নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

আমি একজন মানুষ। ভালো মানুষ হয়তো এখনও হতে পারিনি তবে মন্দ কিছু করি না- কারো মন্দ কিছু করাতে বিশ্বাসও করি না। উপকার করতে না পারলেও কারো ক্ষতি অন্ততঃ করি না!!

বীরেশ রায়

সবার উপরে মানুষ সত্য! চেষ্টা করি সেই সত্যকে অনুসরণ করতে।

বীরেশ রায় › বিস্তারিত পোস্টঃ

এই আঘাত কেবল মুক্তিযুদ্ধের বিজয় ভাস্কর্যের উপর আঘাত নয়, এই আঘাত রাষ্ট্রের মূল স্তম্ভের উপর আঘাত !!

০৮ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৬ সন্ধ্যা ৭:০৫

ইসলামে মূর্তি নিষিদ্ধ!! তাই ২০০৮ সালের ১৫ অক্টোবর মাদ্রাসা ছাত্রদের হুমকির মুখে বিমানবন্দরের প্রবেশ মুখের বেসামরিক বিমান চলাচল মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তা এবং বিমানবন্দর থানা কর্মকর্তাদের উপস্থিতিতে ভেঙে ফেলা হয় লালন ভাস্কর্যগুলো। ভাস্কর্যটি ছিল ৫ জন বাউলের। হাতে কারও একতারা বা দোতারা। বিদেশীদের কাছে বাঙালি সংস্কৃতিকে তুলে ধরতে বিমানবন্দরের প্রবেশ মুখে হচ্ছিল এ ভাস্কর্য। কিন্তু স্থানীয় একটি মাদ্রাসার ছাত্র, খতমে নবুওয়াত বাংলাদেশের আমির মুফতি নূর হোসেন নূরানী ও “মূর্তি প্রতিরোধ কমিটি” নামের সংগঠনের হুমকি ও চাপের মুখে সেই সময় বেসামরিক বিমান চলাচল মন্ত্রণালয়ের নির্দেশে ভেঙে ফেলা হয় সেই ভাস্কর্যগুলো। অথচ সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়ের অনুমতি নিয়ে বিমানবন্দরের গোলচত্বর এলাকায় ইউনাইটেড কমার্শিয়াল ব্যাংকের অর্থায়নে ধীরে ধীরে নির্মিত হচ্ছিল ভাস্কর্যগুলো। খতমে নবুওয়াত বাংলাদেশের আমির ও মূর্তি প্রতিরোধ কমিটির চেয়ারম্যান মুফতি নূর হোসাইনের নেতৃত্বে এক সভায় ২২ অক্টোবরের (২০০৮ সাল) মধ্যে ভাস্কর্য সরিয়ে না ফেললে সরকারকে কারবালার পরিস্থিতির মুখোমুখি হতে হবে বলে হুশিয়ার করে দেয়া হয়। বাংলাদেশের প্রবেশ দ্বার আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের সামনে নির্মীয়মাণ লালন ভাস্কর্য ভেঙে ফেলার মধ্যদিয়ে মৌলবাদী ধর্মান্ধ শক্তির সভ্যতা ও সংস্কৃতিবিরোধী দাবির কাছে তৎকালীন সরকার নতি স্বীকার করেন!
সরকার যদি সেই সময় সেই ধর্মান্ধ অপশক্তিকে বেড়ে উঠার সুযোগ না দিত, এবং কঠোর হস্তে দমন করতো তাহলে এভাবে ক্রমান্বয়ে একের পর এক ব্লগার হত্যা, ৫ই জুন হেফাজতের সস্ত্রাস ও উন্মাদ ধ্বংসযজ্ঞ, জ্বালাও-পোড়াও, পেট্রল বোমা, জঙ্গি হামলা, হিন্দুদের মন্দিরে হামলা, বৌদ্ধ মন্দিরে হামলা, গির্জায় হামলা, সংখ্যালঘুদের উপর চাপাতি হামলা ঘটানোর এতটা সাহস হয়তো পেতো না!! সিলেটে শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে, কুষ্টিয়ায় ইসলামি বিশ্ববিদ্যালয়ে যে কোন ধরনের ভাস্কর্য ও শিল্পের নান্দনিক উপস্থাপনে এসেছে বাঁধা! রবীন্দ্র চর্চা, নজরুল চর্চা, বেগম রোকেয়া সাহিত্য, দেশীয় সংস্কৃতির ধারক আমাদের দেশাত্মবোধক ও আঞ্চলিক সঙ্গীত, ১লা ফাল্গুন, ১লা বৈশাখ অনুষ্ঠান পালন নিয়ে বিভিন্ন ওয়াজ মাহফিল থেকে এসেছে তির্যক ও কটু মন্তব্য! শিল্প চর্চা কোন ধর্মের অবমাননার ব্যাপার নয়, সংস্কৃতি ও সৌন্দর্যবোধের ব্যাপার, নির্মল আনন্দের উৎস!
অথচ এদেশে বিভিন্ন ভাবে, বিভিন্ন ছুতায় শিল্পচর্চাকে, শিল্পচর্চার পরিবেশকে, সংখ্যালঘু সম্প্রদায় ও সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের কৃষ্টি কালচারকে ধ্বংস করার জোর প্রচেষ্টা চালাচ্ছে মৌলবাদী অপশক্তি। গতকালকে বগুড়ায় মুক্তিযুদ্ধের বিজয় ভাস্কর্য ভেঙ্গে গুঁড়িয়ে দিয়েছে দুর্বৃত্তরা। বগুড়ার প্রবেশপথে শহরতলির বনানীর গোল চত্বরে স্থাপিত এই ভাস্কর্য বুধবার সকালে ভেঙ্গে পড়ে থাকতে দেখা যায়। ভাস্কর্যটি ছিল এ রকম : “একজন বীর মুক্তিযোদ্ধা যুদ্ধ শেষে ফিরে শান্তির পায়রা উড়িয়ে দিচ্ছে।” এই ঘটনা পরম্পরা পর্যালোচনা করলে স্পষ্ট বোঝা যায় যে এদেশে জঙ্গির আস্তানা কোথায়, কারা জঙ্গিদের পৃষ্ঠপোষক!! আর এই জঙ্গী গ্রুপের সংখ্যা কত, এদের শিকড় কোথায়? এখন দেখা যাক লোম বাছতে বাছতে কম্বলের কতটুকু থাকে!! আর এটাও ঠিক যে এদেশে অসম্প্রদায়িক স্বাধীনতা পক্ষের শক্তিকে টিকে থাকতে হলে এই কম্বল বাছতেই হবে!! এর বিকল্প কোন পথ নেই!!!

মন্তব্য ১১ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (১১) মন্তব্য লিখুন

১| ০৮ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৬ সন্ধ্যা ৭:২০

ধ্রুবক আলো বলেছেন: খুব সুন্দর সময়পোযোগী পোষ্টের জন্য আপনাকে ধন্যবাদ।

২| ০৮ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৬ সন্ধ্যা ৭:৩১

ধ্রুবক আলো বলেছেন: একটা সলিড কথা কি জানেন মূর্তী ভাঙলেই জঙ্গী তৎপরতা হয়ে যায়না, আর ওরকম স্থান গুলোতে মূর্তী বসাবে কেন যখন এক বিষয়ে কথা উঠবে জেনে!!

০৮ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৬ সন্ধ্যা ৭:৩৯

বীরেশ রায় বলেছেন: এরা যে একই মৌলবাদী শক্তির ভিন্ন ভিন্ন ভূমিকায় প্রকাশ এটা কি আপনি মানেন?

৩| ০৮ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৬ সন্ধ্যা ৭:৪৮

খোলা মনের কথা বলেছেন: শিল্প চর্চা কোন ধর্মের অবমাননার ব্যাপার নয় কথাটির সাথে একমত যদি শিল্প চর্চা যেন ধর্ম অবমাননা না করা হয় তাহলে ঠিক আছে। শ্রুতি কটু হলেও সত্য এখন কিছু শিল্প চর্চা হয় ধর্ম কে হেওপ্রতিপন্ন করার জন্য। আবার কিছু মানুষও আছে তারা কোন কিছু সঠিকভাবে না জেনে বিভিন্ন কাজ করে বসে যেটা ধর্মের উপর চুনকালি লেপন করে। আপনি ভাল করে খবর নিয়ে দেখেন যারা বগুড়াতে এমন কাজ করেছে তারা ঠিক করে হয়তো নামাজও পড়ে না। ধর্মের কোন ধারক বাহক ও না তারা। কোন কিছু ভাল ভাবে না জেনে একটি জাতি বা সম্প্রদায়ের উপর ট্যাগ লাগানো এখন আমাদের সাধারণ স্বভাব হয়ে দাড়িয়েছে।

৪| ০৮ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৬ রাত ৮:১৫

ধ্রুবক আলো বলেছেন: একই মৌলবাদী শক্তি কিনা কেউ ঠিক মত বলতে পারবেনা, তর্‌কে যাবোনা একটা বেপার লক্ষ করবেন জংগিরা কিনতু মুসলিমদেরি উপোর বেশিরভাগ হামলা করেছে। ভাই আমারো মুসলিম ধর্‌মের বাইরেও অনেক ফ্রেন্‌ড আছে তাদের সাথে কখনো কোনো তর্‌ক হয়না এসব বিষয় নিয়ে, কষ্‌ট দেয়ার জন্য কোন কথা বলিনি, তবে ভাববেন ৩্য় কোন পক্ষ থাকতেো পারে।
আমি ব্যক্তিগত ভাবে মনে করি মুর্তী বসিয়ে সংস্কৃতী রক্ষা করা কি খুব জরুরি?
দয়া করে মনে কষ্ট নিবেন না যখন মুসলমানদের জংগী বলা হয় তখন আমাদেরও কষ্ট লাগে, একটু ভেবে দেখবেন
ভারতে মসজিদো ভাঙ্গা হয়

০৮ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৬ রাত ৮:৫০

বীরেশ রায় বলেছেন: এই “৩য় পক্ষ" কারা একটু ক্লিয়ার করেন তো!!
“ একটু ভেবে দেখবেন
ভারতে মসজিদ ভাঙ্গা হয়” এই কথার পরিপ্রেক্ষিতে - আচ্ছা আপনি বলুন তো ভারতে কয়টি মসজিদ আর বাংলাদেশে কয়টি মন্দির, প্রতিমা ভাঙ্গা হয়েছে? আর বিগত ৫০ বছরে সারা বিশ্বে ইসলাম ধর্মের অনুসারীরা “ আল্লাহ আকবর” ধ্বনি তুলে কতগুলো বোমা হামলা, সন্ত্রাসী হামলা করেছে তার একটা পরিসংখ্যান দেন তো । তাছাড়া আপনার যুক্তি ও কথা অনেকটাই মৌলবাদী দের কথা বার্তার ধাঁচের হয়ে গেল না!? আপনারা - আমরা সচেতন মানুষ গুলো যদি ধর্মের টানে এভাবে মৌলবাদীদের সুরে সুর মিলাই তাহলে এদেশে জঙ্গীবাদ কে ঠেকানো সম্ভব নয়!! গ্যারান্টি!! খোলস ছেড়ে বেড়িয়ে না আসলে ভবিষ্যতে আমাদের সবার জন্যই আরো কঠিন সময় অপেক্ষা করছে!! আমি একটা লিংক দিলাম – একটু দেখুন প্লিজঃ http://www.thereligionofpeace.com/

৫| ০৮ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৬ রাত ৮:২৫

সাদা মনের মানুষ বলেছেন: ওদের কঠোর হস্তে প্রতিরোধ করা হউক

৬| ০৮ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৬ রাত ৯:৪০

আহলান বলেছেন: মূরতী ভাষ্কর্য্য তো আরো আছে, সেগুলো ভাঙ্গে না ক্যনো?

৭| ০৮ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৬ রাত ৯:৫৬

ধ্রুবক আলো বলেছেন: আমার কথা মৌলবাদ বা যুক্তিবাদের মত সে বিষয়ে আপনার জ্ঞান হয় নাই! না হলে আমার কথা বুঝতে পারতেন আমি কিন্তু কাউকে খোচা দিই নাই যেমন টা আপনি দিলেন।
আল্লাহু আকবার বলে বোমা ছুরলে যে জঙ্গীরা মুসলমান জঙ্গী সেটা ভাবা নিরেট বোকামী। কারন জঙ্গী দের শরীরে লেখা নাই এরা মুসলমান। রাম রাম বলে বোমা মারলে আমরা সরাসরি বলতামনা যে হিন্দু জঙ্গী, আগে যাচাই করতাম। মনে রাখবেন জঙ্গীদের কোন ধর্ম নাই। এরা ফ্যাসাদ সৃষ্টি করতে কাজ করে।
তর্কে যাবনা সবার সাথেই বন্ধুত্ব পূর্ন সম্পর্ক বজায় রাখতে চাই। এর মাঝে কিছু কথা বলা আরকি।
ভালো থাকবেন, ধন্যবাদ

০৮ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৬ রাত ৯:৫৮

বীরেশ রায় বলেছেন: এই যে গায়ে মাখলেন!! আমি তো মাখি নাই!! এইটাই .।.।.।.।.।

০৮ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৬ রাত ১০:০০

বীরেশ রায় বলেছেন: গায়ে লেখা নাই!! আপনি একটু লিংক টা দেখেন!!!

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.