছলে বলে কলে কৌশলে যে কোন উপায়ে এই সুবিধা ভোগীদের দলেই ভীরতে মরিয়া। কেউ সুবিধা বঞ্চিতদের দলে থাকতে চায় না কিংবা ফিরেও তাকাতে চায় না এই সুবিধাবঞ্চিতদের দিকে। আবার এই সুবিধাভোগীদের দলে গিয়ে যে ক্ষান্ত হয় তা নয়, কেউ কেউ তো দেশের আপামর সুবিধা বঞ্চিতদেরকে শোষণ করতে, তাদের মাথায় কাঁঠাল ভেঙ্গে খেতেই ব্যস্ত হয়ে পড়ে! যদিও অল্প সুবিধা ভোগীরা অল্পতেই খুশি কেবল বেশি সুবিধা ভোগীদের বেলায় যত বাধা-বিপত্তি। নিজেদের হাতে ক্ষমতার নাটাই থাকায় সচিবরা কড়ায়-গণ্ডায় নিজেদেরটা বুঝে নিয়েছে পই পই করে! বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকদের মতে কেবল ভাগে কম পড়েছে তাদের বেলায়। বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকদের সাথে এখন যুক্ত হয়েছে শিক্ষা ক্যাডারের শিক্ষকরাও। ভালো না? ভালই তো! নীতি-নির্ধারক সচিব মহোদয়গণ এখন ঠেলা সামলান। যা বলতে চান তাড়াতাড়ি মন্ত্রী মহোদয়দের পায়ে তেল মালিশ করে তাদেরকে মিডিয়ার সামনে এনে বলান। তা না হলে আমরা ১৫ কোটি ৮৭ লাখ যে আন্দোলনের চাপে পিষ্ঠ হতে হতে অস্থি-চর্মসার হয়ে যাব! আমাদেরকে বাঁচান, সাথে ভ্যাট , ট্যাক্স গুলোও একটু চিন্তা করে বসান! মাকে অস্থি চর্মসার অবস্থা করলে বাচ্চা কেবল স্তন বৃন্ত চুষেই যাবে কিন্তু পুষ্টি আর পাবে না! মন্ত্রী মহোদয়, সচিব ও নীতি নির্ধারকদের বলি আগে রাষ্ট্রের অনাচার, অনিয়ম, দূর্নীতি, সরকারি কাজে কর্মে স্বচ্ছতা, সেবার মান, কাজের মান এসবের দিকে মনোযোগ দিন তারপর না হয় নিজেদের যথোপযুক্ত সুযোগ সুবিধার দিকে দৃষ্টি দেবেন। আর সবশেষে দেখা যাক বেতন বৃদ্ধির পর সরকারি সেবার মান কতটুকু বাড়ে!!
©somewhere in net ltd.