নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

আমি ইলুসন! কোন লেখা শেয়ার করলে দয়া করে আমার আইডি উল্লেখপূর্বক শেয়ার করবেন।

ইলুসন

Sometimes people dont want to hear the truth because they dont want their illusions destroyed. Friedrich Nietzsche

ইলুসন › বিস্তারিত পোস্টঃ

উচ্চ শিক্ষা কি মানুষের মৌলিক অধিকার?

১০ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৫ রাত ৮:৫৭

আমরা সবাই জানি, শিক্ষা মানুষের মৌলিক অধিকার। কিন্তু উচ্চশিক্ষাটাও কি মৌলিক অধিকার? সরকার কি সবাইকে ফ্রিতে উচ্চশিক্ষার ব্যবস্থা করে দিতে বাধ্য?



উন্নত দেশগুলোতেও কিন্তু উচ্চশিক্ষা পুরোপুরি ফ্রি না। বিভিন্ন স্কলারশিপ আছে, টিচিং এসিস্ট্যান্ট হিসেবে বা অন্য কোন পার্টটাইম কাজ করার সুযোগ আছে, এ ছাড়া আছে লোন করে পড়ালেখা করার ব্যবস্থা। পড়ালেখা শেষ হলে সেই লোন শোধ করতে হয়। আমাদের দেশে প্রাথমিক শিক্ষা ফ্রিতে দেয়া হয়। কিন্তু উচ্চ-শিক্ষার বেলায় এসে বিভিন্ন পাবলিক ভার্সিটি/ সরকারি মেডিকেল কলেজগুলোতে নামমাত্রমূল্যে ছাত্র-ছাত্রীরা পড়ালেখা করে। যেহেতু আসন সংখ্যা সীমিত তাই তুমুল প্রতিযোগীতার মাধ্যমে এখানে ছাত্র-ছাত্রী ভর্তি করা হয়। বাকিদের জন্য জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের অধিনে সরকারি কলেজগুলোতে ভর্তির সুযোগ আছে। কিন্তু মানুষের আকাঙ্ক্ষা অনেক বৃদ্ধি পেয়েছে। জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ে কেউ আর পড়তে চায় না, টাকা থাকুক বা না থাকুক প্রাইভেটে নিজের পছন্দের বিষয়ে পড়ার জন্য অনেকে ভর্তি হচ্ছে। অবশ্য এটা না করে উপায়ও নেই। জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় থেকে পাশ করার পরে চাকরির বাজারে পিছিয়ে পড়তে হয়।



ভুরি ভুরি এ প্লাস পাইয়ে দিয়ে সরকার নিজের জনপ্রিয়তা বৃদ্ধি করছে, সেই সাথে অনেকের মনে অযথা উচ্চাকাঙ্ক্ষা সৃষ্টি করছে। আমাদের এটা মাথায় রাখতে হবে, সরকার আপনাকে শিক্ষা গ্রহনের সুযোগ দিতে বাধ্য কিন্তু আপনার পছন্দের বিষয়ে শিক্ষার সুযোগ করে দিতে সরকার বাধ্য নয়। সে সুযোগ আপনার নিজের করে নিতে হবে। আপনি যদি সেটা না পারেন সেটা আপনার ব্যর্থতা, সরকারের নয়! এত উচ্চাকাঙ্ক্ষা থাকার একটাই সমস্যা, সবাই ডাক্তার, ইঞ্জিনিয়ার হতে চায়! আর উচ্চশিক্ষার নাম করে এই সুযোগটাই নিচ্ছে কিছু ব্যবসায়ী। দেখা যায়, ছেলে এ প্লাস পেয়েছে, সরকারি কোথাও চান্স পায়নি, বাবা-মা জমি বিক্রি করে হলেও লাখ লাখ টাকা খরচ করে তাকে প্রাইভেটে ভর্তি করে। এখানে লাভবান হচ্ছে কারা? আমাদের দেশে কি বেসরকারি মেডিকেল বা ভার্সিটিগুলো সর্বোচ্চ কতটাকা টিউশন ফি নিতে পারবে এমন কোন আইন আছে? টিউশন ফি বাদ দিলাম, এরা এই ফি, ঐ ফি করে কোটি কোটি টাকা হাতিয়ে নেয় নিরীহ মানুষের কাছ থেকে। সরকার এদের বিরুদ্ধে তো কিছুই করছে না, উলটা ছাত্র-ছাত্রীদের উপর ভ্যাট নামক বোঝা চাপিয়ে দিচ্ছে! সরকার কেন এদের বিরুদ্ধে কিছু করছে না? কিভাবে সরকার এদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিবে? যে কোন প্রাইভেট ভার্সিটি/ মেডিকেল অনুমোদন নেয়ার সময় সরকারের উচ্চপদস্থ লোকদের অনেক টাকা ঘুষ (স্পিড মানি :P ) দেয়া হয়। যাদের থেকে এত টাকা নিল তাদের বিরুদ্ধে তো চাইলেই আর ব্যবস্থা নেয়া যায় না! এ জন্য তারা তাদের ইচ্ছামত টিউশন ফি নেয়। আমার মতে এটার বিরুদ্ধেও আন্দোলন হওয়া দরকার, এত বেশি টিউশন ফি নিবে কেন? সরকারকে ভ্যাট দিতে আপনাদের কষ্ট হয়, সেটা বাতিল করার জন্য যদি আপনারা সরকারে বিরুদ্ধে আন্দোলন করতে পারেন, তাহলে আপনারা কেন প্রাইভেট ভার্সিটির অতিরিক্ত টিউশন ফির বিরুদ্ধে আন্দোলন করেন না? আমার যা ধারণা অনেক বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ মৌনসম্মতি দিয়ে ছাত্র-ছাত্রীদের মাঠে নামিয়েছে। (এটা শুধুই আমার ধারণা, এটা ভুলও হতে পারে!) গুলি কিন্তু তারা খাচ্ছে না, গুলি খাচ্ছে নিরীহ ছাত্র-ছাত্রীরা।


একটু আগে একটা মেসেজ পেলাম মোবাইলে, "Biddoman Tuition Fee er modhdhe VAT Ontorvukto Thakay VAT Porishodh Korar Dayitto Sompurnorupe Besorkari BIsshobiddaloy Kotripokhkher, Chatroder Noy- NBR."
এই মেসেজ পড়ে আমার খুব হাসি পেল। ট্যাক্স আর ভ্যাটের মাঝে তফাত আছে। ট্যাক্স হচ্ছে সরাসরি কর, আর ভ্যাট হল পরোক্ষ কর। আপনি যদি বাজার থেকে কোন পণ্য কিনেন তাহলে ১০০ টাকার পণ্য কিনলে আপনাকে ১১৫ টাকা দিতে হবে, এই ১৫ টাকা সরকারের কোষাগারে যাবে। এটাই হচ্ছে ভ্যাট। এই ভ্যাট কিন্তু বিক্রেতা বা দোকানদার দিচ্ছে না, এই ভ্যাট দিচ্ছে ক্রেতা। দোকানদার তো তার ব্যবসায়ের লাইসেন্স, দোকানের লাইসেন্স, ইনকাম ট্যাক্স এসব দিচ্ছে। আমাদের দেশে মানুষকে বোকা বানানো খুবই সোজা। সরকার চাপে পড়ে এখন এসব কথা বলছে। রাজস্ব কর্মকর্তারা ট্যাক্স আর ভ্যাটের পার্থক্য বুঝে না, সেটা আমি বিশ্বাস করি না। আর এখন টিউশন ফি না বাড়ালেও পরে ঠিকই কর্তৃপক্ষ নানান অযুহাতে টিউশন ফি বাড়িয়ে এই বাড়তি টাকা আদায় করবে আপনাদের কাছ থেকে। তখন কিন্তু একা একা আর আন্দোলন করতে পারবেন না আপনার প্রিয় (!) প্রাইভেট মেডিকেল/ ভার্সিটির বিরুদ্ধে!


বিঃদ্রঃ এই লেখায় অনেক কঠিন কঠিন কথা বলেছি। প্রাইভেটে পড়েন এমন কেউ আমার কথায় কষ্ট পেলে, আমি দুঃখিত। আমি শুধু বাস্তবতাটাই আপনাদের বুঝাতে চেয়েছি। হয়ত এসএসসি বা এইচএসসিতে ঠিকমত পড়ালেখা করেননি বা অন্যকোন কারণে সরকারি কোথাও চান্স পাননি, এ জন্য আপনার নিজেকে ছোট ভাবার কোন কারণ নেই। আপনি যেখানেই পড়েন না কেন, যদি আপনার মধ্যে পরিশ্রম করার ক্ষমতা, আর একাগ্রতা থাকে তাহলে আপনাকে কেউ থামাতে পারবে না। প্রাইভেটে পড়েও আপনি জীবনে এমন কিছু করতে পারবেন যা সরকারিতে পড়া আলসেরা কল্পনাও করতে পারবে না।

মন্তব্য ২২ টি রেটিং +২/-০

মন্তব্য (২২) মন্তব্য লিখুন

১| ১০ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৫ রাত ৯:২৬

ফাহাদ মুরতাযা বলেছেন:

:D :D :D :D
কিছু লোক চামে চামে কথা বলতে চায় ।

"আমাদের এটা মাথায় রাখতে হবে, সরকার আপনাকে শিক্ষা গ্রহনের সুযোগ দিতে বাধ্য কিন্তু আপনার পছন্দের বিষয়ে শিক্ষার সুযোগ করে দিতে সরকার বাধ্য নয়। সে সুযোগ আপনার নিজের করে নিতে হবে। আপনি যদি সেটা না পারেন সেটা আপনার ব্যর্থতা, সরকারের নয়! "
নো ভ্যাট এর সাথে এটার কি সম্পর্ক????
কেউ কি বলছে, যেহেতু "পছন্দের বিষয়ে শিক্ষার সুযোগ করে দিতে সরকার" পারে নাই সেহেতু ভ্যাট দিতে পারব না????
মানে সম্পর্ক টা কি???
আবার লেখে-
"উন্নত দেশগুলোতেও কিন্তু উচ্চশিক্ষা পুরোপুরি ফ্রি না। "

উন্নত দেশের সাথে কেন তুলনা হবে??? এই ফাউল প্যাঁচাল না দিলে হয় না?? উন্নত দেশেরসাথে তো আর ১০০ বিষয়ে তুলনা করলে তো ধরা খাবেন, সুতারাং বাদ দেন।


মূল বিষয়ে থাকেন, ধান ভানতে শীবের গীতের দরকার নাই, দরকার হলে অন্য বিষয়ে পোস্ট দেন, এই বিষয়টা ভুক্তভগীদের জন্য অনেক সেনসেটিভ, এই বিষয়ে সরকারী ত্যানা প্যাচাবেন দয়া করে।

একটা ছরাঃ
"হলে শিষ্য মালের
বলবে তো কথা বালের"
(ভুল বুঝবেন না, বাল=B.A.L.= Bangladesh Awami League )


১০ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৫ রাত ৯:৪৪

ইলুসন বলেছেন: কিছু জায়গাতে যুক্তি দেখানো হচ্ছে সরকার ওদের উচ্চশিক্ষার ব্যবস্থা করে দিতে পারে নাই, তাই তারা প্রাইভেটে পড়ে। এ কারণেই কথাটা বলা। আমার পোস্টের মূল বিষয় ভ্যাট না। আমার পোস্টের মূল বিষয় সরকার সবাইকে তার পছন্দের বিষয়ে উচ্চশিক্ষার ব্যবস্থা করতে দিতে বাধ্য কিনা! আমি পোস্টের শিরোনামেই সেটা বলে দিসি। কেউ যদি ইলেকট্রিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং পড়তে চায় এবং কোন পাবলিক ইউনিভার্সিটিতে ইলেকট্রিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং চান্স না পায়, এটা তো সরকারের দায়িত্ব না তাকে ইলেক্ট্রিক্যাল ইঞ্জিনিয়ার বানানো। আমি ভ্যাটের বিরুদ্ধেও লিখছি, আপনি পুরা পোস্ট ভালমত পড়ে মন্তব্য করেন।

২| ১০ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৫ রাত ৯:৫৪

ফাহাদ মুরতাযা বলেছেন: শুরু হইসে প্যাঁচানো.......।

জী , আমি আপনার লেখার 'শিরোনাম' ও 'পুরা পোস্ট' 'ভালমত পড়ে মন্তব্য' করেছি। আপনি যদি খালি "আমার পোস্টের মূল বিষয় সরকার সবাইকে তার পছন্দের বিষয়ে উচ্চশিক্ষার ব্যবস্থা করতে দিতে বাধ্য কিনা" কিনা নিয়ে কথা বলতেন আমি ছেপ ফেলতে আপনার পোস্টে আসতাম না। আমি আপানার 'মহামূল্যবান' লেখা পড়তে আসছি, কারন, আপনি ' ভ্যাটের বিরুদ্ধেও ' লিখেছেন(ও ছবি ব্যাবহার করেছেন), তাই পড়েছি, ও কমেন্ট করেছি ।
দুইটা বিষয়ের পার্থক্য আসমান জমীন, যে গুলারে যুক্তি বলছেন , সেগুলা যুক্তির ১০০০ মাইলের মধ্যে নাই, যুক্তি খালি জাফর স্যারের শিষ্যরা বোঝে আর কেউ বুঝে না, এটা দয়া করে মনে করবেন না।

আপনি বরং আমার কমেন্টের প্রশ্ন দুইটা ভাল করে পড়ে জবাব দেন, না পারলে সবার নিচের নিম্মানের ছড়াটা পড়ে দেখতে পারেন।

ভাল থাকেন।
আর যারা আপনার পোস্টে এসে বিভ্রান্ত হবে , তাদের জন্য-


বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের ভ্যাট দিতেই হবে বলে জানিয়েছেন সজিব ওয়াজেদ জয়। উনি বলেছেন, "দেশের ৮৩টি বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ে ৬৩ শতাংশ শিক্ষার্থী পড়া লেখা করে সরকার তাদের জন্য কোন ধরেন ভর্তুকি দিবে না। বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের জন্য ভর্তুকি দিলে এটা বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের শেয়ার হোল্ডারদের পকেটে চলে যাবে। শিক্ষার্থীদের কোনো লাভ হবে না।"
উনি তো দেখি বেসরকারী বিশ্ববিদ্যালয় সম্পর্কে কোন ধারণাই রাখেন না, অথবা না জেনে-শুনে সবাইকে বিভ্রান্ত করতে ভুল তথ্য দিয়েছেন। সঠিক তথ্য হচ্ছে, বেসরকারী বিশ্ববিদ্যালয়ে সরকার কোন ভর্তুকি দেয় না। বরং শিক্ষার্থীদের বেতনের ওপর যে ভ্যাট আরোপ করা হয়েছে- তার পূর্ন নাম 'Value-Added Tax' বা 'মূল্য সংযোজন কর'। ২০টাকা কেজি আলু কিনে তা ১১০টাকা কেজি সয়াবিন তেলে ভেজে ফার্স্টফুডের দোকানে যখন সেই পটেটো চিপস ১২০০টাকা কেজি দরে বিক্রী করা হয় তখন এই সযোজিত মূল্যের ওপর ভ্যাট ধার্য করা হয়। শিক্ষা কী পটেটো চিপসের মত পন্য? বিশ্ববিদ্যালয়গুলো কী ফার্স্টফুডের দোকান? এখানে মিথ্যা ভর্তুকির দোহাই দিয়ে উনি কেমন করে ভ্যাট বসানোকে বাধ্যতামূলক করে দিচ্ছেন?
উনি না আমাদের তরুন প্রজন্মকে নিয়ে 'ইয়ং বাংলা' গড়েছেন? এই তার আসল চেহারা? যেহেতু বেসরকারী বিশ্ববিদ্যালয়ে কোন সরকারী ভর্তুকী দেয়া হয় না, তাই তার লাভের ভাগ তো কখনোই শিক্ষার্থীদের পকেটে আসার সম্ভাবনা ছিল না। কিন্তু উনার আরোপ করা এই ভ্যাটের টাকা তো আমাদের মত বেসরকারী বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের পকেট থেকেই দিতে হবে। উনি আমাদের লাভ না দেখলেও লোকসানটা ঠিকই বাধ্যতামূলক করে দিয়েছেন। ৮৩টি বেসরকারী বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রায় ৭৫টিই মধ্যবিত্ত আর নিম্ন মধ্যবিত্তদের উচ্চ শিক্ষার বিকল্প প্রতিষ্ঠান। এখানকার প্রায় ৭৫% শিক্ষার্থী প্রাইভেট ট্যুশনি করে বা খণ্ডকালীন চাকরী করে বিশ্ববিদ্যালয়ের খরচ জোগাড় করে। তাদের ওপর বছরে আরো ৩০/৪০ হাজার টাকার বোঝা চাপিয়ে দিয়ে উনি কেমন কাজ করলেন?
উনি কী তাহলে আমাদের পকেট কাটা জবরদস্তি ভ্যাটের টাকা দিয়ে উনার 'ইয়ং বাংলা' চালাবেন? সেইক্ষেত্রে উনার ইয়ং বাংলায় বাংলাদেশের ৯৫% তরুণের কোন অংশদারিত্ব থাকবে না।
-ড. সাকিল আল মামুন।
১. সরকার কোনদিনই বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় কিংবা এর শিক্ষার্থীদের জন্য ভর্তুকি দেবে না জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রীর তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি উপদেষ্টা সজীব ওয়াজেদ জয়।-বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম

আর এটা ভোরের কাগজের লিঙ্ক।
এতো গেল ‘রাজপুত্রের’ কথা, আর চেতনাবাদী মিডিয়া, তার অবস্থান কি?
শাহবাগে চিল্লাচিল্লি আর বিরিয়ানি খাওয়া টেলিকাস্ট করতে লাইন লেগে যায় চেতনা মাখা সকল মিডিয়ার! আর আজকে ভ্যাট বিরোধী আন্দোলনরে " জন-দূর্ভোগ" হিসেবে দেখাচ্ছে। মনে হয় যেন জীবনে , রাস্তা অবরোধ করে আন্দোলন করে দাবী আদায় এই প্রথম দেখছে।
আজ দেশের ছাত্র সমাজের এই ভ্যাট বাতিলের জোয়ার কে কেন তারা টেলিকাস্ট করছে না?
দেখাচ্ছে " সড়ক অবরোধের কারনে যানজটে নগরবাসীর অবস্থা নাকাল " জাতীয় রিপোর্ট ।
কোথায় আজ মুন্নি সাহা?
কোথায় আজ রুপার সরাসরি সম্প্রচার?
কোথায় আজ নবনিতার টকশো?কোথায় ?
জাফর নামক ষাঁড় টা কই? তাঁর বিবেক কি বলে???
এই দেশের রন্ধে রন্ধে দালালে দালালে ভরে গেছে আর সব দালালের বড় দালাল হচ্ছে এই সাংবাদিক আর মিডিয়া । যাদের কাছে বিরিয়ানি খাওয়া মানেই আন্দোলন আর লক্ষ লক্ষ বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষার্থীর ভ্যাট বিরোধী আন্দোলনে পুলিশের লাঠি পেটা খাওয়ার নাম হচ্ছে সন্ত্রাসী দমন।
থু থু থু
বিশেষ দ্রষ্টব্যঃ ‘চেতনাবাদীদের’ কমেন্ট ........



চটি পিয়াল ও তাঁর অনুসারীদের কমেন্ট-

সংযোজনঃ
‘জয় বাংলা’ বলে আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের ওপর হামলা
নিজস্ব প্রতিবেদক | আপডেট: ২১:১০, সেপ্টেম্বর ১০, ২০১৫
টিউশন ফি থেকে মূল্য সংযোজন কর (ভ্যাট) প্রত্যাহারের দাবিতে ঢাকার ধানমন্ডি ২৭ নম্বরে আন্দোলনরত বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষার্থীদের ওপর হামলা হয়েছে। আজ বৃহস্পতিবার রাতে সাড়ে আটটার দিকে ‘জয় বাংলা’ বলে কয়েকজন যুবক হামলা চালায়। এ সময় পুলিশকে নীররে দাঁড়িয়ে থাকতে দেখা গেছে।


‘ঐ ক্ষেপেছে পাগলী মায়ের দামাল ছেলে , মাল ভাই , অসুরপুরে শোর উঠেছে জোরসে সামাল সামাল তাই মাল, তুনে কামাল কিয়া ভাই।’


১০ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৫ রাত ১০:২২

ইলুসন বলেছেন: আমি লিখলাম কী, আর আপনি মন্তব্য করেন কী! আপনার কিছু বলার থাকলে নিজে একটা পোস্ট দেন না ভাই, কেউ মানা করছে? আমি আমার পোস্টে লিখেই দিসি যে ভ্যাটের বিরুদ্ধে আন্দোলনের সাথে সাথে টিউশন ফি কমানোর জন্য আন্দোলন করা উচিত। কারণ, সরকার যতই বলুক ভ্যাট ছাত্রছাত্রীদের উপর ধার্য্য করা হয় নাই, পরে ঠিকই প্রাইভেট ভার্সিটির কর্তৃপক্ষ ছাত্রছাত্রীদের কাছ থেকে নানান রকম ফির নাম করে টাকা বের করবে।

"আমাদের দেশে কি বেসরকারি মেডিকেল বা ভার্সিটিগুলো সর্বোচ্চ কতটাকা টিউশন ফি নিতে পারবে এমন কোন আইন আছে? টিউশন ফি বাদ দিলাম, এরা এই ফি, ঐ ফি করে কোটি কোটি টাকা হাতিয়ে নেয় নিরীহ মানুষের কাছ থেকে। সরকার এদের বিরুদ্ধে তো কিছুই করছে না, উলটা ছাত্র-ছাত্রীদের উপর ভ্যাট নামক বোঝা চাপিয়ে দিচ্ছে!"

এই লাইনগুলা পড়ছেন? আপনার প্যারানয়েড ডেল্যুশন আছে, সবাইকে শত্রু মনে হয়!

৩| ১০ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৫ রাত ১১:৫৯

মুখ ও মুখোস বলেছেন: উপরের কমেন্ট দাতা একজন মহান ছাগল। সে সব কিছুতেই রাজনীতির মধ্যে দেখে। আপনি তারে জিগান, তোমার জন্মবৃত্তান্ত বলো, সে কথা বলার আগেই বলবে, সরকারের চক্রান্তে তার জন্ম বিলম্বিত হইছে।

আপনাকে শুধু একটা তথ্য দেই, শুনলাম বিসিএসে এবার নাকি প্রাইভেটের কোন এক ছেলে ফাস্ট হইছে। :)
আই হোপ আপনি বুজ্জছেন।

১১ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৫ সকাল ৯:০৯

ইলুসন বলেছেন: ধন্যবাদ ভাই। আমার মতে মেধাবী শব্দটা একটা ভেগ টার্ম। এটা দিয়ে কিছুই বুঝা যায় না কে কেমন। জীবনের যে কোন অবস্থা থেকেই পরিশ্রম করে উন্নতি করা সম্ভব। যার মধ্যে আগুন আছে সে উন্নতি করবেই। কিন্তু যেহেতু আসন সংখ্যা সীমিত তাই সরকার সবার পছন্দমত উচ্চশিক্ষার ব্যবস্থা করতে পারবে না, তাই প্রাইভেট ভার্সিটির দরকার আছে। এখন ভ্যাটের বিরুদ্ধে আন্দোলন করার পাশাপাশি সবার উচিত প্রাইভেট মেডিকেল/ ভার্সিটিগুলার টিউশন ফি কমানোর জন্যও আন্দোলন করা। সরকার কিন্তু ঘোষণা দিয়ে দিসে ভ্যাট ছাত্রছাত্রীদের দেয়া লাগবে না, প্রাইভেট ভার্সিটির কর্তৃপক্ষ দিবে! এটা খুবই হাস্যকর, কর্তৃপক্ষ ঠিকই ছাত্রছাত্রীদের থেকেই নানান অযুহাতে এটা আদায় করবে। আন্দোলন এখন কোন দিকে মোড় নেয় সেটাই দেখার বিষয়।

৪| ১১ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৫ রাত ১২:১৬

কালীদাস বলেছেন: হায়ার স্টাডিস মৌলিক অধিকার বলে আমার মনে হয়না, আমার ধারণায় ভুলও থাকতে পারে। এবং হাতেগোণা কয়েকটা ইউরোপিয়ান আর আরব দেশ ছাড়া কোথাও হায়ার স্টাডিস ফ্রি না।

১১ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৫ সকাল ৯:১৪

ইলুসন বলেছেন: ধন্যবাদ ভাই। আমি এই কথাটাই বলতে চাইছিলাম। আরব দেশগুলার অনেক টাকা, বেশিরভাগ পোলাপান পড়ালেখা করতে চায় না, তাই সরকার তাদের ফ্রিতে পড়ায়। এমনকি তাদের দেশের কেউ বিদেশে উচ্চশিক্ষার জন্য গেলে সরকারের পক্ষ থেকে সব ফ্রি দেয়া হয়, তাদের হাতখরচের টাকাটাও সরকার দেয়! ওদের সাথে আমাদের তুলনা করে লাভ আছে? আমাদের দেশ গরীব, সরকার চাইলেও তো সবাইকে ফ্রিতে উচ্চশিক্ষা দিতে পারবে না।

৫| ১১ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৫ সকাল ৯:২২

গোল্ডেন গ্লাইডার বলেছেন: ভাইসাব আর যামুনা পড়ালেখা করতে :-/

১১ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৫ সকাল ৯:২৯

ইলুসন বলেছেন: ওকে!

৬| ১১ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৫ সকাল ৯:২৯

জেকলেট বলেছেন: কথাটা ঠিক যে হায়ার স্টাডি বিশেষ করে ইউনিভার্সিটির পড়া অনেক উন্নত দেশেও ফ্রি না। কিন্ত ঐ সকল দেশে পাবলিক আর প্রাইভেট নাম দিয়ে সুয়ো রানী দুয়ো রানী তৈরী করা নাই।

১১ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৫ সকাল ৯:৩২

ইলুসন বলেছেন: ধন্যবাদ ভাই। প্রাইভেট মেডিকেল/ ভার্সিটিগুলার জন্য কিছু নীতিমালা তৈরি করা দরকার যাতে তারা ইচ্ছামত ফি আদায় করতে না পারে। আমাদের দেশে তো সব কিছু নিয়েই মানুষ দুইভাগ হয়ে যায়, কেউ কারো যুক্তি মানতে নারাজ, সবাই নিজেকে সেরা মনে করে। ঝামেলার শুরু তো ওইখানেই!

৭| ১১ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৫ দুপুর ১২:৫৮

শায়মা বলেছেন: তাহলে উচ্চশিক্ষায় বিভিন্ন স্কলারশিপ, টিচিং এসিস্ট্যান্ট হিসেবে বা অন্য কোন পার্টটাইম কাজ করার সুযোগ বা লোন করে পড়ালেখা করার ব্যবস্থা করে দেওয়া হোক।

১১ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৫ সন্ধ্যা ৭:০৪

ইলুসন বলেছেন: ধন্যবাদ আপু। অনেকেই আছে পার্টটাইম চাকরি করে নিজের খরচ চালায়। নিজের চোখেই দেখেছি। এই সুযোগ আরো বৃদ্ধি করা উচিত। বিশেষ করে লোনের ব্যবস্থা আমাদের দেশে চালু নেই, এটা চালু করতে পারলে অনেকের উপকার হবে। সাথে সাথে বেসরকারিতে টিউশন ফি কমানোর জন্য সরকারি নীতিমালা করে দেয়া হোক।

৮| ১১ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৫ দুপুর ১:১৩

জেকলেট বলেছেন: আমরা এ ক্ষেত্রে একটা সলিউশন চিন্তা করতে পারি। যে সবাইকে টাকা দিয়ে পড়তে হবে। পবালিক প্রাইভেট কোন আলাদা কিছু না। টিউসন ফি সরকার নির্ধারন করা দিবে। সাবজেক্ট ওয়াইজ প্রত্যেক বৎসর ইউনিভার্সিটিগুলোর রেনকিং হবে। প্রত্যেক স্টডেন্টকে সরকার স্টাডি লোন হিসেবে টিউসন ফি লোন দিবে। পাশ করার পর কর্মক্ষে্ত্রে একটা নির্দিষ্ট এমাউন্ট সেলারি (বাংলাদেশের প্রসপেক্টিভে ২৫০০০ টাকা) হো্য়ার পর সরকার সেলারি থেকে টিউসন ফি কেটে নেওয়া শুরু করবে। কারো যদি টাকা থাকে একসাথে দেওয়ার অপশন থাকবে। কেউ যদি বিদেশ যেতে চা্য় পুরো টিউশন ফি পরিশোধ করে যেতে হবে। এতে লাভ হবে সবাই চাইবে যত তাড়াতাড়ি সম্ভব কোর্স করতে। পাবলিক স্টুডেন্ট পলিটিকস থেকে বাচবে আর পবলিক প্রাইভেট কেচাল ও বন্ধ হবে। আরেকটা ব্যাপার সব স্টডেন্ট ই দায়িত্ব নেয়া শিখবে।

১১ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৫ সন্ধ্যা ৭:০৭

ইলুসন বলেছেন: ধন্যবাদ ভাই। আপনার পরিকল্পনা ভাল কিন্তু বাস্তবসম্মত নয়। অন্য কোথাও না, শুধু ঢাকা ভার্সিটিতে গিয়ে যদি কেউ এই কথা বলে তাহলে মাইর একটাও মাটিতে পড়বে না! আর কোন সরকার এই পরিকল্পনা করলে, পরের দিন সরকার পতন হয়ে যাবে! :P

৯| ১১ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৫ রাত ৮:৪২

আলুমিয়া বলেছেন: প্রাইভেট ইউনি ব্যাবসা প্রতিষ্ঠান। তাই তার কাস্টমারদের জন্য ভ্যাট হওয়া যুক্তিসংগত। আর যারা বাইরের দেশের বিশ্ববিদ্যালয়ের কথা বলছেন - একটু খোজ নিয়ে তারপর কমেন্ট করেন।

১১ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৫ রাত ৯:৪৭

ইলুসন বলেছেন: ভ্যাট বসানোটা অমানবিক হয়ে যায়। বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ে মানে অনেক টাকার মালিক এটা ভাবা ঠিক না। অনেকে অনেক কষ্ট করে টাকা ইনকাম করে পড়ালেখা করে।

১০| ১১ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৫ রাত ১০:১৩

রুমাইয়া জেসমিন বলেছেন: অনেক ভালো লিখেছেন,অনেকের মন্তব্য পড়ে হাসি পাচ্ছিল। ধন্যবাদ আপনাকে।

১৩ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৫ সকাল ৯:৩৬

ইলুসন বলেছেন: ধন্যবাদ আপু।

১১| ১১ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৫ রাত ১১:৫৩

মিতক্ষরা বলেছেন: "হয়ত এসএসসি বা এইচএসসিতে ঠিকমত পড়ালেখা করেননি বা অন্যকোন কারণে সরকারি কোথাও চান্স পাননি, এ জন্য আপনার নিজেকে ছোট ভাবার কোন কারণ নেই। "

প্রাইভেট বিশ্ববিদ্যালয়ে মানুষ নানা কারনে পড়াশোনা করে থাকে। তাদের মধ্যে বেশ মেধাবী ছাত্র ছাত্রীও রয়েছে। সরকারী বিশ্ববিদ্যালয়ে বিদেশ থেকে আসা ছেলে মেয়েদের একটি বিরাট অংশ পড়তে পারে না। যার ফলে তাদের পড়তে হয় প্রাইভেট বিশ্ববিদ্যালয়ে। অন্যদিকে বাংলাদেশে মেডিক্যাল বা ইন্জিনিয়ারিং এর সরকারী শিক্ষালয়গুলোতে সীট বেশী নয়। যার ফলে প্রাইভেট বিশ্ববিদ্যালয় জনপ্রিয় হয়েছে।

১৩ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৫ সকাল ৯:৩৬

ইলুসন বলেছেন: ধন্যবাদ ভাই।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.