নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

নিষ্পত্তি কি সব সময়ে জয়-পরাজয়ে? ময়দানি ধুলোয় তার বাইরেই যে পড়ে থাকে খেলার আসল-নকল গল্পগুলো৷ ময়দানের ঘাস-ধুলো যাঁর প্রিয়তম বন্ধু, তাঁর কলমে অভিজ্ঞতার দস্তাবেজ৷

ফেলুদার তোপসে

দিনরাত সাদা-কালো জীবনের মধ্যে এক্কাদোক্কা খেলতে খেলতে হারিয়ে যাই অচেনা দুপুরের কোলে। বাকি থেকে যায় কিছু মরচে পড়া নিঃশ্বাস, কয়েকটা পোড়া স্বপ্ন আর কিছু ব্যক্তিগত উন্নাসিকতা। রাত আসে, শহর ঘুমিয়ে পড়ে... আর মন পড়ে থাকে কোনও একলা ছাদের অন্ধকারে। এভাবেই চলছে জীবন... এভাবেই মাঝে মাঝে ভিড় করে আসে রাত জাগানো শব্দেরা। ইচ্ছে, কবিতা, প্রেম, রাস্তা, অন্ধকার... আমি।

ফেলুদার তোপসে › বিস্তারিত পোস্টঃ

এই সব শেওলা ধরা গোপন শুণ্যতার সঙ্ঘা আমার জানা নেই

১৫ ই জানুয়ারি, ২০১৬ সকাল ৯:৪৬

(নিজের ভেতর পড়ে থাকি সারাক্ষণ, ভাবের আনাগুনার অন্ত নেই, অথচ ভাব প্রকাশের ভাষা জানা নেই,যারা ভাষার কারুকাজে নিজের ভাব ব্যক্ত করেন,সেই সব শব্দ-শিল্পীদের প্রতি এক ধরণের ঈর্ষা মিশ্রিত বিস্ময় নিয়ে দূরে দাঁড়িয়ে থাকি, নিজের আর লেখার সাহস হয়না । তবু, মাথার ভিতর নানা ভাবের ঠুকঠুকানি তো থেমে থাকেনা । নিজের সাথে নিজের এই বকবকানি কেউ যদি কবিতার মত করে পড়তে চান, আমার তাতে আপত্তি করার প্রশ্নই উঠেনা ! প্রকৃত কবিদের কবিতা পড়ে যদিও 'হা' হয়ে থাকি মুগ্ধ বিস্ময়ে, তারপরো সত্যের খাতিরে স্বীকার করতেই হবে, আসলে কবিতার আমি 'ক' ও বুঝিনা )।


এই সব শেওলা ধরা গোপন শুণ্যতার সঙ্ঘা আমার জানা নেই কোন,

এই যেমন

মাঝে মাঝেই স্বপ্নের ভিতর হানাদেয় এক ঝড়ের রাতে

প্রায় ভেঙ্গে পড়া সেই চায়ের টং,

বুড়ো রাজন চাচার গতরের হাজারো আঁকিবুকির মতই বিগত যৌবন

নিয়ে দাঁড়িয়ে ছিলো।



গুলতানি মারা ছেলেগুলোর বখাটে চোখ

হিম নিস্তব্ধতায় ভেতর মনে পড়ে যায়

কখনো কখনো কারণে অকারণে

মাঝরাতের শন শন হাওয়ায় মিশে থাকে

আমার না ঘুম না জাগরণের রাতের প্রহরগুলোতে।



স্বপ্নের ভিতর কখনোবা আড়মোড়া ভেঙ্গে জেগে উঠে দেখি

ইতি উতি বসে থাকা এক দঙ্গল বেকার ছেলের চোখ

মাছির মত ভন ভন ভন ভন

হাজারো চোখ থেকে ঝরে গভীর অবসাদ।



বেকার আর বখাটে শব্দ দুটো পাশাপাশি

মিছিলে হাঁটে

স্বপ্নের ভিতর

এখনো



কারো কারো চোখে এক সিন্ধু হতাশা

ঘর গেরস্থালী মা বাপ অথবা শাপলা ফোটা দিঘীতে

চরম বিঃস্বাদ

থু থু ফেলে কেউ কেউ

কারণে অকারণে



আকাশ দেখে কি দেখেনা

মেঘ রোদ ঝড় বৃষ্টিতে

নেই উল্লাস হাহাকার অথবা

খিঁচুড়ী খাবার সাধ



কিছু কিছু আহ্লাদ হয়ত গভীর গোপনেই জমা হতে থাকে

জমা হতে থাকে জমা হয়

তালা দেওয়া সিন্ধুক যেমন

প্রায় কখনো কেউ খুলতে দেখেনা কাউকে



লুঙ্গিতে গিঁট দিতে দিতে দল বেঁধে মেয়েদের ইস্কুল্টায়

ছুটে যায় ছুটির সময়টায়



কখনোবা ঝিম মেরে পড়ে থাকা টং এর মালিক

রাজন চাচা্র মেয়ের শরীরের চিত্র বিচিত্র ম্যাপ নিয়ে

খ্যাক খ্যাক হাসি

দিশেহারা উদভ্রান্ত বুড়োটা

ঘোলাটে কাঁচের বোয়ামের ভিতর

দৃষ্টি চালানোর কসরতে ব্যস্ত থেকে

জগৎ সংসার ভূলে যেতে চায় প্রাণপণে



মাঝে মাঝে ভূল করে ভূল করে ফেলে

চিৎকার দিতে গিয়ে কঁকিয়ে উঠে

রাজন চাচার হঠাৎ হঠাৎ কঁকিয়ে উঠা

প্রায় নূয়ে পড়া মাথাটা ঠেসে ধরে

কেউ একজন অশ্লীল শীস

দিতে দিতে তারপর

তারপর একজন দুজন তিনজন চার...পাঁচ

একসঙ্গে গলা মিলিয়ে হেড়ে গলায় গান ধরে



'ও সোনা বন্ধুরে....'



ঘোলাটে বোয়ামের বিস্কুটের ভিতর

খাবি খাওয়া মাছিটার

ব্যর্থ ডানা ঝাপটানোর কথা মনে পড়ে যায়

কিছু কিছু মানুষ এভাবেই বেঁচে থাকে

কোন মানে হয়



এসবই বড় বেশী মাথার কোষে কোষে ছড়িয়ে যায়

ছড়িয়ে পড়ে

হিম হিম আঁধারে



মাছিটার চোখ খুঁজে ফেরা

রাজন চাচার একজোড়া

ঝিমধরা চোখ

এখনো আমার মধ্যরাতের

কাটা ছেঁড়া স্বপ্নের ভিতর

আনমনে ঘোরাফেরা করে ।।

মন্তব্য ২ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (২) মন্তব্য লিখুন

১| ১৫ ই জানুয়ারি, ২০১৬ সকাল ১০:২৫

জুন বলেছেন: ভালোলাগলো

১৫ ই জানুয়ারি, ২০১৬ দুপুর ২:০৮

ফেলুদার তোপসে বলেছেন: ভাল লেগেছে শুনে খুশি হলাম, অনেক অনেক ভাল থাকুন।।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.