![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
একটা মানুষের জীবনে সাদা আর কালো দুটি অধ্যায় ই থাকে তবে সাদার পরিমান যদি বেশি থাকে,তবে তাকে অবশ্যই ভালো মানুষ বলা যেতে পারে।কারণ একটা মানুষের সব টা তো আর ভালো হতে পারেনা। সেই বিবেচনায় মুনির সাহেবকে ভালো মানুষ বলা যায়।সফলতা ব্যথতার বিবেচনায় তিনি খুব বেশি সফল বলা যাবেনা।জীবনে চলার পথে তিনি তার মন মতো মানুষ খুব কম ই পেয়েছেন।আজকাল তাই হইতো মনে মনে একটু আফসোস হতে পারে।কিন্তু এই নিয়ে যে সারাদিন মন খারাপ করে থাকবেন এমন মানুষ তিনি নন,সারাদিন কোন না কোন কাজে ব্যস্ত তার থাকতে ই হবে। নিউজপেপার,টিভি,কম্পিউটার,ইন্টারনেট তার সময় ভালোই কাটে।চাকুরী থেকে একেবারে অব্যহতি দেননি একটি প্রাইভেট চাকুরী করতেন তাই মাঝে মাঝে অফিস যান কাজের চাপ থাকলে।মুনির সাহেবের সহধর্মিণীর কাছে তার সবচেয়ে খারাপ গুণ বার বার চা খেতে চাওয়াটা।সহধর্মিণীর ধারণা উনি চা ইচ্ছে না করলেও খেতে চান,বার বার চা চা বলাটা তার বদঅভ্যাস এর একটা।
মুনির সাহেব একসময় সুন্দর বাঁশি বাজাতেন নাটক গান বাজনা এসব করে বেডাতেন,মুনির সাহেবের ছোট দুই ভাই ও বেশ গুনী।ছোট জন কবিতা লিখতেন আর গান গাইতেন,আর মেঝো জন বাঁশি বাজাতেন গান লিখতেন সুর করতেন।জীবনের তানাপোডনের তাদের তিন জনের এইসব গুন ঢাকা পড়ে গেছে।আমরা সাধারনত তাকেই গুণী বলি মেধাবীর তালিকায় রাখি যে তার মেধা আমাদের সামনে তুলে ধরতে পারে। যে কালের আবরতনে হারিয়ে যায় তার কথা কেউ মনে রাখেনা।না রাখাটা খুব স্বাভাবিক।মুনির সাহেব তার বাবার বড় ছেলে ,বড় ছেলে হিসেবে কত টুকু দায়িত্ব পালন করতে পেরেছেন এই নিয়ে তিনি খুব বেশি একটা ভাবেন না অথবা বলা যায় হিসেব করেন না।মুনির সাহেবের দুই ছেলে এক মেয়ে,বাবা হিসেবে তিনি সাথক গর্বিত কিনা তা মুনির সাহেবকে দেখে বলা যাবেনা,বুঝতে পারা যায়না। বড় ছেলে সজীব এখন বিদেশে থাকে,ডিগ্রী পাস করে বিদেশ গেছে।তাকে ডিগ্রী পাস করাতে খবর হয়ে গেছে,তার কারণ এই নয় যে ছাত্র হিসেবে সে খারাপ ছিল।কিছু ছেলে মেয়ে আছে যাদের এস,এস,সি পাস করার পর পডাশুনার আগ্রহ বেডে যায় আর কিছু আছে আর পডায় মন বসাতে চায়না।১৯৯১ সনে যখন মুনির সাহেব তার পরিবার নিয়ে স্থায়ী ভাবে বসবাসের জন্য ঢাকা আসেন তার ও আগে বড় ছেলেকে মামা বাডীতে পাঠানো হয় পড়াশুনা করার জন্য। তবে ভালর জন্যে করতে গিয়ে ব্যাপারটা খারাপ ই হয়ে গেল অবশ্য এই ব্যাপারটা বুঝতে বুঝতে অনেক সময় পার হয়ে গেছে।গুনিজনরা তো বলে ই গেছেন সময়ের এক ফোড অসময়ের দশ!!!!!তাও দশে ও যদি কাজ হতো তাওতো হয়না।
ছেলে ডিগ্রী দিবেনা বিদেশ পাড়ি জমাবে।বাবা কতবার অনুরোধ করলো, সেই কি অনুরোধ বাচ্ছা শিশুকে মা যখন দুধ খাওয়া বন্ধ করে খিচুরির বাটি নিয়ে পেছন পেছন ঘুরে কিছুটা তার মতন।শেষে ছেলে রাজী হল ডিগ্রী পরীক্ষা দিলো পাস করলো বাপ ছেলের সেই কি আলিঙ্গন!!!মধুর আলিঙ্গন।দেখে মনে হচ্ছিলো বাবা ই পাস করলো বুঝি। বাবার মনে জোয়ার ভাঙ্গা আনন্দ।জীবনে এই ছোট ছোট আনন্দের জন্য হয়ত মানুষের বেঁচে থাকা ওঁই মুহূর্তে অন্তত তাকে দেখে তাই মনে হচ্ছিলো।মুনির সাহেব আর আট দশটা বাবা থেকে আলাদা এটা তার মেয়ে তিথির ধারনা।ধারনা বললে হবেনা তিথি তাই বিশ্বাস করে। যখন ছোট ছিল স্কুলে পড়ে অন্য বাবারা যেমন খুব শাসন করত কড়া নজরদারিতে রাখত তিথি কখনই বাবার মধ্যে তা দেখেনি।এটাকে দায়িত্বহীনতাও বলা যেতে পারে,কিন্তু তিথির কখনো তা মনে হয়না।সবার বাবা যেভাবে ছেলে মেয়ের ভরণপোষণের খরচ দিয়ে থাকেন তার বাবাও তাই দিয়েছেন।শুধু অপ্রয়োজনীও শাসনটুকু করেন নি। যতদূর মনে পড়ে একবার বাবা তার গায়ে হাত তুলেছিলেন,ওর সেই কি কান্না পরে বাবা টাকে আইসক্রিম এনে খাইয়েছিলেন তারপর তিথির কান্না থেমেছিল।
দু’ ভাইয়ের এক বোন তিথি ভীষণ আদরের।দুই ভাইয়ের সাথে তিথির সম্পর্ক ও বন্ধুর মতন।দুই ভাই সজীব আর আদিব তার সবচাইতে প্রিয়। ছোটভাই আদিব এর সাথে তিথির ছোটবেলায় একদমই মিল ছিলনা।তাই তিথির মা একবার হুযুর থেকে চিনি পড়া এনে খাইয়েছিল যেন তাদের দু ভাইবোনের মধ্যে মিল মোহাব্বত বারে। তিথির এসব কথা মনে পরলে ভীষণ হাসি পায়। তারা তিন ভাই বোন কেউ ই এসবে বিশ্বাস করেনা। তিথির মনে আছে একবার আদিব কেরাম খেলায় তিথির কাছে হেরে গিয়েছিলো ,তিথিতো জয়ী আর খেলবেনা পরের খেলাই যদি হেরে যায়ে এ ভয়ে ,আর আদিব গো ধরে বসে আছে আরেকবার খেলতে হবে ই হবে।সে তিথিকে হারাবে আদিবের সেই কি রাগারাগি বড় হয়ে এই গল্প নিয়ে তিথি আর তার ভাই খুব হাসাহাসি করে।
২| ০২ রা জানুয়ারি, ২০১৩ সন্ধ্যা ৭:১০
স্বপ্নছোঁয়া বলেছেন: ধন্যবাদ ডানাহীন।
আপনার কথামত প্যারা করার চেষ্টা করেছি,জীবন সমীকরণ ২ ব্যাপারটা ভাল ভাবে খেয়াল রাখব।
©somewhere in net ltd.
১|
০২ রা জানুয়ারি, ২০১৩ বিকাল ৪:৩২
ডানাহীন বলেছেন: ভালো লিখেছেন তবে প্যারা করে সাজিয়ে লিখলে পড়তে সুবিধে হবে .. ভাল থাকুন এবং সুন্দর লিখুন ।