নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

ব্রাইটসেন্ট্রাল

ব্রাইটসেন্ট্রাল › বিস্তারিত পোস্টঃ

শেখ মুজিবের শাসনামলে রক্ষীবাহিনীর সমস্ত কর্মকান্ডের ইনডেমনিটি যেভাবে দেওয়া হয়।

২২ শে নভেম্বর, ২০০৯ ভোর ৫:৫৫

২০ তারিখের আমারদেশ পত্রিকায় সংবাদটি ছাপা হয় - "স্বাধীন বাংলাদেশে প্রথম ইনডেমনিটি পায় রক্ষীবাহিনী"। শিরোনামে।



আমারদেশের প্রতিবেদনটি শুরু হয়েছিলো এভাবেঃ

১৯৭৪ সালে জাতীয় রক্ষীবাহিনী আইনের সংশোধনী এনে এই ইনডেমনিটি দেয়া হয়। রক্ষীবাহিনীকে অত্যাচার, নির্যাতন, লুটতরাজ ও গোপনে-প্রকাশ্যে হত্যাকান্ডের দায় থেকে মুক্তি দিতে জাতীয় রক্ষীবাহিনী আইনে এ সংশোধনী আনা হয়। এটা ছিল ১৯৭৪ সালের ১১নং আদেশ। ১৯৭৪ সালে রক্ষীবাহিনী আইনের সংশোধনী এনে ইনডেমনিটি দেয়া হলেও কার্যকারিতা দেখানো হয় ১৯৭২ সালের ১ ফেবুÝয়ারি থেকে। অর্থাৎ রক্ষীবাহিনী কার্যক্রমের শুরু থেকে যা কিছু করেছে সবই দায়মুক্তি পায় ১৯৭৪ সালের সংশোধনীতে। ১৯৭২ সালে আইন তৈরির মাধ্যমে রক্ষীবাহিনী গঠনের পর এটিই ছিল এ আইনের প্রথম সংশোধনী।



পুরো সংবাদটি পাবেন এখানে





ফলশ্রুতিতে বেশ কয়েকজন ব্লগার এ বিষয় নিয়ে পোস্ট দেন। সবথেকে রসালো পোস্ট দিয়েছে অমি পিয়াল বঙ্গবন্ধুর শাসনামলে একটাই ইনডেমনিটি : সেটা মুক্তিযোদ্ধাদের শিরোনামে। এই পোস্টে তিনি দাবী করেন, "রক্ষীবাহিনী বিষয়ে একটা আইনই আছে , তা সেনাবাহিনীতে তাদের আত্তিকরণ আইন। যা প্রণীত হয়েছিলো ৯ই অক্টোবর ১৯৭৫, যদিও তা কার্যকর ধরা হয়েছে সে বছরের ৩রা সেপ্টেম্বর থেকে।"



অর্থাৎ রক্ষীবাহিনীর জন্মের কোন আইন হয় নাই কিন্তু মৃত্যুর হৈছে। কি চমৎকার কথা। না জন্মাইয়াই রক্ষীবাহিনী নাজেল হৈয়া দেশবাসীদের নাকাল কৈরা তৎকালীন আওয়ামীলীগ সরকারের এমনৈ পতনের মূল কারন হৈছিলো যে জনগনের সে দুঃসহ স্মৃতি মুছতে ২১ বছর সময় লাগছিলো (১৯৭৫-১৯৯৬)।



তবে পিয়ালের কথন সৈত্য নয়। এ ব্যাপারে আইন ছিলো। ১৮৭২ এর অর্ডার নং ২১ দ্বারা রক্ষীবাহিনী তৈরী হয়। ১৯৭৪ এর XI নং এ্যাক্ট দ্বারা সেটা সংশোধন করে রক্ষীবাহিনীকে ইসডেমনিটি দেওয়া হয় সকল ধরনের কর্ম/অপকর্ম থেকে। বলাই বাহুল্য যে বিডিলজ এ সব লজ এখনো অন্তর্ভূক্ত হয় নাই (কেন!)।



এ ব্যাপারে কয়েক্টা সূত্র দেইঃ

১) বইয়ের নামঃ Jatiya rakkhi bahini act

[President's order no. 21 of 1972, as amended by act XI of 1974]

Published in 1974, Khoshroz Kitab Mahal

Contributions: Hossain, Hamza., Kamrul Islam, A. T. M.

Edited by] Hamza Hossain ; rev. by Kamrul Islam.



অর্থাৎ রক্ষীবাহিনী নিয়া পিয়াল যে কৈতেছে কোনো আইন হয় নাই সেইটা সৈত্য না।



২) গুগল বুকসে এই এনসাইক্লোপিডিয়াটা দেখেন। দরকারী পেজটা আপ কৈরা দিলাম।



এআবার আসল কথা। রক্ষীবাহিনী বৈলা আসলে কোনো কালেই কিছু ছিলো না। হেরা কোনো অত্যাচার করে নাই। সব খালী বুইড়া মানুষ যারা ঐ সুময় ছিলো তাগো মনগড়া কথা। বালের গুগল কি সব বালছাল ইন্টারনেটে ঢুকাইয়া রাখছে ঐগুলি বিশ্বাস করি না........... =p~ =p~ =p~ =p~ =p~

মন্তব্য ৮ টি রেটিং +১৬/-২

মন্তব্য (৮) মন্তব্য লিখুন

১| ২২ শে নভেম্বর, ২০০৯ সকাল ৯:৫২

ব্রাইটসেন্ট্রাল বলেছেন: রক্ষীবাহিনীর জন্মৈতো হয় নাই, মর্লো কেমতে রে মমিন!!!!


(ঠেলা)

২| ২২ শে নভেম্বর, ২০০৯ সকাল ১১:১৯

অলস ছেলে বলেছেন: রক্ষীবাহিনী কি জিনিস? পাপিষ্ঠ বাঙ্গালীর পেটে মুজিবের স্বর্ণযুগ আর বাকশালী আদর সহ্য হয় নাই বৈলা এইরকম ইতিহাস বিকৃতি!! ছিহ :)

মিথ্যা কথা বলতে কেউ স্বয়ংকৃয় ভাবে অভ্যস্ত হলে এদের সাথে ধাক্কাধাক্কি করা মুশকিল। সবাই পারেনা এইরকম গলা উচিয়ে ডাহা মিথ্যাচার করতে। সবাই পারেনা।

২২ শে নভেম্বর, ২০০৯ দুপুর ১২:৫৭

ব্রাইটসেন্ট্রাল বলেছেন: সবাই পারে না!

৩| ২৪ শে নভেম্বর, ২০০৯ সকাল ১০:০৬

লুৎফুল কাদের বলেছেন: ব্রাইটসেন্ট্রাল বলেছেন: রক্ষীবাহিনীর জন্মৈতো হয় নাই, মর্লো কেমতে রে মমিন!!!!

৪| ২৪ শে নভেম্বর, ২০০৯ সকাল ১১:১২

সীমানা ছাড়িয়ে বলেছেন: বাকশাল আর রক্ষীবাহিনি ছিল শেখ মুজিবের অনেক বড় স্ট্রেটেজিক ভুল। রক্ষীবাহিনি গঠনের উদ্দেশ্য হয়ত খারাপ ছিল না। কিন্তু সেটা শেষ পর্যন্ত কাল হয়ে দাঁড়ায়।

২৪ শে নভেম্বর, ২০০৯ রাত ১১:২৪

ব্রাইটসেন্ট্রাল বলেছেন: পাপ বাপকেও ছাড়ে না। বড় ভুলটা হচ্ছে মানুষজনের ওপর অত্যাচারের বিভিন্ন পথ উম্মুক্ত করা। বাঙ্গালী সহজে ক্ষমা করতে জানে না!

৫| ২৩ শে এপ্রিল, ২০১২ ভোর ৬:০৮

পথভোলা বলেছেন: এই পোষ্টে বাকশালী ারজগুলো আইলোনা =p~ =p~ =p~

২৬ শে মে, ২০১২ বিকাল ৪:৫০

ব্রাইটসেন্ট্রাল বলেছেন: তারা আয়-রোজগারে ব্যস্ত আছে। এখন আবার সাহারা আইছে ১ লক্ষ বিঘা জমির আবদার নিয়া।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.