![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
অভিপ্রাযনের(Migration) মাধ্যমে গড়ে ওঠা বাংলা জনপদের নিজস্ব মৌলিক জাতির(Origin) প্রতি টানের কারনেই বাংলা জনপদের বর্তমান অধিবাসীদের বাংলার জাতিয়তাবোধ সেভাবে গড়ে ওঠে নাই। মৌলিক জাতির অভিপ্রাযনের অধ্যায় শেষ হয়ে গেছে প্রায় ৪০০ বছর তারপরও গড়ে ওঠে নাই। এর জন্য দায়ী জাতিগত ও ধর্মীয় বিদ্বেষ যা কখনই এই জাতিকে এক ছাতার নিচে এসে দাঁড়াবার সুযোগ দেয় নাই।
মুসলমানরা সাম্যে বিশ্বাসী। মুসলিম সাম্যে বিশ্বাসী। ইহা গ্রন্থীয় বানী। মধ্যযুগের বাঙ্গালী মুসলমানদের মধ্যে ইহার প্রয়োগ আদৌ দেখা যেত না। যদিও মধ্যযুগের বাঙ্গালী মুসলমানদের মধ্যে কোন বর্ণ প্রথা(Caste System) ছিল না। কিন্তু সনাতন ধর্মের বর্ণ প্রথাকে মধ্যযুগীয় মুসলমানেরা সুকৌশলে ব্যাবহার করে আদিবাসীদের ধর্মান্তর করে। ইহা বাহুল্য যে মধ্যযুগের বাঙ্গালী মুসলমানদের মধ্যে একটি অলিখিত জাত প্রথা বিরাজ করত। যার প্রভাব সমাজে এখনও রয়ে গেছে। মুঘল বংশ ও ইহাদের ছাঁটকাট ও মুঘলদের মনোনীত জমিদারদের মধ্যে এর প্রভাব দেখা যেত। তাদের মধ্যে অতি লক্ষনীয় যে বিষয়টি হল, তাদের বাংলা জনপদ ও বাংলা ভাষাভাষীদের উপর চরম বিদ্বেষ ছিল। মধ্যযুগ হতে ভাষা আন্দোলনের পূর্ব পর্যন্ত আরবি, ফার্সি ও উর্দু ভাষাভাষীদের কদর ছিল ভিন্ন। অপর পক্ষে বাংলা ভাষাভাষীদের নিচু জাত বলে আখ্যায়িত করা হত। পরবর্তী কালে সেই জনগোষ্ঠীর বৈধ ও অবৈধ উত্তরাধিকার ও তাদের প্রবর্তিত শিক্ষা ব্যাবস্থায় শিক্ষিত জনগোষ্ঠীর বৃদ্ধিই বাংলা জাতীয়তাবোধকে গোড়া হতে শক্ত হতে দেয় নাই। যার প্রমান আজও পাওয়া যায়। মহান ভাষা আন্দোলনে জাতীয়তা বোধের চেতনা কাজ করলেও কালের আবর্তে তা আবার হারিয়ে যায়। ১৯৭১ এর প্রেক্ষাপট ভিন্ন। সেখানে জাতীয়তাবোধ হতে শোষকের প্রতি তীব্র ক্ষোভ অধিক পরিমানে কাজ করে।
জাতীয়তাবোধ ও দেশপ্রেমের মূলশর্ত হল, স্বজাতীর প্রতি সম্মান। অবিশ্বাস্য হলেও সত্য স্বজাতির প্রতি সম্মানবোধ বাঙ্গালীর কখনই গড়ে উঠে নাই। একটি ক্ষুদ্র উদাহরনঃ বাঙ্গালীর কোন ভুলের কথা কেউ বর্ণনা করতে গেলে প্রথমেই একটি কটু বাক্য বিশেষন হিসেবে যোগ করে, অথচ সেই ভুল শুধরে সঠিক পথ অবলম্বন করার পথটি কেউ নির্দেশ করে না। ইহা বড়ই লজ্জার বিষয়
©somewhere in net ltd.