নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

আমি একজন মানুষ। ভালো মানুষ হয়তো এখনও হতে পারিনি তবে মন্দ কিছু করি না- কারো মন্দ কিছু করাতে বিশ্বাসও করি না। উপকার করতে না পারলেও কারো ক্ষতি অন্ততঃ করি না!!

বীরেশ রায়

সবার উপরে মানুষ সত্য! চেষ্টা করি সেই সত্যকে অনুসরণ করতে।

বীরেশ রায় › বিস্তারিত পোস্টঃ

সামাজিক সংকরায়ন ও যৌনতা!!

৩০ শে মার্চ, ২০১৬ সন্ধ্যা ৬:১৫

বিশ্বায়নের এই যুগে, সংস্কৃতি ও বিনোদনের আমূল পরিবর্তনের এই সভ্যতায় মানুষের ভোগ ও উপভোগের ধরন যেমন প্রতিনিয়ত বদলাচ্ছে তেমনি বাড়ছে জীবনকে রূপ-রস-গন্ধ-স্পর্শে উপভোগ করার মাত্রা ও পরিধি। তার সাথে অতীতের ধর্মীয় কিংবা আঞ্চলিক সামাজিভাবে বেঁধে দেওয়া বয়সের বাঁধাধরা গণ্ডীকে না মানার প্রবণতা। যা যে কোন রাষ্ট্র কিংবা ধর্মের চিরাচরিত প্রথা বা নিয়ম দ্বারা রোধ করা প্রায় অসম্ভব। যদিও ভিন্ন ভিন্ন ধর্ম, ভিন্ন ভিন্ন অঞ্চল, সমাজ কিংবা রাষ্ট্র মানুষের জীবনযাপন ব্যবস্থা এবং জীবনকে উপভোগ করার অনুষঙ্গের বৈধতাও দিয়েছে ভিন্ন ভিন্ন আঙ্গিকে। কিন্তু বিশ্বায়নের সুফল কিংবা বিভিন্ন রাষ্ট্রের বিজ্ঞান নির্ভর আবিস্কারগুলোকে সামাজিক জীবন যাপনের সাথে সম্পৃক্ত করতে চাইলে বিশ্বায়নের অবধারিত বিষয়গুলোও আমাদের সমাজ ব্যবস্থায় স্রোতের মতো আসবেই। এরই ধারাবাহিকতায় বিভিন্ন সমাজ, রাষ্ট্র ও অঞ্চলের সামাজিক রীতিনীতি, প্রথা ও আইনের বৈধ অবৈধের মাঝখানের দেয়ালও হয়ে আসছে অনেকটাই ছোট । এই বৈধ অবৈধ একাকার অবস্থাকে জোর করে রোধ করতে চাওয়া বোকামি নয়তো বিড়ম্বনা। তবে এই সামাজিক সংকরায়ন যদি একেবারেই অসামঞ্জস্যতার দিকে যায়, তা রোধ করতে চাই সামাজিক আন্দোলন, শিক্ষা ব্যবস্থায় যুতসই জাতীয় শিক্ষাক্রম এবং সর্বোপরি নিজস্ব সাংস্কৃতিক কার্যক্রমের ব্যাপক জোরদার। আপনি একজন প্রাপ্তবয়স্ক, আপনি নিজে জীবনকে রূপ-রস-গন্ধ-স্পর্শে ভোগ করার যাবতীয় উপায় অবলম্বন করবেন আর নতুন প্রজন্মকে বিধি-নিষেধের বেড়া-জালে জড়িয়ে রাখবেন বয়সের দোহাই দিয়ে তা হয় না! তাছাড়া সামাজিক বৈধ-অবৈধ জ্ঞান ও মাত্রা কিংবা জীবনে জৈবিক ও সামাজিক ঘটনা সংঘটনের উপায়গুলোতেও বৈধ-অবৈধ বোধকে ভাবতে হবে নতুন আঙ্গিকে। সেগুলোর মধ্যে অন্যতম প্রধান হল যৌনতা জ্ঞান। এই যৌনতাকে বৈধ- অবৈধ জ্ঞানের কাতার থেকে সরিয়ে বয়স, সময় ও স্থান জ্ঞানের কাতারে আনতে হবে এবং নতুন প্রজন্মকে সেভাবেই বোঝাতে হবে। বড়রা বৈধ অবৈধ যে কোন উপায়ে সম্পদ অর্জন করে সময় অসময়ে দু চারটা বিবাহ নামক ঘটনার দ্বারা নিজেদেরকে ভোগের তথা যৌনতার স্রোতে ভাসিয়ে দেবেন আর সম্পদহীন, সুবিধা বঞ্চিতরা, নতুন প্রজন্মের নব যৌবনা ছেলে-মেয়েরা চার দেয়ালের সমাজ সার্টিফাইড যৌনতা উপলদ্ধি করে আঙ্গুল চুষবে তা হয় কি করে? যৌনতাকে যে দেশে যত বেশি আড়াল তথা নিষিদ্ধ করে রাখা হবে, সেই দেশের ছেলে-মেয়েরা এর প্রতি তত বেশি কৌতূহলী হয়ে পড়বে। যে দেশে পুরুষ দ্বারা যৌনতা কিংবা নারী যত বেশী কুক্ষিগত থাকবে সে দেশে তত বেশি ধর্ষকের জন্ম হবে, যে দেশে কৈশোর ও যৌবন প্রাপ্ত ছেলে-মেয়েদের সামাজিক ও সাংস্কৃতিক বিনোদন এবং মেলা-মেশা ধর্ম নামক জুজুর ভয় দ্বারা যত বেশি বাঁধা গ্রস্থ বা সংকোচিত হয়ে পড়বে সেই দেশে পুরুষ কর্তৃক নারী তত বেশি নিগৃহিত নিপীড়িত ও ধর্ষিত হবে আর পুরুষগুলো থাকবে যৌন বিকার গ্রস্থ রোগী হিসেবে, এটা অবধারিত।

মন্তব্য ৩ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (৩) মন্তব্য লিখুন

১| ৩০ শে মার্চ, ২০১৬ সন্ধ্যা ৬:২১

পানিখোর বলেছেন: "...সেই দেশে পুরুষ কর্তৃক নারী তত বেশি নিগৃহিত নিপীড়িত ও ধর্ষিত হবে, এটা অবধারিত।"

মিথ্যাচার বন্ধ করুন। মুসলিম দেশ গুলো এবং আমেরিকা সহ ইউরোপ ও পশ্চিমা দেশগুলোতে ধর্ষণের হার দেখলেই আপনার উন্মত্ত মানসিকতা বুঝা যায়। অন্যকে ভালো থাকতে দিন। নিজের যৌনতা কন্ট্রোল করুন।

৩০ শে মার্চ, ২০১৬ সন্ধ্যা ৭:১৯

বীরেশ রায় বলেছেন: মানলাম “আমেরিকা সহ ইউরোপ ও পশ্চিমা দেশগুলোতে অনেক ধর্ষণ হয়, অপরাধ হয়" কিন্তু মুসলিম দেশ গুলো থেকে সেই আমেরিকা ইউরোপ যাওয়ার জন্য এত লালায়িত কেন? তাহলে এবার আপনি বলুন কোন রাষ্ট্র গুলো এখন বসবাসের জন্য বেশি নিরাপদ? মুসলিম রাষ্ট্র না আমেরিকা ইউরোপ?

২| ৩১ শে মার্চ, ২০১৬ বিকাল ৫:৫২

পানিখোর বলেছেন: ধর্ষণ ইস্যু আর উন্নয়ন ইস্যুর মাঝে সম্পর্ক কী? লোকে ধর্ষিত হবে সেখানে যায়? যত্তসব!!!!

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.