![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
আমার পৃথিবী নিয়ে আমি ভাল আছি খুব ভালো আছি। সকল অশুদ্ধতাকে নিয়ে সুখে আছি। অশুদ্ধতাই আমার কাছে শুদ্ধতা এখন। শুধু মাঝে মাঝে শ্বেত শুভ্র একটুকরো মেঘের দিকে ভুল করে তাকাই! কিন্তু ভুল করেও আমার ভাল লাগে। আমার পৃথিবী ভুলে ভর্তি। ভুলে ভর্তি পৃথিবী নিয়ে আমার কোন আক্ষেপ নেই। শুধু অন্যেরা উকি না দিলেই হলো। তারা দেখে আমি পঙ্কিল এক পৃথিবীতে পঙ্কস্নান করছি। আমার ভাষায় যদিও তা চন্দ্রস্নান বা রৌদ্র স্নান। সেই পঙ্কিল আমাকে দেখে ভিড়মি খাওয়া মানুষদের বলছি দয়া করে আমার পৃথিবীতে আমাকে থাকতে দিন। এটা একান্তই আমার ভুবন। অশুদ্ধ আমি ভাল আছি খুব। এক টুকরো কল্পনার অংশুকে নিযে ভাল আছি খুব। শুদ্ধতা আমাকে ভাল না বাসুক আমার আপত্তি নেই। যা আছে মানে অশুদ্ধতাটুকুই নিয়ে বাচতে চাই। সব হারালে আমি বাঁচবো কি করে!
অফিস থেকে এক সপ্তাহের ছুটি নিয়ে যখন বেড়িয়ে এলাম তখন বাজে দুপুর একটা। চৈত্র মাসের রোদ মাথার উপর ঝাঁ ঝাঁ করছে। “কিন্তু এই রোদের একটা ঘোর আছে” কথাটা মনে মনে কয়েকবার বললাম। কেন বললাম আমি জানি না আসলেই জানি না। মনের ভেতর এই কথাটা পাঁক খাচ্ছে। কিন্তু আশ্চর্য হলো আমি বিরক্তও হতে পারছি না। একটু আগেও প্রচন্ড ক্ষুধা পেয়েছিলো। এখন মরে গেছে। কিন্তু আমি কখনও নিয়মের বাইরে যাইনি এবারও যাবো না। বাসায় যেতে হবে। ব্যাস্ত হয়ে ট্যাক্সি নিলাম। সেই লাইনটা আবার মাথায় আসবে আমি জানি। কারণ কথাটা বলতো সুহান।
- আচ্ছা তোমার সমস্যা কি বলো তো!
- আমার সমস্যা হলো আমার কোন সমস্যা নাই।
- হেয়ালি কথা বন্ধ করবে?
- তুমি তো হেয়ালি কথা পছন্দ করো তাই বললাম।
অনন্যা কপট রাগের ভান করে। কিন্তু পারে না। সে কখনই পারে না সুহানের উপর রাগ করতে। রাগ রাগ একটা ভাব ফোটাতে গিয়ে সে হেসে ফেলে। এমন মুহুর্তে কি জানি একটা নির্লজ্জ বাতাসে তার ওড়না সরে যায়। ভীষণ লজ্জা পায় অনন্যা একই সাথে ভালোও লাগে! আর সুহান তার বিখ্যাত অট্টহাসি হাসে। সে শুধু অনন্যার লজ্জাটাকেই উপভোগ করে। যেটা দেখে অনন্যা সত্যি রাগে। কিন্তু সুহানের দিকে তাকালেই রাগটা চলে যাবে তাই অন্যদিকে তাকিয়ে থাকে। এই ফাঁকে সুহান রবীন্দ্র আবৃত্তি করে
“কাজ কি আমার মন্দিরেতে আনাগোনায়
পাতবো আসন আপন মনের একটি কোণায়
সরল প্রাণে নিরব হয়ে তোমায় ডাকি”
ট্যাক্সি ড্রাইভারের কথায় আমার ধ্যান ভাঙ্গে। ভাড়া দিয়ে নেমে পড়ি।
পুরোনো স্মৃতি গুলো একেকটা ক্ষীণকায় শাখানদীর মতো। জোছনার আলোয় তারা উদ্বেলিত হয় না। বা অমাবশ্যার আঁধারে মিইয়ে পড়ে না। কুল কুল শব্দ করে বয়েও চলে না। শুধু কখনও খুব বেশী তৃষ্ণার্ত হলে একটু খানি জল পান করি সেখান থেকে। সামান্য ঠোঁট ভেজাই। গলা ভেজে না, শুধু ঠোঁট। ইচ্ছা করেই তৃষ্ণা মেটাই না। থাকুক সেটা বেঁচে।
কত কথা মনে মনে চিন্তা করতে করতে আমি গোছানো ফ্ল্যাটটাকে আবারো গোছাই। ফার্নিচার মুছে চকচক করে ফেলি। নিজেকে ক্লান্ত করে ফেলি। এই ক্লান্তি আমি বড়ই উপভোগ করি।
এই ক্লান্তি মেটানোরও একটা উপায় আছে। বাথরুমে সিডি প্লেয়ার নিয়ে যেতে হবে। বাথটাব ভর্তি করি পানি দিয়ে সাথে একটু গোলাপ জল। রবীন্দ্র গাইবে ইন্দ্রানী সেন। কিন্নরী কণ্ঠ শুনতে শুনতে মোহমগ্ন হয়ে যেতে হয়। একটা সিগ্রেট ধরিয়ে নেমে পড়ি টাবে।
প্লেয়ারে কি বাজছে সেদিকে কোন মনোযোগ দিতে চাইছি না। বাজতে থাকুক! আমি আয়েশ করে ধুম্র শলাকায় টান দিলাম।
- আচ্ছা এই এটি ঘন্টা মাত্র আমার জন্যে সেটাতেও তোমাকে ছবি তোলায় ব্যাস্ত থাকতে হবে?
- ছবি তোলা আমার হবি তুমি তো জানোই।
- তাই বলে এখনও তুলতে থাকবে?
- কে বলেছে? এই তো গোধুলি মিলিয়ে গেলেই তো ক্যামেরা যাবে ব্যাগে। আরেকটু অন্ধকার হোক!
এবার অনন্যা রাগ করে। সুহান জানে অনন্যার রাগ বেশীক্ষণ থাকে না। অনন্যা রাগতে পারে না। কি এক অজানা কারণে রাগটা মায়াতে রুপান্তর হয়ে যায় বার বার।
সন্ধ্যা যখন নামে ব্যাস্ত এই শহরের প্রকৃতি কেন যেন মায়াময় হয়ে ওঠে। কিসের যেন এক আবেশ ছড়িয়ে যায়। প্রকৃতিতে সেই সঙ্গে চলে এক ধরনের অস্থিরতা। সেটা একেক জনের কাছে একেক রকম। আপাতত তাদের কাছে পবিত্র সুধাজলের মতো মনে হয়। যেই জলের নাম অনেকে দিয়েছে প্রেম। সেই সুধাজল পানে তারা অস্থির হয়ে উঠতো। সেই অস্থিরতায় সব কিছু চুরচুর করে দিতে ইচ্ছা হতো। সময়ের সাথে সাথে যা বাড়তো এবং দুজনেই যা উপভোগ করতো।
তাদের খেয়াল থাকতো না কোন পাখিটা গাছে ডাকছে। বা কোন গাছের পাতায় শিরশির শব্দ হচ্ছে। পাতায় টুপটাপ শব্দটা তারা কল্পনা করে নিতো। চোখ বন্ধ করে তারা সেটাকে পুরোপুরি উপভোগ করে নিতো। চোখ মেললেই কি যেন হারিয়ে যাবে সেই ভয়ে চোখ মেলতো না।
কতক্ষণ টাবে শুয়ে ছিলাম জানি না। হঠাৎ করেই ধ্যান ভাঙ্গলো। চুল মুছতে মুছতে বারান্দায় এলাম। হ্যাঁ সেই অস্থির মুহুর্তটা শুরু হতে যাচ্ছে। আফসোস আমি একা। এই মুহুর্তের যে অস্থিরতা, সেটাকে আমার একা মোকাবেলা করতে হবে। আমি চোখ বন্ধ করি ঠিক আগের মতোই।
সন্ধার মুহুর্তটি পার য়ে গেলে সব অস্থিরতা কেটে যায়। অন্যদিন মগ ভর্তি কফি নিয়ে অফিসের কাজ নিয়ে বসতে হতো। এই একসপ্তাহের ছুটি কোথায় কাটাবো সেটাও ভাবতে হবে। বন্ধুবান্ধবকে নিয়ে প্ল্যান করা যায়। কিনতু কেন জানি ভাবতেই ইচ্ছা হচ্ছে না। একটা আলস্য ছড়িয়ে আছে দেহমন জুড়ে। সন্ধ্যা আটটা বাজে। আচ্ছা বাইরে গেলে কেমন হয়? ঘরে থাকতে ভাল লাগছে না।
অনেক দিন পরে আয়নায় নিজেকে গভীর ভাবে দেখছি আমি। সাদা একটা শাড়ি সাথে বহুদিন আগে কেনা সাদা পাথরের একজোড়া ইয়ারিং যেটা আজ পর্যন্ত পড়ে দেখি নি কি মনে করে সেটা পড়লাম। আয়নাতে যে মেয়েটাকে দেখা যাচ্ছে সেটা কি আমি? গোলাগাল নিষ্পাপ নিষ্পাপ একটা মুখ, একচিলতে চিবুক। চোখ দুটি টানা নয় কিন্তু মোহ আছে। টলটলে জলাধার যেন ওদুটি। আমি কাজলের সামান্য ছোঁয়া দিলাম ওখানে। ঢলঢলে নদীর মতো দেহটিকে যত্ন নিয়ে ঢাকার চেষ্টা করছি। অবাধ্য আঁচলটিকেও শাসন করলাম। চুলটা খোলা রাখতে ভালো লাগছে না। ওগুলোকে বেধে দিলে কেমন হয়?
বের হলাম। ট্যাক্সি নিবো? ভাবতে ভাবতে কিছুদুর হাটলাম। রাস্তায় কিছু পুরুষ হয়তো অফিস থেকে ফিরছে তৃষ্ণা নিয়ে তাকাচ্ছে আমার দিকে। কিসের এত তৃষ্ণা তাদের? অন্যদিন ভীষন রাগ লাগে কিন্তু আজকে শুধু একবার বিরক্তি প্রকাশ করেই দায়িত্ব পালন করবো।
একটা ট্যাক্সি নিতেই হলো। ড্রাইভারটা দর্শনীয়। ইয়া গামা পালোয়ানের মতো দেখতে একটু জাপানি জাপানি চেহারা। অথচ কণ্ঠস্বর আশ্চর্য মধুর। আমি বললাম কমলাপুর রেলস্টেশনের কথা। কেন বললাম আমি জানি না। এটা কি স্লিপ অব টাং? নাকি অবচেতন মনের একটু চাওয়া? যেটাই হোক আজকে সবই উপভোগ করবো সিদ্ধান্ত নিয়েছি। ট্যাক্সি ছুটে চলেছে। অবধারিত জ্যামে পড়লাম। আজকে জ্যামটাও ভালো লাগছে। একজোড়া তরুণ তরুণীকে রাস্তা পাড় হতে দেখলাম। ওরা পরষ্পরের কোমড় জড়িয়ে আছে। তাদের দুজনেরই চোখে মুখে আশ্চর্য এক প্রশান্তি লক্ষ্য করলাম। কি নির্ভরতা!
এই নির্ভরতা একদিন আমার আর সুহানের মধ্যেও ছিল। রমনার অনেক গুলো গোধুলি লগ্ন যার সাক্ষী। নাহ আমার দীর্ঘশ্বাস বের হয় না। শুধু ভিতরের একটা অংশতে শুণ্যতা অনুভব করি। শুধু মনে হয় আমার কিছু সময় হারিয়ে গিয়েছে আর কিছু নয়। কিন্তু সেই গোধুলি লগ্নে এসে পুরোনো সেই অস্থিরতা আমাকে পেয়ে বসে। যে অস্থিরতায় আমরা পাগল হয়ে যেতাম। পৃথিবীর সবকিছু একপাশে রেখে দিতাম তখন।
সুহান আর আমার জুটিটা বন্ধুদের মাঝে বিখ্যাত ছিলো। দুজনেই ভেবেছিলাম পাঁচটি বছর একটু একটু করে যে পরিমান সুধামৃত জমিয়েছি সেটা দিয়ে তাজমহল না হোক একটা ছোট্ট কুটির তো গড়তে পারবো। যেখানে আমাদের একটি ফুল ঘরময় ছুটে বেড়াবে আশ্চর্য একটি সৌরভ ছড়াতে ছড়াতে। দুজনেই খুব দৌড়াবো তার পেছনে কিন্তু কখনও ক্লান্ত হবো না। কিন্তু আমরা কি জানতাম সেটি ছিল তাসের প্রসাদ? না তো! জানতাম না তো!
সুহানের হেয়ালি কথাগুলোর মোহে আমি আকৃষ্ট থাকতাম। কিন্তু বিয়ের পর সেগুলো কেন ভালো লাগতো না? সুহানকে কেন জানি অসহ্য লাগতো। শুধু একটু খানি নিশিপ্রেমের জন্যেই নিজেকে বিলিয়ে দিতে খুব খারাপ লাগতো। দিনের বেলা নিজেকে অনেক ছোট মনে হতো। আয়নায় নিজের চোখে চোখ রাখতে পারতাম না। এত নীচু মনে হতো নিজেকে!
আসলে জীবনের হিসাব নিকাশের তাপে আমাদের সুধামৃত টুকু বাষ্প হয়ে গিয়েছিল। স্বাভাবিক ভাবেই দুজনে অফিস করতাম। বাইরের সকল কাজ করতাম ঘরে এসেই সবকিছুকে অসহ্য লাগতো। আমি তো শুধু ভাবতাম এটা শুধু আমারি হয় কিন্তু যেদিন আবিষ্কার করলাম এই প্রান্তে যা অপর প্রান্তেও তাই, সেদিন কোন দুঃখ বা কষ্ট কিছু হয় নি আশ্চর্য তখন নিজেকে হালকা মনে হচ্ছিল। একটা গ্লানি থেকে মুক্তি পেলে যেমন লাগে তেমনি।
যে একটি কাগজে সাইন করে ঠুনকো অহংকারে তাসের প্রসাদ গড়েছিলাম সেই প্রসাদ আরো একটি কাগজে সাইন করে পাখির পালকের মতো ফুঁ দিয়ে উড়িয়ে দিলাম। বাহ! কি আশ্চর্য সমাপ্তি জীবনের একটি পর্বের। নতুন পর্ব শুরু করতে আমি কিছুটা সময় নিয়েছিলাম শত হলেও আমি নারী। একটু মায়াকান্না, কুম্ভিরাশ্রু প্রয়োজন মতো প্রয়োগ করতে হলো। আমার এ পরিবর্তন দেখে নিজেই আশ্চর্য হচ্ছিলাম। আবার খুশি লাগছিল এটা ভেবে যে আমি প্র্যাক্টিক্যাল হতে পেরেছি।
কিন্তু আমি কি জানতাম সেই স্বঘোষিত নতুন জীবনের মধুচন্দ্রিমা শেষে প্রতিটি গোধুলি লগ্নে প্রকৃতি আমার সাথে খেলবে? দোষ দিয়েছি প্রকৃতির কিন্তু আমি জানি দোষ প্রকৃতির নয়। আমি স্বীকার করতে দ্বিধা করছি না কিন্তু যখনই আমি আমার নতুন জীবনে বসে সেই তাসের প্রসাদের জীবনে নিজেকে আবারো কল্পনা করতাম তখনই দম বন্ধ হয়ে আসতো। সেই জীবন আমার জন্যে নয়। আমার সিদ্ধান্ত সঠিক ছিল ভেবে ভালো লাগতো। কিন্তু অস্থিরতার সময়টাতে কেন জানি কষ্ট পেতাম! কিসের কষ্ট? কিছু হারিয়ে যাওয়ার কষ্ট। কিছু সময়, কিছু অনুভুতি, কিছু...... আর একজন মানুষ। হ্যাঁ সুহানকে আমি ভুলতে পারি নি। ভুলার প্রশ্নই আসে না। কিন্তু আশ্চর্য আমি তার চেহারা মনে করতে পারছি না। অথচ স্পষ্ট তার কণ্ঠ কানে বাজে! কি নিদারুণ খেলা খেলছে আমার মন আমাকে নিয়ে। আর আমিও তো খেলতে দিয়েছি।
অস্থিরতার লগ্নটি কাটাতে নিজেকে অনেকবার বিলিয়ে দিয়েছি। অনেকে আমাকে পেয়ে ধন্য হয়েছে। হ্যাঁ স্বীকার করতে সংকোচ নেই আমার। কিন্তু আমার প্রাণ শুধু সেই রবীন্দ্র সংগীতটি গেয়েছে। ওই যে:
“ফুলে ফুলে ঢোলে ঢোলে বহে কিবা মৃদু বায়
তটিনি হিল্লোল তুলে কল্লোলে চলিয়া যায়
পিকো কিবা কুঞ্জে কুঞ্জে কুহু কুহু গায়
কি জানি কিসেরো লাগি প্রাণ করে হায় হায়!”
কিসের জন্যে আমার প্রাণ হায় হায় করতো আমি জানি না হয়তো বা জানি না জানার ভান করছি। আমি নিজের সাথে খুব ভালো ভান করতে পারি।
ট্যাক্সি ড্রাইভারের কথায় আমার ধ্যান ভাঙলো। ভাড়া মিটিয়ে স্টেশনের ভিতরে ঢুকে গেলাম। আজকে যে কোন একটা ট্রেনে উঠে পড়বো। টিকিট ও কাটবো না। কোথায় যাবো জানি না।
আমি ট্রেনের অপেক্ষা করছি।
প্ল্যাটফরমে অনেক মানুষ কত ব্যাস্ততা! নিজেকে তাদের থেকে আলাদা করতে পেরে ভাল লাগছে খুব! আমি শুধু আমাকে নিযেই ব্যাস্ত ভেবেই ভালো লাগছে।
একটা ট্রেন আসলো কেথায় যাবে আমি জানি না। আমি গিয়ে ট্রেনটায় উঠলাম। সিটও পেয়ে গেলাম। রাতেও এত মানুষ ট্রেনে আসা যাওয়া করে!
আমি কারো দিকে তাকাচ্ছি না। জানালা খুলে তাকিয়ে আছি বাইরে। কিছু দেখা যাচ্ছে না তারপরও তাকিয়ে থাকতে ভাল লাগছে। কতক্ষণ তাকিয়ে ছিলাম জানি না। ধ্যান ভাঙ্গলো টিকিট চেকারের সাথে এক ছোকড়ার কথোপকথন শুনে।
- টিকিট কটসি চাচা হারায় ফেলসি!
- সেটা আমার কোন দোষ না। এখন জরিমানা দিতে হবে। দাও।
ছোকড়া বিশ্রী একটা গালি দিয়ে টাকা বের করে দিলো টিকিট চেকারের সেটা গায়ে লাগলো না মনে হলো। আশ্চর্য টিকিট চেকার আমাকে কিছু বললেনই না। দেখলাম বেছে বেছে কয়েকটা ছোকড়াকে ধরলেন শুধু। একবার মনে হলো তাকে ডেকে বলি কিন্তু পরক্ষণেই মনে হলো কি হবে নিয়ম ভঙ্গ করলে? সবসময়েই তো হিসাব নিকাশ করে চলে এসেছি।
পরবর্তী স্টেশনে আমি নেমে পড়ি। এটা কোন জায়গা সেটা নিয়ে আমার কোন মাথা ব্যাথা নেই। সবই ভাল লাগছে। মোবাইলটা অন করে দেখলাম রাত আড়াইটা বাজে। এটা কোন জঙ্গলা টাইপ জায়গা। গোটা বিশেক মেসেজ এলো মোবাইলে। পড়তে ইচ্ছা হচ্ছে না।
আমি হাঁটছি। রাতের বাতাসে কি একটা বুনো গন্ধ। আমি বুক টেনে নিতে লাগলাম সেই বুনো বাতাস। জায়গাটা কোথায় হবে অনুমান করলাম। হয়তো গাজীপুর পার হয়ে ময়মনসিংহের কাছাকাছি। বিপদের ভয় আছে আমার ভয়ও লাগছে। সামান্য শব্দেই চমকে উঠছি বারবার। এই মুহুর্তে কাওকে ফোন করলে এখান থেকে যেতে পারবো। কিন্তু যেতেও ইচ্ছা হচ্ছে না। এই জঙলা যায়গায় কি চোর ডাকাতরা থাকে? সামান্য দুঃশ্চিন্তাও হচ্ছে কেন জানি। কিন্তু সব ছাপিয়ে আমাকে আশ্চর্য রকম অস্থিরতায় পেয়ে বসেছে। খুব পরিচিতো এই অস্থিরতাটুকু। কিন্তু সন্ধার এই অস্থিরতা এই নিশি রাতে কেনো ধরলো আমাকে? সব কিছু চুরচুর করে দিতে ইচ্ছা হচ্ছে। ব্যাগে একটা ধারালো চাকু রাখি সবসময়। আচ্ছা এটা দিয়ে যদি ডান হাতের শিরাটা কেটে ফেলি তাহলে কি হবে? কালকে বা পরশুর খবরের কাগজে হয়তো উঠবে “রহস্যময়ী এক সু্দরীর লাশ উদ্ধার” নাকি “ রহসময়ীর আত্মহত্যা”? কোনটা হতে পারে? আমি একটা গাছের নীচে বসে পড়লাম। গাছটাতে একটা পাখি অবিরাম ডেকেই যাচ্ছে। পাখিটাকে নিশিতে পেয়েছে আমার মতো। আমাকেও নিশিতে পেয়েছে। এককাঠি ধুম্র শলাকা বের করলাম। নিকোটিন চাই।
চারদিকে এক আশ্চর্য নিরবতা নেমে এল হঠাৎ পাখিটাও চুপ। প্রকৃতিতে কিসের যেন একটা হাহাকার ছেয়ে গেল। আমার হৃদস্পন্দন বেড়ে যাচ্ছে!
০২ রা এপ্রিল, ২০১৩ সকাল ১০:১৫
আজ আমি কোথাও যাবো না বলেছেন: ধন্যবাদ।
২| ০২ রা এপ্রিল, ২০১৩ সকাল ৯:২২
ক্লান্ত কালবৈশাখি বলেছেন: ভাল লেগেছে...
০২ রা এপ্রিল, ২০১৩ সকাল ১০:১৬
আজ আমি কোথাও যাবো না বলেছেন: ধন্যবাদ।
৩| ০২ রা এপ্রিল, ২০১৩ সকাল ৯:২৭
এক্সপেরিয়া বলেছেন: ভাল হৈছে । লগে একটা প্লাস ।
০২ রা এপ্রিল, ২০১৩ সকাল ১০:১৭
আজ আমি কোথাও যাবো না বলেছেন: প্লাস বুঝিয়া পাইলাম!
ধন্যবাদ।
৪| ০২ রা এপ্রিল, ২০১৩ সকাল ৯:৫৪
কান্ডারি অথর্ব বলেছেন:
কিন্তু সন্ধার এই অস্থিরতা এই নিশি রাতে কেনো ধরলো আমাকে? সব কিছু চুরচুর করে দিতে ইচ্ছা হচ্ছে। ব্যাগে একটা ধারালো চাকু রাখি সবসময়। আচ্ছা এটা দিয়ে যদি ডান হাতের শিরাটা কেটে ফেলি তাহলে কি হবে? কালকে বা পরশুর খবরের কাগজে হয়তো উঠবে “রহস্যময়ী এক সু্দরীর লাশ উদ্ধার” নাকি “ রহসময়ীর আত্মহত্যা”?
+++
০২ রা এপ্রিল, ২০১৩ সকাল ১০:১৯
আজ আমি কোথাও যাবো না বলেছেন: ধন্যবাদ! লেখাটি মনোযোগ দিয়ে পড়ার জন্যে।
৫| ০২ রা এপ্রিল, ২০১৩ দুপুর ১২:৩২
s r jony বলেছেন:
অসাধারন!!!!!!!!!!!
ভাল লাগা দিলাম
০২ রা এপ্রিল, ২০১৩ দুপুর ২:৩৬
আজ আমি কোথাও যাবো না বলেছেন: ধন্যবাদ জনি ভাই!
৬| ০২ রা এপ্রিল, ২০১৩ দুপুর ১:৩২
প্রোফেসর শঙ্কু বলেছেন: বেশ ভাল। একটা রোম্যান্টিক ট্রাজেডি।
০২ রা এপ্রিল, ২০১৩ দুপুর ২:৩৯
আজ আমি কোথাও যাবো না বলেছেন: ধন্যবাদ।
৭| ০২ রা এপ্রিল, ২০১৩ দুপুর ১:৫৮
আমি ইহতিব বলেছেন: আপনার লেখনীতে আমি দিন দিন মুগ্ধ থেকে মুগ্ধতর হয়ে যাচ্ছি, কিন্তু আপনার গল্পগুলো পড়ার পর কেমন একটা কষ্ট কষ্ট ভাব হয়। আপনি কি ট্র্যাজিক টাইপের লেখায় স্বচ্ছন্দ বোধ করেন? ভবিষ্যতের কোন লেখায় সুখকর অনুভূতির স্বাদ পাবো সেই আশায় থাকলাম, শুভ কামনা আপনার জন্য।
০২ রা এপ্রিল, ২০১৩ দুপুর ২:৪৫
আজ আমি কোথাও যাবো না বলেছেন: ট্র্যাজিক টাইপ লেখা তো বেশী লিখি নাই।
তবে এটায় স্বাচ্ছন্দ বোধ করি! তবে অবশ্যই অন্য ধাচের লেখাও লিখবো।
ধন্যবাদ!
৮| ০২ রা এপ্রিল, ২০১৩ দুপুর ২:১৮
মামুন রশিদ বলেছেন: ভালো লাগলো ।
০২ রা এপ্রিল, ২০১৩ দুপুর ২:৫৫
আজ আমি কোথাও যাবো না বলেছেন: ধন্যবাদ।
৯| ০২ রা এপ্রিল, ২০১৩ বিকাল ৩:১৯
দুঃখিত বলেছেন: "হায়রে মানুষ রঙিন ফানুস
দম ফুরালে ঠুস "
মানুষের জীবন কি এতটাই সস্তা যে স্রষ্টার অপেক্ষা না করে নিজেই নিজের জীবন নিয়ে ফেলা !! কি জানি হয়তো এতে কষ্টের অবসান ঘটে ।
আপনার লেখার কথা আর বলতে চাই না , কারনটা আপু জানেনই কিন্তু এবারের গল্পটার একটা জিনিস ভালো লাগে নি "একটা সিগ্রেট ধরিয়ে নেমে পড়ি টাবে।" " এককাঠি ধুম্র শলাকা বের করলাম। নিকোটিন চাই।" হয়তো বা মেয়েদের ক্ষেত্রে এটা কল্পনা করতে পারিনা বলে
ভালো থাকবেন
০২ রা এপ্রিল, ২০১৩ বিকাল ৩:২৩
আজ আমি কোথাও যাবো না বলেছেন: মানুষের জীবনটা সস্তা করে তোলে মানুষই।
ধন্যবাদ।
১০| ০২ রা এপ্রিল, ২০১৩ বিকাল ৩:২০
দুঃখিত বলেছেন: আপনার লেখার কথা আর বলতে চাই না , কারনটা আপু জানেনই কিন্তু এবারের গল্পটার একটা জিনিস ভালো লাগে নি "একটা সিগ্রেট ধরিয়ে নেমে পড়ি টাবে।" " এককাঠি ধুম্র শলাকা বের করলাম। নিকোটিন চাই।" হয়তো বা মেয়েদের ক্ষেত্রে এটা কল্পনা করতে পারিনা বলে
ভালো থাকবেন
০২ রা এপ্রিল, ২০১৩ বিকাল ৩:২৫
আজ আমি কোথাও যাবো না বলেছেন: হা হা হা.........আজকাল তো অহরহ হচ্ছে এমন। হয়তো এদেশে কম। কিন্তু আমি মেয়েটার একাকিত্বকে ফুটিয়ে তুলতে গিয়ে নিকোটিন নিয়ে এসেছি। এখনে চরিত্রটা একচন ছেলেরও হতে পারতো। কিন্তু আমি মেয়ৈ তাই একটা মেয়েকে যেভাবে তুলে ধরতে পারি সেভাবে একটা ছেলেকে তুলে ধরতে পারি না্ আমার ব্যার্থতা।
ধন্যবাদ!
১১| ০২ রা এপ্রিল, ২০১৩ বিকাল ৩:৩১
আমি ইহতিব বলেছেন: অকিঞ্চন অঙ্কুর, শৃঙ্খল আর তাসের ঘর এই তিনটাই মনে হয় ট্র্যাজিক টাইপের বিশেষ করে গল্পের শেষের অংশটুকু, এজন্য বলেছি। ভুল হতে পারে, কিছু মনে করবেন না। আমি আবার হ্যাপী এন্ডিং পছন্দ করিতো তাই বলছিলাম।
০২ রা এপ্রিল, ২০১৩ বিকাল ৩:৫৭
আজ আমি কোথাও যাবো না বলেছেন: হা হা হা আরে আমি কিছু মনে কেন করবো! হুম এই তিনটা এক ধাঁচের। হ্যাপি এন্ডিং তো আমরা সাবাই পছন্দকরি কিন্তু আসলে কি হয়?
আমি সবধরনের লেখাই লিখতে চাই। এবং লিখবোও। আমি বেশী দিন হয় নি লিখছি। গল্প গুলো অগল্প হয়ে যাচ্ছে!
অনেক ধন্যবাদ!
১২| ০২ রা এপ্রিল, ২০১৩ বিকাল ৪:০০
কান্ডারি অথর্ব বলেছেন:
তবে কি আমি লেখা মনোযোগ দিয়ে পড়ি না
০২ রা এপ্রিল, ২০১৩ বিকাল ৪:১৫
আজ আমি কোথাও যাবো না বলেছেন: মিলে গেলো তো!
১৩| ০২ রা এপ্রিল, ২০১৩ বিকাল ৪:৩০
দুঃখিত বলেছেন:
লেখক বলেছেন: মানুষের জীবনটা সস্তা করে তোলে মানুষই। তাই বলে কি আত্মহত্যা করতে হবে ?! কেউ জানে না আগামীকাল তার জন্য কি অপেক্ষা করছে ?! আজ যে মানুষ টা গরীব, দুঃখ দুর্দশায় ঘেরা যার জীবন, হয়তো আগামীকাল তার এই অবস্থা আর থাকবে না । হয়তো বা একই রকম থাকতে পারে । কিন্তু কেউ কি হলফ করে বলতে পারবে যে আগামীকাল কি হবে সেটা সে জানে !!! কখনোই না । এই সব কিছুই ডিপেন্ড করে আমাদের উপর, ধৈর্যশীল হবার মাধ্যমে । আমি মুসলিম তাই আমার ধর্মীও গ্রন্থ থেকে একটা উদ্ধৃতি দিতে পারি " আল্লাহ্ ধৈর্য ধারণকারীদের পছন্দ করেন " আর অন্য কোন ধর্মীও গ্রন্থেও হয়তো এর বিরোধী কিছুই নেই।
হা হা হা.........আজকাল তো অহরহ হচ্ছে এমন। হয়তো এদেশে কম। কিন্তু আমি মেয়েটার একাকিত্বকে ফুটিয়ে তুলতে গিয়ে নিকোটিন নিয়ে এসেছি। এখনে চরিত্রটা একচন ছেলেরও হতে পারতো। কিন্তু আমি মেয়ৈ তাই একটা মেয়েকে যেভাবে তুলে ধরতে পারি সেভাবে একটা ছেলেকে তুলে ধরতে পারি না্ আমার ব্যার্থতা। আপু আজকাল এরকম অহরহ হচ্ছে এটা ঠিক, ছেলেরা একাকীত্ব অবসানের জন্য সিগারেট খায় হয়তো এটাও ঠিক, কিন্তু কিছু সার্বজনীন বিষয় বিদ্যমান যেগুলো একটা ছেলে আর একটা মেয়েকে একে-অপরের থেকে আলাদা করে। ছোট্ট একটা উদাহরন দেই, একটা ছেলে ছোট বেলায় কিন্তু আউটডোর গেইমস গুলোর প্রতি বেশী উৎসাহী থাকে যেমন - ক্রিকেট, ফুটবল, যুদ্ধ যুদ্ধ খেলা ইত্যাদি ; কিন্তু অন্য দিকে একটা মেয়ে কিন্তু ইনডোর গেইমসগুলোর প্রতি আগ্রহী থাকে যেমন - পুতুল খেলা, রান্না-বান্না খেলা ইত্যাদি । তাই আপু রেগে না গেলে একটাই কথা সাজেস্ট করবো যে একটা মেয়ের চরিত্র ফুটিয়ে তুলতে মেয়ে সুলভ আচরন ও আনুষঙ্গিক প্লট গুলোই যথেষ্ট। ভালো থাকবেন ।
০২ রা এপ্রিল, ২০১৩ সন্ধ্যা ৭:২২
আজ আমি কোথাও যাবো না বলেছেন: গল্পে মেয়েটা যে আত্মহত্যা করেছে সেটা কিন্তু বলি নি। এটা পাঠক বুঝে নিবে। আমার স্বাধীনতা কোথায় জানেন? আমি ইচ্ছা করলেই মেয়েটিকে বাঁচিয়ে দিতে পারি বা মেরে ফেলতে পারি! এখানে ধর্মীয় বিধান বা সমাজ এর কথা মাথায় থাকে না লিখার সময়।
গল্পকারের স্বাধীনতা হলো তার চরিত্রকে মন মতো গড়ে তুলতে পারবে অথবা ইচ্ছা করেই মন মতো গড়বে না।
আর যদি সিগারেটের কথা বলি তাহলে বলবো মেয়ে হিসেবে পুরুষ বিদ্বেষী মনোভাব কাজ করে অনেক সময়। নিজেকে অনেক বার পুরুষের জায়গায় বসাতে না পারার বঞ্চনা গুলো হয়তো গল্পে ফুটে উঠে। আমি যেটা কখনই করতে পারবো না সেটা গল্পে একটা মেয়েকে দিয়ে করিয়ে নেয়া, হোক না সেটা কল্পনা বা অবাস্তব আমি সেটা পারবো। সেই স্বাধীনতা আমার আছে।
মেয়ে ছেলে আলাদা মনোভাব চেতনা আলদা মানলাম কিন্তু আপনি হলপ করে বলতে পারবেন অন্য একটা পুরুষের সাথে আরেকটা পুরুষের চেতনার মিল আছে? মানুষ ভেদে আমরা সবাই আলাদা। এখনে নারী পুরুষ গৌণ হয়ে যায়। হ্যাঁ কিছু সংস্কৃতি আলাদা। এখানে আমি বায়োলজিক্যাল টার্ম বলছি না সাইকোলজিক্যাল টার্ম বলছি। আমি যদি বরি আমি জীবনে কখনও পুতুল খেলি নি তাহলে কি আমি পুরুষ হয়ে যাবো? একটা খেলা দিযে নারী পুরুষকে ভিন্ন জগতের বাসিন্দা করে নিতে আমি রাজি না। আমি রাজি সাইকোলজিক্যাল প্যাটার্নের দিক থেকে প্রত্যেক মানুষকে আলাদা করতে।
আরে রেগে যাবো কেন! হা হা হা....
আপনার সাজেশন মাথায় রাখলাম। মেয়ের চরিত্র নিয়ে আমি আরো অনেক গল্প লিখবো কথা দিচ্ছি। তবে প্লট আমি বার বার ভেঙ্গেচুরে নিবো।
আর হ্যাঁ আমিকিন্তু বলতে চাই আমি নারী বা পুরুষ নিয়ে লিখিনি আমি মানুষ নিয়ে লিখেছি।
আর অনেকধন্যবাদ। গল্প লিখে আপনার সাথে আলোচনা করতে পেরে খুব ভালো লাগছে। ভালো হতো যদি আপনাকে ফেবুতে পেতাম!
১৪| ০২ রা এপ্রিল, ২০১৩ বিকাল ৫:২০
একজন আরমান বলেছেন:
বরাবরের মতো দারুন লাগলো। শব্দ চয়ন আগেরগুলোর তুলনায় অনেক সুন্দর হয়েছে। মানুষের দেহটাই সব নয়। মনটা বোঝা সব থেকে জরুরী, একই ছাদের নিচে থাকার জন্য। দেহের প্রতি আকর্ষণ খানিকক্ষণ থাকে। কিন্তু যদি মনের সাথে মনের মিল থাকে সেটা আজীবন স্থায়ী হয়।
বেশি বক বক করে ফেললাম।
@ দুঃখিতঃ
বন্ধু তোমার শেষের কথাগুলোর সাথে সহমত।
০২ রা এপ্রিল, ২০১৩ সন্ধ্যা ৭:২৫
আজ আমি কোথাও যাবো না বলেছেন: আরমান ভাই গল্পটা লেখার সময় যে কথাটাই ভাবছিলাম সেটাই আপনি কমেন্টে বলে দিলেন!
দুঃখিত ভাইকে কমেন্টের জবাব দিয়েছি ভাইয়া।
ধন্যবাদ!
১৫| ০২ রা এপ্রিল, ২০১৩ বিকাল ৫:৩৭
নেক্সাস বলেছেন: বেশ ভাল লাগা একটা লিখা
০২ রা এপ্রিল, ২০১৩ সন্ধ্যা ৭:২৬
আজ আমি কোথাও যাবো না বলেছেন: ধন্যবাদ নেক্সাস। আপনার লেখাও আমার খুবভালো লাগে! ভাল থাকবেন।
১৬| ০২ রা এপ্রিল, ২০১৩ রাত ৮:২০
একজন আরমান বলেছেন:
আমার মনে হয় আমার বন্ধু বায়োলজিক্যাল যে ডিফ্রেন্স থাকে সেটাই বুঝাতে চেয়েছে। সিগারেট খেলেই একজন মেয়ে ছেলে হয়ে যায় না। এইগুলো আমাদের মানসিকতা আর সমাজ ব্যাবস্থার উপর নির্ভর করে। আমাদের দেশে একজন মেয়ে সিগারেট খেলে তার দিকে সবাই হা করে তাকিয়ে থাকবে কিন্তু পাশ্চাত্যের দেশগুলোতে কেউ ফিরেও চাইবে না। আবার আমাদের দেশে একটা মেয়ে জিন্স আর ফতুয়া পড়লে মানুষ অপলক তাকিয়ে থাকবে, কিন্তু পাশ্চাত্যের দেশে কেউ বিকিনি পড়ে হাঁটলেও তার দিকে কেউ ফিরে তাকায় না।
০২ রা এপ্রিল, ২০১৩ রাত ৮:৪৩
আজ আমি কোথাও যাবো না বলেছেন: হ্যাঁ আমি বুঝতে পেরেছি ভাইয়া তিনি কি বলতে চাচ্ছেন। তবে আমি ও বলেছি যে আমি শুধু সাইকোলজিক্যাল টার্ম নিয়ে আগ্রহী। তবে বায়োলজিক্যাল টার্মকে অস্বীকার তো করতেই পারবো না।
আর সেখানেই আমার কথা। কি কি কারণে অস্বীকার করতে পারবো না। এই কারণে আমি গল্পের চরিত্রকে দিযে এমন আচরণ করিয়ে নেব যেটা স্বাভাবিক না কিন্তু আমার চিন্তার খোরাক যোগাবে।
১৭| ০২ রা এপ্রিল, ২০১৩ রাত ৮:৪৯
বোকামন বলেছেন: লেখাটি ভালো লাগলো! সুন্দর লেখনী ...
০২ রা এপ্রিল, ২০১৩ রাত ৮:৫৪
আজ আমি কোথাও যাবো না বলেছেন: ধন্যবাদ।
১৮| ০২ রা এপ্রিল, ২০১৩ রাত ৯:০২
জাকারিয়া মুবিন বলেছেন:
৯ নং প্লাসটা আমার
০২ রা এপ্রিল, ২০১৩ রাত ৯:১১
আজ আমি কোথাও যাবো না বলেছেন: ধন্যবাদ ভাইয়া! প্লাস বুঝিয়া পাইলাম!
১৯| ০২ রা এপ্রিল, ২০১৩ রাত ৯:২৯
ঘুড্ডির পাইলট বলেছেন: লেখাটি ভালো লেগেছে
০২ রা এপ্রিল, ২০১৩ রাত ১০:০১
আজ আমি কোথাও যাবো না বলেছেন: ধন্যবাদ ভাইজান।
২০| ০২ রা এপ্রিল, ২০১৩ রাত ৯:৪২
হেনরি রাইডার হেগার্ড বলেছেন: পিচ্চি ভালই লিখেছ
by the way তোমারে পিচ্চি ডাকাতে মাইন্ড খাইও না। ভার্সিটিতে তোমারে এই ভাবেই ডেকে অভস্ত। এখন জানতে চেয়ও না আমি কেডা
আমারে ভাল মত ই চিন আমাকে।
০২ রা এপ্রিল, ২০১৩ রাত ১০:০৫
আজ আমি কোথাও যাবো না বলেছেন: চিনলাম না সত্যই!
ধন্যবাদ।
২১| ০২ রা এপ্রিল, ২০১৩ রাত ৯:৪৮
দুঃখিত বলেছেন:
ব্যাগে একটা ধারালো চাকু রাখি সবসময়। আচ্ছা এটা দিয়ে যদি ডান হাতের শিরাটা কেটে ফেলি তাহলে কি হবে? কালকে বা পরশুর খবরের কাগজে হয়তো উঠবে “রহস্যময়ী এক সু্দরীর লাশ উদ্ধার” নাকি “ রহসময়ীর আত্মহত্যা”? কোনটা হতে পারে? এটা আত্মহত্যা বুঝানোর জন্য যথেষ্ট বলে মনে হয়েছে আমার কাছে আপু আর আগের কোন কমেন্ট এ ভুল কিছু যদি বলে থাকি তাহলে সরি
০২ রা এপ্রিল, ২০১৩ রাত ১০:০৬
আজ আমি কোথাও যাবো না বলেছেন: আমি তো বললামই যে আমি বলবো না কিছুই পাঠক বুঝে নিবেন!
আর প্লিজ স্যরি বলবেন না তাহলে সত্যই রাগ করবো!
২২| ০২ রা এপ্রিল, ২০১৩ রাত ১০:৪৮
এম হুসাইন বলেছেন: একাদশ তম ভালোলাগা।
০২ রা এপ্রিল, ২০১৩ রাত ১১:৫৫
আজ আমি কোথাও যাবো না বলেছেন: ধন্যবাদ।
২৩| ০২ রা এপ্রিল, ২০১৩ রাত ১০:৫৬
দুঃখিত বলেছেন: থাউক ক্ষেইপেন না, ক্ষেমা দেন এইবার :-&
০২ রা এপ্রিল, ২০১৩ রাত ১১:৫৭
আজ আমি কোথাও যাবো না বলেছেন: খেপি নাই তো!
২৪| ০৩ রা এপ্রিল, ২০১৩ রাত ১২:০৫
দুঃখিত বলেছেন: উকে
০৩ রা এপ্রিল, ২০১৩ রাত ১২:২৪
আজ আমি কোথাও যাবো না বলেছেন:
২৫| ০৩ রা এপ্রিল, ২০১৩ রাত ১:৪০
কাল্পনিক_ভালোবাসা বলেছেন: এই গল্পের মূল উপভোগ্য লেখার প্রাঞ্জলতা।
রোমান্টিক ট্যাজেডি!!!!
০৩ রা এপ্রিল, ২০১৩ সকাল ৮:১০
আজ আমি কোথাও যাবো না বলেছেন: ধন্যবাদ!
২৬| ০৩ রা এপ্রিল, ২০১৩ ভোর ৫:১১
নিয়েল ( হিমু ) বলেছেন: আপনি ব্যাগে ছুড়ি রাখছেন কেন আর ছিকারেট খান কেন ? কাল থেকে ফুল রাখবেন আর কিটকেট খাবেন বিল আমার ।
অঃটঃ আবাল টাইপ কমেন্ট পড়তে গিয়া গল্প ভুইলা গেছি আরেকবার পৈড়া আসি । ওয়েট প্লিজ ।
০৩ রা এপ্রিল, ২০১৩ সকাল ৮:১১
আজ আমি কোথাও যাবো না বলেছেন:
বিল জানেন কত?
২৭| ০৩ রা এপ্রিল, ২০১৩ ভোর ৫:১৯
নিয়েল ( হিমু ) বলেছেন: মেয়েটার একাকিত্ব আমাকে পিড়া দিল । ছোট্ট কিন্তু অসাধারন একটা স্বপ্ন ছিল না কি তার ? একটা ফুল ঘড় ময় ছুটে বেড়াবে...... স্বপ্নটা সত্যিই মধুর কিন্তু বেদনার হয়ে গেল ।
বিষাদ ময় ভাল লাগায় ছেয়ে গেল মন ।
০৩ রা এপ্রিল, ২০১৩ সকাল ৮:১২
আজ আমি কোথাও যাবো না বলেছেন: সুন্দর মন্তব্যের জন্যে ধন্যবাদ।
২৮| ০৩ রা এপ্রিল, ২০১৩ বিকাল ৫:০১
দিকভ্রান্ত*পথিক বলেছেন: //কিসের জন্যে আমার প্রাণ হায় হায় করতো আমি জানি না হয়তো বা জানি না জানার ভান করছি। আমি নিজের সাথে খুব ভালো ভান করতে পারি।//
জেনে শুনে বিষ করেছি পান।
আমি, জেনে শুনে বিষ করেছি পান।
প্রাণের আশা ছেড়ে সঁপেছি প্রাণ।
আমি জেনে শুনে বিষ করেছি পান।
আমি জেনে শুনে বিষ করেছি পান।
যতই দেখি তারে ততই দহি,
আপন মনোজ্বালা নীরবে সহি,
যতই দেখি তারে ততই দহি,
আপন মনোজ্বালা নীরবে সহি,
তবু পারি নে দূরে যেতে, মরিতে আসি,
লই গো বুক পেতে অনল-বাণ।
গল্পে অনেক ভাল লাগা, তবে ঘটনায় বিষাদ অনুভব করেছি। আজ এমনিতেও মন ভাল নেই। সে কারনেও হতে পারে। একজন অসাধারণ লেখিকার লেখা বিচার করবো না, তবুও তোমাকে ও তোমার গল্পকে বলতে ইচ্ছে করছে,
তুমি রবে নীরবে,
হৃদয়ে মম,
তুমি রবে নীরবে,
নিবিড়, নিভৃত,
পূর্ণিমা নিশীথিনী সম,
তুমি রবে নীরবে।
মম জীবন যৌবন,
মম অখিল ভুবন,
তুমি ভরিবে গৌরবে,
নিশীথিনী-সম।
তুমি রবে নীরবে,
হৃদয়ে মম,
তুমি রবে নীরবে।
জাগিবে একাকী তব করুণ আঁখি,
তব অঞ্চল ছায়া মোরে রহিবে ঢাকি।
জাগিবে একাকী তব করুণ আঁখি,
তব অঞ্চল ছায়া মোরে রহিবে ঢাকি।
মম দুঃখবেদন,
মম সফল স্বপন,
মম দুঃখবেদন,
মম সফল স্বপন,
তুমি ভরিবে সৌরভে,
নিশীথিনী সম।
তুমি রবে নীরবে,
হৃদয়ে মম,
তুমি রবে নীরবে,
নিবিড় নিভৃত,
পূর্ণিমা নিশীথিনী সম,
তুমি রবে নীরবে॥
অনেক শুভকামনা জানাই। গল্পটি প্রিয়তে নিলাম। ১৪ তম ভাল লাগা।
০৩ রা এপ্রিল, ২০১৩ বিকাল ৫:২০
আজ আমি কোথাও যাবো না বলেছেন: তোমার কমেন্ট দেখে নিজেকে হিপোক্রেট মনে হচ্ছে আসলে গল্পটির প্রতি আমি ততটা যত্ন নিই নাই! আরেকটু নিতে পারতাম কিন্তু।
অনেক ধন্যবাদ আমার প্রিয় চরণ গুলো তুলে ধরার জন্যে!
গল্পটিতে এতখানি মুল্যায়ন করার জন্যেও ধন্যবাদ জানাই। ভালো থেকো।
২৯| ০৪ ঠা এপ্রিল, ২০১৩ সন্ধ্যা ৬:৩৭
দিকভ্রান্ত*পথিক বলেছেন: না, শুধু তোমার মতো থাকো, তুমি তোমার মতো করে সেরা। তোমার মতো থাকলেই জগত তোমাকে ভালবাসবে, তোমার সৃষ্টির প্রেমে পড়বে, আমি নিশ্চিত বলতে পারি।
শুভ্র আঁধারে ডুবতে এলেম ও চোখে,
লোচনমাঝের নীল বেদন, আপন বিনে কে দেখে,
তাই হৃদয়ে হৃদয় রাখিয়া,
করিনু দৃষ্টিপাত
দেখিনু তোমার আঁখি, খেয়ালে কাটিল রাত,
বিহনে তোমার আঁখিজল আর, হবেনা নতুন প্রভাত।
উর্বশী, শর্বরী, মায়া কিন্নরী,
ইন্দ্রাণী পরী, বুঝিনা ডাকিব কি করি,
বুঝিয়াছি সব যুঝিয়াছি আপন মনেতে, ফেরাতে পারিনি আঁখি পল তবু, কৃষ্ণলোচনে মরি।
উপহার স্বরূপ
০৪ ঠা এপ্রিল, ২০১৩ রাত ৮:০৬
আজ আমি কোথাও যাবো না বলেছেন: উপহার ভালো লাগলো। অনেক ধন্যবাদ! সাথে থাকার জন্যে।
৩০| ০৫ ই এপ্রিল, ২০১৩ সকাল ৭:৫৮
সেলিম আনোয়ার বলেছেন: লেখাটি ভাল লেগেছে..সুন্দর
০৫ ই এপ্রিল, ২০১৩ সকাল ৮:৩৪
আজ আমি কোথাও যাবো না বলেছেন: ধন্যবাদ।
৩১| ০৫ ই এপ্রিল, ২০১৩ বিকাল ৪:১২
শুঁটকি মাছ বলেছেন: আপু এই প্রথম আপনার লেখা পড়লাম।নিঃসন্দেহে আপনি ভালো লেখিকা।
০৫ ই এপ্রিল, ২০১৩ সন্ধ্যা ৭:২১
আজ আমি কোথাও যাবো না বলেছেন: তবে আমিকিন্তু আপনার লেখা অনেক পড়েছি। নিজেকেনিয়ে সন্দেহ থাকলেও এই বিষয়ে কোন সন্দেহ নেই যে আপনি খুব ভালো লেখিকা।
৩২| ০৫ ই এপ্রিল, ২০১৩ রাত ১০:০৪
আশরাফুল ইসলাম দূর্জয় বলেছেন:
দীর্ঘ গল্প দেখলে পালানোর অভ্যাস আছে।
তবুও এটা পড়লাম।
সহজিয়া বয়ান, বেশ ভালো। পড়তে বিরক্তি ছিলো না।
আর হ্যা, গল্প লেখকদের শুধুই হিংসা! কেমনে এতো শত শব্দ লিখে নিরেট বুননে!
ভালো থাকুন।
শুভকামনা।।
০৬ ই এপ্রিল, ২০১৩ সকাল ৮:৪৯
আজ আমি কোথাও যাবো না বলেছেন: কবিতা যার লিখে তাদেরও খুব হিংসা হয়! শত চেষ্টা করেও কবিতা লিখতে তো পারিই না তাই এই রকম অগল্প গুলো লিখি। আপনাদের ভালো লাগলে আরো লিখারন উৎসাহ পাই। ধন্যবাদ জানবেন!
৩৩| ০৬ ই এপ্রিল, ২০১৩ সকাল ৯:১০
সেলিম আনোয়ার বলেছেন: দূর্জয়ের কবিতা পড়ে আমার ও হিংসে হয়..বেসম্ভব ভালো লিখে!!
০৬ ই এপ্রিল, ২০১৩ সকাল ৯:১৭
আজ আমি কোথাও যাবো না বলেছেন: আমারো খুব হিংসা হয়! আপনাকেও ! কবিতা যারা লিখে তাদের সবাইকে!
৩৪| ০৬ ই এপ্রিল, ২০১৩ সকাল ৯:৫৫
ফারজানা শিরিন বলেছেন: সবাই সব বলে ফেলেছে !!! : (
০৬ ই এপ্রিল, ২০১৩ সকাল ১০:১২
আজ আমি কোথাও যাবো না বলেছেন: আপনিও কিছু বলুন!
৩৫| ০৬ ই এপ্রিল, ২০১৩ বিকাল ৩:২৬
ফারজানা শিরিন বলেছেন: মিও বলে ফেলছি । :প
০৬ ই এপ্রিল, ২০১৩ সন্ধ্যা ৭:০২
আজ আমি কোথাও যাবো না বলেছেন:
ধন্যবাদ!
৩৬| ০৬ ই এপ্রিল, ২০১৩ বিকাল ৩:২৮
হাসান মাহবুব বলেছেন: ভালো লাগলো। গল্পের সমাপ্তি পছন্দ হৈসে। আর একটা অংশ বিশেষভাবে ভালো লাগলো, পুরোনো স্মৃতি গুলো... অংশটা।
০৬ ই এপ্রিল, ২০১৩ সন্ধ্যা ৭:২২
আজ আমি কোথাও যাবো না বলেছেন: ধন্যবাদ জানবেন ভাইয়া।
৩৭| ০৭ ই এপ্রিল, ২০১৩ দুপুর ১২:৪৫
গোলাম দস্তগীর লিসানি বলেছেন: আপনি প্লিজ বিশ্লেষণী মন্তব্যগুলো একত্র করে একটা পোস্ট করুন।
জানি ব্লগটা সাহিত্যের জন্য ডেডিকেটেড। কিন্তু মন্তব্য যখন আমরা করছি, পোস্টও তো করতে পারি।
০৭ ই এপ্রিল, ২০১৩ দুপুর ২:৪১
আজ আমি কোথাও যাবো না বলেছেন: আপনি যখন বলছেন আমি ইনশাল্লাহ করবোই! আজকেই করছি।
৩৮| ০৮ ই এপ্রিল, ২০১৩ বিকাল ৩:১৬
মাহমুদা সোনিয়া বলেছেন: চমৎকার একটা লেখা পড়লাম।
০৮ ই এপ্রিল, ২০১৩ বিকাল ৪:১৫
আজ আমি কোথাও যাবো না বলেছেন: ধন্যবাদ আপু।
৩৯| ১৪ ই এপ্রিল, ২০১৩ রাত ১২:০২
রহস্যময়ী কন্যা বলেছেন: খুব সুন্দর গল্প আপুনি.....ভালোলাগা রইলো।
১৪ ই এপ্রিল, ২০১৩ সন্ধ্যা ৭:২৮
আজ আমি কোথাও যাবো না বলেছেন: ধন্যবাদ আপুনি।
৪০| ১৪ ই এপ্রিল, ২০১৩ দুপুর ১:১৩
একজন আরমান বলেছেন:
শুভ নববর্ষ।
১৪ ই এপ্রিল, ২০১৩ সন্ধ্যা ৭:২৯
আজ আমি কোথাও যাবো না বলেছেন: শুভ নববর্ষ আরমান ভাই।
৪১| ১৫ ই এপ্রিল, ২০১৩ দুপুর ১২:৪০
লুবনা ইয়াসমিন বলেছেন: কথা হবে অনেক, আপাতত প্রিয়তে নিচ্ছি।
১৫ ই এপ্রিল, ২০১৩ রাত ৮:১৭
আজ আমি কোথাও যাবো না বলেছেন: ধন্যবাদ আপু ।
৪২| ১৬ ই এপ্রিল, ২০১৩ সকাল ১১:২২
লুবনা ইয়াসমিন বলেছেন: গল্পটি কমেণ্টগুলো সহ পড়লাম। অনেক ভাল লেগেছে। সাহসী একটি লাইন দেখে আমি মুগ্ধ। এত সুন্দর করে কারো দুর্বল মুহুর্তের কিছু সময় বর্ননায় এসেছে যার প্রশংসা না করে পারছি না।
“অস্থিরতার লগ্নটি কাটাতে নিজেকে অনেকবার বিলিয়ে দিয়েছি। অনেকে আমাকে পেয়ে ধন্য হয়েছে। হ্যাঁ স্বীকার করতে সংকোচ নেই আমার”।
আমাদের দেশের বাড়ী রংপুরে। ছোট বেলার বেড়াতে গেলে প্রায়শই লক্ষ করতাম মহিলারা বিড়ি খায় আর হুকা টানে। বুঝে পেতাম না ব্যাপারটা কি!? পড়ে জেনেছি স্বামী বা পরিবারের অন্য পুরুষদের চুলা থেকে আগুন ধরিয়ে দিতে দিতে তাদেরও টানার অভ্যাস হয়ে গ্যাছে। কি আর করা।
১৬ ই এপ্রিল, ২০১৩ সকাল ১১:৪৩
আজ আমি কোথাও যাবো না বলেছেন: ধন্যবাদ আপু।
৪৩| ২৫ শে জুন, ২০১৩ রাত ১১:১৫
আমিনুর রহমান বলেছেন:
ভালো লাগা আগেই দিয়েছিলাম, বড় গল্প দেখে মনে হয় না পড়েই পলায়ন করেছিলাম
কল্পনায় চলে যাওয়ার মুহুর্ত আর আবার বাস্তবে ফিরে আসা, সিকুয়্যান্সটা চমৎকার গোছানো হয়েছে। গল্পে +++
২৬ শে জুন, ২০১৩ রাত ১২:৫৭
আজ আমি কোথাও যাবো না বলেছেন: আপনেরে ধইন্যা পাতা দিতাম না।
৪৪| ১৭ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৩ রাত ১০:১৪
আদনান শাহ্িরয়ার বলেছেন: বিষণ্ণ অথবা অন্তর্গত বিছিন্নতা বয়ে বেরানো চরিত্রগুলোর প্রতি কি আপনার দুর্বলতা আছে ?? যদি থাকে তাহলে এটা অনেক কাজ করবেন এই প্রার্থনা করি ! এইসব কিছুটা দুর্বোধ্য অনেকটা দ্বন্দ্বময় চরিত্রগুলো লেখকের খুব বেশি মায়া পায়না। সীমানা ছেঁড়া এই মানুষগুলোর অস্থিরতা আপনার শব্দগুলোতে খুব সুন্দর ফুটেছে । আপনাকে শুভকামনা এবং এইরকম আরও গল্পের প্রত্যাশায় থাকলাম ।
১৮ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৩ রাত ১:৩৮
আজ আমি কোথাও যাবো না বলেছেন: বিষন্নতা বা বিচ্ছিন্ন চরিত্রগুলোর প্রতি কিছুটা আকর্ষণ আছে বৈকি!! তবে জটিল মনস্তাত্বিক দন্দ আর ডার্ক স্টোরি ভালো লাগে। নেশার মতো বলতে পারেন!
ধন্যাবাদ!
৪৫| ১৮ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৩ রাত ১:৪০
খেয়া ঘাট বলেছেন: চারদিকে এক আশ্চর্য নিরবতা নেমে এল হঠাৎ পাখিটাও চুপ। প্রকৃতিতে কিসের যেন একটা হাহাকার ছেয়ে গেল। আমার হৃদস্পন্দন বেড়ে যাচ্ছে!
গল্প পাঠে আমিও একটু নীরব হলাম। একে বলে নীরব মুগ্ধতা।
১৮ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৩ রাত ১:৪৫
আজ আমি কোথাও যাবো না বলেছেন: ধন্যবাদ!! পাঠকের এমন কমেন্ট কার না ভালো লাগে!
৪৬| ১৬ ই অক্টোবর, ২০১৩ রাত ১২:৪০
রাহি বলেছেন: অণুগল্প হিসেবে ভালোই!
©somewhere in net ltd.
১|
০২ রা এপ্রিল, ২০১৩ সকাল ৯:১৫
মাক্স বলেছেন: লেখাটি ভালো লাগলো!