নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

Give up complaining if you Want to Be Happy >\"You can complain because roses have thorns, or you can rejoice because thorns have roses.

বোরহান উদ্দিন সামিম

একটি ব্যাক্তিমালিকানাধীন প্রতিষ্ঠানে কর্মরত। মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় বিশ্বাসী।

বোরহান উদ্দিন সামিম › বিস্তারিত পোস্টঃ

তথাকথিত তৌওহীদি জনতার উন্মত্ততায় বিপদগ্রস্থ মুসলিম উম্মাহ

০২ রা এপ্রিল, ২০২১ দুপুর ২:৩৪


এই সেই তৌহিদি জনতা যারা পিটিয়ে মেরেছিল ইসলামের তৃতীয় খলিফা কোরআন সংকলক, স্বয়ং নবী কারীম ছাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের দুই মেয়ের জামাই হজরত উসমান (রাঃ)-কে।

তার বিরুদ্ধেও অভিযোগ ছিল, তিনি কোরআনের আইন অনুযায়ী খিলাফত চালাতে পারছেন না।
অথচ আজকে যে কোরআন পড়ি;- তার সংকলক উনি।

হত্যার ৪০ দিন আগ অবধি উনাকে অবরুদ্ধ রাখা হয় সপরিবারে। জুম্মার নামাজ পড়ার অনুমতিও দেয়া হয়নি।
অথচ এই যে নামাজের ঘর মসজিদে নববী যেটি তার সমস্ত সম্পত্তি দানের উপর কেনা হয়েছিল প্রিয়নবীজ্বির সময়ে।

একটা অন্ধকার কক্ষে বন্দি থাকতে হয়েছিল এমন এক সাহাবীকে যাকে স্বয়ং আল্লাহর রাসূল চ্বাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম উপাধি দিয়েছিলেন- জুন্নুরাইন বা দুই আলোর মালিক।

তাকে পাহাড়া দিচ্ছিলেন রাসূলের দুই নাতি ইমাম হাসান (রাঃ) আর ইমাম হোসেন (রাঃ)। গোপনে পানি এনে দিতেন রাসূল(সা) এর আরেক মেয়ের জামাই হজরত আলী (রাঃ)।

অথচ এই উত্তেজিত জনতার দাবী ছিল- রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের শান থেকে বিচ্যুতি আর আল্লাহর আইন অনুযায়ী চলতে না পারার ব্যর্থতাই খলিফাকে পিটিয়ে মারার ঔচিত্য দেয়!

উনাকে বাঁচাতে গিয়ে হাতের আংগুল কেটে ফেলেন খলিফার স্ত্রী নায়েলা।

আর কোরআন পাঠরত খলিফা ওসমান(রাঃ) কে মেরে ফেলা হয় কোরআনের অবমাননার অপরাধে।

কারা মারে? এই তৌহীদি জনতাই!

এই উত্তেজিত জনতা কোরআন সংকলকের চেয়েও বড় কোরআন রক্ষাকারী? নবীর মেয়ের জামাই দৌহিত্রদের চাইতেও বড় নবীপ্রেমিক? আশা মুবাশশরা বা আল্লাহর কাছে বেহেশতের সুসংবাদ পাওয়া সাহাবী উসমানের চেয়েও আল্লাহর দ্বীন বেশী বুঝে?

যারা খলিফাকে মেরেছিল তারাও নামাজ পড়েই এসেছিল। তারাও কোরআনের হাফেজ ছিল। বিভিন্ন যুদ্ধে বীরত্বের পুরস্কারপ্রাপ্ত ছিল।

কিন্তু তাদের সামনে ধর্ম থাকে না, ক্ষোভ, ক্রুধ আর পৈশাচিকতা ভর করে। এজন্যই কোরআন পাঠরত খলিফা উসমান(রাঃ) কে পিটিয়ে মারতেও দ্বিধা বোধ করে নাই।

আমর বিন হামক উত্তেজিত তৌহিদি জনতার একজন খলীফা উসমান(রাঃ)-এর নিস্তেজ মৃত বুকে নয়বার তরবারি দিয়ে আঘাত করছিল। আর বলেছিল, এই তিনটি আঘাত আল্লাহর জন্য। আর শেষের ছয়টি আমার মনের ক্ষোভ।

উত্তেজিত তৌহিদি জনতার ক্ষোভের সমীকরণ এটাই। ধর্মের চাইতে পলিটিক্স বেশী থাকে।
আর এসবের চেয়ে বেশী থাকে খুনে রক্তগরম কারণ। যে কারণ মানুষকে মব বানিয়ে দেয়, খুনে বানিয়ে দেয়!

হয় মরবো, নাহয় মারবো- এই লিনিয়ার ব্রেইনওয়াশের জগতে নিয়ে যায়।
ধর্ম অশান্তি রোধ করতে চাইলেও- পলিটিক্স এসে খুনী বানায়।

যে পলিটিক্সের কাছে খুন হয়ে যান নামাজরত হজরত ওমর (রাঃ), কোরআন পাঠরত হজরত উসমান( রাঃ)
ইসলামের ইতিহাসে সবচেয়ে জঘন্য নারকীয় তাণ্ডব ঘটিয়েছে এই তথাকথিত তৌওহীদি জনতা ।
যার বিষাক্ত ছোবল থেকে আজো মুক্ত হতে পারেনি ইসলাম ও ঈমানদার মুসলমানগণ ।

মন্তব্য ৯ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (৯) মন্তব্য লিখুন

১| ০২ রা এপ্রিল, ২০২১ বিকাল ৩:১০

চাঁদগাজী বলেছেন:





দেশের সংবিধান ও আইন মেনে, নাগরিক হিসেবে সবাই যাতে বাস করতে পারে, সেটার ব্যবস্হা করতে সরকারকে সাহায্য করতে হবে; কোরান , হাদিস পড়ে যারা মৃত্যুর পর জীবিত হয়ে অন্য কাজকর্ম করতে চান, তাদেরকে তা করতে হবে প্রাইভেটলী।

২| ০২ রা এপ্রিল, ২০২১ বিকাল ৩:১১

চাঁদগাজী বলেছেন:


আামাদের নবী হাজার হাজার বেদুইন গোত্র থেকে একটি আরব জাতি গঠন করে, রোমান ও পারসিকদের মত একটা সাম্রাজ্য গঠন করে গিয়েছিলেন।

৩| ০২ রা এপ্রিল, ২০২১ বিকাল ৩:১৯

পাঁচ-মিশালি বলেছেন: হায়াত -মৌত সব কিছুই আল্লাহর ইচ্ছাতেই হইয়া থাকে। এই নিয়ে দ্বিমতের কোন জায়গা নেই। শুধু তাই নয় ,তাঁহার ইচ্ছা বিনা গাছের পাতা পর্যন্ত নড়িতে পারে না। যাহারা ইহার বিপরীত ধারণায় বিশ্বাসী তাহারা কাফের।

৪| ০২ রা এপ্রিল, ২০২১ বিকাল ৩:৪৯

চাঁদগাজী বলেছেন:


@পাঁচ-মিশালি বলেছেন, "... শুধু তাই নয় ,তাঁহার ইচ্ছা বিনা গাছের পাতা পর্যন্ত নড়িতে পারে না। যাহারা ইহার বিপরীত ধারণায় বিশ্বাসী তাহারা কাফের। "

-আল্লাহ গাছে পাতার ব্যবসা করেন না, কেহ কাফের নন, আপনি বেদুইন সংস্কৃতির লোক; কাতারে, দুবাইতেও বেদুইন নেই আজকাল।

৫| ০২ রা এপ্রিল, ২০২১ বিকাল ৪:০৯

পাঁচ-মিশালি বলেছেন: রাসূল(সা) বেদুইন সংস্কৃতির ধারক ও বাহক ছিলেন। তাঁহার ভাষা ,খাদ্য ,বস্ত্র ,বাসস্থান সবকিছুই সেই সংস্কৃতির অঙ্গ এবং বর্তমানে ২০০ কোটি মুসলমান ইহার গর্বিত উত্তরাধিকারী

৬| ০২ রা এপ্রিল, ২০২১ বিকাল ৪:৪৩

রাজীব নুর বলেছেন:

৭| ০২ রা এপ্রিল, ২০২১ বিকাল ৪:৫১

পাঁচ-মিশালি বলেছেন: রাজীব নুর ,

বাঙালী হবে ঘোড় সওয়ারী আরব বেদুইন
দেশ হবে বিশাল মরু দিগন্তে বিলীন
কেয়ামত আসবে জেন দূর বেশী নয় সেদিন
জান্নাতে গিয়ে মোরা খুশিতে হব বিলীন

৮| ০২ রা এপ্রিল, ২০২১ বিকাল ৫:৩০

চাঁদগাজী বলেছেন:



@পাঁচ-মিশালি,

" বলেছেন: রাসূল(সা) বেদুইন সংস্কৃতির ধারক ও বাহক ছিলেন। তাঁহার ভাষা ,খাদ্য ,বস্ত্র ,বাসস্থান সবকিছুই সেই সংস্কৃতির অঙ্গ এবং বর্তমানে ২০০ কোটি মুসলমান ইহার গর্বিত উত্তরাধিকারী "

-আরবদের সাম্রাজ্য ছিলো না; নবী(স: ) সেটা অনুধাবন করেছিলেন, আপনার মতো লোকেরা বাংগালীদের প্রজতন্ত্র নিয়ে ভাবেননি কোনদিন; তাই নবীর দেশের শেখদের উট চরাচ্ছেন।

৯| ০২ রা এপ্রিল, ২০২১ রাত ৯:৩১

রাজীব নুর বলেছেন: সৌদি একটা বর্বর দেশ।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.