![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
অনেক বাংলাদেশী আমার সাথে হয়তো একমত হবেন যে বিদেশে সফর কালে আমরা বিভিন্ন জায়গায় ভিন্ন ভিন্ন কায়দায় দেহ তাল্লাশির স্বীকার হই। অনেক সময় দেখি আমাদের পাশ দিয়ে অনেক বিদেশীরা তল্লাশি ছাড়াই চলে যাচ্ছেন এবং আমাদের দিকে এক রকম আবাক দৃষ্টিতে তাকাচ্ছেন। এরকম সময় আপনাদের কেমন লাগে জানি না কিন্তু আমার অনেক খারাপ লাগে ও মনে হয় আমরা কি আন্তর্জাতিক সন্ত্রাসী নাকি?
পৃথিবীর অনেক দেশেই ইসলাম ধর্মের অনুসারীদের (পুরুস-মহিলা নির্বিশেষে) এরকম অনেক অপ্রীতিকর ঘটনার শিকার হতে হয়েছে। কিন্তু প্রশ্ন ওঠে ঐ অবস্থান থেকে বের হয়ে আসতে মুসলমানরা কি কোন চেষ্টা করেছে? নাকি তারা আরও নৃশংস সহিংসতার প্রমাণ গোটা বিশ্বকে তুলে দিয়েছে।
শুক্রুবারের (২২.০২.২০১৩) বায়তুল মুক্কাররম মসজিদে জুম্মা নামাজের পর ঘটে যাওয়া ঘটনা তারই শাক্ষ দিবে। অনেকে প্রশ্ন করে কি করে নামাজের সময় মসজিদের ফ্লোরের টালি খোলা হলো? তাহলে মনে হয় নামাজ পড়াটা ছিল দ্বিতীয় উদ্দেশ্য আর সহিংসতা করাটা ছিল প্রথম। ঐ ঘটনার পরে একজন কুখ্যাত নর পশুকে, তার প্রাপ্য সাঁজা থেকে, বাঁচানোর জন্য ঐ একি গোস্টির মানুষরা ইসলামের লেবাচ নিয়ে সারা দেশে সহিংসতা ছড়িয়ে দিয়েছে। এর প্রতিফলন আমরা এই (০১.০৩.২০১৩) শুক্রুবারের জুম্মার নামাজের পূর্বে দেখতে পেলাম; যখন আইন শৃঙ্খলা বাহিনী জুম্মার নামায পড়তে আসা মুসল্লিদের দেহ চল্লাশি করল। ভাবতে অবাক লাগে ও কষ্টও হয় আমার দেশে আমারই ভাইরা আমাদের বিশ্বাস করে না।
যদিও প্রধান বিরোধী দলের এক নেতা, জোকারের মতন হাত নাড়িয়ে ও মাথা দুলিয়ে, ইসলামিক ফাউণ্ডেশানকে দোষারোপ করলেন কারন ঐ ফাউণ্ডেশানটি রাজনৈতিক ব্যাবহার থেকে দেশের মসজিদগুলোকে বিরত থাকতে উনুরোধ করেছেন। ঐ জোকারের ভঙ্গিমা করতে করতে হয়তো উনি ভুলেই গেছেন যে মসজিদে ওনাদের সন্ত্রাসীরা ছাড়াও অনেক সাধারণ মানুষ যায় পবিত্র মন নিয়ে নামাজ পড়তে। আর তাই আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর অবশ্যই উচিৎ খুব কঠিন ভাবে দেহ তল্লাশি করে সাধারণ জনগনের নিরাপত্তা নিশ্চিত করা ওনাদের পাঠানো সন্ত্রাসীদের থেকে।
তবুও, ভাবতে ও মানতে কষ্ট হয় যে আমার দেশেই যদি এই হয়; তা হলে ঐসব নৈরাজ্য দেখার পর বিদেশীরা আমাদের এখন কোন চোখে দেখবেন।
তাই ঐ নর পশু রাজাকার ও তাদের দোসর জামাত-শিবির কিছু করুক আর নাই করুক আমার দেশের সর্বস্তরের জনগনের ভাবমূর্তি গোটা বিশ্বের কাছে নষ্ট করে দিয়েছে। হয়তো এর প্রতিফলন খুব শীঘ্রই দেখব যখনই আমরা দেশের বাহিরে ভ্রমনে যাব।
©somewhere in net ltd.