নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
সন্তানরা একজোড়া বাজরিগার পাখি উপহার পেয়েছিলো তাদের মাসুদ মামার কাছ থেকে। নীল রঙের একজোড়া শিশু বাজরিগার।
উইকিপিডিয়া বলছে গৃহাপালিত কুকুর এবং বিড়ালের পর এই বাজরিগার হচ্ছে বিশ্বের ৩য় জনপ্রিয়তম পোষা প্রাণী! বাজরিগারের এই জনপ্রিয়তার মূল কারন হচ্ছে এদের ছোট আকার, স্বল্প খরচ। বাজরিগার তোতা পাখির ভাই-বেরাদার হওয়ায় মানুষের কথাও নাকি নকল করতে পারে! ওদের বাপ-দাদার আদি নিবাস অস্ট্রেলিয়া হলেও বিগত প্রায় দুইশত বছর ধরে এরা সারা বিশ্বেই ছড়িয়ে পড়েছে এবং মুক্তাবস্থার মতো বন্দী অবস্থাতেও নিয়মতি বংশবৃদ্ধি করে চলেছে।
আমাদের সেই একজোড়া শিশু বাজরিগারও গত ৬ মাসে দিনে দিনে কিশোর হলো, তরুণ হলো, যুবক হলো। তারা পরিণত হলো। তাদের প্রেম হলো, প্রণয় হলো।
খাঁচায় বেধে দেওয়া মাটির হাড়ি আলোকিত করে একদিন তাদের মুক্তোর মতন সাদা ডিমও হলো। সেই ডিম নিয়ে আমার পরিবারের সদস্যদের মাঝেও বেশ খানিকটা উচ্ছ্বাস ছড়িয়ে গেল। আমার স্ত্রীকে ডেকে দূর থেকে সেই ডিম দেখিয়ে আমি রসিকতা করলাম--তুমি দাদি হতে চলেছ!
কিন্তু সেই উচ্ছ্বাস বেশীদিন টিকলো না। এরপরই বাধলো বিপত্তি। পুরুষ পাখিটি বারবার সেই ডিম বাসা থেকে ফেলে দিতে লাগলো। আমরা দুয়েকবার সেই ডিম উদ্ধার করে আবার ওদের বাসায় রেখে দিলাম, কিন্তু খানিক পরেই আবার সেই একই ঘটনা! সাথে চলতে লাগলো প্রেমিক-প্রেমিকার গগণ বিদারী কলহ। এমন কলহ যে আশেপাশে কান পাতা দায়। সাথে মানুষের হাতাহাতির মতো ঠোকা-ঠুকি অবস্থা।
বুঝলাম প্রেমিক পাখিটি তার প্রেয়সীকে এখনও সন্তানের মা হিসেবে মেনে নিতে প্রস্তুত নয়। আরও বুঝলাম, উন্নত দেশের পাখি হওয়ায়, আধুনিক যুগের পাখি হওয়ায়, উন্নত দেশের আধুনিক মানুষের মতন এরাও প্রেম চায়, প্রণয় চায়, কিন্তু পিতা হতে চায়না; সঙ্গী চায়, প্রেয়সী চায়, সন্তানের মা-কে চায় না!
২| ০৭ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২০ রাত ১০:৫০
কাবিল বলেছেন: ডিম পাড়ার পরে গ্রীড/মিক্সার জাতীয় খাবার প্রয়োজন হয়। এ জাতীয় খাবারের অভাবে অনেক সময় ডিম নস্ট করে ফেলে।
৩| ০৮ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২০ রাত ১২:১২
কনফুসিয়াস বলেছেন: আমারো ছিল। তবে আমার পুরুষ পাখিটা অনেক ভাল ছিল। সে খুব ভাল ভাবেই সবকিছু দেখাশুনা করত।
৪| ০৮ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২০ সকাল ৯:০৬
রাজীব নুর বলেছেন: মানুষের জীবনও এই রকম।
©somewhere in net ltd.
১| ০৭ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২০ রাত ৮:৫৯
নেওয়াজ আলি বলেছেন: কমনীয় প্রকাশ।