![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
বাংলাদেশ বনাম ভারতের খেলায় আমার ভালোই লাভ হলো।না,না,কেউ আবার ভাববেন না,ভারত জিতে যাওয়ায়, আমি ভারত মাতা কি জয় বলে চিল্লায়া উঠবো।
ঘটনা হলো, খেলার আগে আমার এক পাড় হাম্বা সমর্থক বন্ধুর কথায় কথায় বাজী ধরার স্বভাব আছে। সে ৫০০ টাকা বাজী ধরছিলো,তিনি স্বয়ং নিজে ষ্টেডিয়ামে এসে প্রথম থেকেই খেলোয়াড়দের উতসাহ যোগাবেন। ওনার মত দেশপ্রেমিক নাকি বাংলাদেশে কেউ নাই। আমি বললাম,উনি বাংলাদেশের বিরুদ্ধে যেকোনো দলের খেলার সময় উপস্থিত হয়ে হাততালি দিতে পারেন,পতাকা নাড়তে পারেন,হাসতে পারেন আবার জেতার আনন্দে কানতেও পারেন,কিন্তু উনি ভারতের সাথে খেলায় ষ্টেডিয়ামে আসেন না।এই খেলায় যদিও আসেন,তাও আসবেন ২য় ইনিংসের শেষের দিকে।২/৪ ওভার বাকী থাকতে।এসে পুরুষ্কার বিতরন করবেন।আমার বন্ধু ওভার কনফিডেন্ট,১ম ইনিংসেই আসবেন।
সবাই একসাথে বড় পর্দায় খেলা দেখছি।বাংলাদেশের ইনিংসের শেষের দিকে(রিয়াদ নামার আগে) শুনলাম গাড়ি নাকি রেডি হচ্ছে,নিরাপত্তা রক্ষীরাও প্রস্তুত, এখনই চলে আসবেন।কিন্ত রিয়াদ যখন ভালো খেললো,বাংলাদেশের রান যখন ফাইটিং স্কোর,তখন আবার শুনলাম উনি আসবেন না।আমার বন্ধু তখনো ওভার কনফিডেন্ট,তিনি বাংলাদেশের ফিল্ডিং উতসাহ দেয়ার জন্য অবশ্যই আসবেন।তখন তার জেদাজেদিতে বাজির রেট ডাবল হয়ে গেলো।
খেলা শেষে বাংলাদেশ হেরে যাওয়ায় সবার মন খারাপ।এই ফাকে সে ভেগে গেলো।কালকে সারাদিন তার ফোন বন্ধ।সন্ধার পর সে নিজেই এসে,১০০০টাকা দিয়ে,কিরা কসম কাটলো,জীবনেও আর হাম্বা হাম্বা করবে না।এ সময় ওনাকে এমন সব খারাপ কথা বললো, যা তার চরম শত্রুরাও বলে দেয় না।
পরে তাকে সান্তনা দিয়ে,একসাথে সবাই চাপ-পরোটা খেয়ে তার গান শুনলাম------
তুমি এসেছিলে পরশু,কাল কেনো আসোনি,
তুমি কি ভারতবন্ধু,তাই দেশ ভালোবাসনি?
তিনি ষ্টেডিয়ামে না আসায়,অন্তত একটা হাম্বা আবার হোমো সেপিয়েন্স হইছে,এতেই হারার যন্ত্রণা অনেক খানি ভুলে গেলাম।
ওনাকে অন্তরের অন্তস্থল থেকে ধন্যবাদ।
*একটি কাল্পনিক গল্পএবং ৫৭ ধারা থেকে মুক্ত।আমি কিন্তু কারো নাম উল্লেখ করি নাই।জীবিত কারো সাথে মিল খুজে পেলে আমাকে দোষারুপ করতে পারবেন না।
©somewhere in net ltd.