![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
জয়নাল উদ্দিন দেখতে শুনতে টমাটোর মত গোলগাল চেহারা আর আছে একটা বড়সড় ভুড়ি।নাকের নিচে হালকা একটু গোফ রেখেছেন। সৌদি আরব বসবাস রত পুরুষের গোফ না থাকা চলেনা, মেয়ের সাথে তুলনা এসে যায়।আশেপাশের বন্ধুগন খেপায়। লজ্জায় তাই বেশিরভাগ পুরুষ. সৌদি আরব গেলে গোফ রেখে দেন জয়নাল ও রেখে দিয়েছেন |টেইলারিং ভালো জানেন জয়নাল তাই এখানে এসে একটা দোকান নিয়েছেন।দিনে দিনে আয় রোজগার বাড়ার সাথে সাথে দোকান এর পরিধি বড় করেছেন প্রথম প্রথম সব কাজ নিজেই করতেন ।এখন আর কুলাতে পারেন না তাই কর্মচারী রেখেছেন কিছু করমচারী তার নিজ গ্রামেরই পরিচিত।সউদি বসবাস রত নারীদের বড় বড় গাউন বানান জয়নাল। এখানে এসেছেন সুদীর্ঘ বার বছর ।তাই জয়নাল কে এখানে অনেকে চিনে।
জয়নাল বছরে দুইবার দেশে যান| মাস খানেক থেকে চলে আসে| স্ত্রী আইভি সুলতানা কে জান দিয়া ভালবাসেন বলা চলে| তার বাকি বন্ধুরা দুই বছর পর একবার যান আর তিনি যান চার বার| টাকা বেশ খরচ যায় তবে তার আফসোস নাই| এক ছেলের আশায় তিনটি মেয়ে হয়েছে জয়নালের শেষে আল্লাহর অশেষ কুদরতে একটি ছেলে হয়েছে কলিজার টুকরা সাত রাজার ধন| দেশে আসার টান টা যেন আরও বেড়ে গেল| স্ত্রী আইভি জয়নালের এই অতি ভালবাসায় মাঝে মাঝে কিঞ্চিত বিরক্ত বোধ করেন| পদুয়া শহরে্র রাস্তার ধারে জমি কিনে সেখানে বসতি গড়েছেন জয়নাল| কোন ভাই নেই ঘরে ছেলেমেয়েরা ছাড়া আছেন এক বৃদ্ধ মা| চোখে ছানি পড়েছে তাই একটু কম দেখেন আর সারাক্ষণ কোন না কোন কারনে খিটিমিটি করতে থাকে| জয়নালের বউ এইসব ব্যাপারে তেমন মাথা ঘামায় না তাদের বউ শ্বাশুড়ির এই ক্যাচাল এই মিলমিশ|পুরনো গেরস্থ বাড়ি ছেড়ে এসে বড় একটা দালান তুলেছেন যার চার পাশে লাগিয়েছেন ফল গাছের প্রাচীর|বেশিরভাগ ই আম জাম কাঠাল লিচু| বাড়ির আঙ্গিনা পার হতেই বিশালাকার একটা নীল রঙ্গের গেইট পাশে সাইনবোর্ডে লিখা আইভি ম্যানশন| সরু একটা রাস্তা পার হয়ে বড় রাস্তা পুরনো একটা রেলপথ যেখানে রেল চলাচল হয়না |বিকেলে কিছু মানুষ অলস সময় কাটাতে এখানে এসে বসে|
বড় মেয়ে রিন্টি এখন কলেজ ফাইনাল দিবে,মেয়ে বাবার কাছে আবদার করেছে কলেজ ফাইনাল দিয়ে ঢাকা কোচিং এ ভর্তি হতে চায়|বাবা জয়নালের কোন আপত্তি নেই| বড় মেয়ে রিন্টির কোন কিছুতেই বাবা আপত্তি জানাতে পারেনা| সে সবকিছু বাবার কাছে চায় মার কাছে কোন আবদার নাই| প্রয়োজনের বাইরে খুব বেশি কথাও বলে না| ছোট ভাই বোন গুলার সাথে যা একটু কথা বলে|দাদি মারা গেল গত বছর।দাদি বেচে থাকতে দাদির সাথে গল্পসল্প করত।মেয়েটা চুপ মেরে থাকলে দাদি বকাঝকা করত। মার সাথে মেয়েটা যত বড় হচ্ছে তত দুরত্ব বাড়ছে তার বউ আইভি ও কেন জানি মেয়েটাকে একটু একটু ভয় পেতে শুরু করেছে।মেয়েকে জোর দিয়ে কিছু বলতে সাহস পায়না যেন। এসব ভেবে জয়নাল একটা দীর্ঘ শ্বাস ফেলে| কিছু কিছু ক্ষত জয়নালের বুকেও আছে তবে তার বয়স হয়েছে তাই মেনে নেয়ার ক্ষমতা ও হয়েছে মেয়ের বয়স কম তাই কষ্ট বেশি পাচ্ছে|হয়ত বড় হলে বুঝবে মাতো মা ই তা সে যেমনই হোক!!মেয়েকে যে কি বুঝাবে তাই জয়নাল বুঝেনা তাই কিছু বলতে যায়না যেমন আছে তেমনই চলুক।মনের কোনে কোথাও কি একটু সুখ পায় এই ভেবে আইভি শাস্তি পাচ্ছে,মেয়েটা মাকে শাস্তি দিচ্ছে সে যা করতে পারেনি মেয়ে করছে।প্রতিশোধ!!
তিনবছর আগের কথা দেশ থেকে চাচা ফোন করে জানালো তার প্রিয় তম বউ আইভির চরিত্র হীন হাতে নাতে ধরা খেয়েছে হুজুরের ছেলের সাথে শালিস হবে সে যেন তাড়াতাড়ি দেশে আসে|জয়নালের মাথায় আকাশ ভেঙ্গে পড়লো কি করবে কিছুই বুঝতে পারেনা| এমন এক মান ইজ্জতের ব্যাপার এখানে কোন আপন জনের সাথে বলা যাবে না|না বললেও তারা একসময় জেনে যাবে।একবার ভাবলো গ্রামে যাবে না ওই দুশ্চিরিত্রার মুখ আর দেখবেনা তাকে শাস্তি গ্রামের মানুষ দিক| তারপর ছোট ছোট বাচ্চা গুলোর মুখ মনে পড়লো | বড় মেয়েটা নাইনে পড়ে উপযুক্ত মেয়ে সব বুঝার কথা|মেয়েটার মনের উপর দিয়ে কেমন তুফান যাচ্ছে জয়নাল অনুমান করলো|বাকি দুজন এখনো ছোট একজন তৃতীয় শ্রেণীতে অন্যজন দ্বিতীয় শ্রেণী এমন নোংরামী বুঝার সঠিক বয়স তাদের হয়নি বুদ্ধি করে দুরে রাখা যাবে| আর ছেলেটাতো একেবারেই ছোট ছেলেটার তিন বছর বয়স| ভেবে কুল পায়না কিভাবে আইভি এমন কাজ করতে পারলো তার পনের বছর সংসার জীবনে ভালোবাসায় কোথাও কি কমতি ছিলো? ?
জয়নাল চারদিনের মাথায় দেশে হাজির |শালিস বসলো হুজুরের ছেলে দিদারের অন্যায় এর শাস্তি স্বরুপ হুজুরের পরিবার কে একঘরে করা হল|জয়নালের খারাপ লাগলো এই হুজুর মক্তবে তার ছেলেমেয়ে সহ আরও অনেকেই আরবি শিক্ষা দেয় মসজিদে আযান দেয় আর আজ তার ছেলের কুকৃর্তি কারনে তাকে সমাজ থেকে বহিষ্কার করা হল একঘরে করা হল| হুজুর তার নিজের ছেলেকে প্রকৃত শিক্ষা দিতে ব্যার্থ এই তার গুরু অপরাধ|জয়নাল কে সুযোগ দেয়া হল সে চাইলে এই বউকে তালাক দিয়ে নতুন বিয়ে করতে পারে কেউ তার উপর আরোপ আনবেননা|
জয়নালের. মা কর্কশ স্বরে জানান দিল এই বউকে এক্ষুনি তালাক দিয়া বাপের বাড়ি পাঠাতে এমন দুশ্চরিত্রা বউ ঘরে রাখার কোন মানে নাই ছেলেকে তিনি আবার বিয়ে করাবেন |তারপর ই.মুখে কাপড় চেপে হু হু করে কেঁদে দিল হয়ত এতদিন এক সাথে থাকার কারনে যে মায়া জন্মেছে তার জন্য এই কান্না তারপর ও মন এই দুশ্চরিত্রা বউকে মেনে নিতে চাইছেনা|
জয়নালের সিদ্ধান্তের পালা জয়নাল দেখলো তার বউ আইভি এক কোনায় মাথা নিচু করে অপরাধীর মতন দাড়িয়ে আছে|মাত্র চৌদ্দ বছর বয়সে আইভিকে ঘরে এনেছে তার সাথে বউয়ের বয়সের ব্যবধান কিঞ্চিত বেশি তাও মন প্রান উজাড় করে বউকে ভালবেসেছে| এক বছরের মাথায় রিন্টি হল তারপর জয়নালের বিদেশ গমন| মাঝে বউটার শারিরীক সমস্যা দেখা দিল অনেক দিন বাচ্চা হলনা তারপর ঘর আলো করে পিঙ্কি আর লিজা| জয়নাল মনে মনে ছেলের আশা করেছে তবে কখন বউকে দুকথা শুনায়নি অন্য সবার মতন জয়নালের বৈজ্ঞানিক ব্যাখ্যা xy এর কথা জানা না থাকলে ও স্বল্প জ্ঞানে এতটুকু জানা ছেলে হওয়া নির্ভর করে বাবার উপর মায়ের উপর নয়|বউটা তিন সন্তানের জননী তাও যৌবন তার দেহে খেলা করে এখনও ছিপছিপে হ্যাংলা পাতলা গড়ন।|ভুল টা জয়নালের গতবার দেশে এসে দিদারকে বলেছিল তার মেয়েগুলো কে একটু পড়া দেখিয়ে দিতে| দিদার আইভিকে চাচী সম্মোধন করতো| তাছাড়া হুজুরের ছেলে দিদার। হুজুরের সংস্কারে বড় হয়েছে সেই ভেবে মনে কোন সন্দেহ কাজ করেনি|অনেক ভেবেচিন্তে জয়নাল আইভিকে ক্ষমা করে দিল| মন থেকে কি করতে পেরেছে? জয়নাল জানেনা|
যে বিশ্বাস একবার নষ্ট হয়েছে তা কি আর ঠিক হবে??পনের বছরের যে বিশ্বাস নষ্ট হয়েছে তাকি আর ফিরে আসবে কখনো??তার কিছুদিন পর জয়নাল সৌদি ফেরত গেল কিন্তু মন আর কিছুতেই টিকেনা ভেবেচিন্তে সব বেচে দিয়ে একেবারের জন্য দেশে চলে এল এখানে দোকান নিল| ছেলেটার দিকে মাঝে মাঝে সন্দেহের দৃষ্টি নিয়ে তাকায় তারপর আবার মনে হয় নাহ ছেলেটা তার দাদাজানের চেহারা পেয়েছে তাকে যখন বাবা বলে ডাকে সব সন্দেহের উর্ধ্বে গিয়ে জয়নাল ছেলেকে কোলে নিয়ে বুকের মধ্যে চেপে ধরে তৃপ্তির নিশ্বাস ফেলে!!
১০ ই জুলাই, ২০১৪ দুপুর ১২:১০
স্বপ্নছোঁয়া বলেছেন: এই গল্প আমাদের জানা গল্পের মধ্যেই পড়ে তবে সবাই জয়নালের মত ক্ষমাশীল নাও হতে পারে।
ধন্যবাদ ভালো থাকবেন।
২| ১০ ই জুলাই, ২০১৪ সকাল ১১:৫৪
বিদ্রোহী ভৃগু বলেছেন: এটা কি গল্প না সত্য ঘটনা!!!!!!!!!!
সত্যি পুরুষগুলার অসহায়ত্ব বেশ কষ্টের!!!!!
১০ ই জুলাই, ২০১৪ দুপুর ১২:২৪
স্বপ্নছোঁয়া বলেছেন: হুম কিছুটা সত্যি হুজুরের পরিবারের ব্যাপারটা আমি শুনেছিলাম হুজুর আর কখনো মাথা উচু করে চলতে পারেনি সমাজে। কারো সাথে কথা ও বলতো না।
পুরুষ গুলা যে অসহায় তা নয় অধিকাংশ সময় মেয়েরাই অসহায় তবে এই গল্পে জয়নাল অসহায়ত্বের স্বীকার!!
৩| ১০ ই জুলাই, ২০১৪ দুপুর ১২:২৮
রাহুল বলেছেন: মনে হলোনা গল্প যেনো সমাজের প্রতিচ্ছবি। ভালো লাগলো।
১০ ই জুলাই, ২০১৪ দুপুর ১২:৩৩
স্বপ্নছোঁয়া বলেছেন: ধন্যবাদ রাতুল। আপনার ভালো লেগেছে জেনে ভালো লাগলো
৪| ১০ ই জুলাই, ২০১৪ দুপুর ১২:৩৫
ডি মুন বলেছেন:
আরো ভালো লিখে চলুন।
শুভকামনা রইলো আপনার জন্য।
১০ ই জুলাই, ২০১৪ দুপুর ১২:৪৯
স্বপ্নছোঁয়া বলেছেন: ধন্যবাদ ডি মুন ।
ভালো থাকুন।
৫| ১০ ই জুলাই, ২০১৪ দুপুর ১২:৪৩
জেরিফ বলেছেন: সাথে আছি , নিজের মত করে চালিয়ে যান ।
১০ ই জুলাই, ২০১৪ দুপুর ১২:৫০
স্বপ্নছোঁয়া বলেছেন: উৎসাহ পাইলাম
ভালো থাকবেন।
৬| ১০ ই জুলাই, ২০১৪ দুপুর ২:২২
অারিফুজ্জামান বলেছেন: বর্তমান সমাজের প্রতিচ্ছবি। ভালো লাগলো।
১৩ ই জুলাই, ২০১৪ সকাল ১০:৩০
স্বপ্নছোঁয়া বলেছেন: ধন্যবাদ আরিফুজ্জামান ।
৭| ১০ ই জুলাই, ২০১৪ দুপুর ২:৪৮
সোহানী বলেছেন: ভালো লাগলো।
১৩ ই জুলাই, ২০১৪ সকাল ১০:৩১
স্বপ্নছোঁয়া বলেছেন: আপনার ভালো লেগেছে জেনে ভালো লাগলো প্রিয় সোহানী।
৮| ১০ ই জুলাই, ২০১৪ দুপুর ২:৫৩
অপর্ণা মম্ময় বলেছেন: আমাদের সমাজেরই প্রতিচ্ছবি।
১৩ ই জুলাই, ২০১৪ সকাল ১০:৩৩
স্বপ্নছোঁয়া বলেছেন: হুম ,আমাদের সমাজেরই প্রতিচ্ছবি
ভাল থাকুন।
৯| ১০ ই জুলাই, ২০১৪ বিকাল ৩:২৭
মুদ্দাকির বলেছেন:
ভালোই হয়েছে গল্প ++++
একটা কথা বলতে চাইঃ
আমি যতদূর জানি ইসলামে একটা নিয়ম আছে, যে চার মাসের বেশী সময় স্ত্রী থেকে দূরে থাকা যাবে না। নিয়মটা হযরত উমর রাঃ এর সময় করা বলে জানি, তখন ইসলামী সম্রাজ্য অনেক বড় হয়ে গিয়েছিল, ফলে অনেক সৈন্যের স্ত্রীগন হয়ত স্বামীথেকে দীর্ঘ দিন দূরে থাকতেন, এই ব্যাপারটাকে খেয়াল করেন খলিফা হযরত ঊমর রাঃ। এই ব্যাপারটা খেয়াল করে ৪ মাস অন্তর অন্তর বাড়িতে ফেরা সৈন্যদের জন্য রুল ছিল। আসলে আমার খুব সহজেই মেয়েদের শারীরিক চাহিদার ব্যাপার গুলো ইগনোর করি। কিন্তু ইগনোর করবার আগে স্ত্রীদের বারবার জিজ্ঞাস করা উচিৎ। বা বারবার না হলেও কখন তো জিজ্ঞাস করা উচিৎ!!!!!!!!! প্রায়ই খেয়াল করবেন যে ছেলে বিদেশ যাবে বলে তরিঘড়ি করে বিয়ে, অতঃপর বিয়ের এক মাসের মাথায় বিদেশ যাত্রা, এবং বছরের পর বছর অনুপস্থিতি!!!!! এই ব্যাপারটা খুব বেশি রি-থিকিং জরুরী ।
১৩ ই জুলাই, ২০১৪ সকাল ১০:৪৩
স্বপ্নছোঁয়া বলেছেন: চার মাসের ব্যাপারটা আমিও জানি আমি এমন কিছু পরিবার দেখেছি যাদের স্বামী ছয় বছর পর দেশে আসে এদের জন্য আমার অনেক বেশি সমবেদনা!!স্বামী স্ত্রী দুজনই দুজনের সঙ্গ পাবার অধিকার রাখে। এর ব্যাতিক্রম হওয়া উচিত না তাও হয়.।।
১০| ১০ ই জুলাই, ২০১৪ বিকাল ৪:০৫
মিনুল বলেছেন: ভালই! চালিয়ে যান।
১৩ ই জুলাই, ২০১৪ সকাল ১০:৪৬
স্বপ্নছোঁয়া বলেছেন: ধন্যবাদ মিনুল।।
চালিয়ে যাবার ইচ্ছে আছে উৎসাহ কামনা করি
১১| ১০ ই জুলাই, ২০১৪ বিকাল ৪:১১
বঙ্গভূমির রঙ্গমেলায় বলেছেন: ভাল লাগল লেখা।
১৩ ই জুলাই, ২০১৪ সকাল ১০:৪৭
স্বপ্নছোঁয়া বলেছেন: ধন্যবাদ রঙ্গভূমির রঙ্গমেলায়।
ভালো লাগা জেনে ভালো লাগলো
১২| ১০ ই জুলাই, ২০১৪ বিকাল ৪:৩১
এইচ তালুকদার বলেছেন: পড়ে ভালো লাগলো।
যদীও আমার মতে"ক্ষমা"দুর্বলতারই নামান্তর,তারপরও সবার ই দ্বিতীয় সুযোগ পাওয়া উচিত।
১৩ ই জুলাই, ২০১৪ সকাল ১০:৪৯
স্বপ্নছোঁয়া বলেছেন: ধন্যবাদ।
মন্তব্যে সহমত দ্বিতীয় সুযোগ পাওয়া উচিত।
১৩| ১০ ই জুলাই, ২০১৪ সন্ধ্যা ৬:২০
আবুহেনা মোঃ আশরাফুল ইসলাম বলেছেন: বিশ্বাস একবার নষ্ট হয়ে গেলে তা' আর কখনো ফিরে আসেনা। ধর্মীয় বিধি অনুযায়ী স্বামী স্ত্রী চার মাসের অধিক পৃথক থাকতে পারে না। কিন্তু দুঃখজনক হলেও এটা সত্য যে, আমাদের অনেক প্রবাসী ভাই এটা মেনে চলেন না। ফলে গল্পে বর্ণিত বহু ঘটনা ঘটতে দেখা যায়।
যাই হোক, চমৎকার গল্পের জন্য ধন্যবাদ, স্বপ্নছোঁয়া।
১৩ ই জুলাই, ২০১৪ সকাল ১১:০০
স্বপ্নছোঁয়া বলেছেন: ধন্যবাদ প্রিয় আশরাফুল ভাই।
আসলেই এমন গল্প বহু দেখা যায় ভাল লাগেনা আমার।না ভালো লাগা থেকেই এই লিখা।তবে এক ঘরে করার ব্যাপারটা এখন মনে হয় তেমন দেখা যায়না। ছেলের কর্মে বাবাকে এক ঘরে করার ব্যাপারটা আমার জন্য মেনে নেয়াটা কষ্টের।
গত দুইদিন বেশ অসুস্থ ছিলাম তাই রিপ্লাই করতে দেরি হল,দোয়া রাখবেন।
১৪| ১১ ই জুলাই, ২০১৪ রাত ৩:০৪
মাসূদ রানা বলেছেন: গল্পটা কার্যত আপনার নিজস্ব দৃষ্টিভঙ্গিকে ধারণ করছে ..... ফলে গল্পের মধ্যে যে প্রচ্ছন্ন দায় চাপানোর প্রবণতা লক্ষ্য করা গেছে তা বেশ শক্তভাবেই আপনার পুরুশবিদ্বেশ মনোভাবকে বিকশিত করেছে ..... যৌনতা এমন একটা এপ্লিকেশন .... যা তৈরী করে নারী ........ বাস্তবায়ন ঘটায় পুরুষ ...... সুতরাং যখনি কোন যৌন অপরাধ সংঘটিত হয় তাতে নারীর দ্বায়ই থাকে সিংহভাগ .... প্রচ্ছন্ন কিংবা প্রত্যক্ষভাবে ........ ভবিষ্যতে আরো ভালো লিখবেন আশা করি ...... নিজের মনোভাব/ইমোশনকে লেখায় প্রয়োগ না করাটাই সফল লেখনীর শক্তিশালী বৈশিষ্ট ........ ধন্যবাদ
১৩ ই জুলাই, ২০১৪ সকাল ১১:০৫
স্বপ্নছোঁয়া বলেছেন: নিজের মনোভাব অথবা ইমোশন কে প্রয়োগ না করলে সেটা আমার লিখা হবে কি করে
১৩ ই জুলাই, ২০১৪ সকাল ১১:১০
স্বপ্নছোঁয়া বলেছেন: লেখক বলেছেন: নিজের মনোভাব অথবা ইমোশন কে প্রয়োগ না করলে সেটা আমার লিখা হবে কি করে।
আসলে কোন বিদ্বেশ নয় এটা অনেক জানা গল্পেরই একটা।
ধন্যবাদ আপনি গল্পটা পড়ে গুরুত্বপূর্ণ মন্তব্য দেয়াতে।
১৫| ১১ ই জুলাই, ২০১৪ রাত ৩:২৬
নতুন বলেছেন: ভাল গল্প... সমাজের বাস্তব থেকে নেওয়া মনে হয়..
প্রবাসী সম্পকে কিছু বলি...
প্রবাসীদের ৯৫% ই পরিবার নিয়ে থাকার মতন চাকুরী করেনা.... তারা স্ত্রী দেশে রেখে বছরের পরে বছর কাটায়...
সমাজ নারীদের যৌনতার কথা চিন্তা করেনা... তাই প্রবাসীরা বিয়ের পরেই একটা সন্তানে ততপর হয়...
আর প্রবাসীদের বাস্তবতাই এমন যতই ৪মাসের নিয়ম থাকুক না কেন.... অনেকে ৪ বছরে দেশে যেতে পারেনা...
তাই এই সমস্যা গুলি প্রবাসীদের ছাড় দিতেই হয়...
১৩ ই জুলাই, ২০১৪ সকাল ১১:১৫
স্বপ্নছোঁয়া বলেছেন: মন্তব্যে সহমত।
সুন্দর গোছানো মন্তব্য দেয়ার জন্য ধন্যবাদ নতুন ।
১৬| ১১ ই জুলাই, ২০১৪ বিকাল ৪:৩০
আবু শাকিল বলেছেন: নিষিদ্ধ গল্প... অনেক শুনেছি,পড়েছি
প্রবাসী এই সমস্যা র সমাধান কি ?
১৩ ই জুলাই, ২০১৪ সকাল ১১:২০
স্বপ্নছোঁয়া বলেছেন: সমাধান,নিজেরদের সুবিধা মতন নিজেরা বের করে নিতে হবে
ধন্যবাদ আবু শাকিল।
১৭| ১১ ই জুলাই, ২০১৪ রাত ১১:২৭
আরজু পনি বলেছেন:
বিশ্বাস একবার ভেঙ্গে গেলে তা আর ফিরে আসে না...তারপরও সম্পর্ক টিকে থাকে টিকিয়ে রাখতে হয় বলেই।
লেখাটায় বাস্তবতার ছোঁয়া পেয়ে ভালো লাগলো।
শুভেচ্ছা রইল আপনার জন্যে।।
১৩ ই জুলাই, ২০১৪ সকাল ১১:২২
স্বপ্নছোঁয়া বলেছেন: বিশ্বাস একবার ভেঙ্গে গেলে তা আর ফিরে আসে না...তারপরও সম্পর্ক টিকে থাকে টিকিয়ে রাখতে হয় বলেই।
ধন্যবাদ আরজুপনি
আপনার ভালো লেগেছে জেনে ভালো লাগলো।
১৮| ১২ ই জুলাই, ২০১৪ রাত ১২:৫১
রাজা বাহাদুর বলেছেন: বদমাশ মেয়েরা আজকাল মিথ্যা নারী নির্যাতন ও যৌতুক মামলা দিয়ে নিরীহ পুরুষগুলারে এমনভাবে ফাঁসায় যে বেচারা স্বামীর অবস্থা কাহিল হয়ে যায় তাছাড়া কিছু বদমাশ ডাক্তারও প্রস্তুত থাকে মোটা টাকার বিনিময়ে ভুয়া মেডিক্যাল সার্টিফিকেট দিতে,শুনছি ঢামেক এর ডক্তার নাকি এই পর্যন্ত ৩০ হাজার ভুয়া সার্টিফিকেত ইস্যু কইরা কোটি কোটি টাকা কামাইছে। আফসোস মিথ্যার জোর এত বেশী। এইসব বেশিরভাগ ভুয়া মামলার শিকার আবার প্রবাসীরাই কারন প্রবাসীরা দীর্ঘদিন দেশে থেকে এইসব মামলা ফেস করতে সমস্যায় পড়ে যায় যে কারনে অর্থলোভী ও চরিত্রহীনা স্ত্রীর অনেক ফালতু কার্যকলাপ মুখ বুঁজে সহ্য করা ছাড়া উপায় থাকে না।
১৩ ই জুলাই, ২০১৪ সকাল ১১:৪১
স্বপ্নছোঁয়া বলেছেন: ৩০ হাজার ভুয়া সার্টিফিকেট এর ব্যাপারটা আমি ঠিক জানিনা, আমার গল্পের মতন এমন ঘটনা হয় অনেক ,আসলে বদমাশ ঠিক বলা যাবেনা তবে আপনার মন্তব্যের বিপরীতে একটু বলি রাজা বাহাদুর বেয়াদবি নিবেন না -এমন অনেক কুচরিত্রের পুরুষ আছেন যারা বিদেশে একটি বিবাহ করে আবার দেশে এসে নিরীহ আরেকটি মেয়েকে বিয়ের জালে আটকায়।আবার এমন ও দেখা যায় নিরীহ দরিদ্র ঘরের মেয়েকে বিয়ে করে ,বিয়ে ঠিক বলা যাবেনা বিয়ে নামের নাটক সাজিয়ে বিদেশে নিয়ে গিয়ে দেহ ব্যবসায় চালাতে চায়। একচেটিয়া কার দোষ আমি দিতে চাইনা।তবে আমাদের দেশে নারীরা কতটা কোণঠাসা তা হয়ত আমাকে আলাদা করে বলতে হবেনা।
ধন্যবাদ গল্পটা পড়ে আপনার মন্তব্য দেয়ার জন্য
১৯| ১২ ই জুলাই, ২০১৪ রাত ১২:৫৪
মামুন রশিদ বলেছেন: পরকিয়া কিভাবে সংসার, সম্পর্ক আর বিশ্বাসের উপর আঘাত হানে তা চমৎকারভাবে উঠে এসেছে গল্পে ।
১৩ ই জুলাই, ২০১৪ সকাল ১১:৪৪
স্বপ্নছোঁয়া বলেছেন: পরকিয়া কিভাবে সংসার, সম্পর্ক আর বিশ্বাসের উপর আঘাত হানে তা চমৎকারভাবে উঠে এসেছে গল্পে ।
গল্পটা পড়ে সুন্দর মন্তব্য দেয়াতে অশেষ ধন্যবাদ মামুন ভাই
২০| ১২ ই জুলাই, ২০১৪ রাত ১:০১
জুলিয়ান সিদ্দিকী বলেছেন: প্রবাসীরা বুদ্ধু বলে তাদেরে চুষে চুষে ছিবড়ে বানানো সহজ। প্রবাসী হলেই বেশিরভাগ মেয়েদের চোখ থাকে তাদের টাকাটার দিকে। সেই টাকায় নিজেদের গায়ে গত্তি বাড়াবে আর শয্যাসঙ্গী হবে অন্যের। এটা তারা খুব চাপে না পড়লে স্বীকার করতে চায় না। যদি স্বামীটা নিরীহ বা সামাজিক অবস্থানের দিক দিয়ে দুর্বল হয় তাহলে বেচারা স্বামী চোখের সামনে অনাচার দেখেও মুখ বুজে সহ্য করতে হয়।
আবার উলটো পিঠও আছে এর। কত মেয়ের চোখের পানিই ভরসা। স্বামীর কুকর্ম দেখে জেনে হজম করতে হয় দুটো ভাত-কাপড়ের আশায়। কখনো বা বাবা-মায়ের কাঁধে বোঝা হবে না বলে থেকে যায় সব মেনে নিয়েও।
১৩ ই জুলাই, ২০১৪ সকাল ১১:৫০
স্বপ্নছোঁয়া বলেছেন: মন্তব্যে সহমত ।
গল্পটা পড়ে এত সুন্দর মন্তব্যে স্বামী স্ত্রী উভয় পক্ষের অবস্থান টা তুলে ধরার জন্য ধন্যবাদ জুলিয়ান দা।
২১| ১২ ই জুলাই, ২০১৪ সকাল ১১:৪১
অতঃপর জাহিদ বলেছেন: বিয়ে করে বউকে নিয়েই বিদেশে যাওয়া উচিত।
১৩ ই জুলাই, ২০১৪ সকাল ১১:৫২
স্বপ্নছোঁয়া বলেছেন: কথা সত্য সবাই পারেনা অপারগ
ধন্যবাদ আপনাকে অতঃপর জাহিদ।
২২| ১২ ই জুলাই, ২০১৪ বিকাল ৫:৪৩
নতুন বলেছেন: @ অত:পর জাহিদ ভাই...
আমার অভিঙ্গতা হলো মধ্যপ্রচ্যে যারা থাকেন তাদের ৯০-৯৫%ই স্ত্রী নিয়ে যাবার মতন বেতন পায়না...
এখানে ১-১.৫ লক্ষটাকা বেতন + কম্পানীর দেওয়া বাড়ী হলেই পরিবার নিয়ে ভাল মতন থাকবে পারবেন....
কয়জন পারে ??
১৩ ই জুলাই, ২০১৪ সকাল ১১:৫৫
স্বপ্নছোঁয়া বলেছেন: অনেকেই পারবেনা।
২৩| ১২ ই জুলাই, ২০১৪ বিকাল ৫:৪৮
হাসান মাহবুব বলেছেন: মানবমনের টানাপোড়েন আর বাস্তবতার গল্প। ভালো লাগলো।
১৩ ই জুলাই, ২০১৪ সকাল ১১:৫৮
স্বপ্নছোঁয়া বলেছেন: ধন্যবাদ হাসান মাহবুব,আপানর ভালো লাগলো জেনে প্রীত হলাম
ভালো থাকুন।
©somewhere in net ltd.
১|
১০ ই জুলাই, ২০১৪ সকাল ১১:৪৯
আধখানা চাঁদ বলেছেন: গল্পের প্লট,পরিবেশ চিত্রণ ঠিক আছে। কিন্তু মোড় নেই। আগেই যেন জানা কী হতে যাচ্ছে।
ভাল হয়েছে, আরো ভাল হতে পারত।
শুভকামনা।