![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
গুলিস্হান ব্যস্ত রাস্তার ওপরে গোলাপ শাহ মাজার। এক সময় এর নাম ছিল নিমতলা মাজার। কারণ এর পাশে একটি নিম গাছ ছিল। স্হানাভাবের কারণে এখানে দেহাব্যবসা বা গাজাখোরদের আড্ডা নেই। কিন্তু মাজারের অর্থ লোপাট হচ্ছে একি নিয়মে।
এ মাজারটি পরিচালনা করে সিটি করপোরেশনের স্টেট বিভাগ এবং মোতাওয়াল্লি ব্যবসায়ী হাজি শাহ আলাম। সুত্র মতে, দৈনিক ১০ সহস্রাধিক টাকা জমা হয়। দর্শনার্থীদেরদন থেকে। কিন্তু মাস শেষে অর্থের এক-তৃতীয়াংশ বা তার কম জমা হয় সিটি করপোরেশনে। বাকি টাকা ভাগাবাটয়োয়ারা হয়ে হায় স্টে বিভাগের কর্মকর্তা-কর্মচারী এবনো মোটাওয়াল্লীর পকেটে। জানা গেছে, দীর্ঘডিন থেকে হাজি শাহ আলাম এই মাজারের মোতওয়াল্লির দায়িত্বে আছেন। তার এক সময়ের ক্ষুদ্র ব্যবসা ফুলেফেপে এখন মহীরুহের আকর ধারণ করছে মাজারে কল্যলণ।
হাজি শাহ আলামকে এ ব্যাপারে জিজ্ঘাস করলে তিনি এ অভিযোগ অস্বীকার করেন। তবে তিনি জানান, মাসে শেষে এবং সিটি করপোরেশনের টিস্ট বিভাগের একজন সেই টাকা গুনে নেন। এই টাকার হিসাব ঠিক মতো রাখা হয় কি না তার নজরদারি করার মতো কেউ নেই। ইচ্ছা করলে এখান থেকে হিসাববিহীন টাকা লোটপাট করা যায়? হাজি শাহ আলম বলেন, হয়তো যায়, কিন্তু আমরা তা করিনা।
উল্লিখিত তিনটি মাজারের মতো ঢাকায় প্রায় অধিকাংশ মাজারে চলে জমজমাট ব্যবসা। এই ব্যবশার অবৈদতার কয়েকটি সাধারন ধিক হচ্ছে (ক) মাজারের আয়ের কোন লিখিত রেকর্ক হয় না।রেকর্ড রাখা হলেও তার শুদ্বতা পরীক্ষা করার কনো ব্যবস্হা রাখা হয় না কনো ক্ষেত্রেই। (খ) মাজারের অর্থ ব্যয়ের খাতগুলো থাকে খুবই অনিদির্ষ্ট। খরচের খাতেও লিখিত রেকর্ড রাখা হয় না সব ক্ষেত্রে। (গ) মাজার পরিচালনা কমিটি গঠনে কোনো স্বীকৃত বা নির্দিষ্ট প্রকৃয়া নেই। পরিচালনা কমিটিতে পরিবর্তন হয় কদাচিত। এই কমিটির কোনো স্পস্ট জবাবদিহিতও নেই করো কাছে।
বহু মাজারের গরিব, এতিম বা কোনো ধর্মীয় প্রতিষ্টানকে সাহায্য করার নামে ফান্ড খোলা হয়। ভক্তরা বিপুল পরিমাণ আগরবাতি, মোমবাতি, গুলাপজল এবং মিষ্টি জাতীয় খাবার, মুরগি ও খাসি নিয়ে আসে মাজারের জন্য। মাজরের খাদেমরা এগুলো আবার দোকানে বিক্রিকরে টাকা নিয়ে নেয়।
ঢাকার তুলানায় মাজার ব্যবসা বহুগুণে জমজমাট চট্টগ্রাম আর সিলেটে। এ দু-জেলার কোনো কোনো মাজার পরিচালনার জন্য ৩/৬ মাস পর পর নিলাম ডাকা হয়। মাজার পরিচালনার কাজ পাওয়া যায় লাখ লাখ টাকার বিনীময়ে। ডাক গ্রহিতারা ব্যবসা বাড়ানোর জন্য দর্শনার্থীদের মাজারে দান করতে নানা কৌশলে উৎসাহিত করে। এনিয়ে পত্রপত্রিকায় বহুবার লেখালেখি হয়েছে। মাজারের নামে ব্যবসা থেমে যায়নি তাতে।
৩১ শে জানুয়ারি, ২০১১ সকাল ১০:৫৯
আরিফুর রহমান বাবুল বলেছেন: ধন্যবাদ ভাই, আমি আপনার কথা মরে রেখেছি, অনেক চেষ্টা করেছি, যখনি পাবো আপনাকে পাঠিয়ে দিব।
২| ৩১ শে জানুয়ারি, ২০১১ সকাল ১০:৫১
পথেরহাট. বলেছেন: আমি একটা মাজার খুরতে চাই। এখন কি করতে হবে?
৩১ শে জানুয়ারি, ২০১১ সকাল ১১:০৪
আরিফুর রহমান বাবুল বলেছেন: কি হবে মাজার খুরে? কি করবেন এত টাকা দিয়ে। আমরা এই ভাবে ভাল আছিনা?? আমরা এমনি অবহেলিত, সাধামাটা মনের মানুষ। সরকার কর্তিক, অবহেলিত। এখন আপনি আমি যদি সাধারণ মানুষেকে ধোকা দেই, তাহলে কোথায় যাবেন আমাদের সাদা মনের মা, বাবা, ভাই, বোন গুলি??
৩| ৩১ শে জানুয়ারি, ২০১১ দুপুর ১:৩৮
পথেরহাট. বলেছেন: আরে আমার কাস্টমার হবে পলিটিক্যাল পার্সন, সরকারি আমলা, বেসরকারী বড় অফিসার..... বড় বড় ব্যবসায়ী রাঘব-বোয়াল....। থাকলে আসেন!
৩১ শে জানুয়ারি, ২০১১ বিকাল ৪:৩৭
আরিফুর রহমান বাবুল বলেছেন: না ভাই যে ভাবে আছেন এভাবেই ভাল আছেন। আসুন এসবের হাত থেকে সবাইকে বাছাই।
৪| ৩১ শে জানুয়ারি, ২০১১ বিকাল ৫:৩৯
মাইন রানা বলেছেন: মাজার ব্যবসা বন্ধ হোক
©somewhere in net ltd.
১|
৩১ শে জানুয়ারি, ২০১১ সকাল ১০:৪৭
ৃৃৃশান্ত বলেছেন: আপনার মাজার সিরিজটি বেশ হচ্ছে। লেখার হাতও বেশ ভাল।
পূর্বে প্রকাশিত "আরো কিছু ভুয়া মাজার" পোষ্টে আপনি এসমস্ত তথ্যের সোর্স হিসেবে "আসুদেগানে ঢাকা" নামের একটা বইয়ের উল্লেখ করেছেন। সেবারও জিজ্ঞেস করেছিলাম কিন্তু উত্তর পাইনি। এবারও করছি - আসুদেগানে ঢাকা বইটির লেখক ও প্রকাশনীর নাম বলতে পারবেন ??? সংগ্রহের লোভ হচ্ছে।
শুভকামনা।