নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

বন্দি কন্ঠস্বর

বন্দি কন্ঠস্বর

বন্দি কন্ঠস্বর › বিস্তারিত পোস্টঃ

মাহফুজ আনামের বিরুদ্ধে মামলা ,রিজার্ভ কেলোংকারি ধামাচাপা দেয়ার আরেকটা মুগ্ধ করা কৌশল!!!

২০ শে মার্চ, ২০১৬ দুপুর ১:১৩



কয়েকদিন আগে একটি পোষ্ট দিয়েছিলাম আওয়ামীলিগের মুগ্ধ করার কৌশল নিয়ে।
আজকে মাহফুজ আনামের বিরুদ্ধে মামলা দিয়ে কিভাবে রিজার্ভ কেলোংকারি ধামাচাপা দেয়ার কৌশল করা হয়েছিলো সেই মনমুগ্ধ করা কৌশল বলি।আশা করি জমজমাট থ্রীলার পড়ার মত মজা পাবেন।।

প্রথম আলো-ডেইলি ষ্টার গ্রুপ কোন ঘরানার,তা সচেতন পাঠক মাত্রই জানে।কিন্তু পত্রিকার কাটতি বাড়ানো এবং নিরপেক্ষতা দেখানোর জন্য মাঝে মাঝে এমন কিছু অনুসন্ধানী রিপোর্ট করে,যাতে সরকার মারাত্মকভাবে বিব্রত হয়।যেমন বিদেশী সন্মাননার জন্য ক্রেষ্টের স্বর্ন চুরি,ভুয়া মুক্তিযোদ্ধা সার্টিফিকেটধারী সচিব-সরকারী কর্মকর্তাদের নাম প্রকাশ,নারায়নগঞ্জের সাত খুনে র‍্যাবের সংশ্লিষ্টতা ইত্যাদি সরকারের জন্য অত্যন্ত অস্বস্তিকর ছিলো। এজন্য মোবাইল কোম্পানির সহ অনেক বহুজাতিক কোম্পানির বিজ্ঞাপন বন্ধ আছে।এসব করে সরকার পত্রিকা দুটি নিয়ন্ত্রণ করার প্রচেষ্টা চালায়।
যাই হোক,মাহফুজ আনামের বিরুদ্ধে মামলা কিভাবে রিজার্ভ কেলোংকারি ধামচাপা দিতে সাহায্য করেছে সেদিকে তাকাই।
: চোরের প্রথম অনুপ্রবেশ ২৪ জানুয়ারি! তবে অর্থ চুরির মূল কাজটি করা হয় ৪ ফেব্রুয়ারি। বাংলাদেশ ব্যাংকের সুইফটের সংকেত বা বার্তা ব্যবহার করে যুক্তরাষ্ট্রের ফেডারেল রিজার্ভ ব্যাংক অব নিউইয়র্কে অর্থ স্থানান্তরের ‘অ্যাডভাইস’ বা পরামর্শগুলো পাঠানো হয় ওই দিন দিবাগত রাত প্রায় সাড়ে ১২টায়।এদিকে ঐ একই দিন অর্থাৎ ৪ ফেব্রুয়ারি রাতে একটি বেসরকারি টেলিভিশনের টক শোতে এক-এগারোর সময় সংবাদ প্রকাশের স্বাধীনতা ও গণমাধ্যমের বিচ্যুতির প্রসঙ্গ উল্লেখ করে মাহ্ফুজ আনাম তার পত্রিকায়ও এমন ত্রুটি-বিচ্যুতি হয়েছিল বলে মুখ ফসকে অথবা সজ্ঞানে স্বীকার করেন।
এক দিন পর প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ছেলে এবং তার তথ্য ও যোগাযোগপ্রযুক্তি-বিষয়ক উপদেষ্টা সজীব ওয়াজেদ জয় নিজের ফেসবুক পেজে এক স্ট্যাটাসে ডেইলি স্টার-এর সম্পাদকের বিরুদ্ধে রাষ্ট্রদ্রোহের অভিযোগ তুলে বিচার চান। এরপর ৭ ফেব্রুয়ারি জাতীয় সংসদে কয়েকজন সংসদ সদস্য ‘ডেইলি স্টার’ বন্ধ করাসহ মাহ্ফুজ আনামের পদত্যাগ ও বিচার দাবি করেন। এরপর থেকেই মাহ্ফুজ আনামের বিরুদ্ধে একের পর এক মামলা দায়র শুরু হয়।মামলার সাগরে ভাসতে থাকেন ডেইলি স্টার সম্পাদক মাহ্ফুজ আনাম।
এটা কাকতলীয় ঘটনা নয়।সরকার আসলে সুযোগ নিছে। উচ্চ মহল জানে, বাংলাদেশে একমাত্র প্রথম আলো-ডেইলি ষ্টার গ্রুপই পারে অনুসন্ধান ও সাহস করে এত বড় কেলংকারী প্রকাশ করতে।তাই তাদের মুখ বন্ধ করতেই এই মামলা। যেকোনো সুস্থ মস্তিষ্কের বিবেকবান মানুষ বোঝে মাহ্ফুজ আনামের বিরুদ্ধে সাধারন এই কথায় মামলা হতে পারে না।আর মামলা যদি হতেই হয় ,তাহলে সে সমুয়ের সকল প্রকাশিত পত্রিকার সম্পাদকের নামে এবং স্বীকারোক্তি দেয়া রাজনীতিবিদদের নামে হওয়া উচিত। আবার খেয়াল করুন,এসব রাষ্ট্রদ্রোহী মামলা যেখানে আদালত আমলেই নেয়ার কথা না,সেখানে গ্রেফতারী পরোয়ানা জারী হয়।তাও বিভিন্ন জেলায়।যাতে একটা ছুটে গেলে,আরেকটা দিয়ে গ্রেফতার করা যায়।আবার ক্ষতিগ্রস্ত ব্যাক্তি নিজে ছাড়া অন্য কেউ কিভাবে মানহানী মামলা করে ,সেটা অনেক আইনবিদের মাথায় ঢুকে নাই। আমার মনে হয় তখন প্রথম আলো-ডেইলি ষ্টার গ্রুপ আত্নসমর্পন করে।

এরপর শেখ রেহানার স্বামী ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক ড. শফিক আহমেদ সিদ্দিক মাহ্ফুজ আনামের পক্ষে কিছু কথা বললে মামলা দায়ের ও সমালোচনা কিছুটা স্তিমিত হয়ে আসে।তথ্য ও যোগাযোগপ্রযুক্তি-বিষয়ক উপদেষ্টা সজীব ওয়াজেদ জয়ও কিছুটা ব্যাকফুটে আসেন।তিনি নিজের ফেসবুক পেজে আরেকটি স্ট্যাটাসে বলেন মামলাগুলো দেওয়ানী মামলা, ফৌজদারী মামলা নয় ।এগুলো স্বাধীন গনমাধ্যমের উপর আঘাত নয়। কিন্তু মানহানী ও রাষ্ট্রদ্রোহী মামলা কিভাবে দেওয়ানী মামলা হয় ?

খেয়াল করুন, এই সময়ে প্রধানমন্ত্রী কোনো কথা বলেন নাই।

যাই হোক এর পরের ধাপে যখন ফিলিপাইনের পত্রিকা এই চুরি নিয়ে রিপোর্ট প্রকাশ করে বা করতে উদ্যোগী হয় তখন সম্ভবতঃ প্রথম আলো-ডেইলি ষ্টার গ্রুপ আবারো চুরির ঘটনা প্রকাশ করতে চায়। তখন মাহ্ফুজ আনামের তীব্র সমালোচনা করলেন প্রধানমন্ত্রী তিনি বলেন, ‘দুটি পত্রিকা শুধু আমার বিরুদ্ধে কুৎসাই রটনা করে গেছে, আমার বিরুদ্ধে লিখে গেছে। আওয়ামী লীগ যেন তাদের শত্রু।’
বাংলাদেশের রিজার্ভের অর্থ চুরির ঘটনা প্রথম প্রকাশ করেছিল ফিলিপাইনের পত্রিকা ইনকোয়েরার।-----------।গত মাসে হওয়া এই চুরির ঘটনা জানাজানি হওয়ার পর কয়েকটি বহুজাতিক ব্যাংকের অনুরোধে এ পদক্ষেপ নিয়েছে ফিলিপাইন।
ফিলিপাইনের রিজাল ব্যাংক সব জানত

বেড়ে যায় আবারো মামলার গতি এবং গ্রেফতারী পরোওয়ানা। পরবর্তিতে বিবিসি,রয়টারসহ অনেক আন্তর্জাতিক মিডিয়াতে প্রকাশ হওয়ার পর ৬/৭ ফেব্রুয়ারীতে সকল দেশী মিডিয়াতে একযোগে প্রকাশ হয়।

এবার আরেকটি অবাক করার মত তথ্য দেই।অপসারন হওয়া দুই গভর্নরের মধ্যে একজন ছিলেন নাজনীন সুলতানা।তিনি প্রথম আলোর মতিউর রহমানের শ্যালকের স্ত্রী। তাকে কোনো কারন ছাড়াই সরিয়ে দেয়া হয়েছে।তিনি ছিলেন নাম প্রকাশে আনিচ্ছুক সুত্রের কর্মকর্তাদের একজন।এই কেলোংকারী প্রকাশ যাতে না হয়,তাই এই পদক্ষেপ নেয়া হয়েছে,এ সন্দেহ অমুলক নয়।

কোনো একদিন হয়তো সব স্বাভাবিক হলে প্রথম আলোর মতিউর রহমান এবং ডেইলি স্টার সম্পাদক মাহফুজ আনাম এ বিষয়ে আরো বিস্তারিত লিখবেন। কিন্তু আমরা অবাক নয়নে ততদিন পর্যন্ত মনমুগ্ধকর নাটক সিনেমা দেখতে থাকি।

মন্তব্য ২০ টি রেটিং +৯/-০

মন্তব্য (২০) মন্তব্য লিখুন

১| ২০ শে মার্চ, ২০১৬ দুপুর ১:২৪

হাসান নাঈম বলেছেন: আমরা অবাক নয়নে ততদিন পর্যন্ত মনমুগ্ধকর নাটক সিনেমা দেখতে থাকি।

২০ শে মার্চ, ২০১৬ বিকাল ৩:০৬

বন্দি কন্ঠস্বর বলেছেন: দেখতে থাকি।একদিন ইতিহাসে এসব মনমুগ্ধকর নাটক সিনেমার নায়ক নায়িকার নাম জ্বল জ্বল করবে। ;) মানুষ ঘৃনা ভরে তাদের নাম উচ্চারন করবে।

২| ২০ শে মার্চ, ২০১৬ দুপুর ১:২৫

বিজন রয় বলেছেন: ওই ধামাচাপায় আমরা চাপা পড়বো কেন?
আমাদের করনীয় কি কিছুই নেই?

২০ শে মার্চ, ২০১৬ বিকাল ৩:৩৬

বন্দি কন্ঠস্বর বলেছেন: আপাতত নেই।কে চায় জোহার মত হারিয়ে যেতে? :(

৩| ২০ শে মার্চ, ২০১৬ দুপুর ১:৫৪

আমি মিন্টু বলেছেন: আমরা অবাক নয়নে ততদিন পর্যন্ত মনমুগ্ধকর নাটক সিনেমা দেখতে থাকি । ভালো লিখেছেন । দেশের সব মনে হচ্ছে কুলুর বলদ হইয়া গেছে ।

২০ শে মার্চ, ২০১৬ বিকাল ৩:৫৮

বন্দি কন্ঠস্বর বলেছেন: কুলুর বলদ হওয়া ছাড়া উপায় নাই।কে চায় জোহার মত হারিয়ে যেতে?

৪| ২০ শে মার্চ, ২০১৬ দুপুর ২:৫৬

ইসু বলেছেন: সত্যিই জমজমাট থ্রীলার........... শেষ দৃশ্যের অপেক্ষায় আছি।

২০ শে মার্চ, ২০১৬ বিকাল ৪:৫৭

বন্দি কন্ঠস্বর বলেছেন: যতদিন পর্যন্ত ফিলিপাইনে মামলা চলবে,ততদিন একটার পর একটা থ্রীলারের পর্ব দেখবেন,। মামলা শেষ হয়ে গেলে,সব ধামাচাপা দিয়ে দেবে। বাংলাদেশে একটা গ্রেফুতার নাই,মামলাও করছে অনেক দিন পর।এতেই বোঝা যায়, খালি ধামাচাপা দেয়ার ফন্দি।

৫| ২০ শে মার্চ, ২০১৬ বিকাল ৪:১২

বাবু>বাবুয়া>বাবুই বলেছেন: দেশে শুধু কাকের সংখ্যায় বাড়ে নাই, তালের উৎপাদনও ব্যাপক বেড়েছে। খালি কাকতালীয় ভাবে মিলে যায়।

২০ শে মার্চ, ২০১৬ সন্ধ্যা ৬:৪০

বন্দি কন্ঠস্বর বলেছেন: পোষ্টেই বলছি কাকতালীয় নয়।সরকার সুযোগ নিছে।ওই সময় জেলের ভাত খাওয়ানোর হুমকি দেয়ার জন্য জাষ্ট মাহফুজ আনামের বক্তবব্য হাই লাইট করছে।তিনি এমন কিছু বলেন নাই,যাতে এত তোলপাড় হবে। ওনাদের মুখ বন্ধ রাখার জন্য এটা ছাড়া তখন আর উপায় ছিলো না।এখন দেখুন, আবার সব ঠান্ডা।

৬| ২০ শে মার্চ, ২০১৬ বিকাল ৪:২১

কামের কথা কন!! বলেছেন: আপনার পোস্টে প্লাস
শেষ কথা এই টাকা আমাদের ফেরত চাই আর যারা এর সঙ্গে জড়িত তাদের ল্যাংটা করে চাপকানও হোক। এবং সেই বেইমান গুলোর পারসোনাল সম্পদ ক্রক করে তা দিয়ে বাংলাদেশ ব্যাংক এবং রিজার্ভ এর সিকুইরিটি সিস্টেম আরও স্টং করা হোক।

২০ শে মার্চ, ২০১৬ সন্ধ্যা ৭:৪৫

বন্দি কন্ঠস্বর বলেছেন: আপনার চাওয়া পুরন হওয়ার সম্ভাবনা কম।দরকার হলে রাষ্ট্রীয় সকল শক্তি ব্যবহার করে ধামাচাপা দেয়ার চেষ্টা করা হবে।ফিলিপাইনে ওপেন ট্রায়ালে বিচার হচ্ছে,আর আমরা পদত্যাগের নাটক করছি।যেন টাকা ফিলিপাইনের গেছে,আমাদের নয়।আর টাকা উদ্ধারের কোন দ্রশ্যমান উদ্যোগ কি আছে? আবেগ আর বাস্তবতা ভিন্ন। দরকার হলে হাজারো জোহা হার‍্যে যাবে।তবু শাস্তি বা টাকা উদ্ধার হবে না।

৭| ২০ শে মার্চ, ২০১৬ সন্ধ্যা ৭:০২

বিদ্রোহী ভৃগু বলেছেন: ছবিটা চমৎকার হইছে :)

২১ শে মার্চ, ২০১৬ সকাল ১০:৫১

বন্দি কন্ঠস্বর বলেছেন: শুধু ছবি? লেখা নিয়ে মন্তব্য করলেন না?

৮| ২১ শে মার্চ, ২০১৬ দুপুর ১:০৭

কল্লোল পথিক বলেছেন:






খুব সুন্দর পোস্ট
ধন্যবাদ।
শতভাগ সহমত।

২১ শে মার্চ, ২০১৬ দুপুর ১:৪২

বন্দি কন্ঠস্বর বলেছেন: আপনাকেও ধন্যবাদ।তবে সুন্দর হইছে কৌশলটা,এটা অন্তত স্বীকার করবেন।

৯| ২১ শে মার্চ, ২০১৬ দুপুর ১:২১

খোলা মনের কথা বলেছেন: ভারতের সিরিয়ালও হার মানবে আমাদের দেশীয় এ নাটকের কাছে। থ্রিলারটি ভাল লাগলো। সামনের দিনের জন্য অপেক্ষায় রইল তেমনি যেমন বাংলার আদর্শ নারীরা সিরিয়াল দেখার জন্য অপেক্ষায় থাকে B-) B-) B-)

২১ শে মার্চ, ২০১৬ দুপুর ২:১৬

বন্দি কন্ঠস্বর বলেছেন: এই সিরিয়াল কতদিন পর্যন্ত চলবে?২০২১/২০২৪ নাকি ২০৪১ পর্যন্ত?

১০| ২১ শে মার্চ, ২০১৬ দুপুর ২:৫৮

নুর ইসলাম রফিক বলেছেন: X(( B-)) :-&

২১ শে মার্চ, ২০১৬ বিকাল ৩:২৪

বন্দি কন্ঠস্বর বলেছেন: রাগ করে লাভ নাই।সিরিয়াল দেখুন।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.