নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
কয়েকদিন আগের কথা।
আলবার্টায় লাগা দাবানলের ধোয়া বাতাসে ভেসে এসে পৌছালো সাস্কাচুয়ানে। আকাশে মেঘের মতন কালো ধোয়া। সাথে বাতাসে খড় পোড়ার গন্ধ।
রাতেরবেলা সেই দাবানলের তৃণ পোড়া গন্ধে এক বুক শ্বাস নিয়েই কয়েকজন মাঝ বয়েসী মানুষ নস্টালজিক হয়ে গেলো। কারো মনে পড়ে গেলো গ্রামের ভোরে ধান সেদ্ধ করার স্মৃতি, কারো মনে পড়ে গেলো ক্লান্ত শরীরে মাঠ থেকে ফেরা সন্ধ্যায় গ্রামের রসুইঘরের কাঠ-কয়লার ধোয়ার ঘ্রাণ।
আবার কারও মনে পড়ে গেলো অনেক বছর আগে সংবাদপত্রে পড়া এক স্মৃতিকথার কথা।
ভারতের পিকাসো খ্যাত চিত্রশিল্পী মকবুল ফিদা হুসেন ধর্মীয় উগ্রবাদের শিকার হয়ে শেষ জীবনে ভারত ত্যাগ করতে বাধ্য হন। স্বেচ্ছা নির্বাসন নেন দুবাই, কাতার, যুক্তরাজ্যে। দুবাইতে থাকাকালীনই সম্ভবত তার সাথে দেখা করেন তার কোন এক ভক্ত। বিদায় বেলায় ফিদা হুসেনকে সেই ভক্ত জানান, তিনি ইন্ডিয়া যাচ্ছেন। ফেরার সময় ফিদা হুসেনের জন্য কী নিয়ে আসবেন?
জবাবে অশীতিপর হুসেন জানান, ব্রিং মি সাম ফ্রেশ এয়ার ফ্রম ইন্ডিয়া!
***
ফিদা হুসেনের জন্ম, বেড়ে ওঠা সবই মুম্বাই বা এর সন্নিকটেই। মুম্বাইয়ের এয়ার কোয়ালিটি ফিদা হুসেনের নির্বাসন নেয়া দেশের বাতাসের চেয়ে কত উন্নত কে জানে।
বা ঢাকার বাতাস সাস্কাচুয়ানের বাতাসের চেয়ে কতটা পিছিয়ে?
চাইলেই হয়তো খুঁজে বের করা যায়।
আবার মনে হয়, থাক না। আবেগের যায়গা তথ্য-উপাত্ত দিয়ে পূর্ণ করে কী লাভ?
সাস্কাটুন, কানাডা।
মে ২০, ২০২২
২| ২২ শে মে, ২০২৩ রাত ১২:৫৭
সোহানী বলেছেন:
এর নাম দেশের প্রতি টান অনিরুদ্ধ। সামান্যতম মিল পেলেই আমরা নস্টালজিয়ায় ভুগি। আর সে কারনেই বাঙ্গালী পাড়ায় এতো ভীড়। দোকানী বসে এক কাপ চা খেয়ে দেশকে স্মরণ করা।
এবার বেশ ফায়ারের কথা শুনছি। সিবিসিতে বললে ওয়েদারের কারনে এবার বেশী ফায়ারের ঘটনা ঘটবে।
ভালো থাকুন, সাবধানে থাকুন।
৩| ২২ শে মে, ২০২৩ বিকাল ৩:০১
রাজীব নুর বলেছেন: ওকে।
৪| ২২ শে মে, ২০২৩ বিকাল ৪:০৭
মোগল সম্রাট বলেছেন:
ওয়ার্ল্ড রেংকিংয়ে দুই দিন ঢাকার শহর বায়ু দুষনে ২য় স্থানে ছিলো।
©somewhere in net ltd.
১| ২১ শে মে, ২০২৩ রাত ১১:০০
আহমেদ জী এস বলেছেন: অনিরুদ্ধ রহমান,
ফ্রেশ কিম্বা নোফ্রেশ, ধুলো-গন্ধ মাখানো ঢাকার বাতাস টানলেই কেমন যেন খুব আপন আপন মনে হয়।
এটা ভেবে ভেবে সাস্কাচুয়ানে বসে আপনি আর এই মূহুর্তে ক্যালিফোর্নিয়াতে বসে আমি নষ্টালজিক হতেই পারি কারন মুজতবা আলী বলে গেছেন - ইনহাস্ত ওয়াতানাম।