নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

‘মানুষ তার স্বপ্নের চাইতেও বড়’

কাছের-মানুষ

মানুষ মরে গেলে পচে যায়, বেঁচে থাকলে বদলায়, কারণে বদলায়, অকারণেও বদলায় । তবে আমি মনে হয় আগের মতই আছি , কখনও বদলাবওনা মনে হয় ! !

কাছের-মানুষ › বিস্তারিত পোস্টঃ

আমেরিকার গ্র্যান্ড কেনিয়ন পৃথিবীর বুকে এক বিস্ময়

০৫ ই মে, ২০২৪ দুপুর ১:৪১


প্রচলিত কিংবদন্তি অনুসারে হাতে গাছের ডাল আর পরনে সাধা পোশাক পরিহিত এক মহিলার ভাটাকতে হুয়ে আতমা গ্র্যান্ড কেনিয়নের নীচে ঘুরে বেড়ায়। লোকমুখে প্রচলিত এই কেনিয়নের গভীরেই মহিলাটি তার আপনজনকে হারিয়েছিল। কেউ কেউ আবার বলে মহিলাটি একজন নেটিভ আমেরিকান, কেনিয়নে ঘুরতে বেরিয়ে অক্কা পেয়েছিল। যুগে যুগে গ্র্যান্ড কেনিয়নকে ঘিরে এরকম অজস্য কিংবদন্তি এবং ভৌতিক কাহিনী গড়ে উঠেছে। আমেরিকার এরিজোনাতে অবস্থিত গ্র্যান্ড কেনিয়ন পৃথিবীর একটি বিখ্যাত প্রাকৃতিক নিদর্শন, যার গভীরে বয়ে চলেছে কলোরাডো রিভার। কয়েক মিলিয়ন বছরে ধীরে ধীরে এই কেনিয়ন গড়ে উঠেছে।

এরিজোনাতে আসার পরই আমার প্রথম স্বপ্ন ছিল এই গ্র্যান্ড কেনিয়ন নিজের চোখে ঘুরে দেখব। গত সপ্তাহের শনিবারে বেরিয়ে পরলাম গ্র্যান্ড কেনিয়নের উদ্দেশ্য, আমি যেই শহরে থাকি সেখান থেকে এর দুরুত্ব প্রায় ৩০০ মাইল(৪৮২ কিমি) এর মত, তাই সিদ্ধান্ত নিলাম ড্রাইভ করেই যাব। প্ল্যান অনুসারে প্রথম দিন ঘুরব এরিজোনার আরেক বিখ্যাত লাল পাহাড়ের শহর সেডোনা, এবং সেখানে ঘুরে রাতে একটি হোটেলে থেকে সকালে আবার সেখান থেকে যাব গ্র্যান্ড কেনিয়নে।


সেডোনার পথে, অদ্ভুত সুন্দর দৃশ্য।


লাল পাহাড়!!

প্রচণ্ড গরম পরেছে কিছুদিন যাবত। বাসা থেকে যখন বের হলাম তখন ঘড়িতে বাজে ৯টার মত। আমি ভোজন রসিক মানুষ, তাই বাসা থেকে বেশী করে বিরয়ানী রান্না করে নিয়ে নিলাম, যাতে যাত্রা পথে ক্ষুধা লাগলে পেটের ভিতর দানার-দান খানা খাদ্য চালান করতে পারি। বছরের এই সময়টা এমনিতেই বেশ গরম পরে বিশেষ করে আমি যেই শহরে থাকি সেখানে ভয়াবহ গরম পরে, গরমে মানুষ ওহ-আহ করে অবস্থা। তবে আজ যাবার পথে বেশ টিপ টিপ বৃষ্টি পরছিল। যতই সেডোনার দিকে এগিয়ে যাচ্ছিলাম ততই চারপাশের দৃশ্য দেখে বিমোহিত হচ্ছিলাম। আমাদের গাড়ি বয়ে চলছে বন জঙ্গল বেদ করে, চারদিকে লাল পাহাড় আর আকা বাঁকা রাস্তা দেখে মনে হয় যেন এই প্রকৃতিতে হারিয়ে যাই।

যাইহোক আমরা দুপুরের দিকে সেডোনা পৌঁছলাম, এবং সাঁরা দিন বেশ কিছু টুরিস্ট স্পট ঘুরে দেখলাম। সেডোনা সত্যিই সুন্দর, প্রকৃতির এক আশ্চর্য নিদর্শন, তবে এই লেখায় সেডোনা নিয়ে কিছু লেখব না। আমি গোস্যা করেছি তাই লেখছিনা ব্যাপারটা এমন না, এই লেখায় সেডোনা সমন্ধে লেখতে গেলে লেখার দৈর্ঘ্য-প্রস্থ অনেক বেড়ে যাবে। যাইহোক সেডোনা সমন্ধে অন্য আরেক দিন না হয় লেখা যাবে। (সেডোনার বিখ্যাত স্লাইড স্টেট পার্কের একটি ভিডিও করেছিলাম, আমাদের সেডোনার ফেইসবুক ভিডিও লিংক!) সারাদিন সেডোনা ঘুরে, রাতে একটি হোটেল নিলাম হাতির সমান একশত ডলার দিয়ে রাতে থাকার জন্য। রাতে হোটেলে গিয়ে ওভেনে সাথে থাকা বিরয়ানী গরম করে খেয়ে নিলাম, সারাদিন অনেক ধকল গিয়েছে, চোখ বুঝতেই নিদ্রায় ডুবে গেলাম।



গ্র্যান্ড কেনিয়নের পথে, রাস্তার দু-ধারে তুষার।

সকালে ঘুম থেকে উঠে নাস্তা করলাম হোটেলে, তারপর ৯ টার দিকে রওনা দিলাম আমাদের গন্তব্য গ্র্যান্ড কেনিয়নের উদ্দেশ্যে। আমাদের হোটেল থেকে কেনিয়নের দুরুত্ব একশ মাইলের একটু বেশী। এরিজোনা সাধারণত গরম, তবে কেনিয়ন উত্তরে পরেছে বিদায় এখানকার তাপমাত্রা অনেক কম। আমরা রাস্তা দিয়ে যাবার পথে দেখলাম রাস্তার দু-পাশে তুষার পরেছে অনেক। এরিজোনা আসার পর এরকম তুষার চোখে পরেনি কখনো, এরিজোনাতে রাস্তায় ধারে তুষার পরতে পারে কল্পনাও করিনি। আমাদের গাড়ি ছুটে চলছে, মাঝে মাঝে এমন জায়গা দিয়ে যাচ্ছিলাম যেখানে আশে-পাশে মাইলের পর মাইল কোন বাড়িঘর নেই, শুধু ধূ-ধূ করছে!

আমরা সকাল সাড়ে দশটার দিকে পৌঁছে গেলাম গ্র্যান্ড কেনিয়নে। এখন গ্র্যান্ড কেনিয়ন কিভাবে নাযিল হল এটা নিয়ে কিছু বলা যাক, একটি শক্তিশালী ধারনা অনুসারে দুজন শক্তিশালী দেবতা টোচোপা (Tochopa) এবং হোকোটামা (Hokotama) এই গ্র্যান্ড কেনিয়ন সৃষ্টি করেছিলেন। এই অংশটুকু পড়ে পাঠক ধাক্কা খেতে পারেন, কিভাবে ব্যাপারটি আমি খুলে বলছি। নেটিভ আমেরিকান হাবাসুপাই (Havasupai tribe) জনগোষ্ঠীর কিংবদন্তি অনুসারে পৃথিবীর নিয়ন্ত্রণ নেবার জন্য দুই দেবতা টোচোপা এবং হোকোটামা গ্র্যান্ড কেনিয়ন নামের এই স্থানে ধুম মাচিয়েছিলেন। হোকোটামা ছিল রগচটা, সারা পৃথিবী তিনি বন্যায় প্লাবিত করেন, এই প্রবল বন্যার জলধারার জন্যই গ্র্যান্ড কেনিয়নের সৃষ্টি হয়। আরেকটি পুরাতন নেটিভ আমেরিকান জনগোষ্ঠী হোপির (Hopi tribe) মিথ অনুসারে দুই দেবতা পোকাংহোয়া (Pokanghoya) এবং পোলোংহোয়া (Polongahoya) এই গ্র্যান্ড কেনিয়নের সৃষ্টি করেন। তারা দুজনেই ছিলেন ভাই, তাদের দায়িত্ব ছিল এই পৃথিবী সৃষ্টির। তারা তাদের বিধ্বংসী লেজার শক্তি ব্যাবহার করে কলোরাডো নদী এবং পাথর কেটে এই গ্র্যান্ড কেনিয়নের সৃষ্টি করেন।

এখানেই শেষ নয়, আরেক নেটিভ আমেরিকান কিংবদন্তি অনুসারে, সূর্য দেবতা টোশানোয়াই (Tsohanoai) এবং পৃথিবী দেবী কোকিয়ানগুটি (Kokyangwuti) একজন আরেকজনের প্রেমে হাবুডুবু খাচ্ছিলেন, যাকে বলে ইশকে দিওয়ানা, তাদের এই প্রেম-প্রীতির নিদর্শন সরূপ এই কেনিয়নের সৃষ্টি হয়। বলা হয়ে থাকে সূর্য দেবতা টোশানোয়াই তার প্রেমিকা পৃথিবী দেবী কোকিয়ানগুটিকে উপহার দেবার জন্য এই কেনিয়নের সৃষ্টি করেন। অনেকটা আমাদের উপ-মহাদেশের শাহজাহান-মমতাজের প্রেমকাহিনীর মত। পুরাতন বিশ্বাস অনুসারে এই কেনিয়ন থেকে কোন বস্তু যেমন পাথর, গাছ ইত্যাদি বাসায় নিয়ে গেলে অ-মঙ্গল হয়, তাই সাধু সাবধান! গ্র্যান্ড কেনিয়নকে ঘিরে তৈরি হওয়া কিংবদন্তিগুলো প্রমাণ করে এই নৈসর্গিক কেনিয়নের প্রতি মানুষের ভালবাসা, আগ্রহ এবং মানুষের অপার কল্পনাশক্তি। পুরাতন বস্তু, কাঠামো এবং কিংবদন্তি সম্বলিত জায়গা আমাকে বরাবরই টানে, আর তাই এই গ্র্যান্ড কেনিয়নের কাছে আসতে পেরে আমি পুলকিত, শিহরিত এবং ভীষণ রোমাঞ্চিত বোধ করছি।

গ্র্যান্ড কেনিয়নের আমরা সারাদিনের টিকিট কিনলাম পঁয়ত্রিশ ডলার দিয়ে, অনেকে কয়েকদিনের টিকিটও কিনছে, রাতে তাঁবু গেড়ে থাকার জন্য। গ্র্যান্ড কেনিয়নে বেশ কিছু পয়েন্ট আছে, সেখান থেকে এই কেনিয়ন উপভোগ করা যায়, যেমন সাউথ রিম, ওয়েস্ট রিম, এবং নর্থ রিম। আমরা গেলাম সব থেকে জনপ্রিয় সাউথ রিমে। এই ধরনের টুরিস্ট স্পটে সাধারণ পার্কিং পাওয়া কঠিন, আমার অভিজ্ঞতা অন্তত তাই বলে। তবে এবার আমার ভাগ্য সহায়ই বলতে হয়, যাকে খাশ বাংলায় বলে কপাল ফকফকা! পার্কিং পেলাম একেবারে গ্র্যান্ড ক্যানিয়নের পাশেই।



গ্র্যান্ড কেনিয়নের কিছু দৃশ্য।

প্রচুর মানুষ এসেছে প্রকৃতির এই বিস্ময় দেখতে। আমি তাকিয়ে আছি মুগ্ধ হয়ে, স্বচক্ষে না দেখলে বুঝতাম না প্রকৃতি এতটা সুন্দর হতে পারে। সকালের নরম রোধ, হালকা বাতাস আর চোখ ধাঁধানো কেনিয়ন, সব কিছু মিলে যেন একেবারে জমে ক্ষীর। আমরা উপর দিয়ে হেটে হেটে দেখতে লাগলাম এই কেনিয়ন, আর থেমে থেমে ভিডিও আর ছবি তুললাম (আমাদের গ্র্যান্ড কেনিয়নের ফেইসবুক ভিডিও লিংক)। এই কেনিয়নের নীচ দিয়ে বয়ে গেছে কলোরাডো নদী, তবে উপর থেকে দেখা যায় না। অনেক পর্যটক গ্র্যান্ড কেনিয়নের নীচ বেয়ে হেটে যায়, একেবারে নিচের কয়েকটি হোটেল আছে, ইচ্ছে করলে থাকা যায় সেখানে, তবে মালপানি আলাদা দিতে হয়। আবার অনেকে তাঁবু গেড়েও থাকতে পারে চাইলে। আমি কয়েকজন আমেরিকানের সাথে কথা বললাম, ওরা জানালো কলোরাডো নদী দেখতে চাইলে নীচে হেটে যেতে হবে, আঁকাবাঁকা রাস্তা বেয়ে ২০ মাইলের মত হাটতে হবে সেই নদী স্বচক্ষে দেখতে চাইলে। সেই ক্ষেত্রে যেতেই লাগবে ৭-৮ ঘণ্টা, আর ফিরে আসতে-তো সময় লাগবেই। তবে যেহেতু আমি পরিবার নিয়ে এসেছি, তাই উপর থেকেই উপভোগ করলাম।

সারাদিন ঘুরে, বিকাল সাড়ে তিনটার দিকে রওনা দিলাম বাসার উদ্দেশ্য, সেখান থেকে মোবাইলে দেখাচ্ছে মোট ৬-৭ ঘণ্টা ড্রাইভ করতে হবে। যখন আসছিলাম, মাইলের পর মাইল শুধু গাছ-পালা, এবং উঁচুনিচু পাহাড়, কোন লোকালয় চোখে পরছিল না সহজে, আর ওদিকে আমাদের প্রচণ্ড ক্ষুধা পেয়ে গেল একটু ড্রাইভ করার পরই। কোন এক জায়গাই গাড়ি থামিয়ে যে রেস্টুরেন্ট খুঁজব এর কোন উপায় নেই। অগত্যা ঘণ্টা দুয়েক গাড়ি চালানোর পর একটি মেগডোনাল্ডে গাড়ি থামিয়ে একটু ঝিমিয়ে নিলাম, সাথে ছেলেকে কিছু কিনে দিলাম। পাশেই একটি একটি গ্যাস স্টেশন ছিল, সেখান থেকে গ্যাস নিয়ে পুনরায় রওনা দিয়ে সন্ধ্যার দিকে এরিজোনার আরেক বিখ্যাত শহর ফিনিক্সে পৌঁছলাম। সেখানে একটি থাই রেস্টুরেন্টে ভোজন কর্ম সম্পাদন করে রাত ১১-টার দিকে বাসায় পৌঁছলাম।

এই টুরের ইউটিউব ভিডিও লিংক।

আমার ভ্রমণ পোষ্ট-সমূহঃ
আমার থাই এবং লাউস ভ্রমনের গল্প
ঘুরে এলাম আমেরিকার সানফ্রানসিসকো
আমেরিকার আলাবামা থেকে ওয়াশিংটন রোড ট্রিপ
অরিগনের সর্বোচ্চ পর্বত মাউন্ট-হুড
সিলভার ফলস পার্ক যেন আমেরিকার বুকে এক টুকরো স্বর্গ
আমেরিকার গ্রামে বেরী-পিকআপে একদিন
আমেরিকার ৯০০০ ফুট উচু পাহাড় মাউন্ট লেমনে একদিন
ঘুরে এলাম আমেরিকার ইন্ডিয়ানা থেকে

অরিগণ থেকে এরিজোনায় রোড ট্রিপঃ
আমেরিকার অরিগণ থেকে এরিজোনায় রোড ট্রিপ (পর্ব পাচ এবং শেষ): পৌছে গেলাম মরুভূমি রাজ্য এরিজোনাতে
আমেরিকার অরিগণ থেকে এরিজোনায় রোড ট্রিপ (পর্ব চার): লস-এঞ্জেলেসে একদিন
আমেরিকার অরিগণ থেকে এরিজোনায় রোড ট্রিপ (পর্ব তিন): পৌছে গেলাম ক্যালিফোর্নিয়ার সান-ফ্রানসিসকো
আমেরিকার অরিগণ থেকে এরিজোনায় রোড ট্রিপ (পর্ব দুই): যাত্রা শুরুর দিন
আমেরিকার অরিগণ থেকে এরিজোনায় রোড ট্রিপ (পর্ব এক): ভ্রমনের ইতিকথা

মন্তব্য ৩৮ টি রেটিং +১২/-০

মন্তব্য (৩৮) মন্তব্য লিখুন

১| ০৫ ই মে, ২০২৪ দুপুর ১:৫০

এম ডি মুসা বলেছেন: চমৎকার একটি জায়গার উপস্থাপনা। যদি ভাগ্যে সৌভাগ্যে জোটে তাহলে যাওয়ার ইচ্ছা আছে কিন্তু হবে না মনে হয়।

০৫ ই মে, ২০২৪ দুপুর ১:৫৬

কাছের-মানুষ বলেছেন: কেন হবে না! মন থেকে চাইলে সবই হয়, মানুষের জীবন আনপিডিক্টেবল।
ধন্যবাদ আপনাকে। আপনার ভাল লেগেছে জেনে ভাল লাগল।

২| ০৫ ই মে, ২০২৪ দুপুর ২:০২

এম ডি মুসা বলেছেন: আপনার ইউটিউব চ্যানেল আছে? আপনার ভ্রমনের চিত্র গুলোই উপস্থাপন করে মানুষকে দেখালে মনে আরো ভালো লাগতো... থাকলে লিংক দেন,

০৫ ই মে, ২০২৪ দুপুর ২:০৯

কাছের-মানুষ বলেছেন: ইউটিউব আমার নেই, তবে ছেলের ছোট বেলায় স্মৃতি ধরে রাখায় জন্য একটি চ্যানেল খুলেছিলাম। টুকটাক দেই অনেক সময় ভিডিও, তবে রেগুলার না। লিংক

৩| ০৫ ই মে, ২০২৪ দুপুর ২:৩০

ইসিয়াক বলেছেন: পোস্ট রাতে পড়ে মন্তব্য করবো। এখন আবৃত্তির ক্লাসে যাচ্ছি তাই ভীষণ ব্যস্ত। তবে আপনার ইউটিউব চ্যানেল ঘুরে এলাম। বেশ ভালো। ও হ্যাঁ সাবস্ক্রাইব করেছি। আশাকরি ভালো ভালো ট্রাভেল ব্লগ দেখতে পাবো। শুভেচ্ছা রইলো।

০৫ ই মে, ২০২৪ রাত ১১:২৮

কাছের-মানুষ বলেছেন: মন্তব্যে রাখার এবং সাবস্ক্রাইব এর জন্য আন্তরিক ধন্যবাদ রইল।

আবৃত্তি শিখছেন শুনে ভাল লাগল। আশা করি আপনার আবৃত্তি শুনতে পাব কখনও, এর উপর পোষ্ট দিতে পারেন।

৪| ০৫ ই মে, ২০২৪ দুপুর ২:৩২

ইসিয়াক বলেছেন: পড়ে < পরে হবে। অনিচ্ছাকৃত ভুলের জন্য দুঃখিত।

০৫ ই মে, ২০২৪ রাত ১১:২৮

কাছের-মানুষ বলেছেন: নো প্রবলেম। বুঝতে পেরেছি।

৫| ০৫ ই মে, ২০২৪ দুপুর ২:৫৮

আরেফিন৩৩৬ বলেছেন: এটি একটি অসাধারণ জায়গা। আমি ভিডিও ব্লগে দেখেছি, এমন কি বড় ভাই লালন ঐখানে গিয়ে ভিডিও কল দিয়েছিলো। অসাধারণ

০৫ ই মে, ২০২৪ রাত ১১:২৮

কাছের-মানুষ বলেছেন: হ্যাঁ সত্যিই এটি অসাধারণ জায়গা। প্রতি বছর লক্ষ লক্ষ দর্শনার্থী যায় এটি দেখার জন্য। আপনি ভিডিও মাধ্যমে আগে দেখেছেন শুনে ভাল লাগল।

৬| ০৫ ই মে, ২০২৪ সন্ধ্যা ৬:১২

কামাল১৮ বলেছেন: নতুন কিছু দেখার আনন্দই আলাদা।এই জন্য মন থাকা চাই সেই সাথে আর্থিক ও শারীরিক সামর্থ ।আমরা যাদের কোনটাই নাই তাদের দৈয়ের স্বাদ ঘোলে মিটাতে হয়।আমি প্রায় ইউটিউবে দেখি।আমার কেন জানি ভালো লাগে।

০৫ ই মে, ২০২৪ রাত ১১:২৯

কাছের-মানুষ বলেছেন: সত্যিই তাই, যে কোন স্থান পরিদর্শনের জন্য সেরকম মন, আর্থিক এবং শারীরিক সামর্থ্যতো সত্যিই দরকার। ইউটিউব মাধ্যমে এখন পৃথিবীর অনেক দর্শনীয় স্থানের ভিডিও ব্লগ দেখা যায়, আমিও এখানে যাবার আগে কিছু ভিডিও ব্লগ দেখেছিলাম। আমারও এই ধরনের ভিডিও ভাল লাগে।

৭| ০৫ ই মে, ২০২৪ রাত ১০:০১

লেখার খাতা বলেছেন: চমৎকার বিবরণী সাথে দারুণ ছবি ওয়ালা পোস্টটি তথ্যবহুল।

০৫ ই মে, ২০২৪ রাত ১১:২৯

কাছের-মানুষ বলেছেন: পড়ার জন্য কৃতজ্ঞতা রইল। আপনার ভাল লেগেছে জেনে ভাল লাগল।

৮| ০৫ ই মে, ২০২৪ রাত ১০:২৪

এম ডি মুসা বলেছেন: " style="border:0;" />ভিডিওটি অনেক সুন্দর। ভিডিওটি মানুষের কাছে পৌঁছায় নাই। ভিডিওটি দেখছি আমি

০৫ ই মে, ২০২৪ রাত ১১:৩১

কাছের-মানুষ বলেছেন: ধন্যবাদ আপনাকে লিংকটি এখানে যুক্ত করার জন্য।

আসলে আমি ঘন ঘন ভিডিও দেই না, বেশী মানুষের কাছে পৌছতে হলে ঘন ঘন ভিডিও দিতে হয়, না হলে ইউটিউবের এলগোরিদম বেশী মানুষের কাছে শো করে না ভিডিও।

৯| ০৫ ই মে, ২০২৪ রাত ১১:৪৪

জনারণ্যে একজন বলেছেন: গত বছর গেছিলাম ওখানে, খুব বেশি একটা ইমপ্রেসড হইনি। হয়তোবা আমার নিজেরই বসবাস পর্বতের কোলে, এজন্য।

সেডোনা খুবই সুন্দর। আবার যাওয়ার ইচ্ছা আছে।

এখন প্ল্যান করছি আমার অতি প্রিয় সেই রুট ধরে ভ্রমণের। ডুরাঙ্গো টু সিলভার্টন টু টেলুরাইড।

০৬ ই মে, ২০২৪ রাত ১২:০১

কাছের-মানুষ বলেছেন: সেডোনা সত্যিই সুন্দর, সেখানকার পাহাড়, তাদের আপ-টাউন (ডাউন-টাউন কে বলে ওরা আপ-টাউন) বেশ সুন্দর, আপনি দেখেছেন নিশ্চয়ই, এই ধরনের জায়গায় যাওয়াই যায় পুনরায়। এবার ভ্রমণে Horseshoe Bend এ যেতে চেয়েছিলাম, সেডোনে থেকে বেশী দূরে ছিল না কিন্তু মিস হয়ে গেছে, তাই আবারো ওদিকে যাব এটা দেখতে।

আপনার প্ল্যান করা রুটটি আকর্ষণীয় হবে মনে হচ্ছে, গেলে অভিজ্ঞতা শেয়ার করবেন আশা করে পোষ্ট হিসেবে।

১০| ০৬ ই মে, ২০২৪ সকাল ৮:৪৭

মোঃ মাইদুল সরকার বলেছেন: দারুণ।

০৬ ই মে, ২০২৪ সকাল ৯:১৭

কাছের-মানুষ বলেছেন: ধন্যবাদ আপনাকে।

১১| ০৬ ই মে, ২০২৪ সকাল ৯:২৩

শেরজা তপন বলেছেন: এত দিনের সপ্ন ও এত বিশাল ব্যাপারে ভ্রমনটা বেশি সংক্ষিপ্ত হয়ে গেছে! উচিৎ ছিল কলরোডা পর্যন্ত অন্তত যাওয়া।

০৬ ই মে, ২০২৪ সকাল ১০:৪৬

কাছের-মানুষ বলেছেন: না কলোরাডো নদীর জন্য নীচে যাওয়া আমার পক্ষে সম্ভব ছিল না, (২০ মেইল নীচে হেটে), আমাকে ৫০০ ডলার দিলেও না! উপর থেকেই ভিউ সুন্দর, নীচে সেই নদী আমার মনে হয় না আহামরি কিছু হবে! উপর থেকে সম্পূর্ণ কেনিয়ন দেখতেই বরং আকর্ষণীয় লাগে।

১২| ০৬ ই মে, ২০২৪ সকাল ৯:৪১

ঢাবিয়ান বলেছেন: ভাল লাগলো আপনার ভ্রমন ব্লগ। আপনার ছবিতে কলোরোডা নদীকে দেখতে না পেয়ে , নেটে গিয়ে দেখে এলাম।

০৬ ই মে, ২০২৪ সকাল ১০:৫১

কাছের-মানুষ বলেছেন: দারুন। নেটে কেনিয়নে নীচে বয়ে চলা নদী দেখেছেন কি না জানি না। অনেকে কয়েক দিনের জন্য জার্নি করে নীচে যায়। তবে বেশীর ভাগ পর্যটক উপর থেকেই ঘুরে, সেখানে হেলিকপ্টার দিয়েও অনেকে ঘুরে টপ ভিউ দেখার জন্য, জন প্রতি ১৫০ ডলার নেয় হেলিকপ্টার।

১৩| ০৬ ই মে, ২০২৪ রাত ৮:৪৬

ঢাকার লোক বলেছেন: সুন্দর বর্ণনা, সেই সাথে ছবি ও ভিডিও ! কোনোদিন সুযোগ হলে যাওয়ার ইচ্ছা আছে, বাকি আল্লাহর ইচ্ছা।
"কেনিয়ন" কে বাংলায় কি বলা যায় জানতে উইকিপিডিয়া খুললাম, এতে যা পেলাম তা মোটামুটি এভাবে বলা যায়,
দুইটি খাড়া পর্বতের মতো পাড়ের মাঝখানে গভীর নিচ দিয়ে যখন একটা নদী বয়ে যায় তেমন এলাকাকে কেনিয়ন বলা হয় এবং দীর্ঘ কাল ধরে নদীর স্রোতের কারণে তার তলদেশ এবং কিনারের মাটি প্রাকৃতিক ভাবে ক্ষয় হয়ে এই কেনিয়ন সৃষ্টি হয় !

০৭ ই মে, ২০২৪ রাত ১:২০

কাছের-মানুষ বলেছেন: মন থেকে ইচ্ছে করলে নিশ্চয়ই যেতে পারবে কোন না কোন সময় আমি বিশ্বাস করি।

কেনিয়ন শব্দের যথার্থ অর্থ হয়েছে আমি বলব, কেনিয়নই আসলে দেখতে তেমনই যেমনটা উইকিপিডিয়া বলেছে!

আপনার ভাল লাগাতে আমার ভাল লাগল। পড়ার জন্য কৃতজ্ঞতা রইল।

১৪| ০৭ ই মে, ২০২৪ সন্ধ্যা ৭:০৯

ইসিয়াক বলেছেন: এরিজোনার বিখ্যাত লাল পাহাড়ের শহর সেডোনা সম্পর্কে ভবিষ্যতে লিখবেন আশা করি।
ছবি এবং বর্ণনা দুটোই ভালো লেগেছে।
# আবৃত্তি আমি দুই বছর ধরে শিখছি। চার বছরের সরকারি কোর্স। পুরো ব্যপারটাই অনুশীলন নির্ভর সেই সংগে বাংলা ব্যকরণ, উচ্চারণ ও বানানের দুর্দান্ত পাঠ।যা আমাকে প্রতি নিয়ত সমৃদ্ধ করছে।আমার দিনের বেশির ভাগ সময় চলে যায় আবৃত্তির পিছনে।মূলত আমার কবিতা আর গল্পগুলো সকন্ঠে উপস্থাপন করা ইচ্ছাতেই এই কোর্সটি করা। আমার কিছু আবৃত্তি ফেসবুক আর ইউটিউবে আপলোড দেওয়া আছে।
ধন্যবাদ। ভালো থাকুন প্রিয় ব্লগার।

০৭ ই মে, ২০২৪ রাত ১০:৩৬

কাছের-মানুষ বলেছেন: চমৎকার। আপনার বহুমুখী প্রতিভায় আমি মুগ্ধ। আবৃত্তি আরও আগে থেকে করেন জেনে ভাল লাগল। ব্লগের নিজের পরিচিতিতে ইউটিউবের লিংক দিলে আমার মনে হয় আপনার আবৃত্তি আরও অনেক মানুষের কাছে পৌঁছে যাবে। আপনার আবৃত্তি আমার শূনতে ইচ্ছে করছে, এই নিয়ে লিংক-সহ কোন এক সময় ব্লগে এই নিয়ে পোষ্ট দিবেন আশা করি। আপনার জন্য শুভকামনা রইল।

১৫| ০৭ ই মে, ২০২৪ রাত ১০:৫৭

মনিরা সুলতানা বলেছেন: দুর্দান্ত ভ্রমণ গল্প!!
অনেক সুন্দর সব ছবি।

০৭ ই মে, ২০২৪ রাত ১১:০৭

কাছের-মানুষ বলেছেন: আপনার ভাল লাগাতে ভাল লাগল।
পাঠ ও প্রতিক্রিয়ার জন্য কৃতজ্ঞতা রইল।

১৬| ০৮ ই মে, ২০২৪ রাত ৩:৩৩

শ্রাবণধারা বলেছেন: গ্র্যাণ্ড ক্যানিয়ন ভ্রমণ বৃত্তান্ত ভালো লাগলো।

শুনে হতবাক হলাম যে আ্যারিজোনাতেও তুষার পড়ে। আমার ধারণা ছিলো জায়গাটা বেজায় গরম হবে। তার মানে ক্যানিয়নের আশেপাশের জায়গাটা ভূপৃষ্ঠ থেকে বেশ অনেকখানি উচুতে অবস্থিত। আবার একই সাথে এটা একটা বিরাটা খাদ যেটা কোন কোন স্থানে ৬ কিলোমিটার গভীর!

০৮ ই মে, ২০২৪ ভোর ৫:০২

কাছের-মানুষ বলেছেন: হ্যাঁ শুধু গ্র্যান্ড কেনিয়নের দিকে নয়, ফ্ল্যাগ স্টাফ আর সেডোনার দিকেও বরফ পরে।

এমনকি এরিজোনার সাউথে যেমন Tucson এ প্রচুর গরম পরে, তবে এই শহরকে ঘিরে রেখেছে নয়-হাজার ফিট উঁচু মাউন্ট লেমন, এর উপরে তাপ মাত্রা সবসময় ২০ ডিগ্রি কম থাকে, আর শীতে-তো বরফ পরে, স্কিও করা যায় কয়েক মাস।

লেখাটি পড়ার ও মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ রইল অনেক।

১৭| ০৮ ই মে, ২০২৪ বিকাল ৫:১৪

করুণাধারা বলেছেন: ছবিগুলো খুব সুন্দর, আপনার ভ্রমণকাহিনীও ভালো লেগেছে যদিও আরেকটু বড় হলে ভালো লাগতো।

প্রথম আর ছয় নম্বর ছবিটি আপনার তোলা? উপর থেকে তুলেছেন?

০৯ ই মে, ২০২৪ রাত ১:০৯

কাছের-মানুষ বলেছেন: হ্যাঁ এখানে ব্যবহৃত সবগুলো ছবিই আমাদের তোলা (আমার অথবা আমার বউ)। লেখাটি আমিও ভাবছিলাম আরও বড় হওয়া দরকার ছিল, তাই আজ ইডিট করে কিছু মিথ, কিংবদন্তি, কিছু স্থানে আরও বিস্তারিত লেখে লেখাটি আরও বড় করেছি।

পাঠ ও মন্তব্যের ধন্যবাদ রইল অনেক।

১৮| ১০ ই মে, ২০২৪ রাত ১০:২৬

মিরোরডডল বলেছেন:




পোষ্ট, ছবি আর বাবা ছেলের ভিডিওগুলো বেশ লাগলো।


১১ ই মে, ২০২৪ রাত ১২:০৪

কাছের-মানুষ বলেছেন: পোস্ট পাঠ ও ভিডিও দেখার জন্য আপনাকেও ধন্যবাদ রইল।

১৯| ১৩ ই জুন, ২০২৪ সকাল ৮:৫২

খায়রুল আহসান বলেছেন: ছবি এবং ভিডিও ক্লিপগুলো সুন্দর, দৃষ্টিনন্দন! কিয়ানের আনন্দে দৌড়াদৌড়ি, ছুটাছুটি দেখতে ভালো লেগেছে।
সেডোনার স্লাইড স্টেট পার্কে যে সরু নদীটি (আমাদের দেশের খাল সদৃশ জলাশয় গুলোই এসব দেশে নদীর মর্যাদা পেয়ে থাকে) দেখলাম, তার জল কালো মনে হলো। এর কি কোন কারণ আছে?
জনমানবহীন ধূ ধূ রাস্তায় একটানা এতক্ষণ ড্রাইভ করতে ঘুম পায় নি? রাস্তা যতই ফাঁকা আর ইভেন্টলেস, মনোটোনাস, ঘুমজনিত কারণে দুর্ঘটনার ততই সম্ভাবনা থাকে।
পারিবারিক সফরের এই আনন্দঘন সময়টুকু আমাদের সাথে শেয়ার করলেন বলে অসংখ্য ধন্যবাদ।

১৪ ই জুন, ২০২৪ ভোর ৫:১২

কাছের-মানুষ বলেছেন: গতমাসে সেডোনা আর গ্র্যান্ড কেনিয়নে টুরটি দিয়েছিলাম। এই মাসে আবার এরিজোনা থেকে ক্যালিফোর্নিয়া গিয়েছিলাম ডিজনি-ল্যান্ডে (কিয়ানের অনেক দিনের ইচ্ছে ছিল সেখানে যাবার) ড্রাইভিং করে বেশ কয়েকদিনের জন্য। অনেক লম্বা জার্নি ছিল কারন এক এরিজোনাই বাংলাদেশের দিগুণ, যাবার সময় সারাদিন ড্রাইভ করেছিলাম, আসার দিন রাতে রওনা দিয়ে সারা-রাত ড্রাইভ করেছিলাম। আসলে লং ড্রাইভিং-এ ঘুম পায়, আমি সাধারণত ঘুম পেলে কোন গ্যাস স্টেশনে বা রেস্ট এরিয়াতে গাড়ি থামিয়ে রেস্ট নেই।

সেডোনার স্লাইড স্টেট পার্কের নদীটির পানির কাল রং এর তেমন কোন স্পেসিফিক কারণ আমার জানা নেই তবে পাথরে শেওলা পরেছে বিদায় উপরে পানির রঙ কালো দেখাতে পারে। আপনি ভিডিও-টি দেখেছেন দেখে ভাল লাগল।

পাঠ ও আন্তরিক মন্তব্যের জন্য কৃতজ্ঞতা রইল অনেক।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.