![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
ধর্ষণ যখন নিশ্চিত, তখন তা উপভোগ করাই শ্রেয়
আজ খুব ভোরে উঠা হলো না পরীর! হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় প্রতিদিন সকাল ৮টা এর পূর্বেই ঘুম থেকে উঠে
যেতো। নার্সেরা তাকে অতি আদরের সহিত সকালের নাস্তা ও খাওয়া দাওয়া সারিয়ে দিতো । কিন্তু আজ দেরিতে ঘুম
থেকে জাগা সত্ত্বেও কেবিনে কেউই নেই!!
ঘুম থেকে উঠার পর প্রতিদিন নার্সেরা জানালার পর্দা সরিয়ে দিতো কিন্তু আজ কি যেন হলো নার্সের প্রয়োজন
পড়ছে না! নিজেই গিয়ে পর্দা সরিয়ে সকালের মিষ্টি রোদ উপভোগ করা শুরু করলো । কিন্তু মজার বিষয় হলো বিছানা
হতে জানালা পর্যন্ত যেতে পরীকে নিচের মেঝ স্পর্শ করতে প্রয়োজন হয় নি!!
জানালার পাশে গিয়ে দেখলো সেই প্রজাপতিটা! যেইদিন থেকে পরী হাসপাতালে এসেছে তখন থেকে প্রজাপতিটার
সাথে পরিচয়। প্রজাপতিটা আসে জানালার ধারে বসে, ঝিরে ঝিরে সকালের মৃদু নাতাসে সে নিজের ডানা মেলে ধরে ।
রঙ বেরঙের ডানার ছন্দময় নৃত্যে পরী অনেক আনন্দে মতে ওঠে! এই আনন্দ মনে হয় প্রজাপতির হৃদয়ে
আলোড়ন জাগায়, সে বুঝতে পারে ! প্রজাপতির হেলে-দুলে নাচ উপভোগে পরীর মুখ হাসিতে মেতে ওঠে।
পরীর এরূপ আনন্দ দেখে নার্সেরা জানালার কাচগুলো খুলে দেয়। প্রজাপতি উড়ে এসে পরীর হাতে বসে, আর
পরীর কানে কানে কিছু বলার চেষ্টা করে ! দক্ষিণা বাতাস প্রজাপতির শব্দহীন অব্যাক্ত কথা পরীর কানের পর্দা পর্যন্ত
পৌছায়! দুজনেই আড্ডায় মতে উঠে!
কিন্তু কেন যেনো পরীর মনে হলো আজ প্রজাপতিটা তার ডানা মেলে নেচে বেড়াচ্ছে না! জানালার কাচ ভেঙে
ভেতরে ঢুকার চেষ্টা চালাচ্ছে! প্রতিদিন প্রজাপতির চোখ দেখতে অক্ষম হলেও আজ পরী অক্ষম নয়, সে
দেখছে প্রজাপতির মায়াময় চোখ, যেন এই মাত্র কেদে দিবে! দেখে যাচ্ছে প্রজাপতির কাচ ভাঙার চেষ্টা !! প্রজপতির
এই নিরলস চেষ্টা দেখতে দেখতে কখন যেন নিজের অজান্তেই পরী দরজা ছাড়াই কেবিনের দেওয়াল ভেদ করে
জানালার বাইরে চলে আসে ! অনেক্ষণ ব্যর্থ পচেষ্টার পর প্রজাপতি হাপিয়ে উঠে স্থির হয়ে দাড়িয়ে থাকে নজর শুধু
কেবিনের বিছানায় পড়ে থাকা সাদা কাপনের ঢাকায় শীর্ণ দেহটার উপর! পরী প্রজাপতির এই দৃষ্টি লক্ষ করে আর মনে
প্রশ্ন জাগে কি দেখছে প্রজাপতিটা!! আমিও দেখিতো!! বাহির থেকে জানালার কাচ দিয়ে উকি দিতেই পরীর নজরে
পড়ে যে বিছানাটাতে পরী এত্ত দিন শয়ন অবস্থায় ছিলো সেই বিছানাতে কে যেন সাদা কাপনে ঢেকে শুয়ে আছে!!
পুরোপুরি দেখতে তার নিজের মতই লাগছে! রহস্যময় জগৎ থেকে বাস্তবতায় আসতেই পরী নিজ চোখে যা
দেখলো তাতেই পুরো হতবম্ভ! একি পরী যে কেবিনের বাইরে দাড়িয়ে আছে, এইদিকে কোন দরজা নেই সে
বের হলো কি করে!! তাছাড়া তার পায়ের নিচে মাটি নেই কেনো! একি রৌদ্রের আলোতে পরীর দেহ যেন মুক্তার
মতো আলো বিকিরণ করছে! তার পিঠে দুটো ডানাও আছে দেখছে!
রহস্যের জট খুলতে পরী আগের মতো দরজা ছাড়া দেওয়াল ভেদ করে কেবিনে ঢুকে সাদা চাদর সরিয়ে দেখে এ
তো আর কেউই নয় সে দুষ্টবতী পরী! এতক্ষণে বুঝতে পারে পরী নিশ্চই তার দেহ ত্যাগ করেছে!! কিছুক্ষণ
সময় পেরিয়ে যাবার পর দরজা খোলার আওয়াজ হয়! ডাক্তার,নার্স ও দুটো ওয়ার্ড বয় আসে তার নিথর দেহটাকে নেবার
জন্য , লক্ষ করে দরজায় দাড়িয়ে আছে পরীর দেশের রাজা আর রাণী !!আছে সকল রাজপুত্র কিন্তু নেই শুধু
রাজকন্যাটা!! সবারই চোখ নোনা জলে সিক্ত!!
বিছানা থেকে দেহটা তুলে নিয়ে যাবার সময় পরী উচ্চস্বরে বলছে সবাইকে," তোমরা কেউ কেদো না আমি আছি !
কোথাও যাই নি তো! " কেউই শুনছে না পরীর মিষ্টি গলার ফাটানো আওয়াজ!
চোখের নজর থেকে সবাই বিলিন হবার পর পরীর মনে পড়ে কিছুদিনের আগের সেই বন্ধু প্রজাপতিটার কথা! জানালার
বাহিরে গিয়ে হাত মেলে ধরে যদি প্রজাপতির একটু স্পর্শ পায়। একি প্রজাপতির ডানা নড়ছে না কেনো! হঠাৎ দমকা হাওয়ার
ঠেলায় নিথর পাথরের মতো প্রজাপতির দেহটা নিচে পড়ে যায়! বুঝতে বাকি নেই প্রজাপতিও তার জীবনের মায়া ত্যাগ
করেছে!!
০২ রা সেপ্টেম্বর, ২০১৫ ভোর ৬:৫৭
ক্ষুদে লেখক বলেছেন: ঠিক বলেছেন ।
কিন্তু কারো যাওয়া হৃদয়ে জিবন্ত ঘা দিয়ে যায় সারেমল
২| ০২ রা সেপ্টেম্বর, ২০১৫ সন্ধ্যা ৭:৪৫
এহসান সাবির বলেছেন: ভালো লিখেছেন।
০২ রা সেপ্টেম্বর, ২০১৫ রাত ১০:১২
ক্ষুদে লেখক বলেছেন: ধন্যবাদ
৩| ১৯ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৫ রাত ১:০৮
সুমন কর বলেছেন: ভালো হয়েছে।
শুভ ব্লগিং........
১৯ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৫ বিকাল ৩:১০
ক্ষুদে লেখক বলেছেন: ধন্যবাদ #সুমন কর
©somewhere in net ltd.
১|
০২ রা সেপ্টেম্বর, ২০১৫ ভোর ৬:৫৩
সারেমল বলেছেন: সবাইকেই যেতে হয়