নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

প্রযুক্তির উৎকর্ষে অনুজদের এগিয়ে নিতে ও হতাশার চাদর থেকে বের করে আনতে আমিই সেই নীল বর্তনী।

নীল বর্তনী

আমি এহসান সানি । তড়িৎ প্রকৌশল শেষ বর্ষে পড়ছি । সর্বস্তরের ছাত্রছাত্রীদের মাঝে বিজ্ঞান শিক্ষা জনপ্রিয়করণ ও প্রযুক্তি নিয়ে আগ্রহ তৈরী করার জন্যেই আমার এই সামান্য প্রচেষ্টা।

নীল বর্তনী › বিস্তারিত পোস্টঃ

ধর্ষণ

২৭ শে মার্চ, ২০১৬ দুপুর ১:১৫

নিঃসন্দেহে বর্তমান সময়ে সবচেয়ে আলোচিত শব্দটির নাম ধর্ষণ।
প্রায় সব সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ও ব্লগে এই নিয়েই লেখালিখি, যদিও আমি প্রায় বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিষয়েই লেখালেখি করি কিন্তু এই স্পর্শকাতর বিষয়টি নিয়ে না লিখে পারছি না।
প্রথমত, আমাদের মত তৃতীয় বিশ্বের একটি উন্নয়নশীল দেশে এই ব্যাপারটা বলতে গেলে নিত্যনৈর্মিত্তিক ব্যাপার । কিছু কিছু ঘঠনা উঠে আসে মিডিয়ায় আর বেশ কিছুই চাপা পরে থাকে অন্তরালে ।
ধর্ষণ শব্দটির সাথে আমার পরিচয় হয় খুব ছোটবেলায়, তখন আমি ক্লাস সিক্সে কি সেভেনে পড়ি। তো হঠাৎ একদিন পত্রিকায় দেখি “ধর্ষণ” । স্বভাবতই আমি মাকে প্রশ্ন করি , মা এই ধর্ষণ টা কি ? মা আমাকে তখন বেশ কিছু উপদেশ দেয়,যা আমার চলার পথের পাথেয় হয়ে থাকবে।
তিনি বলেন , মেয়েরাও ছেলেদের মানুষ। কিছু হিংস্র কীট যারা মেয়েদের শুধু ভোগের সামগ্রী মনে করে আর তাদের ইচ্ছেমত নির্যাতন করে তাকেই ধর্ষণ বলে। আর বাবু সব সময় মেয়েদের সম্মান করবে,আমাদের নবী কিবলে গেছেন তো জানোই ? আমি হ্যাঁ সূচক জবাব দিলাম , কিন্তু আমি তখনো জানি না নির্যাতন কেন করে ?
এখন আসল কথায় আসি , এতোসব কেন লিখলাম ? আমি একটা ভদ্র ছেলে ...এটা বোঝানোর জন্যে ? মোটেই না ।
একজন মানুষের চরিত্র গঠিত হয় তার পরিবার থেকেই, আর ছেলেবেলাই চরিত্র গঠনের উপযুক্ত সময়। আর তাই সকল মায়ের প্রতি আহ্বান থাকবে – সন্তানদের এমনভাবে শিক্ষা দিন যেন সে বড় আর যাই হোক , অমানুষ যাতে না হয়।
সবশেষে বলব লেখক হুমায়ুন আজাদের “১০০০ এবং আরো একটি ধর্ষণ” বইটির কথা । বইটি সম্পর্কে আমি তেমন কিছুই বলব না, কেননা এ যে পুরোটাই বাস্তবতা। অন্তত এই বইটি পড়লে ধর্ষক ও দর্শক সমাজ দুই এর ই বিবেকবোধ জাগ্রত হবে । হুম, ধর্ষক ও দর্শক সমাজ ... কেন বললাম নিজের বিবেককে একটু প্রশ্ন করুন ।
#নীল_বর্তন

মন্তব্য ০ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (০) মন্তব্য লিখুন

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.