নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
Sometimes people dont want to hear the truth because they dont want their illusions destroyed. Friedrich Nietzsche
আমি জানিনা কাশ্মীরের মেয়েটাকে লাঞ্ছনাকারী উত্তরার শহীদ মনসুর আলী মেডিকেল কলেজের ওই ছাত্রদের ব্যাক-আপ অনেক বড় কিনা। তাদের ছয়জনকে ১-৩ বছরের জন্য বহিষ্কার করা হয়েছে। বাকি চারজন সাহায্যকারীর সরাসরি সম্পৃক্ততা পাওয়া যায়নি জন্য ছেড়ে দেওয়া হয়েছে।
এইসব সাময়িক বহিষ্কার কোন শাস্তির পর্যায়ে পড়েনা। ছয়মাস পরে দেখা যাবে তারা ক্লাস শুরু করবে। কেউ কিছু মনে রাখবেনা, পাত্তাও দিবেনা। আর মেডিক্যালে এইসব এক-দুই বছর লস যাওয়া কোন ব্যাপারই না। অনেকের এমনিই যায়।
সবচেয়ে ভয়াবহ ব্যাপার হল, এই কলুষিত নরকের কীটগুলো একটা সময় পাশ করে ডাক্তার হবে। তাদের নোংরা হাত দিয়ে আমাদের মেয়েদের স্পর্শ করবে। ভাবতেও আমার গা ঘিনঘিন করে উঠছে!
তারা যে অপরাধ করেছে সেটার জন্য তাদের কী শাস্তি দেয়া উচিত সেটা আলাদা বিষয়। আমার কথা হল তাদের ডাক্তারি পড়তে দেওয়া উচিত না। ডাক্তারি সার্টিফিকেট আক্ষরিক অর্থেই লাইসেন্স টু কিল, লাইসেন্স টু টাচ। অযোগ্যদের হাতে সেই লাইসেন্স চলে গেলে আমাদের জীবন ও সম্মানের নিরাপত্তা থাকবেনা।
কার্টেসিঃ Click This Link
লেখাটা পড়ে খুব খারাপ লাগল। কিছুদিন আগে কাশ্মীরের একটি মেয়েকে কলেজ ক্যাম্পাস থেকে গাড়িতে করে তুলে নিয়ে যায় সেই মেডিকেল কলেজের বড়ভাই খ্যাত কয়েকজন। তুলে নিয়ে যাবার কয়েক ঘন্টা পর মেয়েটি কাঁদতে কাঁদতে ফেরত আসে। এই নিয়ে মেয়েটি বিচার চাইতে গেলে তাকে কৌশলে হেনস্থা করা হয়। শেষে মেয়েটি তার নিজের দেশ কাশ্মীরে ফেরত যায়। বাইরের দেশ থেকে আমাদের দেশে পড়াশোনা করতে আসা একটি মেয়েকে আমরা এভাবে নিরাপত্তা দিলাম? আমাদের দেশের হাজার হাজার ছাত্র-ছাত্রী বিদেশে পড়তে যায়। যারা মেয়েটির সাথে খারাপ আচরণ করল, তাদের কি কঠোর শাস্তি হওয়া উচিত না? নিজের বিবেকের কাছে প্রশ্ন করুন। আর আমার অবাক লাগে মিডিয়ায় এই সংবাদটি তেমন কোন গুরুত্ব দিয়ে আসল না। এত কিসের ক্ষমতা তাদের? কিভাবে তারা পার পেয়ে গেল? অত্যন্ত হতাশ হয়ে ব্লগে লিখলাম। ব্লগের অনেকের তো বড় বড় লিঙ্ক আছে, তারা কেউ কিছু করতে পারেন কিনা দেখেন। এত বড় একটা অন্যায় করে এভাবে পার পেয়ে যেতে দেয়া যায় না।
সূত্রঃ প্রথম আলো।
৩০ শে মার্চ, ২০১৫ রাত ১০:৪৪
ইলুসন বলেছেন: ধন্যবাদ ভাই। লজ্জিত হয়ে আর কী হবে। দিনে দুপুরে নিজের দেশের মানুষ খুন করে চলে যায় কেউ কিছু বলে না, এটা তো কাশ্মীরের মেয়ে! মনটা খারাপ হয়ে গেল। আজকেও একজন ব্লগারকে হত্যা করা হল। মানুষ খুব মজা পাইতেছে যে নাস্তিক মারা গেছে। গাধাগুলা এটা বুঝে না যে আজকে নাস্তিক মারছে, কালকে তোকে মারবে, বলবে তোর মেয়ে ঘরের বাইরে যায় কেন, মেডিকেলে ছেলেদের সাথে একসাথে পড়ে কেন! দেখতে থাকেন শুধু। তাদের সাথে মতের অমিল হলেই হত্যা করবে, তখন আর আস্তিক নাস্তিক দেখবে না। ব্লগে নির্বাচিত পোস্ট নামের একটা বালের সিস্টেম চালু করছে, এসব পোস্ট তো এখন মানুষের চোখেও পড়ে না, আবার প্রতিবাদ করবে! নির্বাচিত পোস্ট চালু করে যে দিন থেকে ব্লগে এলিট শ্রেণী তৈরি করছে ওইদিন থেকে ব্লগের অপমৃত্যু হইছে। এর পরে ব্লগ থেকে বড় কোন মুভমেন্ট দেখি নাই। এখন সবাই ফেসবুকমুখী। অথচ দুই/ তিন বছর আগেও ব্লগ ছিল সমাজ বদলে দেয়ার মত একটা মাধ্যম। কিন্তু কে শুনে কার কথা। ভিজিটর থাকলেই হল, হুদাই আজাইরা মুভমেন্ট করে ব্লগ বন্ধ হবার রিস্ক কে নিবে!
©somewhere in net ltd.
১| ৩০ শে মার্চ, ২০১৫ দুপুর ২:১০
হাসান মাহবুব বলেছেন: ক্ষুদ্ধ এবং লজ্জিত হলাম।