| নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
অন্তর মাশঊদ
সুখের আশায় ছুটতে ছুটতে মানুষ অসুখে পড়ছে। আর আমি তখন সত্যের সন্ধানে ছুটছি।
মর্গের এই অন্ধকার ঘরে, স্ট্রেচারে শোয়ানো আমি।
মাথার উপর একটা ১০০ ওয়াটের বাল্ব।
প্রান পাখিটাতো খাঁচা ছেড়ে পালিয়েছে সেই কবে!
স্ট্রেচারে শুয়ে থাকতে থাকতে ক্লান্ত!
কখন ডোম আসবে?
বুকটা এফোঁড় ওফোঁড় করে বের করবে মৃত্যুর প্রকৃত কারন?
নাকে একটা তীব্র দুর্গন্ধ আসছে...
পাশের স্ট্রেচারে শোয়ানো গনধোলাইলে মৃত ছিনতাইকারীটা;
আমার মানিব্যাগের দিকে কিভাবে যেন ফ্যালফ্যালিয়ে তাকিয়ে আছে?
মরে যাওয়ার পরেও ব্যাটার স্বভাবটা আর বদলালো না।
ঘরের কোণেই রাখা ধর্ষিতা মেয়েটা ;
চোখের সামনে বোধহয় যখনই নরপিচাশদের ছবি ভেসে ওঠছিল
তখনই চিৎকার করে কাঁদলেও এখন গুন গুনকরে কাঁদছে।
বেচারীর জন্য বেশ মায়া হচ্ছে;
অন্যান্য মৃত্যুর চেয়ে এই মৃত্যুটা আমার কাছে বেশ অসহনীয় যন্ত্রনাদায়ক।
স্কুলে যাওয়ার পথে বাস এক্সিডেন্টে আক্রান্ত ইউনিফর্ম পড়া পিচ্চিটা-
এখনও নামতা আওড়িয়ে যাচ্ছে; বোকাটা এখনও বুঝেনি সে স্কুলে না মর্গে।
ঐ যে! কার যেন পায়ের শব্দ পাওয়া যাছে! কে যেন আসছে...
প্রতিটি মৃতদেহই চুপ হয়ে গেলো। পুরো ঘর জুড়ে এখন নিস্তব্ধতা!
ডোম আমার স্ট্রেচারের কাছে এসে! আমার মুখের দিকে তাকিয়ে একটু মুচকি হাসি দিলো।
আয়না থাকলে ভালো হতো! তাহলে বুঝতাম চেহারাটায় উনি হাসার মত কি পেয়েছেন!
মর্গের ভিতর স্ট্রেচারে শোওয়ানো আমার রক্তশুন্য নিথর দেহ!
সার্জেরিক্যাল ধারালো চকচকে ছুরি নিয়ে উপুর হয়ে Autopsy পরীক্ষক।
এই বুকে ৩০ সেকেন্ডে Y শেইপ এঁকে ফেলল নির্দয় ডম।
ব্যাথায় আমি চিৎকার করলেও, এই আর্তনাদ তার কর্ণগোচর হলোনা।
অতঃপর দু হাতে দুপাশে ছড়িয়ে খিল মেরে দিল বুকের চামড়ায়।
পরীক্ষণে ব্যস্ত পরীক্ষকের দু জোড়া ভ্রু হঠাত কুঁচকিয়ে গেল।
সবই ঠিক আছে শুধু হৃদয় নেই। হৃদয় শুন্য মানুষ! তা ও কি সম্ভব?
অতঃপর মৃত্যুর কারণঃ নিখোঁজ হৃদয়
#অন্তর_মাশউদ
©somewhere in net ltd.
১|
২৯ শে মে, ২০১৫ রাত ১০:৪১
বাংলার জমিদার রিফাত বলেছেন: ভাল হয়েছে লেখাটা