![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
আমি শুভ । আসলে আমার লেখার অভ্যাস নেই তবুও মাঝে মধ্যে লেখার চেস্টা করি । বন্ধুত্ব গড়তে ভালবাসি। ভালবাসি ভালবাসতে ঘুরতে ঝাল ফুচকা খেতে আর ভালবাসি সুধু তোমাকেই। এখনো জানিনা আর কি কখনও খুজে পাব তোমায়? তারপরে এই ছোট্ট মনের ঘরে তোমাকেই খুজি।
এস.এস.সি পরীক্ষা শেষ করে টানা
চার মাস পর ক্যাডেট কলেজ থেকে
বাসায় আসলাম। ছুটিতে অনেক কিছু
করার পরিকল্পনা করলাম। কিন্তু
বাসায় এসে আমার মাথায় হাত।
কারন আমি কলেজে থাকা অবস্থায়
আমাদের বাসা চেঞ্জ হয়েছে। নতুন
বাসায় এসে কিছুটা অস্বস্তিতে
পরলাম। কাউকে চিনিনা। বাসায়
এসে কিছুক্ষন ধাতস্ত হওয়ার চেষ্টা
করছি, এমন সময় কেউ একজন বলে উঠল-
– আন্টি……………
একটা মেয়ে দৌড়ে ঘরে এসে ঢুকল।
ঢুকেই আমাকে দেখে লজ্জা পেয়ে
গেল। আর আমি হা করে তার দিকে
তাকিয়ে রইলাম। অপূর্ব!!! চোখ
ফেরাতে পারছি না। মাথায় সেই
বিখ্যাত কবিতা চলে এল-
“প্রহর শেষের আলোয় রাঙা সেদিন
চৈত্র মাস,
তোমার চোখে দেখেছিলাম
আমার সর্বনাশ”।
মনে মনে নিজেকে গালাগালি
দিলাম তার দিকে এভাবে হা করে
তাকিয়ে থাকার জন্য। আম্মুকে ডাক
দিলাম। আম্মু এসে মেয়েটাকে
দেখে খুশি হয়ে গেল।
– আরে তানিয়া, বাইরে কেন?
ভিতরে এস।
– না, আন্টি। থাক। পরে আসব।
– আরে আস তো।
মেয়েটা লজ্জাবনত মুখে ঘরে এসে
বসল। আমি আম্মুর ভয়ে তার দিকে
তাকাতে সাহস পেলাম না। তারপর
ও আড় চোখে দেখার চেষ্টা
করছিলাম। আম্মু বোধহয় আমার
কৌতূহল টের পেয়ে বললেন-
– ওর নাম তানিয়া। এবার
এইচ.এস.সি দেবে। আর ও আমার
ছেলে, তুহিন। এইবার এস.এস.সি
দিয়ে কলেজ থেকে ছুটিতে
এসেছে। (বুঝতে পারলাম আমাকে
নিয়ে আগেও কথা হয়েছে)
মেয়েটা আমার দিকে তাকিয়ে
একটা সুন্দর হাসি দিল। আমার হার্ট
বিট বেড়ে গেল। মনে মনে
নিজেকে ধিক্কার দিলাম( এত সুন্দর
একটা মেয়ে অথচ আমার সিনিয়ার,
কেমন রাগ টা লাগে……গররর)
– তোমরা বসে গল্প কর, আমি একটু
আসছি।
আম্মু পাশের ঘরে গেলেন হয়ত কিছু
খাবার নিয়ে আসতে। আমি একটু
অস্বস্তিতে পড়লাম কি নিয়ে কথা
বলব ভেবে। আমার মত সে ও চুপ করে
বসে রইল। আমাদের প্রথম পরিচয়ের
মুহূর্তটা নিরবতা দিয়েই কাটল।
©somewhere in net ltd.