![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
সবার উপরে মানুষ সত্য! চেষ্টা করি সেই সত্যকে অনুসরণ করতে।
“এলাকায় মাথা নিচু করে চলাফেরা করা ফজলে রাব্বি নামের ছেলেটিই যে গুলশান হামলার হোতা তামিমের সহযোগী তা যশোরের শহরতলী কিসমত নওয়াপাড়ার বাসিন্দা। গতকাল শনিবার (২৭ আগস্ট ২০১৬ ) রাতেই প্রতিবেশীরা বিষয়টি প্রথম জানতে পারেন।
আজ রোববার (২৮ আগস্ট ২০১৬) সকালে ওই এলাকায় রাব্বিদের দোতলা বাড়ির সামনে গিয়ে তাঁর বাবা অবসরপ্রাপ্ত শিক্ষক কাজী হাবিবুল্লাহর সঙ্গে কথা বলার চেষ্টা করা হয়। ‘মদিনা মনজিল’ নামের এই বাড়ির ওপরতলায় পরিবারসহ তিনি বসবাস করেন। রাব্বির এক প্রতিবেশী জানান, রাব্বি এলাকার ছেলেদের সঙ্গে খুব একটা মিশতেন না। তবে স্থানীয় মসজিদের ইমাম মো. ইয়াহহিয়ার সঙ্গে তাঁর সখ্য ছিল। আরেক প্রতিবেশী বলেন, রাব্বি বাড়ির পাশে মসজিদে নামাজ পড়তেন। সেখানে ইমামতি করতেন মো. ইয়াহহিয়া। তিনিই রাব্বিসহ চার পাঁচজনকে জঙ্গি তৎপরতার সঙ্গে সম্পৃক্ত করার প্রয়াস চালান। বিষয়টি জানার পর স্থানীয় লোকজন ইয়াহহিয়াকে ওই মসজিদ থেকে বের করে দেন।
রাব্বিদের আরেক প্রতিবেশী মশিয়ার রহমান বলেন, রাব্বি বাড়িতে ল্যাপটপ ব্যবহার করতেন। কিন্তু ঘরে তার মা-বাবা ঢুকলেই তা বন্ধ করে দিতেন। তার বাসায় জিহাদের নানা বই পাওয়া যায়, যেগুলো তার বাবা নষ্ট করে ফেলেছেন। প্রতিবেশী নাসরিন আক্তার বলেন, রাব্বিরা কেউই এলাকার লোকজনের সঙ্গে মিশতেন না। বাড়ির পাশে মসজিদে নামাজ পড়তেন। এই মসজিদে বিভিন্ন সময়ে এলাকার মুসল্লিরা আসতেন, এমনকি মধ্যপ্রাচ্যের লোকজনও আসতেন। রাব্বি যেদিন বাড়ি থেকে চলে যান, হুজুরদের সঙ্গেই গিয়েছিলেন।”
যারা এখনও মনে করেন এই বোমাবাজ জঙ্গী ইসলামী গ্রুপ আমেরিকা; বিধর্মী খ্রীষ্টান, ইহুদি-নাসাদের ষড়যন্ত্র তারা আসলে বোকার স্বর্গে বাস করছেন। এই বোমাবাজ, চাপাতিধারী জঙ্গী ইসলামী দর্শন যে সৌদি, মধ্যপ্রাচ্য থেকে আমদানি করা তা আর বলার অপেক্ষা রাখে না! ইউরোপ-আমেরিকা, অস্ট্রেলিয়া, ভারত কিংবা বাংলাদেশ থেকে মধ্য প্রাচ্যের এই সব দেশে যারা যাচ্ছেন, কিংবা মধ্যপ্রাচ্য থেকে যে সব মুসলিম পৃথিবীর অন্যান্য দেশে আসছেন তাদের মাধ্যমেই এই বোমাবাজ, চাপাতিধারী জঙ্গী ইসলামী দর্শন ছড়িয়ে পড়ছে বিশ্বময়! ঠেকাতে না পারলে ভবিষ্যতে তা আরও মহামারী আকারে দেখা দেবে একথা হলফ করে বলা যায়!
‘জিহাদে যাচ্ছি’ বলে বাড়ি থেকে বের হন রাব্বি
©somewhere in net ltd.