নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
মানুষ মরে গেলে পচে যায়, বেঁচে থাকলে বদলায়, কারণে বদলায়, অকারণেও বদলায় । তবে আমি মনে হয় আগের মতই আছি , কখনও বদলাবওনা মনে হয় ! !
বর্তমানে এই গ্রহের শ্রেষ্ঠ বিজ্ঞানী ষ্টিফেন হকিং এর সর্বশেষ পাঠকপ্রিয় পুস্তক ''দ্যা গ্র্যান্ড ডিজাইন'' । আমরা কেন এখানে ? এই বিশ্ব জগত কেন নিদিষ্ট কিছু সূত্র মেনে চলছে। এই সূত্রগুলোই শুধু কেন ? অন্য সূত্র নয় কেন? সূত্রগুলোর মানতো অন্যরকম ও হতে পারত। Why there is something instead nothing ? এরকম অনেকগুলো দার্শনিক প্রশ্ন এবং তার উত্তর নিয়ে এই পুস্তকটি রচনা করেছেন। তার আগের পাঠকপ্রিয় ''কালের সংক্ষিপ্ত ইতিহাস'' পুস্তকটিতে তিনি স্রষ্টার অস্তিত্বের কথা পরোক্ষভাবে স্বীকার করলেও এবার তিনি তার পূর্বের অবস্থান থেকে একশত আশি ডিগ্রি এঙ্গেলে সরে এসেছেন। তিনি এতদিন ধরে যেই প্রশ্নগুলোর উত্তর খুঁজছিলেন এবার তার উত্তর পেয়েছেন বলে মনে হয়। আমি এই সিরিজটাতে যেহেতু মহাজগৎ এবং সৃষ্টির রহস্য নিয়ে লেখছি তাই এই পর্বে মূলত ষ্টিফেন হকিং এর ''দ্যা গ্র্যান্ড ডিজাইন'' পুস্তকটির বিষয়বস্তু নিয়ে আলোচনা করব।
ষ্টিফেন হকিং ''দ্যা গ্র্যান্ড ডিজাইন'' এর প্রথম চ্যাপ্টারে প্রাচীন গ্রিক সময়কাল থেকে শুরু করে বর্তমান সময় পর্যন্ত বিজ্ঞানের অগ্রগতি বিশেষ করে মহাকাশ-বিদ্যা এবং আধুনিক কসমোলজি নিয়ে বিশদ আলোচনা রাখেন। তার মধ্যে মানব ইতিহাস সংক্ষিপ্ত আকারে উল্লেখ্য করেন। মানব স্পেসিস হোমো সেপিন (Homo sapiens) নাযিল হয় খৃষ্টপূর্ব ২ লক্ষ্য বছর আগে আফ্রিকাতে (sub-Saharan Africa )। মানুষ যোগাযোগ বা মনের ভাব প্রকাশের জন্য হস্ত লেখা আবিষ্কার করেন খৃষ্টপূর্ব প্রায় ৭০০০ বছর আছে। তবে আধুনিক সিভিলাইজেশোন শুরু হয় মাত্র ৫০০ খৃষ্টপূর্বে আগে।এই সময়কাল পর্যন্ত মানব জাতি মহাজগৎ এবং তার রহস্য নিয়ে খুব একটা মাথা ঘামাত না, পরবর্তীতে দার্শনিক থেলস সর্বপ্রথম উপলব্ধি করেন যে আমাদের এই বিশ্ব জগতকে বিজ্ঞান দিয়ে ব্যাখ্যা করা সম্ভব।ধরে নেয়া যায় এর পর থেকেই মূলত বিভিন্ন দার্শনিক এবং বিজ্ঞানীরা সৃষ্টির রহস্য নিয়ে গবেষণা পরিচালনা করা শুরু করেন।
যাইহোক এবার মূল বিষয়ে আশা যাক। বিজ্ঞানীরা এতদিন আশা করেছিলেন যে এমন একটা সূত্র আবিষ্কার করা সম্ভব যেটা দিয়ে এই মহাজগতকে ব্যাখ্যা করা যাবে। এই সূত্রটিকে বিজ্ঞানীরা বলেন ''থিওরি অব এভরিথিং'' তবে ষ্টিফেন হকিং তার পুস্তকের ৫ম চ্যাপ্টারে বলেন এরকম কোন সূত্র আবিষ্কার করা সম্ভবনা নেই কারণ কোন নিদিষ্ট একটা সূত্র দিয়ে আমরা আমাদের এই মহাজগৎকে ব্যাখ্যা করতে পারব না।বরং পদার্থ বিজ্ঞানের প্রত্যেকটি সূত্র যেমন গ্রাভিটি, রিলেটিভিটি এবং ইলেক্ট্রো-মেগনিটিজম ইত্যাদি এই প্রত্যেকটা সূত্র দিয়ে আমরা আমাদের এই মহাজগতের বিভিন্ন প্রোপারটিগুলোকে আলাদাভাবে ব্যাখ্যা করতে পারব।যার মানে দাঁড়াচ্ছে এরকম একটা কোন সূত্র পাওয়ার সম্ভাবনা নেই যেটা দিয়ে সব কিছুকেই ব্যাখ্যা করা যাবে।
উদাহারনসরূপ বলা যায় গ্রাভিটির কথা। আমাদের ছায়াপথ, নক্ষত্র এবং সর্বোপরি এই বসবাসযোগ্য গ্রহের পিছনে গ্রাভিটি অসাধারণ ভূমিকা পালন করেছে। গ্রাভিটি দিয়ে আমরা নিদিষ্ট কিছু ব্যাখ্যা করতে পারব সব কিছু নয়। বিজ্ঞানী হকিং তার ''কালের সংক্ষিপ্ত ইতিহাস'' পুস্তকে এই বিষয়ে দেখিয়েছেন যে গ্রাভিটি কিভাবে আমাদের ছায়াপথ, অগণিত নক্ষত্র এবং গ্রহ তৈরিতে গুরুত্বপূর্ন ভূমিকা পালন করেছে। আমি এই ব্যাপারগুলো বিশদ আলোচনা করেছি আগের পর্বে (মহাবিস্ফোরণের আদি-কথা এবং যেভাবে সৃষ্টি হল আমাদের এই বিশ্বব্রহ্মাণ্ড)। এই রকমভাবে রিলেটিভিটি এবং ইলেক্ট্রো-মেগনিটিজম এই সূত্রগুলো দিয়েও একেকটা বিষয়কে ব্যাখ্যা করা যায়।
যাইহোক এখন প্রশ্ন হল আমাদের এই মহাজগৎ-এ এই সূত্রগুলো কিভাবে আসলো । এই ব্যাপার গুলোর উওর পাওয়া গেলে বিশ্ব সৃষ্টির রহস্য সম্পর্কে ধারনা পাওয়া যাবে। ষ্টিফেন হকিং বলেছেন এই ব্যাপারগুলো ব্যাখ্যা করা যায় ''এম থিওরি'' দিয়ে। তিনি তার পুস্তকের চ্যাপ্টার সিক্সে বলেছেন এম থিওরি অনুসারে কোন কিছু নাই হতে ননস্টপ স্বতস্ফূর্তভাবে অসংখ্য মহাজগৎ তৈরি হওয়া সম্ভব যা কম করে হলেও ১০৫০০ , যার মানে দাঁড়াচ্ছে ১০ কে ৫০০ বার গুন করলে যা হয় তার সমান সংখ্যক মহাজগৎ এবং প্রত্যেকের আলাদা আলাদা নিদিষ্ট কিছু সূত্র নাযিল হওয়া সম্ভব। একটু বিস্তারিত বলতে গেলে এই মহাজগৎ এর বাইরেও বিলিয়ন বিলিয়ন মহাজগৎ, তার মাঝে বিলিয়ন বিলিয়ন ছায়াপথ, নক্ষত্র এবং গ্রহ থাকতে পারে ।
তবে এখানে একটা কথা বলা প্রয়োজন আমাদের গ্রহের অবস্থান, পদার্থের সূত্রগুলোর মান এমন সূক্ষ্মভাবে নির্ধারিত হয়েছে যে এর একটু হেরফের হলে জীবনই সৃষ্টি হত না। এমনকি আমাদের এই নক্ষত্রের সংখ্যাও যদি একাধিক হত তাহলেও আমাদের অস্তিত্ব এই ধরায় থাকত না। এই বিষয়গুলো সম্পর্কে আরেক বিখ্যাত বিজ্ঞানী নিউটন বলেছেন স্রষ্টা ছাড়া এই সৃষ্টি ব্যাখ্যা করা সম্ভব নহে। তবে ষ্টিফেন হকিং এই বিষয়ে বলেন এম থিওরি অনুসারে যেহেতু বিলিয়ন বিলিয়ন মহাজগত তৈরি হওয়া সম্ভব তাই কাকতালীয় ভাবে আমরা বসবাস যোগ্য এই ধরা পেয়েছি। এখানে স্রষ্টার কোন ভূমিকা নেই বরং পদার্থ বিজ্ঞানের এই সূত্রগুলোই এই ধরা সৃষ্টি করেছে কাকতালিয়ভাবে ।
এর পরের আলোচনাগুলো অবিশ্বাসীদের জন্য নহে। অবিশ্বাসী কেহ থাকলে স্লিপিং মুডে চলে যান।
উপরে ষ্টিফেন হকিং এর ''দ্যা গ্র্যান্ড ডিজাইন'' পুস্তক সম্পর্কে আলোচনা করলাম। ষ্টিফেন হকিং মহাজগৎ তৈরির ম্যাথম্যাটিকাল একটা ব্যাখ্যা দাড় করানর চেষ্টা করেছেন এক্ষেত্রে তাকে সাধুবাদ দিতেই হয়। তবে তার পুস্তকটা পড়ে তার আগের লেখা ''কালের সংক্ষিপ্ত ইতিহাস'' এর থেকে খুব বেশী একটা আলাদা মনে হয়নি বরং নতুন হিসেবে তথাকথিত এম থিওরি নিয়ে তিনি কিছুটা আলোকপাত করেছেন।এছাড়া নো-বাউন্ডারি থিওরিটা তিনি এই পুস্তকেও ব্যাখ্যা করেছেন যদিও আমি পূর্বের পর্বে এটা নিয়ে লিখেছিলাম তাই এবার আর সেই একই ত্যানা পেঁচালাম না। উপরের আলোচনা থেকে দুইটা পয়েন্ট নিয়ে নিচে আমার মতামত তুলে ধরেছি ।
১। এম থিওরি মতে বিলিয়ন বিলিয়ন মহাজগৎ তৈরি হয়েছে। যেহেতু বিলিয়ন বিলিয়ন মহাজগৎ তাই কাকতালিয়ভাবে আমরা আমাদের এই মানুষ বসবাসের উপযোগী গ্রহ পেয়েছি ।
২। স্রষ্টা নয় বরং ''ল অব নেচারই'' এই মহা জগত তৈরিতে ভূমিকা রেখেছে।
প্রথম পয়েন্টে হকিং সাহেব উল্লেখ্য করেছেন কাকতালীয়-ভাবে আমরা আমাদের এই গ্রহ পেয়েছি। গ্রহের অবস্থান, গাণিতিক সূত্রগুলোর মান এবং তার থেকে প্রাণের সৃষ্টি এইসব কিছুই কাকতালীয় ভাবে হয়েছে।আমি আমার এই সিরিজের প্রথম পর্বে শুরু করেছিলাম মানুষের একটি উদাহারন দিয়ে সেটা আবারো এখানে সংক্ষেপে উল্লেখ্য করছি ব্যাখ্যার সুবিধার্থে । তার কাকতালীয় তও্ব মেনে নিলে এও মেনে নিতে হবে মানুষের মেরুদণ্ডের ঠিক দুই পাশে দুটি কিডনি যা কিনা মাতৃগর্ভ থেকে শুরু করে মৃত্যুর মুহূর্ত পর্যন্ত বিরামহীনভাবে কাজ করতে থাকে, কিডনির সাহায্যে নাইট্রোজেনযুক্ত বর্জ্য পদার্থ বা মূত্র নিষ্কাশিত হয় , ফুসফুস নামের যন্ত্র দিয়ে কার্বন ডাই-অক্সাইড, ত্বকের সাহায্যে ঘর্ম জাতীয় পদার্থ নিষ্কাশিত হয়, মানব চোখের মত জটিল ডিজাইন যা দিয়ে আমরা দেখি এই ব্যাপারগুলো সবকিছুই কাকতালিয়ভাবে হয়েছে ।কথায় আছে ঝড়ে বক মরে ফকিরের কেরামতি বাড়ে। কাকতালিয়ভাবে একটা ঘটনা ঘটতে হতে পারে কিন্তু এরকম অগণিত ম্যাথম্যাটিক্যালই সূক্ষ্ম জিনিষ এক সাথে ঘটতে পারে না।
দ্বিতীয় পয়েন্টে আমি বলব হকিং সাহেব ''ল অব নেচারের'' অস্তিত্বের উপর ঈমান এনেছেন কিন্তু এর মানগুলো কাকতালিয়ভাবে নাযিল হয়েছেন বলে যেই মত প্রকাশ করেছেন তা আমার কাছে অযৌক্তিক মনে হয়েছে।
পরিশেষে বলব ষ্টিফেন হকিং এর বইটা মানুষের চিন্তার জগতে দারুণভাবে আলোড়ন তুলতে সক্ষম হবে। অনেক গুলো দার্শনিক ভাবনাগুলো তিনি তার এই বইতে উল্লেখ্য করেছেন যেগুলো হয়ত যারা দর্শন চর্চা করেন তাদের ভাবনার বিষয় ছিল কিন্তু হকিং তার পুস্তকের শুরুতে বলেছেন বর্তমানে দর্শন অন্ধ মোট কথা মৃত। বিজ্ঞান প্রযুক্তির সাথে তাল মিলিয়ে দর্শন এগুতে পারেনি। সেই হিসেবে হকিং সাহেব দর্শনের বিষয়গুলো নিজের কাঁধে তুলে নিয়েছেন বলে প্রশংসা পেতেই পারেন। তবে তার পুস্তকে তিনি সৃষ্টির রহস্য উন্মোচন করেছেন বলে যেই দাবি তিনি করেছেন সেটা আমার কাছে কনভিন্সিং সহজ করে বললে যৌক্তিক মনে হয়নি। শেষে বলব আমাদের এই মহাজগত স্বয়ং আল্লাহতালাই সৃষ্টি করেছেন তাকে ছাড়া সৃষ্টির ব্যাখ্যা করা সম্ভব নহে।
আগের পর্ব
মহাজগৎ এবং সৃষ্টি ( ১ম পর্ব ): স্রষ্টাকে কে সৃষ্টি করল, নাস্তিকেরাই কি অন্ধ বিশ্বাসী নয় !
মহাজগৎ এবং সৃষ্টি ( ২য় পর্ব) : ধর্ম এবং উন্নয়ন কি সাংঘর্ষিক বিষয় !
মহাজগৎ এবং সৃষ্টি ( ৩য় পর্ব ) : মানব মস্তিষ্কের আকার ছোট হয়ে আসছে ! বিজ্ঞান এবং প্রযুক্তি আমাদের পিছনে নিয়ে যাচ্ছে নাতো ?!
মহাজগৎ এবং সৃষ্টি ( ৪র্থ পর্ব ) : বিগ ব্যাং কি আমাদের মহাবিশ্ব সৃষ্টির ব্যাখ্যা দিতে পারে ? ষ্টিফেন হকিং এর সাথে আমার দ্বিমত
মহাজগৎ এবং সৃষ্টি ( ৫ম পর্ব ) : বিবর্তন তও্বের পোষ্টমোর্টেম রিপোর্ট
মহাজগৎ এবং সৃষ্টি ( ৬ষ্ট পর্ব ) : আইনস্টাইনের আপেক্ষিক তও্ব এবং আমাদের তকদীর
মহাজগৎ এবং সৃষ্টি ( ৭ম পর্ব) : মহাবিস্ফোরণের আদি-কথা এবং যেভাবে সৃষ্টি হল আমাদের এই বিশ্বব্রহ্মাণ্ড
২৫ শে জুলাই, ২০১৭ রাত ৮:৩৮
কাছের-মানুষ বলেছেন: ধন্যবাদ ভাই, এই সিরিজটাতে আপনাকে প্রথম থেকে পেয়ে এসেছি ভাল লাগছে। সামনেও থাকবেন আশা করি।
২| ২৫ শে জুলাই, ২০১৭ রাত ৮:১৮
আখেনাটেন বলেছেন: সৃষ্টির রহস্য নিয়ে আরো কাটাছেঁড়া হবে। সময় বলে দিবে কে ঠিক?
২৫ শে জুলাই, ২০১৭ রাত ৮:৩৭
কাছের-মানুষ বলেছেন: অবশ্যই আমি আপনার সাথে একমত।
৩| ২৫ শে জুলাই, ২০১৭ রাত ৮:২৫
চাঁদগাজী বলেছেন:
"তবে তার পুস্তকে তিনি সৃষ্টির রহস্য উন্মোচন করেছেন বলে যেই দাবি তিনি করেছেন সেটা আমার কাছে কনভিন্সিং সহজ করে বললে যৌক্তিক মনে হয়নি। "
- বাংলাদেশের ৩য় শ্রেণীর সাধারণ বাচ্চা পীথাগোরাসের সুত্রকে সহজে বুঝবে না; এর অর্থ এই নয় যে, পীথাগোরাস অযৌক্তিক কথা বলেছেন।
২৫ শে জুলাই, ২০১৭ রাত ৮:৩৭
কাছের-মানুষ বলেছেন: এম থিওরিকে যদি ব্লাক বক্সে রেখে মেনে নিয়ে বলি অসংখ্য মহাজগৎ সৃষ্টি হয়েছে। তবে হকিং সাহেবের মতে এটা মানতে হবে যেহেতু অসংখ্য তাই কাকতালীয় ভাবে বসবাসের উপযোগি সূত্র সমৃদ্ধ গ্রহ তৈরি হওয়া সম্ভব। এটা খুব একটা রকেট সাইন্স নয়!
ধন্যবাদ মন্তব্যের জন্য।
৪| ২৫ শে জুলাই, ২০১৭ রাত ৮:৪২
প্রাইমারি স্কুল বলেছেন: সবার কথায় যুক্তি আছে আবার সবার কথাই পরিবর্তনশীল সময়ের পরিক্রময়। আমি ষ্টিফেন হকিং এর দেশে জন্মনিলে আমিও বিশ্ব আলোড়ন সৃষ্টি করতে পারতাম ।
২৫ শে জুলাই, ২০১৭ রাত ৮:৫০
কাছের-মানুষ বলেছেন: ষ্টিফেন হকিং প্রচন্ড মেধাবি একজন বিজ্ঞানি । বিজ্ঞানে তিনি তার অবধান রেখেছেন।
তার দর্শনের আমার মত না মিললেও তাকে শ্রদ্ধা করতেই হয় শারিরিক প্রতিবন্ধকতা কাটিয়ে আজ তিনি বিজ্ঞানি।
জীবন সবাইকে ফেয়ার সুযোগ দেয় কম বেশী , উন্নত বিশ্বে হয়ত বেশী, চেষ্টা করলে আপনি এখনও আলোরন তুলতে পারেন আপনার যে কোন প্রতিভা দিয়ে।
পড়ার জন্য কৃতজ্ঞতা রইল।
৫| ২৫ শে জুলাই, ২০১৭ রাত ৮:৫৮
প্রাইমারি স্কুল বলেছেন: ষ্টিফেন হকিং প্রচন্ড মেধাবি একজন বিজ্ঞানি এতে সন্দেহ নাই। আমি ষ্টিফেন হকিং কে শ্রদ্ধা করি আনেক আনেক ।
২৫ শে জুলাই, ২০১৭ রাত ৯:০২
কাছের-মানুষ বলেছেন: ধন্যবাদ আপনাকে।
৬| ২৫ শে জুলাই, ২০১৭ রাত ৯:৫৩
প্রামানিক বলেছেন: প্রিয় তালিকায় নিয়ে রাখলাম। ধন্যবাদ
২৬ শে জুলাই, ২০১৭ সকাল ১১:৩৩
কাছের-মানুষ বলেছেন: প্রিয় তালিকায় নিয়েছেন দেখে কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করছি।
শুভেচ্ছা রইল ।
৭| ২৫ শে জুলাই, ২০১৭ রাত ১০:০১
বিদ্রোহী ভৃগু বলেছেন: যুক্তিযুক্ত তুলনামূলক আলোচনায় ধন্যবাদ
ভাল লাগল
+++++++++
২৬ শে জুলাই, ২০১৭ সকাল ১১:৩৪
কাছের-মানুষ বলেছেন: পাঠ ও মন্ত্যব্যের জন্য অনুপ্রাণিত হলাম।
ভাল থাকুন সবসময়।
৮| ২৫ শে জুলাই, ২০১৭ রাত ১০:২৪
সনেট কবি বলেছেন: শেষ পর্যন্ত বিজ্ঞানীকে অজ্ঞানী বানিয়ে ছাড়লেন? আমি বুঝিনা একজন বিজ্ঞানী কিভাবে এমন অযোক্তিক কথা বলতে পারে?
২৬ শে জুলাই, ২০১৭ সকাল ১১:৩৬
কাছের-মানুষ বলেছেন: আমার উদ্দেশ ছিল বইটার বিষয় বস্তু নিয়ে আলোচনা করা এবং যুক্তিগুলো যাচাই করা। আপনার ভাল লেগেছে জেনে ভাল হলাম।
আপনার নিকটা আমার ভাল লেগেছে আপনার সনেটের হাত ভাল।
৯| ২৫ শে জুলাই, ২০১৭ রাত ১১:০২
কানিজ রিনা বলেছেন: বিজ্ঞান পরিবর্তনশীল এটাই সত্য। কাকতালিয়
বলেই মানুষের জ্ঞান পরিধির বাইড়ে স্রস্টার
অস্তিত্ব্য। মহানাস্তিক জ্যোতির বিজ্ঞানী এনথনিফ্লু
আইনস্টাইন আরও অনেক বস্তুবাদী দার্শনিক
একমত হয়েছেন। পুর্ব থিওরী সবই ভুল।
গোড়া বস্তবাদী দার্শনিক বিগব্যাং থিওরীতে
একমত প্রকাশ করেন। সেই কোন শক্তি
সুনিয়ন্রিত সুপরিকল্পিত সুনিপুন মহাজগৎ
সৃষ্টির পিছনে রয়েছে সতন্ত্রসত্বা। তিনি এক
অদ্বিতীয়।
বিগব্যাং বিস্ফোরন সুনিয়ন্ত্রীত সত্বার উপমা দিয়ে
সমস্ত বস্তবাদী দার্শনিক পর্যালচনায় একমত
প্রকাশে স্যার আর্থার এডিংটন, জর্জগামা,
আর্নাড ফ্রিন্সিয়া,হুইলসন,ডেনিস স্কিয়ামা, আর্থার
এরিংটন, হিউক্লস,পলডেভিন্স ও স্টিফিন্সহকিন্স
মহা বিজ্ঞানী আনইস্টাইন বিগব্যাং থিওরী ক্রমধারা
কোনও এক অস্তিত্ব স্বীকৃতি দিয়ে স্বীকার করেন
লজ্জিত সুরে। তারাছারা পৃথিবীর অনেক
নিদর্শন রয়েছে যা আজও বিজ্ঞানীরা সমাধান
দিতে পারেন না। আপনাকে বলব বিজ্ঞানী ডাঃ
শমসের আলির কোরআন ভিত্তিক বিজ্ঞানের
পর্যালচনার বইগুল সংগ্রহ করে দেখতে
পারেন। আপনার শেষের হেডিংই সত্য।
অসংখ্য ধন্যবাদ শুভকামনা।
২৬ শে জুলাই, ২০১৭ সকাল ১১:৩৮
কাছের-মানুষ বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ আন্তরিক মন্তব্যের জন্য।
আপনার মন্তব্য লেখাটকে সমৃদ্ধ করেছে ।
শমসের আলির কোরআন ভিত্তিক বিজ্ঞানের
পর্যালচনার বইগুল পড়া হয়নি। সুযোগ পেলে পড়তে হবে দেখছি।
১০| ২৬ শে জুলাই, ২০১৭ রাত ১২:৫৭
শৈবাল আহম্মেদ বলেছেন: ধন্যবাদ,আপনি প্রথম দিকের কথাগুলো যুক্তিসংগত ভাবে বলেছেন। কিন্তু একবোরে শেষের দিকে এসে,সেই বংশগত ইগু ও ২/৩ হাজার বছর আগের মানুষের মধ্যে ডুব দিলেন ?
ষ্টিফেন হকিং এর যুক্তির কথাগুলোর অর্থ যদি কাকতালিও ভাবেন,তাহলে আপনিও অন্য কোন লৌকিক যুক্তি খুজে বের করুন-যেটা কাকতালিও নয় এবং যার স্পষ্ট ডকুমেন্ট আছে।
সৃষ্টিকর্তাতো আর বোকা নয় যে,কোটি কোটি মানুষের মধ্যে ৫/৭ জনকে ৫/৭ রকমের স্বপ্নে বা ইচ্ছায়,ভগবান,ঈশ্বর,আল্লাহ ইত্তাদী সৃষ্টি করে-মানুষের মাঝে ভূল বোঝাবুঝি,ঘৃণা ও গোলযোগের সৃষ্টিকরে-পৃথিবীতে যুদ্ধ,ধংশ ও ক্ষয়-পূর্ব থেকে আজও ঘটিয়ে আসতে পারেনা।
সৃষ্টিকর্তার সৃষ্ট মানুষ যদি অভিনব প্রযুক্তি স্যাটেলাইট,কম্পিউটার,প্রজেক্টর,ইন্টারনেট ইত্তাদী আবিস্কারের মাধ্যমে সকলকে কোন বিষয় একযোগে দেখানোর বা বোঝানোর ক্ষমতা রাখতে পারে। তাহলে সৃষ্টিকর্তা কেন ২/৩ হাজার বছর আগের মানুষের মন-মানষিকতার মতকরে ভিন্ন ভিন্ন রকম স্বপ্নে-ধর্ম বা নিয়ম দিয়ে বোঝাতে চাইবেন? বা এভাবে আমাদেরকে ভাগ ভাগ করে বিভ্রান্তির মধ্যে ফেলে দিবেন? বা এসব নিয়ে আমরা যে আজও ভাংচুর,মৃত্যু,যুদ্ধ ঘটিয়ে আসছি-তার কোন সমাধান আজও পর্যন্ত প্রয়জন বোধ করছেননা কেন তিনি?
তাহলে প্রশ্ন আসে যে, সৃষ্টিকর্তা কি তাহলে যেটা চাচ্ছে-সেটাইকি সৃষ্টির শুরু থেকে ঘটে আসছে? তেমনই যদি হয় তাহলে তো সৃষ্টিকর্তার উপর দোষ পড়ে যায়।
(বাবা জীবিত থাকা সত্তেও তার পাচ ছেলে পাচ রকম কায়দায় গোছলের জন্য মতবিরোধ সৃষ্টি করে চলার পরও যদি তার সুষ্পষ্ট সামাধান না করেন,তাহলে এখানে কি বুঝবেন)!
তাহলেকি এমন ভাবা যায়না যে সৃষ্টিকর্তা আমাদের ব্যপক জ্ঞান-ক্ষমতা দেওয়া সত্তেও তার একটা নিদ্দিষ্টতা ও সিমাবদ্ধতা আছে। যার বাইরে আমাদের বোধ শক্তি অনুধাবন করতে পারেনা। অর্থাত আমরা হয়ত তার সিলেক্টকৃত্ব সফটওয়ারের মধ্যে সিমাবদ্ধ থেকেই যা কিছু ভাবছি,বলছি ও করছি। এবং আমরা ইচ্ছা করলেই তার সিমাবদ্ধতার বহু অপশনের মধ্যে থেকে আমাদের চিন্তার ও পথের পরিবর্তন করতে পারি।
সুতরাং এপৃথিবীতে আমাদের সকলকেই জ্ঞান দিয়ে লৌকিক ও যুক্তিসংগত পথে বা ক্ষনস্থায়ী এই নাট্যমঞ্চে ধংশের সৃষ্টি না করে মানবতা,সমতা,শৃঙ্খলার ও নিরপেক্ষতার পথে ত্যাগী জীবন-যাপন করা শ্রেয়।
সৃষ্টিকর্তা নিয়ে মাথাব্যাথা ও মাতামাতি না করে,এপৃথিবীতে যুক্তির মাধ্যমে আমাদের সকলকেই এক হয়ে সুশৃঙ্খলাব্দ হওয়ার জন্য নিত্য প্রচেষ্টার লক্ষে অর্থব্যায় করতে হবে। অন্য গ্রহ আবিস্কারের স্বার্থে ও রাষ্ট্রে-রাষ্ট্রে যুদ্ধের স্বার্থে পৃথিবীর পদার্থের উলট-পালট জনিত ধংশমূলক পথে অর্থাপচয় প্রয়জন এখন সঠিক নয়। তাহলে আমরাও দীর্ঘায়ূ ও সুস্থতা লাভ করব এবং আমাদের হৃদপিন্ড এই পৃথিবীটাকেও দ্রুত ধংশের হাত থেকে বাচাতে পারব।
২৬ শে জুলাই, ২০১৭ সকাল ১১:৫০
কাছের-মানুষ বলেছেন: ষ্টিফেন হকিং এর যুক্তির কথাগুলোর অর্থ যদি কাকতালিও ভাবেন,তাহলে আপনিও অন্য কোন লৌকিক যুক্তি খুজে বের করুন-যেটা কাকতালিও নয় এবং যার স্পষ্ট ডকুমেন্ট আছে।
ষ্টিফেন হকিং এর যুক্তির কথাগুলোর আমি কাকতালীয় ভাবি নাই । আপনি আমার লেখা না বুঝেই মন্তব্য করেছেন । লেখার মূল পয়েন্ট আবারও বলছি ঃ আমাদের গ্রহের অবস্থান, পদার্থের সূত্রগুলোর মান এমন সূক্ষ্মভাবে নির্ধারিত হয়েছে যে এর একটু হেরফের হলে জীবনই সৃষ্টি হত না। এমনকি আমাদের এই নক্ষত্রের সংখ্যাও যদি একাধিক হত তাহলেও আমাদের অস্তিত্ব এই ধরায় থাকত না। এগুলো পর্যবেক্ষন করে নিউটনসহ বেশ কয়েকজন বিজ্ঞানি বলেছেন স্রষ্টার হস্তক্ষেপ ছাড়া জগত তৈরি হত না। এটা ষ্টিফেন হকিং নিজেও তার বইতে উল্লেখ্য করেছেন। তবে হকিং বলেছেন এম থিওরি অনুসারে অনেক মহাজগত তৈরি সম্ভব তাই কাকতালীয়ভাবে আমারা বসববাস উপযোগী সূত্রসমৃদ্ধ এই গ্রহ পেয়েছি। এখানে লক্ষ্য করুন আমি ষ্টিফেন হকিং এর যুক্তি কাকতালীয় বলি নাই বরং হকিং বলেছেন বাই চান্স আমরা আমাদের বসবাসযোগ্য এই গ্রহ পেয়েছি । আমি শেষে বলেছি শুধু আমিও নিউটনের সাথে একমত কাকতালীয়ভাবে এই গ্রহ পাইনি , স্রষ্টার হস্তক্ষেপ ছিল এতে।
আপনি একটু লজিক, মেথমেটিক্স , ফিজিক্স নিয়ে আরেকটু পড়াশুনা করুন।
আপনার মনতব্যের পরের অংশ গুলো আমার লেখার বিষয়বস্তুর সাথে যায় না। আমি অপাসংজ্ঞিক মন্তব্যের উত্তর দেই না তারপরও আপনি যেহেতু এত বড় মন্তব্য করেছেন তাই আপনাকে সম্মান দেখিয়ে দুই লাইওনে কিছু বলার চেষ্টা করছি।
আপনার মন্তব্যের সামারাইজ করলে অর্থ দাঁড়ায় পৃথিবীতে সব সমস্যার মূলে ধর্ম। মাধক, অশিক্ষা-কুশিক্ষা, বেকারত্ব, ক্ষমতার অপব্যাবহার, ধর্মকে হাতিয়ার হিসেবে ব্যাবহার, তৃতীয় বিশ্বের অভাব, ধণী রাষ্টগুলোর আধিপত্য বিস্তারের মনভাব, হিংসা এবং লোভ মানসের স্বাভাবিক প্রবৃত্তি এইগুলোই বিশ্বের অশান্তির জন্য দায়ী। পৃথিবির সব মানুষ অবিশ্বাসী হয়ে গেলেই আপনার কথামত পৃথিবী স্বর্গ হয়ে যাবে না। আমি অশান্তির জন্য দায়ী যেই জিনিষগুলো উল্লেখ্য আপনি সেগুলো নিয়ে লেখুন , পৃথিবিতে শান্তি যদি সত্যিই চান । শূধু ধর্মের পিছনে লেগে লাভ নেই।
এপৃথিবীতে যুক্তির মাধ্যমে আমাদের সকলকেই এক হয়ে সুশৃঙ্খলাব্দ হওয়ার জন্য নিত্য প্রচেষ্টার লক্ষে অর্থব্যায় করতে হবে। অন্য গ্রহ আবিস্কারের স্বার্থে ও রাষ্ট্রে-রাষ্ট্রে যুদ্ধের স্বার্থে পৃথিবীর পদার্থের উলট-পালট জনিত ধংশমূলক পথে অর্থাপচয় প্রয়জন এখন সঠিক নয়। তাহলে আমরাও দীর্ঘায়ূ ও সুস্থতা লাভ করব এবং আমাদের হৃদপিন্ড এই পৃথিবীটাকেও দ্রুত ধংশের হাত থেকে বাচাতে পারব।
খুবই যুক্তিযুক্ত কথা তবে আমার পোষ্টের বিষয়বস্তুর সাথে সামাজস্য নয় অপাসংজ্ঞিক মন্তব্য। যাইহোক তারপরও উত্তর দিচ্ছি। এরপর আর অপাসংজ্ঞিক উত্তর দিব না প্রাসঙ্গিক মন্তব্য করবেন । স্রষ্টার ভূমিকা ছিল আমাদের মহাজগত তৈরিতে নিউটন এটা বিশ্বাস করেও তিনি অনেক অবধান রেখেছেন বিজ্ঞানে ।আমরা স্রষ্টায় বিশ্বাস রেখেও অন্য গ্রহ আবিষ্কারের স্বার্থে কাজ করতে পারেন। এখানে স্রষ্টা আটকাচ্ছেন না।
মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ ভাই শৈবাল আহম্মেদ ।
১১| ২৬ শে জুলাই, ২০১৭ রাত ৩:২৩
কানিজ রিনা বলেছেন: ইস্টিফেন্স হকিন্স কাক তালিও ভাবে প্রতিবন্দী
ঠিক হয়ে গেলে কেমন হত। হাজার হাজার
জ্ঞান বিজ্ঞানী সফ্টওয়ার আবিস্কার কারও
ক্ষমতা নাই একটা গাছের ফুলের পাঁপরী
ছিরে পুনরায় আবার একই ভাবে জোড়া
দিতে। সেখানেই আমরা অপারক। এত এত
বিজ্ঞানী কি মানবতা প্রতিষ্ঠা করতে পেরেছে।
না পারে নাই। ধন্যবাদ।
২৬ শে জুলাই, ২০১৭ সকাল ১১:৩৮
কাছের-মানুষ বলেছেন: পূনরায় মন্তব্যের জন্য কৃতজ্ঞতা রইল।
১২| ২৬ শে জুলাই, ২০১৭ সন্ধ্যা ৬:২০
রাতু০১ বলেছেন: বইটি শুরু হয়েছে তিনটি প্রশ্ন দিয়ে:
১. মহাবিশ্বে শূন্যতার বদলে এতোকিছুর সমাহার দেখা যায় কেন? এক কথায়, মহাবিশ্ব শূন্য নয় কেন?
২. আমাদের সত্তার রহস্য কী?
৩. আমরা ঠিক এইরকম ভৌতবিধি দেখি কেন, কেন অন্যরকম নয়?
তিনি বলেছেন ‘এটিই হলো জীবন, মহাবিশ্ব এবং সবকিছু সম্পর্কে চূড়ান্ত প্রশ্ন’ এবং এর উত্তর তিনি দেবার চেষ্টা করেছেন এ বইয়ে। তিনি আরো বলেছেন, ‘বিশ্বকে গভীরভাবে বুঝতে হলে শুধু কীভাবে এটি আচরণ করছে তা জানাই যথেষ্ট নয়, জানতে হবে কেন ঠিক ঐভাবেই বিশ্বের বিবর্তন হচ্ছে।
সর্বক্ষেত্রে স্রষ্টাকে জোর করে টেনে আনার তো কোনো কারণ দেখিনা । যদি স্রষ্টাকে টেনে আনতে হয় , তাহলেতো আর কোনো তত্তেরই প্রয়োজন নেই, কোনো গবেষনারই প্রয়োজন নেই ।
একটি অসাধারন মানের লেখা। বিষয়বস্ত্তুর উপস্থাপনা, গভীরতা, ভাষার গাথুঁনি – সব মিলিয়ে এক কথায় চমৎকার। লেখককে ধন্যবাদ।
২৬ শে জুলাই, ২০১৭ সন্ধ্যা ৬:৫০
কাছের-মানুষ বলেছেন: ধন্যবাদ সুন্দর মন্তব্যের জন্য।
ষ্টিফেন হকিং বইতে বেশ কিছু দার্শনিক পরশ্নের উত্তর দেবার চেষ্টা করেছেন। বইটা অসাধারন, পড়ে সমৃদ্ধ হবার মত বই তাতে সন্দেহ নেই। বিজ্ঞান এবং কসমোলজি নিয়ে ব্যাখ্যা করবার চেষ্টা করেছেন।
আমার এই সিরিজের সাথে সামজস্য এর উপর আলোকপাত করেছি। এই বই নিয়ে আলোচনা করলে স্রষ্টার প্রসঙ্গ আসবেই কারন এই বইটিতে স্রষ্টার প্রসঙ্গ অনেক এসেছে।
পড়ার জন্য কৃতজ্ঞতা রইল।
১৩| ২৬ শে জুলাই, ২০১৭ সন্ধ্যা ৭:১০
রাশিদুল ইসলাম লাবলু বলেছেন: ভাইজান আপনি হয়তো গ্রান্ড ডিজাইন বইটি বুঝতে পারেন নি। ষ্টিফেন ডব্লিউ হকিং বলেছেন “ এটা (মহাবিশ্ব) যদি সসীম হয়। এই সসীমতা এখনও প্রমান করা বাকী। তাহলে এটা হবে মহাবিশ্বের এমন এক রুপায়ন, যে মহাবিশ্ব নিজেই নিজেকে সৃষ্টি করে। আর আমরা বাধ্য হয়েই এই মহাবিশ্বের একটি অংশ কারন এ ছাড়া আর কোন সুসংহত রুপায়ন নেই।”
এখন কথা হলো ষ্টিফেন ডব্লিউ হকিং এর কথাটি যদি আমরা মেনে নিই তাহলেও আমাদের কোন সমস্যা থাকে না। কারন আমাদের ধর্মমতে আল্লা কোন কিছু সৃষ্টি করেন না তিনি শুধু বলেন ‘হও’ অমনি তা হয়ে যায়। “সেই মহান সত্ত্বা আকাশসমূহ ও পৃথিবী সমূহকে সৃষ্টি করিয়াছেন অতি সুক্ষ সমতায়। তিনি যখন আদেশ করেন হও, অমনি হয়ে যায়।(৬.৭৩) সেক্ষেত্রে বাস্তবিক দৃষ্টিকোন থেকে যদি ষ্টিফেন হকিং বলে থাকেন জগৎ আপনা আপনি সৃষ্টি হয়ে থাকে এক্ষেত্রে কোন সমস্যা থাকে না। কারন আল্লার কমান্ড এর কারনে আপনা আপনি সৃষ্টি হয়। বাস্তবিক দৃষ্টিকোন থেকে আপনা আপনি সৃষ্টির কথা সত্য। আল্রার কমান্ড টিতো আধ্যাত্মিক চোখে দেখার দরকার সেই চোখ তো আর তার নেই।
কিন্ত এখন প্রশ্ন হলো সৃষ্টির উপাদান কোথা থেকে এলো? স্রষ্টা এবং সৃষ্টির উপাদান দুটি যদি দুই বিষয় হয়ে থাকে স্রষ্টার একত্ব থাকে না। আল কোরানে তিনি বলছেন “তিনি গুপ্ত এবং তিনিই ব্যাক্ত (প্রকাশ্য)”। অতএব তিনি বলছেন তিনিই স্রষ্টা এবং তিনিই সৃষ্টি রুপে প্রকাশিত। বিশিষ্ট বিজ্ঞানী শন ক্যারল একটি সাক্ষাৎকারে বলেন “আমাদের এই মহাবিশ্ব বৃহত্তর কোন স্থান-কাল থেকে উদ্ভুত। উচ্চ এনট্রপির বৃহত্তর স্থানের অতি সামান্য অংশ থেকেই আমাদের এই মহাবিশ্ব এসেছে। আমাদের মেনে নিতে হয় এ মহাবিশ্ব সৃষ্টির পূর্বে আরেকটি বিষয়বস্তু ছিলো যা আমাদের তৈরী করেছে। আমরা সেই বিষয়বস্তু থেকে বেরিয়েছি। উচ্চ এনট্র্রপির কোন বৃহত্তর স্থানের অতি সামান্য এক অংশ থেকে আমাদের মহাবিশ্ব এসেছে’ যাকে আমরা পর্যবেক্ষন করতে পারি না। ” শন ক্যারলের উপলদ্ধি যদি তাই হয় তাহলে আমরা আল্লা হতেই এসেছি। জগৎ একটি চেতনা আর সেই চেতনার আদেশে সে নিজেই নিজেকে সৃষ্টি করেছে।
ষ্টিফেন ডব্লিউ তার ‘ব্রিফ হিস্ট্রি অব টাইম’ বইয়ে প্রশ্ন ছুঁড়ে দিয়ে বলেন, ‘যদি মহাবিশ্বের সূচনা থাকে, তবে হয়তো ভাবতে পারি এর পেছনে ঈশ্বর বলে কেউ হয়তো থাকতে পারেন। কিন্তু মহাবিশ্ব যদি পুরোপুরি স্বয়ংসম্পূর্ণই হয়, যদি তার কোন সীমারেখা কিংবা প্রান্ত না থাকে, তবে তো এর কোন শুরু নেই, শেষ নেই, it would simply be! তাহলে এখানে ঈশ্বরের স্থান কোথায়?’
তিনি ঈশ্বরের স্থান কোথায় বলে প্রশ্ন করেছিলেন আর এখন আমাদের সেই প্রশ্নের উত্তর দেওয়ার সময় এসেছে। এখন আমরা বুঝতে পারছি সৃষ্টি ধ্বংশের মধ্য দিয়ে অবশিষ্টাংশ যা থাকে তা স্বয়ং তিনি। তার অংশ। তিনিই মহাবিশ্ব রুপে সবর্ত্র বিরাজিত। আল কোরানে তিনি বলছেন “তিনি গুপ্ত এবং তিনিই ব্যাক্ত (প্রকাশ্য)”। এই মহাবিশ্বটা স্বয়ং তিনিই। তিনি নিজেই নিজেকে সৃষ্টি করেছেন।
আপনি বলেছেন দ্বিতীয় পয়েন্টে আমি বলব হকিং সাহেব ''ল অব নেচারের'' অস্তিত্বের উপর ঈমান এনেছেন কিন্তু এর মানগুলো কাকতালিয়ভাবে নাযিল হয়েছেন বলে যেই মত প্রকাশ করেছেন তা আমার কাছে অযৌক্তিক মনে হয়েছে।
আমার মনে হয় হকিং সাহেবের এই কথার সাথে আল কোরঅানের সংঘাত থাকে না। কারন আল কোরআন বলে “আল্লাহর সত্তা ব্যতীত সমস্ত কিছুই ধ্বংশশীল। বিধান তাহার এবং তাহারই নিকট তোমরা প্রত্যাবর্তিত হইবে।”(২৮:৮৮) লক্ষ্য করুন আল কোরআনে বলেছে ‘বিধান তাহার’। বিধান শব্দের অর্থ নিশ্চয় বুঝছেন? বিধান বা নিয়ম বা সুত্র। এটাকে পদার্থের সুত্র, জগৎ পরিচালনার নিয়ম যাই বলুন না কেনো সেটা আল্রার। এবং সেই নিয়ম সহ আমরা তার কাছে প্রত্যাবর্তিত হবো। এখানে আমরা দুটি জিনীষ পেলাম । এক সর্বশক্তিমান এবং দ্বিতীয়টি সর্বজ্ঞানী। শক্তি এবং জ্ঞান তার কাছে প্রত্যাবর্তিত হবে। (আমরা বলতে বস্তু সকল যা শক্তিতে পরিনত হয় এবং বিধান বলতে জ্ঞান বা সুত্র যা অদৃশ্য বিষয়) অতএব জগৎ সৃষ্টিতে দুটি উপাদান ব্যবহার হয়েছে। শক্তি ও সুত্র। সুত্রই পদার্থের পরিচালক। অদৃশ্য জগৎই দৃশ্যমান জগতকে পরিচালনা করে। কম্পিউটার নির্মানে যেমন ০ এবং ১ কোডিং ব্যবহার হয় ঠিক তেমনি এই জগতের সৃষ্টিতে শক্তি ও জ্ঞান নামক কমান্ড ব্যবহার করা হয়েছে। শক্তি এবং জ্ঞানের পূর্বে ছিলেন তিনি “ আল্লার স্বত্তা” যাকে একটি চেতনা।
২৬ শে জুলাই, ২০১৭ সন্ধ্যা ৭:৩৩
কাছের-মানুষ বলেছেন: ভাইজান আপনি হয়তো গ্রান্ড ডিজাইন বইটি বুঝতে পারেন নি। ষ্টিফেন ডব্লিউ হকিং বলেছেন এটা (মহাবিশ্ব) যদি সসীম হয়। এই সসীমতা এখনও প্রমান করা বাকী। তাহলে এটা হবে মহাবিশ্বের এমন এক রুপায়ন, যে মহাবিশ্ব নিজেই নিজেকে সৃষ্টি করে। আর আমরা বাধ্য হয়েই এই মহাবিশ্বের একটি অংশ কারন এ ছাড়া আর কোন সুসংহত রুপায়ন নেই।”
ভাইজান আমি ঠিকই বুঝতে পেরেছি। ষ্টিফেন হকিং তার পূর্বের বইতেই বলেছনে যদি মহাজগৎ সসীম হয় তাহলে এর পেছনে ঈশ্বর বলে কেউ হয়তো থাকতে পারেন যেটা আপনিও আপনার কমেন্টের নিচে উল্লেখ্য করেছেন এবং আমি আমার এই সিরিজের পূর্বের পর্বে এই ব্যাপারে উল্লেখ্য করেছি। যাইহোক মূল বিষয়ে আসি তার দুটো বইতেও তিনি মহাবিশ্ব যে সসীম নয় তা নো-বাউন্ডারি তুত্ব দিয়ে প্রমান করার চেষ্টা করেছেন । আর এই ''দ্যা গ্র্যান্ড ডিজাইন'' বইতে প্রমান করার চেষ্টা করেছেন যেহেতু সসীম নয় তাই এম থিওরি মোতাবেক বিলিয়ন বিলিয়ন মহাবিশ্ব আছে আলাদা আলাদা সূত্র নিয়ে। তাই কাকতালিয়ভাবে এই বিলিয়ন থেকে একটা বসবাসযোগ্য গ্রহ মিলে গেছে যেখানে জীবন ধারনের জন্য প্রয়োজনীয় সূত্র মেইনটেইন করে।
যাইহোক আপনার দর্শনের সাথে আমার কোন বিরোধ নেই আমি বিশ্বাস করি এই মহাবিশ্ব স্বয়ং আল্লাহ তৈরি করেছেন ।
আপনার নিচের কমেন্টগুলোর ব্যাপারে কিছু বলতে চাচ্ছি না আমার সাথে আপনার পার্থক্য হল আপনি হকিং সাহেবের তত্বের কিছু দিক ধর্মের সাথে সামজস্য বলে ব্যাখ্যা করার চেষ্টা করেছেন।আমি আমার আলোচনা বইয়ের ভিতরে সীমাবদ্ধ করার চেষ্টা করেছি।
ধন্যবাদ আন্তরিক মন্তব্যের জন্য।
ভাল থাকুন।
১৪| ৩০ শে জুলাই, ২০১৭ রাত ২:৪৮
চাঁদগাজী বলেছেন:
অনেকগুলো মন্তব্য পড়া হয়নি, ফিরে আসবো
৩০ শে জুলাই, ২০১৭ ভোর ৪:০৫
কাছের-মানুষ বলেছেন: ওকে ।
১৫| ১৮ ই আগস্ট, ২০১৭ বিকাল ৩:৫৫
সনেট কবি বলেছেন:
কাছের-মানুষ ও প্রকৃতি বিজ্ঞান
নিজে নিজে একজন হতে পারি জানি,
এর বেশী অসম্ভব। কারণ যে হবে
নিজে নিজে বাধাহীন সে হবে অসীম।
আর অসীম হয়না একের অধীক।
যদি না হয় নিজে নিজে একের অধীক
তবেতো তিনি হবেন একমাত্র শ্রষ্টা
আর সব তাহলোতো সৃষ্টি হবে তাঁর
এ বাস্তব অবিশ্বাসে কি উপায় আছে?
পারলে অসীম হতে কে হয় সসীম?
কে দেয় বাধা? যেখানে কোনকিছু নেই?
নিজে নিজে সসীম কে হবেন তাহলে?
তারছে সকল হয়ে অসীম, একত্রে
মিলেমিশে হবে এক এইতো সঠিক,
আর এটাই আসলে প্রকৃতি বিজ্ঞান।
১৮ ই আগস্ট, ২০১৭ সন্ধ্যা ৭:২০
কাছের-মানুষ বলেছেন: ধন্যবাদ প্রিয় সনেক কবি। আপনার সনেটের ভক্ত আমি!
কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করছি সুন্দর সনেটের জন্য।
১৬| ১৮ ই আগস্ট, ২০১৭ বিকাল ৪:৪৩
চাঁদগাজী বলেছেন:
হকিং বড় বড় ধারণাগুলোকে আরাকটু রিফাইন করতে সমর্থ হয়েছেন।
১৮ ই আগস্ট, ২০১৭ সন্ধ্যা ৭:২০
কাছের-মানুষ বলেছেন: আমি আপনার সাথে একমত।
১৭| ২১ শে আগস্ট, ২০১৭ দুপুর ২:২২
মাঈনউদ্দিন মইনুল বলেছেন:
অনেক জটিল এবং স্পর্শকাতর বিষয়ে সাহসী আলোচনা। আগে কোন একটি পর্ব পড়েছিলাম। আপনার পোস্টগুলো আস্তে আস্তে পড়বো, এই ছিল সিদ্ধান্ত। কিন্তু পড়েই ফেললাম এপর্বটি।
ব্লগের পোস্ট থেকে মন্তব্য/প্রতিবন্তব্যকে আমি আলাদাভাবে দেখি না। কিছু মন্তব্য এবং তার প্রতিউত্তরও পড়লাম, যেমন আমার স্বভাব। আলোচনাগুলো ভালো লেগেছে।
যাদের গবেষণা এবং গ্রন্থকে কেন্দ্র করে এ আলোচনা, নাম না উল্লেখ করেই বলছি, তাদের জন্ম না হলে মহাজগৎ তথা সৃষ্টির অনেক রহস্য অজানা থেকে যেতো। আমি কোন কিছুর সাথে এর তুলনায় যাচ্ছি না, কারণ দর্শনকে এখনও পবিত্র মনে করি।
তবে এসব বিষয়ে কোন সামারি/উপসংহার টানা কঠিন। তবু আপনি করেছেন, আপনার চিন্তা থেকে। ভালো করেছেন, কারণ আমার মতো আমপাঠক ব্লগারের এনালিসিস পড়তে বেশি কৌহূহলী।
লেখাটি শেষ হলে অবশ্যই গ্রন্থ আকারে প্রকাশ করবেন। অতএব সে মানসিকতা থেকেই চালিয়ে যান.... কাছের মানুষ
অনেক অনেক শুভেচ্ছা....
২১ শে আগস্ট, ২০১৭ দুপুর ২:৫০
কাছের-মানুষ বলেছেন: আমার ইচ্ছা আছে পুরো সিরিজটা লিখে প্রতিটা বিষয় ভিত্তিক পর্বগুলোকে সেই বিষয়ের যারা কাজ করছে তাদের কাছে পরামর্শ নিয়ে আরকটু রিফাইন করব লেখাগুলোকে তাহলে যদি কিছু দাঁড়ায় তাইলে হয়ত গ্রন্থ নিয়ে ভাবব। এরজন্য আমার কোন তাড়া নাই আস্তে আস্তে লেখছি কোন নিদিষ্ট সময়ের মধ্যে শেষ করতে হবে এমন নয়। তবে কি কি বিষয় লেখব তা মনে মনে ঠিক করেছি !
প্রতিটা পর্বই একটা উদ্দেশ্য নিয়ে আগানো তাই তুলনামূলক আলোচনা করে উপহাংস টেনেছি যাতে পাঠকদের কাছে ব্যাপারটা সম্পর্কে একটা আগ্রহ থাকে। বইগুলো সব অরিজিনাল ইংলিশ বই এবং রিভিও ফলো করেছি এতে মূল বিষয়ে ফোকাস থাকে অনুবাধ পড়লে মিসলিড হওয়ার সুযোগ থাকে। তবে কখনও অসৎ উপায় করি নাই , সবসময় ফেয়ার আলোচনা করার চেষ্টা করেছি যাতে পাঠকও নিজে কোন কনক্লুশোনে আসতে পারে।
যাদের গবেষণা এবং গ্রন্থকে কেন্দ্র করে এ আলোচনা, নাম না উল্লেখ করেই বলছি, তাদের জন্ম না হলে মহাজগৎ তথা সৃষ্টির অনেক রহস্য অজানা থেকে যেতো। আমি কোন কিছুর সাথে এর তুলনায় যাচ্ছি না, কারণ দর্শনকে এখনও পবিত্র মনে করি।
আপনার সাথে আমি একমত এখানে। তবে হকিং সাহের মত আমারও মনে হয় একসময় বড় বড় দার্শনিকরা যেমন বিজ্ঞানেও অবধান রাখত এবং বিজ্ঞানে দখল থাকত এখন আর সেরকম নেই। দর্শন এখন বিজ্ঞান থেকে দূরে সরে গিয়েছে।
আপনার কমেন্ট আমাকে সবসময়ই আমাকে উৎসাহিত করে ভাই।
পড়ার জন্য কৃতজ্ঞতা রইল ।
©somewhere in net ltd.
১| ২৫ শে জুলাই, ২০১৭ রাত ৮:১৭
শাহরিয়ার কবীর বলেছেন: লাইক ও প্রিয়তে ....... পরে নিবো । ধন্যবাদ ভাই।