![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
আমার পৃথিবী নিয়ে আমি ভাল আছি খুব ভালো আছি। সকল অশুদ্ধতাকে নিয়ে সুখে আছি। অশুদ্ধতাই আমার কাছে শুদ্ধতা এখন। শুধু মাঝে মাঝে শ্বেত শুভ্র একটুকরো মেঘের দিকে ভুল করে তাকাই! কিন্তু ভুল করেও আমার ভাল লাগে। আমার পৃথিবী ভুলে ভর্তি। ভুলে ভর্তি পৃথিবী নিয়ে আমার কোন আক্ষেপ নেই। শুধু অন্যেরা উকি না দিলেই হলো। তারা দেখে আমি পঙ্কিল এক পৃথিবীতে পঙ্কস্নান করছি। আমার ভাষায় যদিও তা চন্দ্রস্নান বা রৌদ্র স্নান। সেই পঙ্কিল আমাকে দেখে ভিড়মি খাওয়া মানুষদের বলছি দয়া করে আমার পৃথিবীতে আমাকে থাকতে দিন। এটা একান্তই আমার ভুবন। অশুদ্ধ আমি ভাল আছি খুব। এক টুকরো কল্পনার অংশুকে নিযে ভাল আছি খুব। শুদ্ধতা আমাকে ভাল না বাসুক আমার আপত্তি নেই। যা আছে মানে অশুদ্ধতাটুকুই নিয়ে বাচতে চাই। সব হারালে আমি বাঁচবো কি করে!
“বদ্ধ একটা ঘরে আমি বসে আছি। পড়ার টেবিলে একটি মাত্র বই। একটা কবিতার বই। বইটার আবার সব পৃষ্ঠা সাদা। অবাক হলাম না মোটেও। মনে হচ্ছে এটাই স্বাভাবিক। ঘরটার কাঁচের জানালার ওপাশে একটা হলুদের উপর সাদা ছিট ওয়ালা বড় প্রজাপতি বসে আছে। ওটা যেন ঘরে ঢোকার চেষ্টা করে করে ক্লান্ত হয়ে গেছে। আচমকা একজন লোক কি করে যেন ঘরে চলে এলো। বুকের ভিতর ধ্বক করে উঠলো। লোকটার সাড়াশির মতো আঙ্গুল ডান হাতের বাহুতে চেপে বসে গেল। আমি নড়তে পারছি না। ছুটে পালানোর চেষ্টা করতেই হাতের আঙ্গুল গুলো আরো জোরে চেপে বসে গেল। যেন মাংস কেটে বসে যাবে। আমি অসহায়ের মতো ঘামছি। চিৎকার করার বৃথা চেষ্টা করলাম! গলা যেন কেউ চেপে ধরেছে আমার। বুঝতে পারছি এটা দুঃস্বপ্ন। শত চেষ্টা করেও ঘুম ভাঙ্গতে পারছি না। একটি বার চোখ তুলে তাকালাম লোকটির দিকে। তার ফর্সা কপালে বিন্দু বিন্দু ঘাম। সুন্দর চেহারাটিতে আশ্চর্য কাঠিন্য, নাসিকা স্ফীতপ্রায়, চোখ দুটোর শিরা লাল হয়ে ফুলে আছে। চোখের মণি একবার বড়ো হচ্ছে একবার ছোট হচ্ছে। গা থেকে ভুরভুর করে সিগারের গন্ধ আসছে।”
ছটফট করতে করতে ঘুম থেকে উঠলাম। আমি ঘুমেই বুঝতে পারি দুঃস্বপ্ন দেখছি। এই একটাই জিনিশ দেখছি একমাস ধরে। প্রতিবারই একই রকম অনুভুতি হয়। আসলে কি কিছু অনুভুতি কখনো ভোঁতা হয় না। আর ঘুম হবে না। রাতের বাকি অংশটুকু কি করবো বুঝতে পারছি না। ছাদে গিয়ে হেটে আসা যায়। কিন্তু কেন জানি ইচ্ছা করছে না। আজকাল কোন কিছু না করার ইচ্ছা প্রবল হচ্ছে আমার। অতুল বড় বিরক্ত হয়। আশ্চর্য আমার সব ভাবনাতেই কেন জানি অতুল এসে পড়ে আজকাল। গ্রীক দেবতাদের মতো চেহারা, সুদর্শন এক যুবক। গভীর বাদামী চোখে মায়ার প্রাবল্য আছে। চোখের কারণেই কিনা তার চেহারায় একটা মেয়েলী ভাব চলে আসতে চায়। তবে মুখের কাঠিন্যের কারণে যেটা আসতে গিয়ে আসে নি। এত সুদর্শন এক যুবককে আমার অসহ্য লাগে। কেন জানি মোটেই সহ্য হয় না তাকে। তবে সেটা ভিতরে ভিতরে। বাইরে প্রকাশ খুব কমই করতে পারি। তার সাথে আমার বিয়ে ঠিক হয়ে আছে। শত হলেও হবু স্বামীর সাথে ভদ্র ভাষায় কথা বলতে হয়! বাকি রাতটা বাথটাবে শুয়ে কাটিয়ে দিলাম!
পরদিন অফিস থেকে বের হওয়ার আগ মুহুর্তে অতুল এসে হাজির।
- আজকে একটু দেরী করে বাসায় গেলে হয় না?
- কেন বলো তো?
- একটু ঘুরে আসতাম!
- ঠিকাছে।
অতুল সামান্য অবাক হয়। কি ভেবে রাজি হয়ে গেলাম জানি। আসলে আজকে নির্লিপ্ততা ঘিরে আছে কেন জানি!
অতুল রিকশা নিল। ভ্যাপসা গরম পড়েছে। প্রচন্ড বিরক্তি থাকা স্বত্ত্বেও রিকশায় উঠলাম। অতুলকে প্রচন্ড রকম অপমান করতে ইচ্ছা হচ্ছে।
- হুড কি তুলে দেবো?
- দিতেই পারো আর না দিলেও সমস্যা নাই।
- আচ্ছা নাই দিলাম। ফ্রি হয়ে বসো।
- ফ্রি হয়েই তো বসেছি। তুমি নড়াচড়া করো না। আর হাতটা ইচ্ছা করলে আমার হাঁটুতে রাখতেও পারো। আমি তোমাকে থাপ্পড় দিবো না।
- এসব কি বলছো?
- কেন ভুল বলছি নাকি?
- আচ্ছা আমি অন্য রিকশায় যাচ্ছি।
- তোমার ইচ্ছা।
অতুল রিকশা থেকে নেমে অন্য রিকশা নিলো। অপমানে তার ফর্সা মুখ লাল হয়ে আছে। এখুনি যেন কেঁদে দিবে। আমি বিমলানন্দ লাভ করলাম। সপ্তাহান্তে যে নারী তার স্ত্রী হতে যাচ্ছে তার কাছে অপমানিত হওয়াটা সে আশাও করে নি। কিন্তু সমস্যা হলো লোকটা আমাকে পছ্ন্দ করে। আঘাত পেয়েও বারবার ফিরে আসে। আমি যা ত্যাগ করতে চাই সেটাই কেন জানি না আমাকে খুব করে আঁকড়ে ধরতে চায়।
- আরে নওরীন তুই এত্ত বড় হয়ে গেলি কখন?
অন্তু ভাইয়া এসেছেন গতরাতে। সকালে উঠেই হাকডাক শুরু করে দিলেন। আমি মৃদু হাসি দিলাম শুধু। অনেক দিন পর দেশে আসলেন। শুধু আমার বিয়ে উপলক্ষ্যে।
- এই পিচ্চি মেয়ে তো বর দেখতে কেমন বল আমার চেয়ে বেশী হ্যান্ডসাম হলে আমার তীব্র আপত্তি আছে।
উত্তর দিলো পিপলু।
- আরে ভাইয়া দুলাভাই তোমার চেয়ে ম্যালা হ্যান্ডসাম।
পিপলু অন্তু ভাই সহ বাসার প্রায় সবাই রাজ্যের আলাপ জুড়ে দিলো। অন্তু ভাই আগের মতোই রয়ে গেছেন। একটার পর একটা সিগার টেনে যাচ্ছেন। আম্মা সানন্দে পুরো ডিটেইলস বলে যাচ্ছেন।
- জামাইর নাম অতুল। রাজপুত্রের মতো দেখতে। ফ্যামিলিও তেমন ভালো। আমাদের নওরীনের কলিগই ছিলো। নওরীনের সাথে প্রায়ই কথাবার্তা বলতো। হঠাৎ একদিন পুরো পরিবার নিয়ে হাজির। সাথে ডায়মন্ডের রিং। আমি তো আরো ভাবলাম.......
অসহ্য লাগছে আম্মার কথা। আমি চলে আসি আমার রুমে। সশব্দে দরজাটা বন্ধ করে দিই। অফিস থেকে ছুটি আরো পরে নিলেই ভালো হত। কিশোরী বেলায় জানালার কাঁচ তুলে দিয়ে পড়ার টেবিলে উঠে বসে থাকতাম। পাশেই একটা কৃষ্ণচূড়া গাছ। বসন্ত এলে গাছটা পাগল হয়ে যেত। লাল রং এর স্টুপিড টাইপ একটা ফুল দিয়ে নিজেকে সাজিয়ে নিতো। এই স্টুপিড টাইপ ফুলটাই আমার এত্ত ভালো লাগে! কেউ আশে পাশে না থাকলে জানালা গলে গাছটায় উঠে পড়তাম। এখন চাইলেও তা সম্ভব না। আমার মতোই গাছটা অনেক বড় হয়েছে। ডালগুলো উপরের দিকে। মাথা খারাপ করে দেয়া লাল রং এর কৃষ্ণচূড়া দেখতে এখন ছাঁদে বা বাগানে যেতে হয়। কৃষ্ণচূড়া! এর চূড়া তো লাল হয়ে থাকে। তাহলে কৃষ্ণচূড়া কেন নাম? এই প্রশ্ন আমি করেছিলাম অন্তু ভাইয়াকে। তিনি বলেছিলেন “ খাইছে রে তুই এত্ত কঠিন প্রশ্ন করা শুরু করলি ক্যান? বয়স আরো বাড়ুক তোর প্রশ্নের উত্তর তখন দিবো।” বলেই বেণী টেনে দিয়েছিলেন। উত্তর আমি পাই নি কখনো। আর জিজ্ঞাসাই করি নি!
ফোনটা হাতে নিয়ে অতুলের নাম্বারটা ডায়াল করলাম। প্রশ্নটার উত্তর পেতে ইচ্ছা করছে কেন জানি!
- নওরীন!
- হ্যাঁ। আচ্ছা কৃষ্ণচূড়ার চূড়া তো লাল ফুলে ছেয়ে থাকে তো এর নাম কৃষ্ণচূড়া কেন?
- উত্তরটা আমি জানি। তোমাকে বলবো আমাদের বিয়ের দিন। একমুহুর্ত অপেক্ষা করে বলে সে।
- ঠিকাছে। রাখি তবে।
নির্লিপ্ততা আবারো ঘিরে ধরলো। পরশুদিন বিয়ে কালকে গায়ে হলুদ। বাড়ি ভর্তি মেহমান গিজ গিজ করছে। বাড়িতে অনেক দিন পরে প্রাণচাঞ্চল্য ফিরে এলো। শুধু আমিই যেন মরে আছি। আর নিয়ম করে ওই দুঃস্বপ্নটা দেখছি। বালিশে মাথা রাখার পরপরই ঘুম নেমে আসে কিন্তু দুঃস্বপ্নটা দেখার পর আর ঘুম হয়না। আর সারাদিনই চোখ জ্বলতে থাকে কেন জানি!
রাত দুটো বত্রিশ। কেন জানি মনে হচ্ছে এখুনি অতুলকে ফোন করা দরকার। নাহ! তাকে বরং একটা মেইলই পাঠিয়ে দিই।
পিসি খুলে লিখতে বসে গেলাম।
“অতুল একটা গল্প বলি তোমাকে। মন দিয়ে শোন। একটা মেয়ের কথা। মেয়েটার কিশোরীকালের কথা। যে কথা কাওকে বলতে পারেনি মেয়েটি!
অন্তু ভাইয়াকে খুব ভালো লাগতো তার। অসম্ভব সুদর্শন মানুষটার কাছে রাজ্যের বই। বই পড়ার ইচ্ছা না থাকা স্বত্ত্বেও মানুষটাকে একবার দেখার জন্যে প্রতি শুক্রবার দুপুরে বই আনতে যেত। মানুষটার গা থেকে ভুরভুর করে সিগারের গন্ধ বের হয়। মেয়েটা অসহ্য লাগে গন্ধটা। তাকে দরজার ফাক দিয়ে দেখতেই ভালো লাগে। ভাইয়াও হয়তো খেয়াল করেন জিনিশটা। দরজার ফাঁকে আমাকে দেখা মাত্রই ইংরেজি বানান ধরেন।
- সিস্টেমেটিক বানান কর তো?
- ক্যানো? পারবো না। আমি এখানে পড়তে আসি নি!
- পারিস না সেটা বল।
- না পারলে নাই তোমার কি? এতপড়া ভালো লাগে না।
- কি ভালো লাগে তাহলে তোর?
- জানি না। একটা বই দাও তো অন্তু ভাইয়া। পড়বো। গল্পের বই দিবা। ভয়ের যেন হয়।
- ভয়ের গল্প পড়ে কি করবি? একটা কবিতার বই নিয়ে যা। দেখিস মুখস্ত করে ফেলিস না। কবিতা পড়তে হয় শব্দ গুলো মাথায় রাখতে হয়। মুখস্ত করতে হয় না।
মেয়েটা লজ্জা পেয়ে গেল। এর আগের বার একটা কবিতার বই দিয়েছিলেন অন্তু ভাইয়া। বলেছিলেন সত্তর পৃষ্ঠার কবিতাটা তার সবচেয়ে প্রিয়। মেয়েটা রাতে পড় শেষ করে বসে বসে কবিতাটা মুখস্ত করে ফেলেছিলো। দুষ্ট পিপলুটাকে কোন আক্কলে বলেছিলো কথাটা সে অন্তু ভাইয়াকে বলে দিয়েছে।
মেয়েটা বইটা নেবার জন্যে হাত বাড়ায়। কিন্তু বিস্ফোরিত চোখে আবিষ্কার করে যে অন্তু ভাইয়ার শক্ত আঙ্গুল গুলো তার ডান হাতের বাহুতে গেথে গেল। কিশোরী দেহের নরম মাংস ভেদ করে তার আঙ্গুল গুলো চেপে বসে যায় মেয়েটার বাহুতে। ছুটে পালিয়ে যাবার বৃথা চেষ্টা তার হাতের আঙ্গুল গুলোকে আরো কঠোর করে দেয়! রক্তশুণ্য মুখে তার দিকে তাকায়! কই এটাতো একটা হায়েনা! চোখ রক্ত বর্ণ জিভ দিয়ে লালা পড়ছে। মেয়েটার গলা দিয়ে শব্দ বের হচ্ছে না। সিগারের গন্ধ প্রবল ভাবে নাকে লাগছে এবার। দেয়ালের ক্যালেন্ডারে মে মাসের পৃষ্ঠাটাতে একটা সাদা ছিট ওয়ালা হলুদ প্রজাপতি অবাক হয়ে তাকিয়ে আছে তার দিকে। সিগারের গন্ধ আরো প্রবল হলো। গন্ধটা সরাসরি মাথার ভিতরে ঢুকে যাচ্ছে যেন!
এটাই গল্পটা। তুমি বুঝতেই পারছো মেয়েটা আমি ছাড়া কেউ না। বাকিটা তোমার কাছে অতুল!”
লেখাটা এটাচ করে পাঠিয়ে দিই অতুলের ঠিকানায়। অতুলকে বলতে হবে মেইলটার কথা সে হয়তো ক্লান্ত হয়ে ঘুমুচ্ছে।
- অতুল তোমাকে একটা মেইল পাঠিয়েছি। এখুনি দেখো। ইটস আর্জেন্ট।
- ওকে আমি এখুনি দেখছি।
- দেখে আমাকে তোমার মত জানিও। হ্যাঁ হলে ফোন করো না হলে ফোন করার দরকার নেই। রাত তিনটার আগে ফোন করবে। এরপর আমি ফোন অফ করে দিবো!
- কি হয়েছে নওরীন?
আমি ফোন কেটে দিলাম। বারান্দায় অন্ধকার ছাড়া কিছু দেখা যাচ্ছে না। আমি তাই দেখতে থাকি মুগ্ধ হয়ে। কাওকে খুব করে জিজ্ঞাসা করতে ইচ্ছা হচ্ছে কৃষ্ণচূড়া সংক্রান্ত প্রশ্নটা। আমি অবাক হয়ে আবিষ্কার করি মানুষটা অতুল। অতুলও অন্তু ভাইয়ার মতো অসম্ভব সুদর্শন একটা মানুষ। তাই তাকে কাছ থেকে অসহ্য মনে হয়। কিন্তু সেকি জানে দুর থেকে আমি কিভাবে তাকে ফিল করি! না জানবেও না কথনো। রাত তিনটা বাজতে একমিনিট বাকি। আমি আশ্চর্য হয়ে আবিষ্কার করলাম আমি একটা ফোনকলের জন্যে ব্যাকুল হয়ে অপেক্ষা করছি। আমার গাল ভিজে গেছে কেন জানি! স্বপ্ন নাকি সাদাকালো হয়। কিন্তু সাদাকালো দুঃস্বপ্নেও হলুদ পাখার প্রজাপতিটার কথা আমি ভুলতে পারছি না। ভুলতেও হয়তো চাই না। একপাল হায়েনার মাঝে ওটাই যেন একটুকরো আলো আমার কাছে। লালায়িত হায়েনার হাসিতে চমকে চমকে উঠি আর প্রজাপতিটা আমাকে আস্বস্ত করে। ও হ্যাঁ হায়েনার কথা বলতে ভুলে গেছি। এরা এক আশ্চর্য জীব। নাহ এরা জঙ্গলবাসী হায়েনা নয়। এরা মনুষ্যসমাজ বাসী। তবে এরাও মাংশাসী প্রাণী, এদের হাসিতেও চমকে উঠতে হয় যা আদৌ হাসি কিনা সন্দেহ। এদের চোখের দৃষ্টি বুভুক্ষুর মতো। চোখ দিয়ে যেন এরা সব গিলে নিতে চায়। চোখ দিয়ে সব গ্রাস করা গেলে পৃথিবীতে কিছুই অবশিষ্ট থাকতো না। নরম নারী মাংস লোভী প্রাণীগুলো ধারালো দাঁতে সব কিছু ছিন্নভিন্ন করে দিতে চায়। এই অন্ধকার ভেজা রাতে কেন জানি মনে হচ্ছে সেই হলুদ প্রজাপতিটা অতুলও হতে পারতো! দুটো ঊনষাট মিনিট তিপ্পান্ন সেকেন্ড! আর সাতটি সেকেন্ড বাকি!
২৪ শে জুন, ২০১৩ দুপুর ১২:৩৮
আজ আমি কোথাও যাবো না বলেছেন: ধন্যবাদ অর্পূর্ণ ভাইয়া।
২| ২৪ শে জুন, ২০১৩ দুপুর ১২:৩৪
এক্সপেরিয়া বলেছেন: ব্ল্যা ব্ল্যা ব্ল্যা....একটা রম্য গল্প দেন......এইডি বুঝি না.......মাথায় ঢুকেনা.....
২৪ শে জুন, ২০১৩ দুপুর ১২:৩৯
আজ আমি কোথাও যাবো না বলেছেন: রম্য তো স্ট্যাটাসই মারতেছি খালি! ওক্কে দিমু পরের গল্পটা রম্য হইবো। প্রমিজ দিলাম তোমারে।
৩| ২৪ শে জুন, ২০১৩ দুপুর ১২:৩৭
ইরফান আহমেদ বর্ষণ বলেছেন: ভালো লাগলো।
২৪ শে জুন, ২০১৩ দুপুর ১২:৩৯
আজ আমি কোথাও যাবো না বলেছেন: ধন্যবাদ।
৪| ২৪ শে জুন, ২০১৩ দুপুর ১:৩৩
শুকনোপাতা০০৭ বলেছেন: ইইইইই!!!!!!শেষে কি হইলো,জানলাম না তো!!!!!!!!
২৪ শে জুন, ২০১৩ দুপুর ১:৩৮
আজ আমি কোথাও যাবো না বলেছেন: সেটা কল্পনা করে নিন! যে কোন কিছু হতে পারে!
৫| ২৪ শে জুন, ২০১৩ দুপুর ১:৫২
কান্ডারি অথর্ব বলেছেন:
চমৎকার পোস্ট ++++++
২৪ শে জুন, ২০১৩ দুপুর ২:০৮
আজ আমি কোথাও যাবো না বলেছেন: ধন্যবাদ কান্ডারি ভাই।
৬| ২৪ শে জুন, ২০১৩ দুপুর ২:৩২
সমুদ্র কন্যা বলেছেন: শুরুতে ভেবেছিলাম অন্তু ভাইয়াকেই ভালবাসে বুঝি মেয়েটা। কাহিনী ঘুরে গেল দেখে ভাল লাগল। আর শেষটুকু......ভাল কিছুই ভেবে নিলাম আমি
২৪ শে জুন, ২০১৩ রাত ৮:২১
আজ আমি কোথাও যাবো না বলেছেন: ধন্যবাদ সমুদ্রকণ্যা।
৭| ২৪ শে জুন, ২০১৩ বিকাল ৩:৩৬
দেহঘড়ির মিস্তিরি বলেছেন: এই গল্প শেষ করেন নাইলে আমিও আজকে কোথাও যাব না
২৪ শে জুন, ২০১৩ রাত ৮:২২
আজ আমি কোথাও যাবো না বলেছেন: :-& :-& ভয় পাইছি!
৮| ২৪ শে জুন, ২০১৩ বিকাল ৩:৪৮
রায়হান চৌঃ বলেছেন: শেষের কথা গুলো খুব ভালো লেগেছে...... সত্যি আপনি ভালো লিখেন...
কিন্তু কেমন যেন......
মেয়ে মানুষ না কি লম্পট দের কেই ভালোবাসে... আর যারা সত্যি ভালোবাসে তারা না কি সারা টা জীবন ই ঘুরে বেড়ায়.....
কিন্তু আপনার গল্পের মেয়েটা...... !!
২৪ শে জুন, ২০১৩ রাত ৮:৫১
আজ আমি কোথাও যাবো না বলেছেন: ধন্যবাদ রায়হান চৌ।
মেয়ে মানুষের একটা সাইকলোজি খেয়াল করেছি নেগেটিভের প্রতি আকর্ষণ। আসরেই এটা সত্য অনেক ক্ষেত্রে। অধিকার ফলানোর ইচ্ছা প্লাস আরো অনেক কিছু এর পিছনের কারণ। আর ভালবাসাটা যে কি আমি বুঝে উঠতে পারিনি!
৯| ২৪ শে জুন, ২০১৩ বিকাল ৪:৪৫
হাসান মাহবুব বলেছেন: ভালো লাগলো +++
তবে আপনার গল্পের আঙ্গিকে কিছুটা পুনরাবৃত্তি এসে যাচ্ছে। দুঃস্বপ্ন, প্রধান নারী চরিত্র, প্রেমিকের সাথে কথোপকথন এইসব টুকটাক!
শুভ বিকেল।
২৪ শে জুন, ২০১৩ রাত ৮:৫৫
আজ আমি কোথাও যাবো না বলেছেন: ধন্যবাদ ভাইয়া।
আসলেএই গল্পটা অনেক আগের লেখা। প্রায় মাসখানেক তো হবেই। এটার পরে অনেক গুলা গল্পতে দুঃস্বপ্ন, প্রধান নারী চরিত্র, প্রেমিকের সাথে কথোপকথন এই সব নিয়ে এসেছি। আসলেই পুণরাবৃত্তি এসে পড়তেছে। খেয়াল রাখবো ভাইয়া। ধন্যবাদ আপনাকে।
শুভসন্ধ্যা।
১০| ২৪ শে জুন, ২০১৩ বিকাল ৫:১৩
স্বপ্নবাজ অভি বলেছেন: আমার কাছে দুর্দান্ত লেগেছে ! যা ত্যাগ করতে চান তা বার বার ফিরে আসাটা খুব ভাবাচ্ছে !
২৪ শে জুন, ২০১৩ রাত ৮:৫৭
আজ আমি কোথাও যাবো না বলেছেন: ধন্যবাদ স্বপ্নবাজ!
১১| ২৪ শে জুন, ২০১৩ বিকাল ৫:৪১
মামুন রশিদ বলেছেন: চমৎকার ! অসাধারন !
মেইল পেয়ে অতুলের মনের অবস্থা কি হবে ? বিবেকবান যে কেউই পাশে দাঁড়াবে, কিন্তু তার মনের ভিতর কি ভাঙা গড়া চলবে তা কোন দিনই চিন্তা করতে পারবেনা নওরীন ।
২৪ শে জুন, ২০১৩ রাত ৮:৫৮
আজ আমি কোথাও যাবো না বলেছেন: হুম তাই! ধন্যবাদ!
১২| ২৪ শে জুন, ২০১৩ সন্ধ্যা ৬:২৫
এরিস বলেছেন: বেশ চালাকি করেছেন। অতুলের সিদ্ধান্ত নেয়ার ভারটা নিজে না নিয়ে পাঠকের উপর ফেলেছেন।
গল্প ভালো লেগেছে। একই প্যাটার্নে অনেক লেখা পড়েছি। জানিনা কেন নওরিন মেয়েগুলো একদম শেষ মুহূর্তে এসে সব ভেঙ্গে নিতে চায়। আগে থেকে বলিয়ে দিলে ক্ষতি কি!!
গল্পে প্লাস।
২৪ শে জুন, ২০১৩ রাত ৮:৫৯
আজ আমি কোথাও যাবো না বলেছেন: অতুলের সিদ্ধান্ত টা আসলে আমি চাই পাঠক কল্পনা করুক! এমন শত শত নওরীণ আছে! কিন্তু অতুলরা পিছু হটে যায়!
ধন্যবাদ এরিস!
১৩| ২৪ শে জুন, ২০১৩ সন্ধ্যা ৭:৪১
শাওণ_পাগলা বলেছেন: ভালো লাগলো।+++
আমি পজিটিভ এন্ডিং দিয়ে দিয়েছি।
(তবে কৃষ্ণচূড়ার নাম কৃষনচূড়া কেন তা মাথায় ঘুরছে)
২৪ শে জুন, ২০১৩ রাত ৯:০৯
আজ আমি কোথাও যাবো না বলেছেন: গল্পটা পাবলিশ দেয়ার আগ পর্যন্ত আমিও জানতাম না প্রশ্নটার উত্তর। তবে জানতে পারলাম যে কৃষ্ণচুড়া গাছ নাকি শ্রীকৃষ্ণ লাগিয়েছিলেন তাই কৃষ্ণচূড়া। জানি না কতটুকু সঠিক!
ধন্যবাদ!
১৪| ২৪ শে জুন, ২০১৩ রাত ৮:৫৫
অচিন তারা বলেছেন: এতো সুন্দর করে লিখেছেন... হাজারটি ভালোলাগা রইলো...
কৃষ্ণচূড়ার আমার প্রিয় ফুল
২৪ শে জুন, ২০১৩ রাত ৯:১০
আজ আমি কোথাও যাবো না বলেছেন: ধন্যবাদ অচিন তারা!
১৫| ২৪ শে জুন, ২০১৩ রাত ১০:৫৬
মাক্স বলেছেন: বরাবরের মতই অসাধারণ।
১০ম প্লাস!
২৫ শে জুন, ২০১৩ রাত ১২:১০
আজ আমি কোথাও যাবো না বলেছেন: ধন্যবাদ।
১৬| ২৪ শে জুন, ২০১৩ রাত ১১:৪৭
মাসুম আহমদ ১৪ বলেছেন: ভালা লাগছে -
২৫ শে জুন, ২০১৩ রাত ১২:১৩
আজ আমি কোথাও যাবো না বলেছেন: ধন্যবাদ!
১৭| ২৫ শে জুন, ২০১৩ সকাল ১০:২৪
সেলিম আনোয়ার বলেছেন: সুন্দর লিখেছেন। ভাল লেগেছে ।
২৫ শে জুন, ২০১৩ দুপুর ১২:৩৪
আজ আমি কোথাও যাবো না বলেছেন: ধন্যবাদ!
১৮| ২৫ শে জুন, ২০১৩ দুপুর ১২:৪৪
রেজোওয়ানা বলেছেন: গল্প ভাল লেগেছে......
২৫ শে জুন, ২০১৩ দুপুর ১২:৫০
আজ আমি কোথাও যাবো না বলেছেন: ধন্যবাদ আপু।
১৯| ২৫ শে জুন, ২০১৩ দুপুর ১:০৬
নাজিম-উদ-দৌলা বলেছেন: সুন্দর যায়গায় শেষ করেছেন! ++++++
২৫ শে জুন, ২০১৩ দুপুর ১:১১
আজ আমি কোথাও যাবো না বলেছেন: ধন্যবাদ।
২০| ২৫ শে জুন, ২০১৩ দুপুর ১:৪৮
অপর্ণা মম্ময় বলেছেন: নওরীনের অনুভূতিটা আমাকে আচ্ছন্ন করে রাখলো বেশ কিছুটা সময় !
২৫ শে জুন, ২০১৩ রাত ১০:১৪
আজ আমি কোথাও যাবো না বলেছেন: হুম আমাকেও আচ্ছন্ন করে রেখেছিল। ধন্যবাদ।
২১| ২৫ শে জুন, ২০১৩ বিকাল ৫:০৮
সপ্নাতুর আহসান বলেছেন: বেশ সুন্দর গল্প। টার্ন গুলো ভাল লেগেছে।
২৫ শে জুন, ২০১৩ রাত ১০:২৫
আজ আমি কোথাও যাবো না বলেছেন: ধন্যবাদ
২২| ২৫ শে জুন, ২০১৩ রাত ৮:১৯
ৎঁৎঁৎঁ বলেছেন: গল্প ভালো লাগলো! +++++
২৫ শে জুন, ২০১৩ রাত ১০:৩০
আজ আমি কোথাও যাবো না বলেছেন: ধন্যবাদ।
২৩| ২৫ শে জুন, ২০১৩ রাত ১০:০৯
বৃতি বলেছেন: তেরোতম ভাললাগা । সুন্দর একটা গল্প ।
২৫ শে জুন, ২০১৩ রাত ১০:৩২
আজ আমি কোথাও যাবো না বলেছেন: ধন্যবাদ।
২৪| ২৫ শে জুন, ২০১৩ রাত ১০:২২
রমাকান্তকামার১১০১১৪৫ বলেছেন: ১৪তম ভাল লাগা
২৫ শে জুন, ২০১৩ রাত ১০:৩২
আজ আমি কোথাও যাবো না বলেছেন: ধন্যবাদ।
২৫| ২৫ শে জুন, ২০১৩ রাত ১০:৪৫
মায়াবতী নীলকন্ঠি বলেছেন: ভাললাগা......ভাললাগা........ভাললাগা.......সব ভাল লাগা দিয়ে দিলাম
২৫ শে জুন, ২০১৩ রাত ১১:৫৬
আজ আমি কোথাও যাবো না বলেছেন:
ধইন্যাপতা!!!
২৬| ২৫ শে জুন, ২০১৩ রাত ১১:৩৮
ইলুসন বলেছেন: অসাধারণ। আমি আপনার গল্পে মন্তব্য করতে গিয়ে দেখি আমাকে আবার লগইন করতে বলে! তাড়াহুড়ো করে দুইবার ভুল পাসওয়ার্ড দিয়ে লগইন করলাম। তারপর মাথা ঠাণ্ডা করে লগইন করে মন্তব্য করছি এখন। গল্পের শেষদিকে এসে বিশাল ধাক্কা দিলেন, গল্পে অন্তুদা আসার পরপরই আমি ভেবেছিলাম অন্তুদাকে সে ভালবাসে তাই সে অতুলকে সহ্য করতে পারে না কিন্তু এখানে আপনি অন্যরকম একটা ব্যাপার ঢুকিয়ে দিলেন। আপনি অনেক সুন্দর করে ঘটনা বর্ণনা করেন। এখানেও শেষ লাইনগুলো সবচেয়ে ভাল লেগেছে।
এই অন্ধকার ভেজা রাতে কেন জানি মনে হচ্ছে সেই হলুদ প্রজাপতিটা অতুলও হতে পারতো! দুটো ঊনষাট মিনিট তিপ্পান্ন সেকেন্ড! আর সাতটি সেকেন্ড বাকি!
২৫ শে জুন, ২০১৩ রাত ১১:৫৮
আজ আমি কোথাও যাবো না বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ!!
২৭| ২৫ শে জুন, ২০১৩ রাত ১১:৫১
ইলুসন বলেছেন: বাই দ্যা ওয়ে হুমায়ূন আহমেদের এমন একটা উপন্যাস পড়েছিলাম। যেখানে একটা মেয়ে তার বড় দুলাভাই দ্বারা এবিউজড হয়, তারপর সে আরেকটা মেয়েকে সাহায্য করে বিচার পেতে যে তার স্বামীর বন্ধু দ্বারা এবিউজড হয়েছিল অথচ তার স্বামী চাইছিল মিটমাট করে ফেলতে।
২৬ শে জুন, ২০১৩ রাত ১২:০২
আজ আমি কোথাও যাবো না বলেছেন: হ্যাঁ উপন্যাসটা আমিও পড়েছিলাম।
২৮| ২৬ শে জুন, ২০১৩ রাত ১:১৪
দুঃখিত বলেছেন: সুপারব ++++++++++
২৬ শে জুন, ২০১৩ রাত ১:২২
আজ আমি কোথাও যাবো না বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ!!
২৯| ২৬ শে জুন, ২০১৩ ভোর ৪:১২
নিয়েল হিমু বলেছেন: সাত সেকেন্ডে গল্পের দুনিয়াটা থামিয়ে দিলেন ? এই সাত সেকেন্ড নিয়ে কিছু কল্পনা করারও সুযোগ নেই তবে আশা করব একটা ফোনকল আসতে সাত সেকেন্ড ইজ এনাফ টাইম
২৬ শে জুন, ২০১৩ সকাল ১০:২১
আজ আমি কোথাও যাবো না বলেছেন: হুম সাত সেকেন্ড যথেষ্ট সময় একটা ফোন কলের জন্যে। কিন্তু আমার গল্পের নওরীনের মতো হাজারো নওরীন আছে। যাদের অচ্ছুৎ হিসেবে দেখা হয়। একটা মেয়ের দেহই নাকি অমুল্য সম্পদ। কিন্তু মনটা? সেটার মুল্য দেয়া কি এতই সোজা?
৩০| ২৬ শে জুন, ২০১৩ ভোর ৪:৪৭
শোশমিতা বলেছেন: অনেক সুন্দর গল্প!
ভালো লাগলো +
২৬ শে জুন, ২০১৩ সকাল ১০:৪০
আজ আমি কোথাও যাবো না বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ!
৩১| ২৬ শে জুন, ২০১৩ ভোর ৪:৫১
রেজওয়ানা আলী তনিমা বলেছেন: সুন্দর......।শেষ হয়নি বলেই আফসোসের সাথে অন্যরকম ভালো লাগা মিশে রইলো।গতবাধাঁ শেষটা হলে এমনটা লাগতো না।+
২৬ শে জুন, ২০১৩ সকাল ১০:৫৬
আজ আমি কোথাও যাবো না বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ!
৩২| ২৬ শে জুন, ২০১৩ ভোর ৫:২৮
খেয়া ঘাট বলেছেন: ভালো লাগার চেয়েও বেশি ভালো লেগেছে।
+++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++
একগুচ্ছ প্লাস।
২৬ শে জুন, ২০১৩ সকাল ১১:৩০
আজ আমি কোথাও যাবো না বলেছেন: এত এত প্রশংসা দেখে আসলেই চোখে পানি চলে আসে। নেক্সট টাইম ভালো করার প্রতিজ্ঞাও চলে আসে। ধন্যবাদ!
৩৩| ২৭ শে জুন, ২০১৩ বিকাল ৫:১৪
রোহান খান বলেছেন: আপনার গল্পের নায়ক "অতুল" বা "অন্তু" এই দুই নামের মধ্যে আমার আসল নামটা লুকিয়ে আছে, আমি বলবনা সেটা কোনটা, সেটা অতুলও হতে পারে বা অন্তুও হতে পারে - গল্পটা পড়তে গিয়ে আমি হয়ত কাউকে খুজেও পেয়েছি - তবে অতুল অবশ্যয় দাড়িয়েছে মেয়েটার পাশে - karkaকারন বা কিভাবে তা আপনার লেখার মধ্যেই আছে :
"অপমানে তার ফর্সা মুখ লাল হয়ে আছে। এখুনি যেন কেঁদে দিবে। আমি বিমলানন্দ লাভ করলাম। সপ্তাহান্তে যে নারী তার স্ত্রী হতে যাচ্ছে তার কাছে অপমানিত হওয়াটা সে আশাও করে নি। কিন্তু সমস্যা হলো লোকটা আমাকে পছ্ন্দ করে। আঘাত পেয়েও বারবার ফিরে আসে। আমি যা ত্যাগ করতে চাই সেটাই কেন জানি না আমাকে খুব করে আঁকড়ে ধরতে চায়।"
অনেক অনেক সুন্দর ভাবে যেকোন কথা আপনি ফুটিয়ে তুলতে পারেন। এটা আপনার বিধাতা প্রদত্ত স্বত্তা।
২৭ শে জুন, ২০১৩ সন্ধ্যা ৭:৩৬
আজ আমি কোথাও যাবো না বলেছেন: অতুল অন্তু দুজনেই আমার দেখা দুটো বাস্তব চরিত্র। আই মিন গল্পটা লেখার সময় তাদের চেহারাই চোখে ভাসছিল। কল্পনা করছিলাম তারাই ওরা। আপনার আসল নামটা জানার জন্যে পেট ফাইট্টা গেলগা তো!
অতুল মেয়েটার পাশে দাড়াক আমিও চাই। কিন্তু মেয়েটা কি সারাজীবন সহ্য করতে পারবে? তার চরম এবং জঘন্য একটি সত্য জেনেছে যেই লোক সেই লোকের সাথে জীবন্টা পার করে দিতে? মেয়েটার কি একবারও নিজেকে ছোট মনে হবে না ? বা ছেলেটা কি কখনো খোটা দিবে না?
এমন কত শত নওরীনরা যে আছে!
ধন্যবাদ আপনাকে!
৩৪| ২৭ শে জুন, ২০১৩ রাত ৮:২৭
মায়াবী ছায়া বলেছেন: অনেক ভালো লাগা ।।
২৭ শে জুন, ২০১৩ রাত ১০:১৬
আজ আমি কোথাও যাবো না বলেছেন: ধন্যবাদ।
৩৫| ২৯ শে জুন, ২০১৩ সকাল ১০:১৯
রোহান খান বলেছেন: ফুল যখন ফোটে তা থেকে গন্ধ নেওয়াটা স্বাভাবিক কিন্তু ফুলটিকে ছিড়ে তা চিবিয়ে খাওয়াটা অস্বাভাবিকের পর্যায় পরে।
২৯ শে জুন, ২০১৩ দুপুর ১২:২০
আজ আমি কোথাও যাবো না বলেছেন: সুন্দর বলেছেন!! কিন্তু অনেকে ভায়োলেন্সে আনন্দ পায়!
৩৬| ২৯ শে জুন, ২০১৩ দুপুর ১২:৩২
রহস্যময়ী কন্যা বলেছেন: খুব খুব সুন্দর হইসে আপুনি
এত্তগুলা ++++++++++++
২৯ শে জুন, ২০১৩ দুপুর ১২:৩৮
আজ আমি কোথাও যাবো না বলেছেন: ধন্যবাদ আপু! তুমি এত্ত গুলা ভালো।
৩৭| ২৯ শে জুন, ২০১৩ বিকাল ৪:২৪
আশরাফুল ইসলাম দূর্জয় বলেছেন:
চোখ বুলিয়ে গেলাম।
পরে পড়ে নেব।
শুভকামনা।
২৯ শে জুন, ২০১৩ রাত ১১:০৯
আজ আমি কোথাও যাবো না বলেছেন: ধন্যবাদ ভাইয়া।
৩৮| ০৩ রা জুলাই, ২০১৩ দুপুর ১২:২৭
অদৃশ্য বলেছেন:
দারুন লিখা... খুবই দূর্দান্ত দৃশ্য তৈরী হয়েছে লিখাটি পাঠের সময়... আর শেষটাও স্পন্দনে ভরপুর... খুবই সুন্দর গল্প
এখন প্রশ্ন হলো ... কৃষ্ণচূড়ার চূড়া লাল ফুলে ছেয়ে থাকলেও এর নাম কেন কৃষ্ণচূড়া ?... জানি না, জানায়েন প্লিজ
অন্তু ভাইকি নওরিনের বিশ্বাসকে নষ্ট করে দিয়েছে... নাকি নিজের অজান্তেই অন্তু ভাইকে পাওয়ার বাসনায় ( পাওয়া সম্ভব না) নওরীনের এমন প্রতিক্রিয়া, প্রশ্ন থাকলো...
কথা হবে...
শুভকামনা...
০৩ রা জুলাই, ২০১৩ বিকাল ৪:০৬
আজ আমি কোথাও যাবো না বলেছেন: ধন্যবাদ।
কৃষ্ণচূড়া লাল ফুলে ছেয়ে থাকলেও এর নাম কেন কৃষ্ণচূড়া তা আমি জানি না। প্রশ্নটার উত্তর একেক জন একেক ভাবে দিয়েছে। কোনটাই সঠিকমনে হয় নি!
অন্তু ভাই নওরীণের সাথে ভায়োলেন্স করেছে। বিশ্বাস তো নষ্টই হয়েছে!!
ধন্যবাদ!
৩৯| ০৩ রা জুলাই, ২০১৩ বিকাল ৪:৩৬
দিকভ্রান্ত*পথিক বলেছেন: হায়েনার আতংকে মানুষকে ভয় পাওয়া হয়ত কিছুটা বোকামি, কিছুটা বাড়াবাড়ি আবেগ। তবু নিজের অবস্থান থেকে নওরীনকে বিচার করার মূর্খতা করবো না।
যে কলটা না এলে কষ্ট হয়, তার জন্যে অপেক্ষা করতে হয়, পথ বন্ধ করে দেয়াটা কাজের নয়।
আর প্রতিটি মানুষ আলাদা, অন্তুকে দিয়ে কাউকে বিচার করাও ঠিক নয় হয়ত।
গল্পটা যখন বলেই দিলো, তার অপেক্ষা করার প্রয়োজন ছিল, প্রকৃতি তো অপেক্ষা করে থাকে! জোয়ার চাঁদের আহ্বানের.. কোকিল বসন্তের.. তবে প্রকৃতির অংশ মানুষ নয় কেন!? কেন মানুষ মানুষকে দূরে ঠেলে দেয় তাও বুঝি না। আমার বোঝার শক্তি কম হয়ত!
তবে কৃষ্ণচুড়া আমার প্রিয় ফুল ছিল একসময়, তাই আমি তার অর্থ আন্দাজ করতে পারি। যে অনেক হাঁসে, মানুষকে হাঁসায়, তার মনটা কষ্টে আচ্ছাদিত বলেই সে এমন করে। লুকাতে চায়। কৃষ্ণচুড়ার লালটা শুধুই তার হাঁসি, প্রচণ্ড কালো কষ্টটাকে সে লুকিয়ে রাখে। আর আঁধারকালো কষ্টই তার সবকিছু, লালটুকু শুধুই অভিনয়।
০৩ রা জুলাই, ২০১৩ বিকাল ৪:৫১
আজ আমি কোথাও যাবো না বলেছেন: যে কলটা না এলে কষ্ট লাগে সেটা বন্ধ করে দেয়া আসলেই বোকামি!!
প্রতিটি মানুষই আলাদা জানি কিন্তু তাকেও সমাজে বাস করতে হয়!
প্রকৃতির অংশ মানুষ কিন্তু সে আবার সমাজেরও অংশ!
কৃষ্ণচূড়া আমার কোন কালেই প্রিয় ছিল না কিন্তু এখন আমি বাইরে বেরুলেই কৃষ্ণচূড়া দেখি! কিন্তু অর্থ অনুধাবন করত পারছি না।
৪০| ০৩ রা জুলাই, ২০১৩ বিকাল ৪:৪০
দিকভ্রান্ত*পথিক বলেছেন: হয়ত প্রয়োজনের থেকে অনেক বেশী বলে ফেলেছি, ত্রুটি হলে ক্ষমা করবেন। ২০ তম প্লাস। গল্প ভালো লেগেছে, আর নওরীনকেও, সে যেমনই হোক।
শত শুভকামনা আপনার তরে।
০৩ রা জুলাই, ২০১৩ বিকাল ৫:০৩
আজ আমি কোথাও যাবো না বলেছেন: ভুল ত্রুাটর কি আছে!
ধন্যবাদ!
৪১| ০৫ ই জুলাই, ২০১৩ সকাল ১১:০৭
শুঁটকি মাছ বলেছেন: অতুল হয়তো আবার ফিরে এসেছিল!!!!!
০৫ ই জুলাই, ২০১৩ সকাল ১১:৫০
আজ আমি কোথাও যাবো না বলেছেন: সেটা নওরীন জানে। কিন্তু সে আমাকে বলছে না। আমি কি করি বলোতো আপু!
৪২| ০৭ ই জুলাই, ২০১৩ সকাল ১১:০৪
মোঃ ইসহাক খান বলেছেন: খুব সুন্দর গল্প। ভাল লাগলো। তবে একটি কথা, মনে হয়েছে ডায়ালগ গুলো কিছু ক্ষেত্রে আরেকটু ফর্মাল আর কিছু ক্ষেত্রে আরেকটু ক্যাজুয়াল হলে ভাল হতো!
ভাল থাকুন লেখক!
০৭ ই জুলাই, ২০১৩ বিকাল ৩:২৫
আজ আমি কোথাও যাবো না বলেছেন: ধন্যবাদ! আমার প্রিয় একজন গল্পকার আপনি। এই প্রথম আমার লেখায় কমেন্ট করলেন। ধন্যবাদ!
উপদেশ গুলো মাথায় রাখলাম! চেষ্টা করছি! আবারো ধন্যবাদ!
৪৩| ১০ ই জুলাই, ২০১৩ সন্ধ্যা ৬:৩৭
এসএমফারুক৮৮ বলেছেন: দারুন লিখেছেন
+++
১০ ই জুলাই, ২০১৩ সন্ধ্যা ৭:৩৬
আজ আমি কোথাও যাবো না বলেছেন: ধন্যবাদ!
৪৪| ১১ ই জুলাই, ২০১৩ দুপুর ১:৫০
আধার আলো বলেছেন: পড়ে খুব কষ্ট লাগলো। অন্তুর সম্মন্ধে জানতে পারা যাচ্ছে নওরীনের কথায় কিন্তু অতুল যে এরকম না সেটা কে জানে। আমার এসব খুবই ভয় লাগে। সবচেয়ে ভাল, ভালনাবাসা ।
১২ ই জুলাই, ২০১৩ সকাল ১০:৫৪
আজ আমি কোথাও যাবো না বলেছেন: সবচেয়ে ভাল, ভালনাবাসা ।
হুম মাঝে মধ্যে এটাই সত্যি মনে হয়!
কিন্তু এই গান্টাও পাগল করে দেয়!
চাতক বাঁচে কেমনে
মেঘের বরিষণ বিনে।।
তুমি হে নব জলধর
চাতকিনী মল এবার
ঐ নামের ফল সুফল এবার
রাখ ভুবনে।।
তুমি দাতার শিরোমণি
আমি চাতক অভাগিনী
তোমাবিনে আর না জানি
রাখ চরণে।।
চাতক মলে যাবে জানা
ঐ নামের গৌরব রবেনা
জল দিয়ে কর সান্তনা
অবোধ লালনে
৪৫| ১১ ই জুলাই, ২০১৩ রাত ১১:২১
বাসুরী বাসীয়ালা বলেছেন: চমৎকার খুব ভালো লিখেছেন +++++++
১২ ই জুলাই, ২০১৩ সকাল ১০:৫৫
আজ আমি কোথাও যাবো না বলেছেন: ধন্যবাদ!
৪৬| ১১ ই জুলাই, ২০১৩ রাত ১১:৪৩
প্রোফেসর শঙ্কু বলেছেন: কৃষ্ণচূড়া নিয়ে রূপকথার মত একটা গল্প পড়েছিলাম। বইটার নাম মনে নেই। গল্পটা এরকম-
কালো কৃষ্ণচূড়া (মেয়ে) আর এক লাল গোলাপ (ছেলে) খুব ভাল বন্ধু। গোলাপ কৃষ্ণচূড়াকে ভালবাসে, কিন্তু কৃষ্ণচূড়া তা জানে না, সে ভালবাসে শিমুলকে। কিন্তু শিমুল নিজে লাল, তাই তার চাই লাল টুকটুকে বউ। সে কালো কৃষ্ণচূড়াকে চায় না। এই নিয়ে কৃষ্ণচূড়ার মনে খুব দুঃখ।
এদিকে গোলাপ তার প্রিয়ার এই দুঃখ সহ্য না করতে পেরে একদিন তাকে সান্ত্বনা দিতে জড়িয়ে ধরল। যখন আলিঙ্গন খোলা হল, দেখা গেল গোলাপ তার প্রিয়ার জন্য নিজের লাল তাকে দিয়ে দিয়েছে, এবং কাল রঙ নিজের ওপরে নিয়ে নিয়েছে। গোলাপ তখন বলে,
'রংটি আমার তোমার হল, শিমুল দেখো ডাকে
বন্ধু আমায় মনে রেখ, রাগে অনুরাগে।'
সেই থেকে কাল গোলাপের উদ্ভব, আর সেই থেকে কৃষ্ণচূড়া লাল।
১২ ই জুলাই, ২০১৩ সকাল ১০:৫৬
আজ আমি কোথাও যাবো না বলেছেন: বাহ! প্রফেসর সাহেব! দারুণ তো!
ধন্যবাদ!
৪৭| ১৫ ই জুলাই, ২০১৩ রাত ১০:৪৭
শায়মা বলেছেন: মন খারাপ করা!
১৬ ই জুলাই, ২০১৩ দুপুর ২:৫০
আজ আমি কোথাও যাবো না বলেছেন: স্যারি আপু!
৪৮| ১৫ ই জুলাই, ২০১৩ রাত ১০:৪৯
শায়মা বলেছেন: মন খারাপ করা!
২০ শে জুলাই, ২০১৩ রাত ৯:১৬
আজ আমি কোথাও যাবো না বলেছেন:
৪৯| ২০ শে জুলাই, ২০১৩ রাত ৮:৩১
মোঃ সাইফুল ইসলাম সজীব বলেছেন: গল্প এতো ছোট কেনো? তবে ভালো লাগলো। একই দুঃস্বপ্ন, মানুষ কি বারবার দেখে? আমি কখনো দেখিনি। কিন্তু এই নিয়ে নাটক ও আছে। কি জানি? হ্যাঁ, ছোট গল্পের শেষ হয়েও হইলো না শেষ এই ব্যাপারটা আছে।ভালো থাকবেন। সব সময়।
২০ শে জুলাই, ২০১৩ রাত ৯:১৭
আজ আমি কোথাও যাবো না বলেছেন: গল্পটা বড় করতে পারিনি। তবে এটা আমার অন্যগল্পগুলোর তুলনায় মোটামুটি বড় হয়েছে। হুম কিছু দঃস্বপ্ন আমি বারবার দেখি। অনেকেই দেখে। পড়ার জন্যে ধন্যবাদ। ভাল থাকুন।
৫০| ২৩ শে জুলাই, ২০১৩ সকাল ১১:৪৪
জুন বলেছেন: ছোট হলেও সুন্দর একটি পরিপুর্ন গল্প । ভালোলাগলো অনেক।
কেন জানি স্বপ্ন মনে থাকেনা আমার
ভালোলাগা গল্পে প্লাস।
+
কৃষ্ণচূড়া র অর্থটা কি জেনেছিলেন ?
হিন্দু দেবতা কৃষ্ণ এই ফুল তার খোপা বা চুড়ায় পড়তো বলে এই ফুলের নাম কৃষ্ণচূড়া
আর রাধা যে হলুদ ফুল খোপায় পড়তো তার নাম রাধাচুড়া
২৩ শে জুলাই, ২০১৩ বিকাল ৪:৪৭
আজ আমি কোথাও যাবো না বলেছেন: ধন্যবাদ আপু।
না কৃষ্ণচূড়া অর্থটা এই মাত্র জানলাম আপনার কাছ থেকে! ডাবল ধন্যবাদ!
৫১| ১৭ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৩ রাত ৯:৪৩
আদনান শাহ্িরয়ার বলেছেন: ++++++++++++++++++++++++++++++ তীক্ষ্ণ ভালো লাগা +++++++
১৮ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৩ রাত ১:৩০
আজ আমি কোথাও যাবো না বলেছেন: ধন্যবাদ!
৫২| ০৩ রা ফেব্রুয়ারি, ২০১৪ রাত ১২:৩০
সাজিদ উল হক আবির বলেছেন: মানুষের অনুভূতির জায়গাগুলো ব্যাখ্যাতিত ।
একই ঘটনায় পূর্ব পশ্চিম উপন্যাসের নায়িকা অলির- নায়ক অতিনের প্রতি অনুভূতি , আর আপনার গল্পের নায়িকা নওরিন আর প্রধান নেপথ্য চরিত্র অন্তুর প্রতি অনুভূতি সম্পূর্ণ ভিন্ন।
পৃথিবীতে ভালবাসাই হয়তো ঠিক-বেঠিক, সত্য-মিথ্যা, উচিৎ-অনুচিত , শালীন-অশালীন - এ সব কিছুর মাত্রা নির্ণয় করে দেয়।
মানুষ বেঁচে থাকুক, মনুষ্যত্ব বেঁচে থাকুক, বেঁচে থাকুক মানুষের প্রতি মানুষের ভালবাসা।
০৩ রা ফেব্রুয়ারি, ২০১৪ সন্ধ্যা ৭:৪৫
আজ আমি কোথাও যাবো না বলেছেন: ধন্যবাদ!
পূর্ব পশ্চিম উপন্যাসটি আমি পড়িনি অবশ্য তাই বলতে পারছি না।
আপনার কথা
পৃথিবীতে ভালবাসাই হয়তো ঠিক-বেঠিক, সত্য-মিথ্যা, উচিৎ-অনুচিত , শালীন-অশালীন - এ সব কিছুর মাত্রা নির্ণয় করে দেয়।
আসলেই তাই!!
©somewhere in net ltd.
১|
২৪ শে জুন, ২০১৩ দুপুর ১২:৩৪
অপূর্ণ রায়হান বলেছেন:
দারুন লিখেছেন +++++++
ভালো থাকবেন