![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
আমাদের দেশের বেশ কিছুদিনের ঘটে যাওয়া ঘটনা পরও কিছু অবুজ জনগণ প্রশ্ন তোলে যে এখনকার জামাত-শিবির কর্মীরা কি করে রাজাকার হয়; তারা তো ১৯৭১ সালে জন্মই হয় নাই। রাজাকার শব্দের অর্থ হচ্ছে ‘স্বেচ্ছা সেবক’। তাই যারা ১৯৭১ সালে হানাদার বাহিনিকে স্বেচ্ছায় সাহায্য করেছেন তাদের রাজাকার বলা হয়। অতএব এখন যারা ঐ যুদ্ধ অপরাধীদের জন্য স্বেচ্ছায় সহিংসতা সৃষ্টি করছেন তাদের আর কি বলা যাবে- নতুন প্রজন্মের রাজাকার ছাড়া।
আবার অনেকে অতি মাত্রার ভদ্র মানুষ সাজার চেষ্টায় বলেন, যে কি প্রয়োজন এই নিঃসংশয়তার এই তরুণ জামাত-শিবিরদেরকে বোঝালেই হয়। তাদের উদ্দেশে বলছি, ঐ তরুণ জামাত-শিবিরদেরকে এমন ভাবে বোঝানো হয়ে গিয়েছে যে তারা বিশ্বাস করেন ‘মরলে শহীদ ও বাঁচলে গাজী’। একজন পেশাদার খুনির সাথে এই জামাত-শিবিরের পার্থক্য হচ্ছে যে, ঐ পেশাদার খুনি খুন করে এসে হয়তো মনে করেন সে একটা জঘন্য কাজ করেছেন অথচ রগ কেটে বা গলা কেটে জামাত-শিবির মনে করেন তারা একটা পুণ্য কাজ করেছেন যার বদলোতে আল্লাহ্তায়ালাও তাকে আখিরাতে পুরস্কিত করবেন। তাই এদেরকে বোঝাতে গেলে রগ বা গলা যেকোনো সময় কেটে যেতে পারে।
তাই এখানে একটা বিষয় বলা বাহুল্য যে এই তরুণ প্রজন্মের জামাত-শিবিরদের মস্তিস্ক এতটাই ধলাই করা যেটাকে পরিপূর্ণ ভাবে পরিষ্কার করা প্রায় অসম্ভব। আমি বলি তাদের মস্তিস্ক এক জাতীয় আঠাল আবর্জনা দিয়ে ভরপুর তাই এটাকে যতই পরিষ্কার করিনা কেন কিছু না কিছু লেগে থাকবেই। তাই মহান আল্লাহতায়ালার হেদায়েত ছাড়া এদের কোন পরিবর্তন আনা প্রায় অশম্ভব।
আর আমাদের নিরাশ না করে এই তরুণ জামাত-শিবিরা তাদের সুপ্ত দক্ষতা গোটা জাতির সামনে তুলে ধরেছে ‘দেইল্লা’ রাজাকারের রায়ের পর। তারা যে একটি সন্ত্রাসী দল বার বার এটি শুধু বাংলাদেশে নয় গোটা পৃথিবীর মানুষের কাছে প্রমাণ করেছেন। তাই যারা এই তরুণ রাজাকারদেরকে গান্ধিবাদিতে পরিবর্তন করতে চান, তাদের বলব ‘অল দা বেস্ট’।
©somewhere in net ltd.