![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
প্রায় ৫২৩ বছর আগে স্পেন ছিল মুসলিম অধ্যুষিত। মুসলমান উনাদের দ্বারাই এই মহাদেশ জ্ঞান-বিজ্ঞানে সমৃদ্ধ হয়ে উঠেছিল। কিন্তু এই বিষয়টি তৎকালীন খ্রিস্টান সমাজের গাত্রদাহের কারণ হয়ে দাঁড়ায়। এ কারণে খ্রিস্টানরা চিন্তা করতে থাকে কিভাবে মুসলিম শাসনের অবসান ঘটানো যায়। ইউরোপ মহাদেশের আরাগন দেশের যালিম রাজা ফার্ডিনান্ড আরেক দেশ পর্তুগালের রানী ইসাবেলাকে বিয়ে করে, খ্রিস্টান জোট বৃদ্ধি করার জন্য। এই জোট প্রথমেই মুসলিম সভ্যতা ধ্বংস করার পরিকল্পনা করে। তাই এই সংকল্প বাস্তবায়নের লক্ষ্যে তৎকালীন স্পেনের মুসলমানদের শেষ খলীফা সুলতান আবু আব্দুল্লাহকে পরাজিত করে খ্রিস্টানরা কুটকৌশলে গ্রানাডার প্রবেশদ্বার বিখ্যাত মুসলিম দুর্গ আল হামরা হাতিয়ে নেয়। এরপর থেকেই শুরু হয় মুসলমান উনাদের উপর নির্মম অত্যাচার ও নির্যাতন। ধর্মের আবরণে আচ্ছাদিত ফার্ডিনান্ড দম্পতি দ্বীন ইসলাম পালন নিষিদ্ধ ঘোষণা করে। শত্রু বেষ্টনে আবদ্ধ মুসলমান উনারা অত্যাচারের স্টীম রোলারে নিষ্পেষিত হতে থাকেন। ফার্ডিনান্ড নিয়ম জারি করে, মসজিদগুলোকে নিরাপদ ঘোষণা করে। এ নিয়মে আরো বলা হয় যে, যারা মসজিদ উনাদের মধ্যে আশ্রয় নিবে তারা নিরাপদে থাকবে। অসংখ্য স্পেনীয় মুসলমান উনারা অত্যাচার থেকে নিষ্কৃতি পাওয়ার জন্য সরল বিশ্বাসে মসজিদ উনাদের মধ্যে আশ্রয় গ্রহণ করেন। আর এই সুযোগে খ্রিস্টান শত্রুরা মসজিদে বাইরে থেকে তালাবদ্ধ করে পেট্রোল ঢেলে আগুন দিয়ে পুড়িয়ে ভস্ম করে দেয় অবশিষ্ট স্পেনীয় মুসলমান উনাদের। আর বাহির থেকে উল্লাস ভরে কৌতুক করে সমস্বরে Fool! Fool! চিৎকারে মেতে উঠে। দিনটি ছিল ১লা এপ্রিল ১৪৯২ সাল। সেই থেকে মানুষকে বোকা বানিয়ে খ্রিস্টানরা এই দিনটি পালন করে এক ধরনের বিকৃত আনন্দ লাভের চেষ্টা করে। (নাউজুবিল্লাহ)
খ্রিস্টানরা তাদের সেই বিজয়ের স্মরণে পালন করে থাকে এপ্রিল ফুল। ইতিহাস সাক্ষ্য দেয় যে, এই দিনটি মুসলমান উনাদের জন্য কখনই আনন্দদায়ক নয়, বরং খুবই বেদনাদায়ক। কেননা মুসলমান উনাদের হাতে গড়ে উঠা একটি সভ্যতা সমূলে উৎখাত হয়ে ভেসে যায় মুসলমান উনাদেরই বুকের তাজা রক্তে। দীর্ঘদিনের লালিত একটি সভ্যতার সমাধি ঘটে এই দিনে। কিন্তু বর্তমানে আমরা দেখতে পাই যে, এই দিনটি মুসলমানসহ সকল ধর্মের লোকেরা পালন করে থাকে। অথচ এই দিনে অসংখ্য মুসলমান উনাদেরকে শহীদ করে খ্রিস্টানরা। মুসলমান উনারা এই বিষয়ে একেবারে বেখবর। এই দিন সম্পর্কে তীব্র প্রতিবাদ জানানো মুসলমান উনাদের একান্ত কর্তব্য। পাশাপাশি এই দিন উদযাপন করা থেকে বিরত থাকাও আবশ্যক। কেননা ইহুদী, নাসারা (খ্রিস্টান), হিন্দু-বৌদ্ধ, কাফির-মুশরিক এক কথায় বিধর্মীরা সকলেই মুসলমান উনাদের বড় শত্রু। এ প্রসঙ্গে মহান আল্লাহ পাক তিনি ইরশাদ মুবারক করেন, “তোমরা (মুসলমানরা) সবচেয়ে বড় শত্রু হিসেবে পাবে প্রথমত ইহুদীদেরকে তারপর মুশরিকদেরকে তথা হিন্দুদেরকে।”
মূলত: কাফির মুশরিক তথা ইহুদী, খ্রিস্টান, হিন্দু- বৌদ্ধ, সকলেই মুসলমান উনাদের শত্রু। তারা সর্বদা মুসলমান উনাদের ক্ষতিসাধনে তৎপর থাকে। তারা সর্বদা মুসলমান উনাদের মর্যাদা নিয়ে তুচ্ছ-তাচ্ছিল্য করে থাকে এবং মুসলমান উনাদেরকে অবজ্ঞা ভরে দেখে থাকে।
কাজেই মুসলমান উনাদের উচিত কাফির-মুশরিক তথা ইহুদী, নাছারাদের কালচার তথা নিয়ম-নীতি, তর্জ-তরীক্বা অনুসরণ না করা। কেননা, এটা মহান আল্লাহ পাক উনার তরফ থেকে নির্দেশ মুবারক যে, কাফির-মুশরিকরা তাদের বড় শত্রু। এদেরকে শত্রুরূপে গ্রহণ করতে হবে, কখনো বন্ধু হিসেবে গ্রহণ করা যাবে না। আর এটাই হলো পবিত্র কালামুল্লাহ শরীফ উনার বিধান। এই বিধান উনার উপরই বিশ্বাস স্থাপন করতে হবে। আর যারা বিশ্বাস স্থাপন করবে না তাদের সম্পর্কে মহান আল্লাহ পাক তিনি পবিত্র সূরা বাকারা শরীফ উনার ১২১ নং পবিত্র আয়াত শরীফ উনার মধ্যে ইরশাদ মুবারক করেন, “যারা কিতাব (কালামুল্লাহ শরীফ) উনাকে অস্বীকার করে, তারা ক্ষতিগ্রস্তের অন্তর্ভুক্ত।”
মহান আল্লাহ পাক তিনি সকল মুসলমান উনাদেরকে এপ্রিল ফুল পালনের ব্যাপারে তীব্র প্রতিবাদ জানানোর এবং এই দিবস পালন থেকে বিরত থাকার তাওফীক দান করুন। (আমীন)
©somewhere in net ltd.