বিশ্বাসের কল্পনা

২৭ শে মার্চ, ২০১৫ রাত ১২:৩৮

প্রতিটি দিনের মত আজও ক্লান্ত হয়ে ঘরে ফিরে মেয়েটি তার ঝুল বাদান্দাটায় গিয়ে দাঁড়ায় ।
এত সুন্দর বসন্তের ঠান্ডা বাতাস বইছে, তার ছেড়ে রাখা চুলগুলো আলতো করে ছুঁয়ে যাছে সেই বাতাস। আকাশে গুটি কয়েক তারাও আছে। ঘরে বাজছে তার পছন্দের রবীন্দ্রসঙ্গীত।

তার মনে খেলা করছে তার কল্পনার মত একটি বিশ্বাস, যে বিশ্বাসটি সেই ছোট্ট বেলা থেকেই লালন করে আসছে মেয়েটি।
হুট করেই অদ্ভুত ভাবে তার জীবনে কেউ একজন এসে পড়ে, সে কি এক অদ্ভুত ভালবাসা। সারাটিক্ষণ দু’জনের খুনসুটি, তারই মাঝে অদ্ভুত আবেগ। একজন আরেকজনের শুধু হাতটি ধরার জন্য ভীষণ আকুলতা।

নিজেকে তার মত করে তার ইচ্ছের মত করে সাজানো, তার জন্য আকাশসম ভালবাসা জমিয়ে রাখা। খুব করে তার জন্য রাত জেগে অপেক্ষা করা, রাতভর খুনসুটির পর খুব রেগে যাওয়া সময়ে প্রিয়মানুষের থেকে পাওয়া বেলি ফুলের মালা খোপায় গোঁজা, তার সব ভুল, দোষ হাওয়ায় মিলিয়ে দেয়া 

শত ব্যস্ততায় দু’জন দু’জনের মাঝে বেঁচে থাকা, ভালবাসায় আগলে রাখা।
দু’চোখে প্রিয় কাজল মোটা করে দিয়ে, লাল টুকটুকে একটা শাড়ি পরে তার পাশে হেঁটে চলা। হঠাৎ করেই তার আঙ্গুল নিজের কপালের মাঝে অনুভব করা পরক্ষণেই বড় একটি লাল টিপের জন্ম হওয়া।

ভীষণ শ্রদ্ধায়, ভালবাসায় দুজন হারিয়ে যাওয়া, ছোট একটি ঘরের মাঝে শুধুই মায়ায় ভরে থাকা, দুজন দুজনের কাছে থাকা......

হঠাৎ ই কানে নিজের নামটি ভেসে আসে মেয়েটির, চোখখুলে অনুভব করে, সব ই তার সেই কল্পনা, তবে, বিশ্বাস ছাড়েনা সে।
মিষ্টি একটি হাসি দিয়ে চুল বাঁধতে বাঁধতে সে তার সেই বিশ্বাস আর তার কল্পনার মানুষটির জন্য প্রতিক্ষা, এবং সে একদিন ঠিক অদ্ভুত ভাবে আসবেই সেই বিশ্বাস নিয়ে সে চলে যায় মায়ের ডাকে সাড়া দিতে।

০ টি +০/-০