![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
এটা বলা বাহুল্য যেকোনো স্বাধীন রাষ্ট্রে সবার বাক স্বাধীনতা থাকা উচিৎ। আমাদের স্বাধীন দেশে অবশ্যই এই একি জিনিস প্রচলন থাকাটা অত্যন্ত জরুরী।
তাই আমাদের প্রধান বিরোধী দলকে অভিনন্দন যে তারা বিশ্বাস করে বাক স্বাধীনতায়; কারন একটি সম্মেলনে (২৭.০২.২০১৩) তারা একটি পত্রিকার ভারপ্রাপ্ত সম্পাদকের পক্ষে এই যুক্তি দিয়েছেন ও আরও বলেছেন তাদের দলের উচিৎ ঐ বেক্তিকে রক্ষা করা এবং বাক স্বাধীনতা নিশ্চিত করা। আবারও অভিনন্দন যে আপনারা এই ক্ষেত্রে আপনাদের মতবাদ স্পষ্ট করে বলেছেন।
এখন একটু বিস্লেশন করি পূর্বে ঘটে যাওয়া কিছু ঘটনার। যেহেতু প্রধান বিরোধী দল বাক স্বাধীনতার পক্ষে তাহলে এটা ধরে নেই যে তারা সর্বস্তরের মানুষের বাক স্বাধীনতার পক্ষে। তাহলে প্রশ্ন ওঠে, যে ব্লগার তার বাক স্বাধীনতার জন্য প্রান দিল তখন আপনারা কোথায় ছিলেন। নাকি এটা ভাববো যে তখন কথা বললে আপনাদের দলের কারও কারও মন খুব খারাপ হত। তাহলে কি বাক স্বাধীনতা শুধুই তাদের জন্য, যাদের দিয়ে আপনারা কিছু রাজনৈতিক ফয়দা লুটতে পারবেন। আপনারা যখন কোন গতি না দেখেন তখন ইসলামের দোহাই দেন ও ইসলাম রক্ষা করার দোহাই দেন। কেন?
শুরুবারের (২২.০২.২০১৩) মসজিদে নামাজের পরে ঘটে যাওয়া ঘটনাটা যে কতটা ইসলামিক তা বোঝার হয়তো বাংলাদেশের মানুষের আর বাকি নেই। আপনারা যখন ইসলামের কথা বলেন তখন প্রশ্ন ওঠে, হযরত শাহা জালাল (রাঃ) মাজারে যখন বোমা মারা হয় তা কতটা ইসলামিক; কিন্তু তখন আপনারা নিসছুপ কারন আপনাদের কেউ কেউজে কনে মন খারাপ করবে।
আপনারা হয়তো খুব ভালো করে জানেন যে পৃথিবীতে ধর্ম-বর্ণ নির্বিশেষে অনেকেই আমাদের ইসলাম ধর্ম ও আমাদের প্রান প্রিয় মহানবী মুহাম্মাদ (সাঃ) কে নিয়ে অনেক কটাক্ষ করে; তাহলে তখন আপনারা ও আপনাদের তথাকথিত ইসলামিক দল কেন কোনও প্রতীবাদ জানায় না। তারা পারে ‘তসলিমা নাসরিনের’ বই পড়াতে যাতে মানুষ কউতুহলের বশে তার বই আরও কিনে ও পরে; তাতে ইসলামের কতোটা লাভ হয়েছে জানি না কিন্তু ‘তসলিমা নাসরিন’ সহ প্রকাশকের যে লাভ হয়েছে তাতে কোন সন্দেহ নেই।
হুমায়ূন আযাদকে যখন তার লেখার জন্য প্রান দিতে হয়েছিল তখন কোথায় ছিল এই বাক স্বাধীনতার বিবৃতি; আপনারা কি মনে করেন যে এই তরুণ সমাজ কাঁঠাল পাতা খায়? যা ইচ্ছা, যখন ইচ্ছা বলবেন, চাপিয়ে দেবেন আর আমরা জি হুজুর জি হুজুর বলতে বলতে তা মাথা পেতে নিবে। যদি এখনও এই বিভ্রান্তির মধ্যে থাকেন তাহলে সময় এসেছে একটু সূচিন্তা-ভাবনা করে কথা বলার। তারপর যত ইচ্ছা ততো মাতা দুলিয়ে ও হাত নাড়িয়ে, জোকারের ভঙ্গিমায়, কথা বলবেন।
কারন তরুণ সমাজকে নিয়ে আপনারা কি মনে করেন জানি না, আমরা যাই হই কাঁঠাল পাতা খাই না।
©somewhere in net ltd.