নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

বন্দি কন্ঠস্বর

বন্দি কন্ঠস্বর

বন্দি কন্ঠস্বর › বিস্তারিত পোস্টঃ

৮০০ কোটি টাকার চুরির ঘটনায় এ প্রজন্মের রাজাকার বুদ্ধিজীবীদের চিনলাম!!!

১২ ই মার্চ, ২০১৬ দুপুর ১২:৪৫





৭১এর ২৫শে মার্চ পাকী সৈন্যদের দ্বারা ইতিহাসের নির্মম গনহত্যা সংঘঠিত হওয়ার ২ দিন পর কসাই টিক্কা খানের কথিত জন্মদিনের পার্টিতে উপস্থিত হয়েছিলেন কিছু এদেশীয় নামকরা বুদ্ধিজীবি।তাদের মধ্যে ছিলেন শিক্ষক,সাহিত্যিক,পত্রিকার কলামিস্টসহ এলিট শ্রেণীর ব্যাক্তি।এরা পাকিস্তানকে রক্ষা করার জন্য টিক্কা খানকে ধন্যবাদ দিয়ে তার সুস্বাথ্য কামনা করেছিলেন।পরে অবশ্য দুই চারজন স্বাধীনতার পক্ষে কাজ করলেও বেশীর ভাগ পুরো নয় মাস পাকীদের পা চেটেছেন।
ঘটনাটা মনে পড়লো,ব্যাংকিং ইতিহাসের অন্যতম বড় ধরনের চুরির ঘটনায় আমাদের বর্তমানের তথাকথিত মুক্তিযোদ্ধা চেতনা ব্যাবসায়ীদের কোনো ধরনের রা শব্দ না করায়।এরা ৮০০ কোটি টাকা চুরির ঘটনায় প্রতিবাদতো দুরে থাক,সামান্য দুলাইন লেখারও প্রয়োজন বোধ করে নাই।তারা ব্যস্ত আছেন,নিজেদের ধান্দাবাজী নিয়ে।
কোনো নির্দিষ্ট ব্যক্তি সম্পর্কে কুতসা রচনা করা ঠিক নয়।তবে উদাহরন দেয়ার জন্য ২/১ জনের কথা বলা যেতে পারে।
প্রথমে দেখি,আমাদের বিখ্যাত স্যার, আন্তর্জাতিক ড্রোনবিজ্ঞানী,বিশিষ্ট চেতনার পাহারাদার,যার স্ত্রী ছাত্রলীগের হাতে অপমানিত হওয়ার পর ব্রষ্টিতে ভিজে প্রতিবাদ করে বেশ নাটক করেছিলেন,তিনি এখন কি করছেন?তিনি নারী দিবসে নারীদের কাজের ব্যাপারে সোচ্চার হয়ে গল্প লিখেছেন।এতে হয়তো নারীমহলে বেশ জনপ্রিয় হবেন।অথচ ৮০০ কোটি টাকা চুরির ব্যাপারে ওনার কোন বক্তব্য নাই।অথচ নিজেকে বিজ্ঞানী বলে দাবী করা,এই ব্যাক্তি হ্যাকিং আর চুরির পার্থক্য নিয়ে কলাম লিখে ব্যাপারটা পরিস্কার হয়ে যেতো এবং সরকারের এই লুকোছাপা মানুষের কাছে স্পষ্ট হয়ে যেতো।
আরেকজন আছেন,যিনি নব্য স্যার হিসাবে পরিচিত।তিনি নাল পিরান লিখেন মানুষের অভাব অনটন নিয়ে,আর মুক্তিযুদ্ধ লিখেন উপন্যাস দিয়ে।তিনি প্রথম আলোর সহ সম্পাদকও বটে।উপদেশ দেন বাংলার স্বাধীনতার ইতিহাস ওনার উপন্যাস থেকে জানতে।তিনি এখন ব্যস্ত আছেন তাসকিনের বোলিং একশন নিয়ে।অথচ গরীব গার্মেন্টস কর্মী,বিদেশে হাড়ভাংগা শ্রমিক ভাইদের রক্ত পানি করা টাকা এভাবে নিয়ে গেলো,এটা নিয়ে কলাম লিখে প্রতিবাদ করার সময় বা সাহস হয় না।

এবার আসি একজন কবির কথায়।নিচের স্ক্রিন শটটি দেখুন। স্বাধীনতা পদক না পাওয়ায় গোস্যা করেছেন।ওনার কাছে দেশের টাকা চুরির থেকে স্বাধীনতা পদক অনেক বড়।



৭১এর টিক্কা খানের জন্মদিনের পার্টির মত এখন বিশেষ ভবনে পিঠা উতসব,আম কাঠালের উতসব, চায়ের দাওয়াত হয়।আমার মনে হয়,এসব দাওয়াত পাওয়ার আশায় এনারা টু শব্দ করেন না।কিন্তু ইতিহাস এদের এই প্রজন্মের রাজাকার বুদ্ধিজীবী হিসাবে চিহ্নিত করে রাখবে

মন্তব্য ৬ টি রেটিং +২/-০

মন্তব্য (৬) মন্তব্য লিখুন

১| ১২ ই মার্চ, ২০১৬ দুপুর ১:২১

বাবু>বাবুয়া>বাবুই বলেছেন: এখন বিশেষ ভবনে পিঠা উতসব,আম কাঠালের উতসব, চায়ের দাওয়াত হয়।আমার মনে হয়,এসব দাওয়াত পাওয়ার আশায় এনারা টু শব্দ করেন না। ....... যথার্থ বলেছেন, আসছে মধু মাসের দাওয়াত মিস যাওয়ার ভয়ে হয়ত উনারা চুপচাপ।

১২ ই মার্চ, ২০১৬ দুপুর ২:২২

বন্দি কন্ঠস্বর বলেছেন: আবার খেয়াল করুন মুক্তিযোদ্ধা চেতনার পাহারাদার একটা শাহাবাগীও এ ব্যাপারে একটা কথাও বলে নাই(আরিফ জেবতক ছাড়া)।

২| ১২ ই মার্চ, ২০১৬ দুপুর ২:২৭

বাবু>বাবুয়া>বাবুই বলেছেন: আরিফ জেবতক কোন এক সময় ছাত্রদল করতো (যখন ছাত্রদলের সুসময় ছিল) এটা মনে হয় তারই ফল।

১২ ই মার্চ, ২০১৬ বিকাল ৩:০৮

বন্দি কন্ঠস্বর বলেছেন: হয়তো।বাকি গুলা যখন চেতনার কথা বলে,তখন ভন্ডামী দেখে হাসি পায়।মানুষ ওদের চিনে ফেলছে।

৩| ১২ ই মার্চ, ২০১৬ বিকাল ৪:১১

মুসাফির নামা বলেছেন: বুঝলাম না, ৮০০ কোটি টাকা তেমন কিছুই না। কিন্তু আপনারা এত অস্তির হয়ে পড়লেন কেন?

১২ ই মার্চ, ২০১৬ বিকাল ৪:৪৯

বন্দি কন্ঠস্বর বলেছেন: লুংগী-প্যান্টতো খুইলা ফাইলাইলো,জাষ্ট নেয়ার অপেক্ষায়।অস্থির হওয়ার কারনেই দেখতাছি না।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.