![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
দিনরাত সাদা-কালো জীবনের মধ্যে এক্কাদোক্কা খেলতে খেলতে হারিয়ে যাই অচেনা দুপুরের কোলে। বাকি থেকে যায় কিছু মরচে পড়া নিঃশ্বাস, কয়েকটা পোড়া স্বপ্ন আর কিছু ব্যক্তিগত উন্নাসিকতা। রাত আসে, শহর ঘুমিয়ে পড়ে... আর মন পড়ে থাকে কোনও একলা ছাদের অন্ধকারে। এভাবেই চলছে জীবন... এভাবেই মাঝে মাঝে ভিড় করে আসে রাত জাগানো শব্দেরা। ইচ্ছে, কবিতা, প্রেম, রাস্তা, অন্ধকার... আমি।
ছোটোমাসি কম বয়সে বাজ পড়াকে বলত তড়িত৷ বর্ষায় কালো আকাশের গায়ে আলোর রেখা দেখলেই খুশি হয়ে উঠত৷ বিয়ের পর, বর্ষা এলে মেসোদের বাঙলোর জানলায় দাঁড়িয়ে আলোর ঝলকের অপেক্ষা করত সুন্দরী, গৃহকর্ম নিপুণা ছোটোমাসি৷ ঠোঁট নড়ত না, মুখ দেখে মনে হত কার সঙ্গে যেন কথা বলে চলেছে অনর্গল৷ বর্ষাকাল এলেই মানুষটা আলুথালু৷ আটকে পড়া অজানা কথোপকথনে৷
মা বলত, 'শঙ্কর খুবই ভালো ছেলে৷ রুপুটার সঙ্গে মানিয়ে গুছিয়ে নিয়েছে দিব্যি৷' মাকে এর চেয়ে বেশি কিছু বলতে শুনিনি৷ কিন্তু খবর যা আসছিল তাতে অগোছালো হয়ে যাচ্ছিল আমাদের পরিচিত পৃথিবীটা৷ মাসি নাকি প্রচণ্ড ঝড় বৃষ্টির ভেতর দোমহানি চলে গিয়ে চুপটি করে ভিজছিল একদিন৷ অনেক কষ্টে তাকে ফেরাতে হয়েছে৷ আবার জানা গেল স্পোর্টস কমপ্লেক্সের মাঠে একা বসে আকাশ-ভাঙা বৃষ্টি আর বাজের দিকে হাঁ করে তাকিয়ে ছিল ছোটোমাসি৷
আমরা বুঝতে পারছিলাম মাসি বোধবুদ্ধির সীমানাগুলো আস্তে আস্তে পেরিয়ে চলে যাচ্ছে৷ ফিরবে না৷ বর্ষা এলেই কিছু না কিছুর জন্য প্রস্তুত হয়ে থাকতাম৷
বছর দশেক পর এল শেষ খবরটা৷ মাসি নাকি হাইওয়ে ধরে আকাশের দিকে মুখ তুলে ভিজতে ভিজতে উল্টো দিকে হাঁটছিল৷ রানওভার৷ হাসপাতালে নেওয়ার সময়টা অবধি পাওয়া যায়নি৷
এই ঘটনার অনেক পরে জেনেছিলাম তড়িত্ মামার কথা৷ ছোটোমাসির ইউনিভার্সিটির ক্লাসমেট৷
প্রেম৷
মামাবড়িতে নাকি যাতায়াতও ছিল৷ কিন্তু দাদুই জোর করে বিয়েটা হতে দেননি৷
২২ শে ডিসেম্বর, ২০১৬ সকাল ১০:৩৭
ফেলুদার তোপসে বলেছেন: জীবন থেকে নেওয়া গল্পগুলো চমতকারই হয়, ছোটোমাসির চেহারাটা আমার আজ মনে নেই, সত্যিই স্মৃতি বড়ই বেইমান।।
২| ২২ শে ডিসেম্বর, ২০১৬ সকাল ১১:১০
মোস্তফা সোহেল বলেছেন: ছোট গল্প গভীরতা অনেক।
ভাল থাকুন
©somewhere in net ltd.
১|
২২ শে ডিসেম্বর, ২০১৬ সকাল ১০:২৯
ঢাকাবাসী বলেছেন: চমৎকার গল্প, ভাল লাগল।