নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

:

.

সাহসী

.

সাহসী › বিস্তারিত পোস্টঃ

শিবিরের ভায়েরা! আসুন সংগীতালোচনা করি।

১৮ ই জানুয়ারি, ২০১০ সন্ধ্যা ৬:২১

যদি আগামীর দিনটাকে পেতে চাও আলোয় ভরা

যদি পেতে চাও রাশেদার আলোকিত বসুন্ধরা

তবে জ্ঞানের প্রদীপ জ্বেলে - দাঁড়িয়ে তোমার দ্বারে

আহবান করি যে তোমায়

এসো এই আঙিনায়, মুক্তির মোহনায়।



লক্ষ প্রাণের বিনিময়ে পেলাম স্বাধীনতা

তবু কেন আজ মৃত্যুর দ্বারে কাঁদছে মানবতা



আমার সোনার দেশ গড়তে হবে

ষড়যন্ত্রের বাঁধা রুখতে হবে



সময় এসেছে ফের এগিয়ে যাবার।



শান্তি সুখের সোনালি সেদিন আসবে আবার

ফিরে ঐশি আলোয়, সাঁজবে সমাজ,

স্বপ্ন দুচোখ জুড়ে



বাঁধার প্রাচীর যত ভাঙতে হবে

সাম্য ন্যায়ের গান গাইতে হবে



আগামীর দিন শুধু সম্ভবনার ..




সন্দেহ নাই; প্রকাশের ধরন হিসাবে সংগীতের অবশ্যই 'নিজস্ব' খাসলত আছে। সেই খাসলত শিল্প বা নন্দনের থেকে পাওয়া। শিল্প বা নন্দনের পাল্লায় মাপজোখ করেই বলা হয়- এটা সংগীত হইছে, বা হয় নাই। কিন্তু সবসময় এই মাপজোখ করতে একই পাল্লা ব্যবহার করা চলে না। কারন, শিল্পের মাধ্যম হিসাবে সংগীত সবসময় একই ধরনের অর্থ বা ভাব বা আবহ তৈরি করার জন্য রচনা বা গাওয়া হয় না- কাজেই সংগীতের নান্দনিকতার মাত্রায় হেরফের হয়।



তাছাড়া শুধু শিল্প চর্চার জন্য ছাড়াও অন্যান্য লক্ষ্য পূরনের জন্যও সংগীত তৈরি হয়। শিল্প তো আর সবসময় শুধু শিল্পের জন্য করা হয় না। যেমন সামাজিক-রাজনৈতিক-অর্থনৈতিক থেকে শুরু করে অন্য যে কোনো প্রয়োজন পূরনের কথা মাথায় রেখে সচেতনভাবেই সংগীত তৈরি হয়। যেমন ধরেন, জাতীয় কৃষক দিবস পালনের জন্য একটা সংগীত তৈরি করা হতে পারে। তো এমন সব প্রয়োজনে, যেখানে শিল্প চর্চা প্রধান উদ্দেশ্য না- সেখানে সংগীত নির্মানের সময় সবচেয়ে বেশি জোর দেয়া হয় লক্ষ্য পূরনের ওপর, বক্তব্যের ওপর।



যেমন উপরের বাকানো হরফের কথাগুলো হচ্ছে একটি 'রাজনৈতিক' উদ্দেশ্যে নির্মিত সংগীতের। বাংলাদেশ ইসলামী ছাত্রশিবির-এর এবছরের (২০০৯) সালে সদস্য সম্মেলন উপলক্ষ্যে সংগীতটি নির্মিত হয়েছে, সম্মেলনের আবহ সংগীত হিসাবে। মানে হলো- সংগঠনটির সর্বোচ্চ স্তরের কর্মীদের, সদস্যদের বার্ষিক সম্মেলনের আবহ ধরে সংগীত টির বেড়ে ওঠা। একটা দেশের একটা রাজনৈতিক ছাত্র সংগঠনের সর্বোচ্চ সম্মেলনের আবহ সংগীত।



কিন্তু, সংগীতটিতে রাজনৈতিকতার আভাসমাত্র তালাশ করে পেতে বহুত কষ্ট করতে হচ্ছে।

১. 'আলোয় ভরা' 'আগামীর দিন' এর আশা জাগানো হচ্ছে সংগীতে, কিসের আলো ? অথবা আশা জাগানোওয়ালারা যখন 'আগামীর দিন' বলেন তখন কেমন দিনের কথা তাদের মাথায় থাকে? সেটা বোঝা যায়- আগামীর দিন মানে- 'রাশেদার আলোকিত বসুন্ধরা'। রাশেদা মানে খোলাফায়ে রাশেদা, আল্লার রাসুলের চারজন খলিফা, প্রতিনিধি, যারা রাসুলের মৃত্যুর পর ইসলামী জনপদসমূহের নেতা ছিলেন, পর্যায়ক্রমে।

তো, বলা হচ্ছে- আগামীর দিন যদি 'আলোয় ভরা' পেতে হয় তবে 'রাশেদার আলোকিত বসুন্ধরা' নামিয়ে আনতে হবে আগামীর দুনিয়ায়। মুশকিল এখানেই। বাংলাদেশে এই সময়ে দাড়িয়ে যে সংগঠনটি ছাত্রদের কাছে, তরুনদের কাছে সুন্দর সমাজ গঠনের কথা বলে, তাদের মাথায় ওই সমাজের নমুনা মানেই সেই আরবের নগর রাষ্ট্র মদীনা কিংবা পরবর্তীকালের স্বল্প সময়ের ইসলামী দুনিয়া।

সংগঠনটি বারবার ভুলে যাচ্ছে অতীতকে বর্তমানে ফিরিয়ে আনা অসম্ভব। শুধু অতীতের চেয়ে ভালো অথবা খারাপ সমাজই এখন বর্তমানে নির্মান করা সম্ভব। যে সমাজ না প্রাণে না প্রকৃতিতে আগের বা পরের কোনোটির মতো হবে।



২. বলা হচ্ছে- লক্ষ প্রাণের বিনিময়ে পেলাম স্বাধীনতা/ তবু কেন আজ মৃত্যুর দ্বারে/ কাঁদছে মানবতা/ যে স্বাধীনতার কথা বলা হচ্ছে সেই বিষয়ে শিবির এখনো জনপরিসরে নিজেদের অবস্থান স্পষ্ট করেনি। শিবিরের সবাই তরুন। স্বাধীনতার পরের প্রজন্ম। কিন্তু বাংলাদেশর জামায়াতে ইসলামী- যারা স্বাধীনতার বিরুদ্ধে রাজনৈতিক অবস্থান নিয়েছিল- এবং এখনো জনপরিসরে কোনো বিপরীত অবস্থান নেয়নি- তাদের সাথে শিবিরের সম্পর্ক এখনো একাত্তরের স্বাধীনতার লড়াই ও লড়াইয়ের পেছনের চিন্তা ও দর্শন বিষয়ে শিবিরের অবস্থানকে প্রশ্নবিদ্ধ করে।

সে অবস্থায় 'স্বাধীনতা'কে 'পেলাম' বলা হচ্ছে । শিবিরের সবাই 'স্বাধীনতা'কে নিজেদের প্রাপ‌্য মনে করেন বলে কোনো প্রমান জামায়াতের সাথে সংগঠনটির সম্পর্ক আমাদের সামনে হাজির করে না।



৩. বলা হচ্ছে- আমার সোনার দেশ গড়তে হবে/ ষড়যন্ত্রের বাঁধা রুখতে হবে। ষড়যন্ত্র তত্ত্ব থেকে শিবির এখনো বেরিয়ে আসতে পারে না। যা কিছু ঘটছে দুনিয়ায় সব কিছুকে বুঝতে না চেয়ে এখনো শিবির তালাশ করছে ষড়যন্ত্র।



৪. বলা হচ্ছে- ঐশি আলোর কথা। ভাষার ইতিহাস আর চিন্তুায় আল্লা এবং ঈশ্বর একই বিষয় না। শিবির আল্লার থেকে ইশ্বরকে পসন্দ করছে।



এসবই শিবিরের রাজনৈতিকতাকে প্রশ্ন করছে। এবং যেহেতু সংগীতে এসেছে এসব, তার দুটো মানে থাকতে পারে-

এক. শিবিরের এ সময়ের দলগত চিন্তা ও দৃষ্টিভঙ্গী সংগীতটিতে এসেছে।

এটি যদি না হয় তবে

দুই. সংগীত যারা শিবিরে নির্মান করেন, শিবিরের সেই সাংস্কৃতিক ফ্রন্টের লোকজন শিবিরের দলগত তৃনমূল চিন্তা ও দৃষ্টিভঙ্গীর সাথে পরিচিত না।

মন্তব্য ৩৭ টি রেটিং +১৪/-১৪

মন্তব্য (৩৭) মন্তব্য লিখুন

১| ১৮ ই জানুয়ারি, ২০১০ সন্ধ্যা ৬:২৫

সাহসী বলেছেন: আলোচনার মডারেটর হিসাবে আমি নিজেই থাকছি, আল্লার ইচ্ছায়!

১৮ ই জানুয়ারি, ২০১০ সন্ধ্যা ৬:৪৭

সাহসী বলেছেন: আমি যেভাবে টেক্টট ধরে আলাপের কোশেশ করছি, এভাবে অংশ নেয়ার যদি কেউ থাকেন, তবে চলে আসেন শিবিরের ভায়েরা !

যারা শিবিরের না, তারাও 'আলোচনা'য় মেহমান হতে পারেন নির্দ্বিধায়।

২| ১৮ ই জানুয়ারি, ২০১০ সন্ধ্যা ৬:২৬

ফকির আবদুল মালেক বলেছেন: ঐশি আলোর কথা। ভাষার ইতিহাস আর চিন্তুায় আল্লা এবং ঈশ্বর একই বিষয় না। শিবির আল্লার থেকে ইশ্বরকে পসন্দ করছে।


এখানে ঈশ্বর কিভাবে এলো বুঝলাম। একটু পরিস্কার করবেন কি?

১৮ ই জানুয়ারি, ২০১০ সন্ধ্যা ৭:৪২

সাহসী বলেছেন: ঐশি>ঐশ মানে কি? মানে 'ঈশ্বরের বা ঈশ্বর কর্তৃক বা ঈশ্বর সম্পর্কিত।

৩| ১৮ ই জানুয়ারি, ২০১০ সন্ধ্যা ৬:২৯

হেমায়েতপুরী বলেছেন:

লক্ষ প্রাণের বিনিময়ে পেলাম স্বাধীনতা
তবু কেন আজ মৃত্যুর দ্বারে কাঁদছে মানবতা



ভুতের মুখে রাম্নাম। হাসতেই আছি...

১৮ ই জানুয়ারি, ২০১০ সন্ধ্যা ৭:৪৫

সাহসী বলেছেন: এমন এক ভুত, যে রামের আমল দেখেনি।

৪| ১৮ ই জানুয়ারি, ২০১০ সন্ধ্যা ৬:৪৯

শেখ আমিনুল ইসলাম বলেছেন: লক্ষ প্রাণের বিনিময়ে পেলাম স্বাধীনতা
তবু কেন আজ মৃত্যুর দ্বারে কাঁদছে মানবতা


ভুতের মুখে রাম্নাম। হাসতেই আছি... :P :P :-P :-P =p~ =p~

১৮ ই জানুয়ারি, ২০১০ সন্ধ্যা ৭:৫৫

সাহসী বলেছেন: আলোচনায় অংশগ্রহনের জন্য আপনাকে ধন্যবাদ।

৫| ১৮ ই জানুয়ারি, ২০১০ সন্ধ্যা ৭:০৪

বিপ্লবের_অপেক্ষায় বলেছেন: কি সুন্দর ছড়া :)

১৮ ই জানুয়ারি, ২০১০ সন্ধ্যা ৭:৫২

সাহসী বলেছেন: তাহলে ছড়া হিসাবে-ই আপনে এটাকে ব্যাখ্যা করেন।

৬| ১৮ ই জানুয়ারি, ২০১০ সন্ধ্যা ৭:০৯

বিপ্লবের_অপেক্ষায় বলেছেন: একটি সুশৃংখল ছাত্র সংগঠন হিসেবে শিবিরকে জানাই শুভেচ্ছা।

সংগঠনটির জন্য শুভ কামনা রইলো।

১৮ ই জানুয়ারি, ২০১০ রাত ৮:১৭

সাহসী বলেছেন: আলোচনায় অংশ নেয়ার অনুরোধ রইলো।

১৯ শে জানুয়ারি, ২০১০ সকাল ১১:১৩

সাহসী বলেছেন: বিপ্লবের অপেক্ষায় আছেন, ঠিকাছে। তার আগে যদি পয়েন্ট ধইরা আলোচনায় অংশ নিতেন, আমাদের কাজে আসতো। সবারই।

৭| ১৮ ই জানুয়ারি, ২০১০ সন্ধ্যা ৭:৩১

ডঃ জেকিল বলেছেন: ভন্ডামীর চুড়ান্ত নিদর্শন। টুপিওয়ালা জামাতীরা যখন বুকে হাত রেখে গানটা গাইবে (কাল্পনিক) কি হাস্যকর একটা দৃশ্য হবে!! যখন গাইবে লক্ষ প্রাণের বিনিময়ে পেলাম স্বাধীনতা, তবু কেন আজ মৃত্যুর দ্বারে কাঁদছে মানবতা তখন কি চরম কৌতুক কর একটা পরিস্থিতির সৃষ্টি হবে!!

১৮ ই জানুয়ারি, ২০১০ রাত ৮:০০

সাহসী বলেছেন: তার মানে হচ্ছে, হয়
এক. আপনি বলছেন- এই সংগীত জামায়াতের লোকেরা যখন গাইবে তখন এক হাস্যকর পরিস্থিতির তৈরি হবে।
নয়তো
দুই. আপনি জামায়াত আর শিবির-এর মাঝে ফারাক করেন না।

৮| ১৮ ই জানুয়ারি, ২০১০ সন্ধ্যা ৭:৫২

অমি রহমান পিয়াল বলেছেন: ডঃ জেকিল বলেছেন: ভন্ডামীর চুড়ান্ত নিদর্শন। টুপিওয়ালা জামাতীরা যখন বুকে হাত রেখে গানটা গাইবে (কাল্পনিক) কি হাস্যকর একটা দৃশ্য হবে!! যখন গাইবে লক্ষ প্রাণের বিনিময়ে পেলাম স্বাধীনতা, তবু কেন আজ মৃত্যুর দ্বারে কাঁদছে মানবতা তখন কি চরম কৌতুক কর একটা পরিস্থিতির সৃষ্টি হবে!!

১৮ ই জানুয়ারি, ২০১০ রাত ৮:০২

সাহসী বলেছেন: অংশ নেয়ার জন্য আপনাকে ধন্যবাদ।

৯| ১৮ ই জানুয়ারি, ২০১০ রাত ৯:৫৬

জীবনানন্দদাশের ছায়া বলেছেন: স্বাধিনতা শব্দটার সাথে জামাত পজিটিভলি কখনোই যায়না। শিবির জামাতের ছাত্র সংগঠন তারা আর স্বাধিনতা... ব্যাপারটাই হাস্যকর। জামাত/শিবির চাচ্ছে মাইন্ড গেম খেলতে।

অমি রহমান পিয়াল বলেছেন: ডঃ জেকিল বলেছেন: ভন্ডামীর চুড়ান্ত নিদর্শন। টুপিওয়ালা জামাতীরা যখন বুকে হাত রেখে গানটা গাইবে (কাল্পনিক) কি হাস্যকর একটা দৃশ্য হবে!! যখন গাইবে লক্ষ প্রাণের বিনিময়ে পেলাম স্বাধীনতা, তবু কেন আজ মৃত্যুর দ্বারে কাঁদছে মানবতা তখন কি চরম কৌতুক কর একটা পরিস্থিতির সৃষ্টি হবে!!

জেকিল সাহেবের মন্তব্যে ঝাঝা।

১৮ ই জানুয়ারি, ২০১০ রাত ১০:০১

সাহসী বলেছেন: আনুষ্ঠানিকভাবে শিবির আর এখন জামায়াতের অঙ্গসংগঠন না। তবে অনানুষ্ঠানিকভাবে তারা নৈতিক ও রাজনৈতিকভাবে জামায়াতের সাথে কি ফারাক রাখেন, সেইটা সাফসাফ প্রমান করার দায় শিবিরেরই।

১০| ১৮ ই জানুয়ারি, ২০১০ রাত ১০:০৯

জীবনানন্দদাশের ছায়া বলেছেন: কিন্তু শিবির যত যাই করুক তারা তাদের অবস্থান বাংলাদেশের স্বাধীনতা, সার্বভৌমত্ব শব্দগুলোর সাথে কো-রিলেট করতে পারবেনা।

১৮ ই জানুয়ারি, ২০১০ রাত ১০:১৪

সাহসী বলেছেন: আপনার এই বক্তব্য অপ্রমান করার দায় নিসন্দেহে শিবিরের। কিন্তু 'যাই' করুক, এর মতো নির্বিশেষ সিদ্ধান্ত টানার যৌক্তিকতা দেখানোর দায়ও আপনার।

১১| ১৮ ই জানুয়ারি, ২০১০ রাত ১০:২৪

জীবনানন্দদাশের ছায়া বলেছেন: ১ ম কথা শিবির জামাতের একটি ব্র্যান্ড প্রোডাক্ট। অনেকেই জামাত এবং শিবিরকে আলাদা ২টো সত্তা হিসেবে দেখেনা, আমার ধরণা বরং বলবো বিশ্বাস দেখবেওনা। শিবির যদি বিভিন্ন একটিভিটি নেয় যা তাদের স্বাধিনতার স্বপক্ষে ইমেজ বিল্ড আপ করবে সেগুলো লোক দেখানো, হাসির খোরাক বৈ আর কিছু হবেনা। মুক্তিযুদ্ধকালীন প্রজন্ম আজ বুড়ো হয়ে গেছে কিন্তু ঐ সময়ে যাদের মেইনস্ট্রীম থেকে শিবির এসেছে তাদের কথা আমাদের প্রজন্মকে জানিয়ে গেছে... ইতিহাস মিথ্যে বলে কিনা জানিনা... ইতিহাসকে বদলে দেয়া সম্ভব নয়।

১৮ ই জানুয়ারি, ২০১০ রাত ১০:৩৩

সাহসী বলেছেন: সেটাই। এটা অপ্রমান করার দায় এই সময়ের শিবির কর্মীদের।
আর যদি এটাকে অপ্রমান করার জরুরত তারা অনুভব না করেন, তবে তার পেছনের যুক্তিও জনপরিসরে হাজির করা তাদের রাজনীতির মধ্যে থাকা উচিত।

আমি মূলত বলছি তাদের উদ্দেশ্যে যারা- একবারেই স্বাধীনতা পরবর্তী প্রজন্ম এবং শিবিরের নেতা-কর্মী। আমি তাদের বলছি- বাংলাদেশের জন্ম থেকে শুরু করে বর্তমান সময় পর্যন্ত সব বিষয়াশয়ে নিজেদের জায়গার কথা আমাদের জনপরিসরে জানান দিতে, এবং জায়গা নির্ধারন করতে গিয়ে বাংলাদেশের জামায়াতের দিকে না তাকিয়ে ইসলামের আল্লা আর মানুষ এবং সেই আল্লা-মানুষের খাতিরের ভিত্তি থেকে বিবেচনা করতে- আমি তাদের প্রতি আহ্বান জানাচ্ছি।

দু:খের কথা- এযাবত তাদের এই আলোচনায় আগ্রহী বলে মনে হয় নাই।

১২| ১৮ ই জানুয়ারি, ২০১০ রাত ১১:৪০

দামাল ছেলে বলেছেন: ভণ্ডামির আরো নজির হচ্ছে যে, শিবির আজকে তাদের প্রোগ্রামে জাতীয় সঙ্গীতও গেয়েছে! অথচ একসময় তারা জাতীয় সঙ্গীত গাইত না।

১৮ ই জানুয়ারি, ২০১০ রাত ১১:৫৪

সাহসী বলেছেন: সেটাই। আগে গাওয়া হতো না, এখন হচ্ছে। এর কার্য কারন জনপরিসরে হাজির করা জরুরি। নয়তো তা 'ভন্ডামি' হিসাবেই শনাক্ত হবে।

১৩| ১৮ ই জানুয়ারি, ২০১০ রাত ১১:৫৩

লুকার বলেছেন:

পাকসারজমিনসাদবাদ সংগীতটাই তো ভাল ছিল।

১৮ ই জানুয়ারি, ২০১০ রাত ১১:৫৮

সাহসী বলেছেন: আপনার তা মনে হয়? ঠিকাছে। কিন্তু এটা তো কখনো গাওয়া হয় বলে কেউ বলেনি।
তার চেয়ে আপনি বরং বলুন এখন কেন জাতীয় সঙ্গীত গাওয়া হয়, যা আগে হতো না।

১৪| ১৯ শে জানুয়ারি, ২০১০ রাত ১২:০৪

দামাল ছেলে বলেছেন: শিবির নিজেদের জামাতের অঙ্গ সংগঠন বলে না। কিন্তু বাস্তবে চরম লেজুড়বৃত্তি করে। শুনলাম রাজাকার মুজাহিদের সিদ্ধান্তে আজ শিবিরের সেক্রেটারি পরিবর্তন করা হয়েছে।

১৯ শে জানুয়ারি, ২০১০ রাত ১২:০৯

সাহসী বলেছেন: সেটাই হয়তো। যেভাবে ছাত্রলীগ আর দল যথাক্রমে আওয়ামী আর বিএনপির ছাত্রছাত্রী লেজ। যদিও ছাত্রলীগ, শিবির, ছাত্রদল সবাই এখন খাতাকলমে আর লেজ না।

আমি মূলত আজকের আলোচ্য সংগীতের সূত্র ধরে এ বিষয়ে শিবিরের শিবিরের ভাইদের অবস্থান জানতে চাচ্ছিলাম। জনসাধারনের এই পরিসরে তারা যদি বলতেন!

১৫| ১৯ শে জানুয়ারি, ২০১০ রাত ১২:০৯

লুকার বলেছেন:
এইটা তো পরিষ্কার। পাবলিক এখন রাজাকারগো চামড়া তোলার ধান্ধা করতাছে দেইখা ডরের চোটে জাতীয় সংগীত গাইতাছে, মুক্তিযোদ্ধা সম্বরর্ধনা দিতাছে। হেগো এইসব ভন্ডামি বহুত পুরানা। পাবলিক ভুইলা গেলেই আবার ক্ষুর নিয়া হাজির হইব।

১৯ শে জানুয়ারি, ২০১০ রাত ১২:৩৬

সাহসী বলেছেন: নানা কারনেই, পাবলিক মানে জনসাধারন এই দ্যাশে যুদ্ধাপরধারের বিচারে নিজেদের মুখে ভাষা তুলতে পারে নাই। নব্বই এর দশকের শুরু থেকে আওয়ামী এইটারে দুর্বলতম রাজনৈতিক অস্ত্র হিসাবে ব্যবহার করছে। এবং ক্ষুর বিষয়ক আলোচনাও অনেকটা এইরকম।

এসব আলোচনায় যাওয়ার কথা আমি কারোরে বলি নাই। আমি তো জানাইছিই-যে জামায়াত বাংলাদেশের স্বাধীনতার বিরুদ্ধে রাজনৈতিক অবস্থান নিছিলো। এখন আলোচনার প্রস্তাব করছি আজকের সংগীতের সূত্র ধরে।

১৬| ১৯ শে জানুয়ারি, ২০১০ রাত ১২:১১

লুকার বলেছেন:
আপনে কিসের ডরে মন্তব্য মডারেট করছেন?
আপনের পছন্দমত আলোচনা করতে হইব নাকি?

১৯ শে জানুয়ারি, ২০১০ রাত ১২:৪৪

সাহসী বলেছেন: ডর কিসের? সেইটা ওপরের মন্তব্যগুলানের দিকে তাকাইলে আশা করি বুঝতে পারবেন।
খুব কমই প্রসঙ্গে ছিলাম আমরা। এই ডরেই।

আর আমার পছন্দ মতো আলোচনা করতে হইবো কি না? না। করতে হইবো না।
তয় সংগীতের সূত্র ধইরা যেসব বিষয় আমি পয়েন্ট আকারে তুলছি, আমি এইসব বিষয়েই আলোচনা করতে চাই (এর পরো দেখেন- আপনেরা অনেকেই এর বাইরে বলছেন, আমরা শুনছি, মিথস্ক্রিয়া হইছে।)। সুতরাং আমার পছন্দের এইসব বিষয়ে আপনেরা আপনাদের পছন্দে আলাপ করবেন।

আমি তো আর আপনাদের বাধ্য করি নাই, আলোচক হইতে। পছন্দ না হইলে আগাম শুকরিয়া জানায়া রাখলাম।

তাছাড়া আমি প্রথমত এবং প্রধানত শিবিরের ভাইদের মন্তব্য জানতে আগ্রহী।

শেষে এসে বলে রাখি- আমি আওয়ামী লীগের যুদ্ধাপরাধ আর রাজাকারির প্রচারাভিযান সংক্রান্ত রাজনীতির কোনো শেয়ারহোল্ডার না।

১৭| ২১ শে জানুয়ারি, ২০১০ সকাল ৯:৫৯

সাহসী বলেছেন: এইখানে সংগীতখানার এমপিথ্রি অডিও আছে।

শিবিরের ভায়েরা! আরেকবার শোনেন। এবং আসেন এর সুর আর গায়কীর রাজনৈতিক দিক নিয়া আলোচনা করি। যে, এইটা কি 'ইসলামী আন্দোলনের' রাজনৈতিক সুর আর গায়কি কি না।

১৮| ১৮ ই সেপ্টেম্বর, ২০১০ দুপুর ১২:৩৩

রুদ্রপ্রতাপ বলেছেন: =p~ =p~ =p~ =p~ =p~ =p~

১৯| ১৮ ই সেপ্টেম্বর, ২০১০ দুপুর ১২:৪৮

সৈয়দ কেফায়াতুল্লাহ হোসইন বলেছেন: Jamat-i-islami:

A political party formed twelve hundred years ago in Baghdad during the Abbasid period.

It was rudely transported to the 20th century by an evil Jew jinn through a time traveling devise. Since then the Jamat has been stuck here, wanting to go back twelve hundred years to its own time. But the only problem is, it wants to take the whole country back with it as well.

২৫ শে সেপ্টেম্বর, ২০১০ রাত ৯:৩৯

সাহসী বলেছেন: তো, আপনে কি সামনে যাইতে চান? ভাল। তা, কত সামনে যাইতে চান?

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.