নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

ব্ল্যাইন্ড আইজ

ব্ল্যাইন্ড আইজ › বিস্তারিত পোস্টঃ

প্রজন্ম চত্বর ও বাংলাদেশের ভবিষ্যৎ রাজনীতি

২৩ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৩ সন্ধ্যা ৭:৫৫

প্রথমে বলে রাখি যে এই লেখায় আমি শুধু মাত্র আমার বেক্তিগত মতামত একটা নির্দিষ্ট আঙ্গিকে প্রকাশ করছি।



শাহাবাগ চত্বর, গন জাগরণ মঞ্চ অথবা প্রজন্ম চত্বর যেই নামেই ডাকুন না কেন এই জায়গাটা বাংলাদেশের ইতিহাসের একটি অবিচ্ছেদ্য অংশ হিসেবে পরিনত হয়েছে। এখানে একটা বিষয় উল্লেখ করতেই হয় যে এই গন জাগরণ সকল স্তরে আলোড়ন সৃষ্টি করেছে। এটাও সত্যি যে বিভিন্ন স্তরের মানুষ এই জাগরণের সম্পর্কে ভিন্ন ভিন্ন মতবাদ, ভিন্ন ভিন্ন চিন্তাধারা পোষণ করছেন।



যত জাই বলুন না কেন একটা বিষয় হয়তো সুস্পষ্ট, যে এই নতুন প্রজন্ম প্রয়োজনে একাত্মতা ঘোষণা করতে পারে এবং প্রয়োজনে তারা শান্তিপূর্ণভাবে আন্দোলন করতে পারে। এই শাহাবাগ ইতিহাসের পাতায় সব সময় তারই সাক্ষ্য দিবে।



অনেকে এটাকে ‘ফ্যাসিবাদের’ আন্দোলন হিসেবে আখ্যায়িত করছেন। তাদের মনে রাখা উচিৎ, কালের বিবরতনে যখন মানুষ আগুন প্রথম আবিষ্কার করে তখন এক দল এটাকে স্বাগত জানায় ও ব্যবহার করতে শুরু করে। আরেক দল এটাকে নিয়ে কুৎসা রটনা করে ও আরেক দল অপেক্ষা করে দেখার জন্য যে কোন পক্ষ শেষে জয়ই হয়। ইসলাম প্রচার করার সময়ও মধ্যপ্রাচ্চে এই একি বিষয় লক্ষ্য করা যায়। এখন এই আধুনিক যুগেও এই একই ঘটনার পুনারাবৃত্তি দেখা যাচ্ছে; এক দল এই আন্দোলনের সপক্ষে, এক দল এর বিপক্ষে আর এক দল অপেক্ষা করছে কোন দিকে যাওয়া যায় (ছাতি পার্টি)।



আমি এইখানে আন্দোলনের সাফাই গাচ্ছিনা। আমি বলতে চাচ্ছি যে প্রতিটা জিনিসের ভাল ও মন্দ দিক রয়েছে তাই এখন প্রশ্ন হচ্ছে আমরা কিভাবে সেটাকে দেখি। আমরা অনেকে জানি যে পবিত্র হজ্জের সময়ও হাজীদের জিনিস পত্র, টাকা পয়সা চুরি করে এক দল, তাহলে হজ্জকে নিয়ে কুৎসা রটনা করাটা কি ঠিক হবে। আমাদের এই দেশে পবিত্র শবেবরাতের রাতে আমরা অনেকেই মসজিদে নামায পড়তে যাই এবং সেই রাতেই দেখা যায় যে বিভিন্ন মসজিদ থেকে আমাদের জুতা চুরি হয়; তাহলে কি আমরা এই রাতের পবিত্রতা নিয়ে প্রশ্ন তুলবো। কখনই না। একটা বিষয় সবার কাছে সুস্পষ্ট হওয়া প্রয়োজন, যে আমাদের মধ্যে কিছু খারাপ লোকের কার্যকলাপের জন্য কখনও আমারা পুরো জাতি, ধর্ম, আন্দোলন অথবা অন্য কোন কিছুকে কলশিত করতে দিতে পারি না।



শাহাবাগের যেসব ঘটনাগুলো কিছু বেক্তি, দল ও প্রতিষ্ঠান সাধারণ জনগনের মধ্যে তুলে ধরেছে তা নিয়ে অনেক দ্বিধা দন্দ রয়েছে। প্রথমত ছবি, ভিডিও, ব্লগ ও ওয়েবসাইট কম্পিউটারের সফটওয়্যারের সাহায্যে এডিট করে তৈরি করা যায়; তাই যারা এই সব দেখছেন তাদের উচিৎ এই বেপারে খেয়াল রাখা। কারন আমাদের প্রিয় নবী মুহাম্মাদ (সাঃ) বলেছেন যে কোন তথ্য পেলে মোসলমানের উচিৎ সেটার সত্যতা যাচাই করা ও তারপর পেশ করা। দ্বিতীয়ত, কিছু শঙ্খক মানুষের জন্য পুরো বিষয়টাকে কলশিত করা কি ঠিক হবে? যদিও বাংলাদেশিদের মধ্যে নেগেটিভ চিন্তা করার প্রবনতা রয়েছে, কিন্তু এখন সময় মানসিকতার পরিবর্তন করা।



অনেক মোসলমান মিথ্যা কথা বলে, জিনা করে ও মদ পান (দুঃখিত সারাব পান) করে তাই বলে কি ইসলাম বা মোসলমান জাতির সবাইকে খারাপ বলা যাবে। কখনই না। তাই এখানে আরেকটু বলে রাখি, পৃথিবীর বুকে যারা এই সব কাজ (কিছু বিচ্ছিন্ন ঘটনার জন্য ইসলামের নিন্দা করা) করে ইসলামের প্রকিত শত্রুরা তারা।



এখন প্রশঙ্গ হচ্ছে রাজনীতিবিদের নিয়ে। রাজনীতিবিদরা রাজনীতি করবেই কারন এটাই তাদের পেশা। রাজনীতি করা কোন খারাপ কিছু না কারন আমাদের প্রিয় নবী মুহাম্মাদ (সাঃ) রাজনীতি করেছেন, কিন্তু তাঁর রাজনীতি আল্লাহ্‌র বিধানের সাথে সাঙ্ঘরশিক ছিলও না কখনই।



স্বাধীনতার পর থেকে আমাদের দেশের অনেক রাজনীতিবিদরা বিভিন্ন সময় তাদের নিজস্ব স্বার্থ উদ্ধার করার উদ্ধেশে ভিন্ন ভিন্ন দলে যোগ দিয়েছেন, সাঙ্ঘরশিক মতবাদ পেশ করেছেন ও বিভিন্ন জন গোষ্ঠীকে ব্যবহার করেছেন। তাদের একটাই উদ্ধেশ ছিল, যে কোন মুল্যে, ‌ক্ষমতায় টিকে থাকা, যার কারনে তারা অনেক সময়ই ইতিহাসেরও বিক্রিতি করেছে। কিন্ত তারা জান্তেন্না যে সত্যি এমন একটা কঠিন বাস্তব যেটাকে মিথ্যা দিয়ে দাবিয়ে রাখা অশম্ভব, সত্য প্রকাশ হবেই। তারই প্রমান এই গন জাগরণ; ৪২ বছরের নানা নিপীড়ন, কলসিত ইসিহাস ও রাজনীতির বিভাদ-বিছছেদ্দের মধ্য দিয়ে এই তরুণ সমাজ একত্রীত হতে সক্ষম হয়েছে এবং প্রমান করেছে যে তারা অন্যায়ের বরুদ্ধে আওয়াজ তুলতে পারে একত্রে। তাই ঐসব রাজনীতিবিদের উচিৎ তাদের রাজনীতির অবকাঠামো, নিতি ও চিন্তা ভাবনা পরিবর্তন করা। কারন এই জাগরণ একটি বিষয় সুস্পষ্ট করে দিয়েছে যে এই মাটিতে ভিন্ন ভিন্ন মতবাদের রাজনৈতিক দল থাকবে; কিন্তু তাদের অব্বস্থান কখনই কোন ভাবে আমাদের স্বাধীনতার বিরুদ্ধে অবস্থান করতে পারবে না। তাই এখনি সময় রাজনীতির সঙস্কার করা, নয়ত এই তরুণ সমাজ যে কোন দলকে যে কোন সময় বয়কট করতে দ্বিধা করবে না।



আমি জানিনা এই জাগরণের শেষে কি হবে, এইটা শুধু আল্লাহ্‌ (সূভা নাউ তালা) বলতে পারবেন। আমি শুধু এইটাই বলব, যে নতুন প্রজন্ম যুদ্ধ অপরাধীদের বিরুদ্ধে অবস্থান নিতে পারে; এই একি নতুন প্রজন্ম দুর্নীতিবাজদের ও সাম্রাজ্যবাদের বিপক্ষে অবস্থান নিতে পিছ পা হবে বলে আমি মনে করি না।



আমি আমার সাধ্যমতো পর্যালোচনা করার চেষ্টা করেছি। তাই যাদের প্রশ্ন আছে এই বিষয়ে দয়া করে কোন অবান্তর প্রশ্ন করবেন না; কারন আমরা কাঁঠাল পাতা খাই না...।

মন্তব্য ০ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (০) মন্তব্য লিখুন

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.