![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
ব্রাহ্মণবাড়িয়ার নাসিরনগরের এলাকার লোকজন আগে থেকে জানলেও পুরোদেশের কাছে মোটামুটি এখন স্পষ্ট, নাসিরনগরের কথিত সাম্প্রদায়ীক তান্ডব হওয়ার নেপথ্য কারন ঐ এলাকার আওয়ামী লীগের আভ্যন্তরীন কোন্দল। এর সাথে ধর্মীয় কোনো ব্যাপার জড়িত নাই। বিভিন্ন পত্র-পত্রিকা এবং বিভিন্ন সুত্র থেকে যা জানা যায়,তাতে ঘটনা মোটামুটি এইরকম-
১) ব্রাহ্মণবাড়িয়া আওয়মা লীগের দুই পক্ষ। এক পক্ষে আছেন সেখানের সংসদ সদস্য, মৎস্য ও প্রাণিসম্পদমন্ত্রী ছায়েদুল হক ,অন্য পক্ষে আছেন ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও সদর আসনের সাংসদ র. আ. ম উবায়দুল মোকতাদির চৌধুরী। ছায়েদুল হক যেহেতু মন্ত্রী এবং যথেষ্ট প্রভাবশালী তাই তার নির্বাচনী এলাকায় কেউ তার বিপক্ষে গেলেই তার রাজনৈতিক এবং অর্থনৈতিক ক্যারিয়ারের বারোটা বাজিয়ে দেওয়া হয়।আবার জেলা আওয়ামীলীগের ছত্রছায়ায় ছায়েদুল হকের বিরুদ্ধে একটা অত্যন্ত শক্তিশালি গ্রুপ তৈরি হয়েছে অনেকদিন থেকে। কারণ ছায়েদুল সাহেবের বয়স হয়েছে, ছায়েদুল হক চাচ্ছেন তার ছেলেকে উত্তরসুরি বানাতে, কিন্তু অন্যপক্ষ যার নেতৃত্ব দিচ্ছে জেলার নেতা উবায়দুল মুক্তাদির তাদের পছন্দ এম ভি কানিজ নামের বিশিষ্ট(!) এক মহিলা নেত্রী।
২) এর জের ধরে ৩/৪ মাস আগে জেলা আওয়ামী লীগ থেকে সংসদ সদস্য, মৎস্য ও প্রাণিসম্পদমন্ত্রী ছায়েদুল হককে বহিস্কার করা হয়েছে।যদিও কেন্দ্র থেকে তা অনুমোদন করা হয়নি।এ ধরনের অভাবনীয় ঘটনা এই প্রথম।
৩) গত ইউপি নির্বাচনে হরিপুরে আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থীর নৌকা প্রতীকে ভোট দেয় কৈবর্তপাড়ার মানুষ। মন্ত্রী ছায়েদুল হক, আওয়ামী লীগ নেতা ফারুক সমর্থন করেছিলেন স্বতন্ত্র প্রার্থী রাশেদ চৌধুরীকে। তাদের উপেক্ষা করে কৈবর্ত সমাজের মানুষ আওয়ামী লীগ প্রার্থী হিসেবে তাকে ভোট দিয়ে বিজয়ী করেন। এ ঘটনার প্রতিশোধ নিতেও রসরাজকে ফাঁসিয়ে কৈবর্ত সমাজের উপাসনালয়সহ তাদের বাড়িঘরে হামলা-ভাংচুর করা হতে পারে। (সুত্রঃ আজকের যুগান্তর)
৪) এটা নিয়ে গত কোরবানির ঈদের সময় দুই পক্ষের মধ্যে বহুত গ্যাঞ্জাম হয়েছে, ছায়েদুল বিরোধীরা এলাকায় ঢুকতে পারেনি কোনভাবেই, তার লোকজন দা কুড়াল নিয়া জেলার সব নেতারে দৌড়ানি দিছিল। মূলত তখন থেকেই উবাইদুল মুক্তাদিররা বড়সড় কোন ঘটনা ঘটিয়ে ছায়েদুল হককে কোনঠাসা করার পরিকল্পনা করে।
৪)নাসিরনগরের যে এলাকা থেকে ঘটনা শুরু সেটার নাম হরিনবেড়। সেখানকার ইউপি চেয়ারম্যানের নাম আতিকুর রহমান আঁখি। এই আখি আবার পুরা উপজেলায় একমাত্র সংসদ সদস্য, মৎস্য ও প্রাণিসম্পদমন্ত্রী ছায়েদুল হকের বিরোধি চেয়ারম্যান আর জেলা আওয়ামিলিগের লোক। যার ফেসবুক আইডি থেকে কাবা শরীফের সাথে দেবী মূর্তির ছবি জুড়ে দেওয়া হয়েছে সেই রসরাজ হইল এই আখির কর্মী! রসরাজের ঘটনাটা এদেরই বানানো, এবং এটা দীর্ঘদিনের প্ল্যান। ঘটনাক্রমে মনে হচ্ছে এই ক্ষেত্রে রসরাজ জাস্ট ইউজড হয়েছে। এখন রসরাজের পক্ষে আতিকুর রহমান আঁখি নিয়মিত বক্তব্য দিচ্ছেন। (সুত্রঃ আজকের যুগান্তর) আবার হামলার দিন আখি ট্রাক ভাড়া করে লোক পাঠিয়েছিলেন এই আখি। দু’পক্ষের রোষাণলেই কি পুড়লো নাসিরনগর?
৫) হরিণবেড় হরিপুর আহসান মৎস্যজীবী সমবায় সমিতির সভাপতি সুভাষ দাস ও সাধারণ সম্পাদক রসরাজ দাস। কৈবর্তপাড়ার মৎস্য ব্যবসায়ী সমিতির নেতা রামেশ্বর দাস জানান, আমরা হরিণবেড় হরিপুর আহসান মৎস্যজীবী সমবায় সমিতির নামে ৩ বছর আগে জেলা প্রশাসকের কার্যালয় থেকে বালিঙ্গা বিল লিজ এনেছিলাম। গত বছর বিলের মাছ ধরে বিক্রিও করা হয়। এ বছরের জন্য কয়েক মাস আগে ৩ লাখ ৫৩ হাজার ২৪০ টাকা জমা দিয়ে লিজ নবায়ন করা হয়। এর কিছুদিন পরই ইউনিয়ন আওয়ামী লীগ সভাপতি ফারুক আহমেদ তাদের ডেকে জোর করে কমিটি বাতিল করেন। ওই কমিটির সভাপতি রামেশ্বর আর সাধারণ সম্পাদক ছিলেন রাধুচরণ দাস। বিল আত্মসাৎ করতে তাদের বাদ দিয়ে নতুন কমিটি করেন ফারুক। এ কমিটির সভাপতি সুভাষ দাস ও সাধারণ সম্পাদক করা হয় রসরাজ দাসকে। এমনকি সাধারণ সম্পাদক রাধুচরণ দাসের কাছ থেকে জোর করে সব খাতাপত্রও নিয়ে যায় ফারুক।
৬) নাসিরনগর সদরের সমাবেশ হয়েছে আহলে সুন্নত ওয়াল জামাতের লোকদের দিয়ে, যারা আসলে ওলামা লীগের লোকজন। এদেরকে ভাড়া করছে জেলার নেতা উবাইদুল মুক্তাদির।তবে তান্ডব চালিয়েছে অন্য গ্রুপ। বিভিন্ন ছবি এবং ভিডিও ফুটেজে দেখা গেছে শার্ট প্যান্ট পরা ভাড়াটে লোকজন।
.
পুরো ঘটনায় সংসদ সদস্য, মৎস্য ও প্রাণিসম্পদমন্ত্রী ছায়েদুল হকের রাজনৈতিক ক্যারিয়ার মোটামুটি শেষ। তার ছেলেকে নাসিরনগরের রাজনীতিতে আনার স্বপ্নেরও আপাত সমাধি ঘটেছে।ইতিমধ্যে তার সমর্থক তিনি জন নেতাকে বহিস্কার করা হয়েছে।
হিন্দু সম্প্রদায় এইখানে জাস্ট আওয়ামীলীগের দুই পক্ষের কূট রাজনীতির বলি। আর সাধারন মুসলমানরা এখন হয়রানির স্বীকার। গ্রেফতার এড়াতে বাড়িঘর ছেড়েছেন পুরুষরা।নাসিরনগর এখন পুরুষশূন্য।
সুত্রঃ
নাসিরনগর পুরুষশূন্য, তাণ্ডবের নেপথ্যে ফারুক
অপরাধ এক হলেও উপজেলা চেয়ারম্যানকে ছাড়!
০৬ ই নভেম্বর, ২০১৬ দুপুর ১২:২৭
বন্দী কন্ঠস্বর। বলেছেন: প্রকৃ্ত দোষী কারা,এখনো যদি বুঝতে না পারেন,তাহলে আর কিছু বলার নাই।যেখানে স্পষ্টতই বোঝা যাচ্ছে, আওয়ামী লীগের দু পক্ষের আভ্যন্তরীন গ্যাঞ্জাম,সেখানে সাম্প্রদায়ীক হামলা বলে জিগির করলে কখনোই সঠিক লোককে শাস্তি দেয়া যাবে না।
২| ০৬ ই নভেম্বর, ২০১৬ দুপুর ২:০০
শোভ বলেছেন: আপনিতো সব সময় আওয়ামিলীগের পুটকির গন্ধ খুজেন আপনার এই লেখা বিশ্বাস করি ক্যামতে ?
০৬ ই নভেম্বর, ২০১৬ দুপুর ২:৩৭
বন্দী কন্ঠস্বর। বলেছেন: যারা আওয়ামিলীগের ..টকিতে সুগন্ধ খুজে পায়,তাদের শত প্রমান দিলেও বিশ্বাস করবে না। আমার তথ্যের উৎস বিভিন্ন জাতীয় পত্রিকা এবং টিভিন চ্যানলের ভিডিও ফুটেজ।যার লিংক দেয়া আছে।চাইলে এরকম আরো অনেক লিংক দেয়া যায়। এছাড়া আজকে মন্ত্রী ছায়েদুল হকের সংবাদ সন্মেলন করার কথা।মনে হচ্ছে, এই সংবাদ সন্মেলন অনেক উপভোগ্য হবে এবং আমার বক্তব্যের আরো স্পষ্ট প্রমান উনি দেবেন।
০৬ ই নভেম্বর, ২০১৬ বিকাল ৩:৪৩
বন্দী কন্ঠস্বর। বলেছেন: এই যে সেই আকাংখিত সংবাদ সন্মেলন। যেখানে তিনি বলেছেন, 'কিছুদিন আগেও আমার সুনাম ক্ষুন্ন করতে একটি মহল আমার বিরুদ্ধে ব্যাপক অপপ্রচার চালিয়ে ব্যর্থ হয়েছিল। সেই ব্যর্থতার গ্লাণি ঢাকতেই আজ আমার নির্বাচনী এলাকায়ই শুধু কথিত সাম্প্রদায়িক দাঙ্গা বাধিয়ে আমার রাজনৈতিক ক্যারিয়ার নষ্ট করতে উঠে পড়ে লেগেছে।' এই মহল কারা,তা তিনি প্রকাশ করতেও এখন ভয় পাচ্ছেন। কারন ঐ মহলের স্বার্থ সিদ্ধি হয়ে গেছে। এইটাই আওয়ামী আরেক মহল। মালাউন বলেছি প্রমাণ করতে পারলে মন্ত্রীন্ব ছেড়ে : ছায়েদুল বাকীটুকূ বক্তব্য এই লিঙ্কে শুনলে আশা করি ক্লিয়ার হয়ে যাবে।
৩| ০৭ ই নভেম্বর, ২০১৬ সকাল ৮:৫১
সাদা মনের মানুষ বলেছেন: আপনি তো আপনার মতো করে বললেন, আমি তো আপনার সব কথা বিশ্বাস বা অবিশ্বাস কোনটিই করছিনা, তদন্ত করে যে দোষী হবে আমি তার শাস্তির কথাটাই বলছে, ধন্যবাদ।
০৮ ই নভেম্বর, ২০১৬ সকাল ১১:৩৬
বন্দী কন্ঠস্বর। বলেছেন: যারাই অপরাধী তারাই তদন্ত করবে,তারাই শাস্তি দেবে!!! এটাই হলো সুবিধাবাদীদের শেষ কৌশল।
©somewhere in net ltd.
১|
০৬ ই নভেম্বর, ২০১৬ দুপুর ১২:০৭
সাদা মনের মানুষ বলেছেন: প্রকৃ্ত দোষীদের দৃষ্টান্ত মূলক শাস্তি নিশ্চিৎ করা গেলে ভবিষ্যতে এমনটি করতে হলে পাবলিক দুইবার ভাববে। তাই ওদের শাস্তি চাই।