![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
কেউ কথা বললেও কি লাভ, তাই একদম চুপ..!!!
যুগে যুগে তারাই ওরা যারা অসম্মান করে এসেছে এই দেশকে, এই দেশের মানুষকে, আমাদের মহান স্বাধীনতাকে ও মুক্তিযুদ্ধের শহীদদেরকেও। তবুও ওরা দাবী করে ওরাই স্বাধীনতা ও মুক্তিযুদ্ধের একমাত্র কান্ডারী তথা মুক্তিযুদ্ধের সপক্ষের শক্তি আর বিএনপি না কি মুক্তিযুদ্ধের বিপক্ষ শক্তি, যা আসলে সত্যিই হাস্যকর বটে। এই ব্যাপারে তারেক রহমান খুব সুন্দর একটা কথা বলেছেন তা হলোঃ
"বিএনপি মুক্তিযুদ্ধের সপক্ষের দল নয়, বিএনপি মুক্তিযুদ্ধের দল-মুক্তিযোদ্ধাদেরই দল।"
এমন সত্য কথা বলার জন্য জনাব তারেক রহমান আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ।
আসলে আজ আমাদের বাংলাদেশের বাস্তবতায় এই বিষয়টি সত্যই পীড়াদায়ক যে আজ আমরা স্বাধীনতার ৪৪ বছরেও জাতি সত্ত্বার প্রকশের মাধ্যমে জাতীয় ঐক্য ও সংহতির মাধ্যমে জাতির প্রকৃত স্বরূপ আজও ফুটিয়ে তুলতে পারি নাই আমাদের নিজেদের মাঝেই বরং আমরা এখনো স্বাধীনতাকে নিয়েই বিতর্ক করছি বা বিতর্কিত করে যাচ্ছি একে অপরকে কিন্তু কোন জাতি তাদের স্বাধীনতা নিয়ে বিতর্কিত রাজনীতি করে কিনা আমার জানা নেই। আমি মনে করি যে জাতি তার প্রকৃত স্বরূপে আত্ম প্রকাশ হতে পারেনি সে জাতির কাছে স্বাধীনতা মূল্যহীন বলে এই স্বাধীনতাকে নিয়ে এসব অহেতুক বিতর্ক নয় কি? আমাদের দেশের মানুষ আসল সহজ সরল এবং একশ্রেনীর লুটেরা এই সহজ সরল মানুষের মাঝে বিভেদ সৃষ্টি করে ফায়দা লুটতেই একেক সময় একেক ইস্যুকে ব্যাবহার করতেই তারা কখন স্বাধীনতাকে, কখন ধর্মকে, কখনবা মৌলবাদ ব্যবহার করছে তা ছাড়া ঐ চেতনা ধর্মনিরপেক্ষতা সম্প্রদায়িকতা জঙ্গী ইত্যাদি ইস্যু কখন দেশের রাজনীতি ও গনতন্ত্রের চর্চার প্রসঙ্গিক বিষয় বস্তু হিসেবে আসতে পারে না।
আমি মনে করেছি যে, শিকড়ের সন্ধানে আগে জানতে হবে আমরা নিজেদের এবং বুঝতে হবে এই ভুখন্ডে আমরা ১৬ কোটি কিসের টানে কেন? আসলে বোধটুকু আজ আমাদের মাঝে নেই বলে এখানে আজ এই সব অপচেতনায় মিথ্যাবোধে ঐ লুটেদের ব্যবসার পুঁজি আমাদের দেশ, দেশের মানুষ এবং আমাদের মহান স্বাধীনতাও।
মনে রাখতে হবে স্বাধীন বাংলাদেশে আজ আমরা যারা বসবাস করছি তারা বা তাদের পূর্বপূরুষ এই বাংলাদেশের স্বাধীনতার অবিচ্ছেদ্য অংশ এবং আমি 'স্বাধীনতা' বলতে বুঝি যে,
"একটি ভুখন্ডের মানুষের সকল প্রকার স্বাধীনতা ভোগের অধিকার প্রতিষ্ঠার জন্য জাতি হিসেবে আত্মপ্রকাশের কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ ও সবার নিকট গ্রহণযোগ্য অধিকারসমুহকে সম্মিলিতভাবে ভোগের লক্ষ্য জাতীয়তার এবং এর ভিত্তিতে ঐ ভুখন্ডের মানুষের জাতীয়তার বহিঃপ্রকাশ স্বরূপ একটি স্বাধীন রাষ্ট্র হিসেবে বিশ্ববাসীর স্বীকৃতি লাভের নৈতিকতা অর্জনই 'স্বাধীনতা'।"
তাই ভুখন্ডের 'স্বাধীনতা' বলতে তো শুধু কি একটি যুদ্ধ বা একক কারো প্রচেষ্টার ফল?
আমি মনে করি তা নয়।
একাত্তরের এই ভুখন্ডের মানুষের হাজার বছরের অবিচার বঞ্চনা আর শোষন ও অত্যাচারের ফলে মানবতার সকল সীমালঙ্ঘনেই এই ভুখন্ডের মানুষগুলি মুক্তির আকংখাই শ্বাশত বহিঃপ্রকাশের স্বরূপই সময়ের প্রয়োজনে এবং ঐ শোষন ও অত্যাচারের পরিসমাপ্তি ঘটাতেই যখন এই ভুখন্ডের মানুষগুলির ঐক্যবদ্ধ প্রয়াসই আমাদের মহান মুক্তিযুদ্ধ এবং তারই ফল আমাদের স্বাধীনতা। যার ফলশ্রুতিতেই জন্ম হয় এই বাংলাদেশ এবং আমাদের এই বাংলাদেশী জাতির।
তাই যাদের কাছে স্বাধীনতা' মানে শুধু একটি যুদ্ধই যা একক কারো প্রচেষ্টার ফল এবং তাঁরা ঐ নেতা ও স্বাধীনতার একক স্বত্ত্বাধিকারী এবং রাজনীতি তাদের কর্পোরেট ব্যাবসা; আর দেশটা তাদের জমিদারী বা কর্পোরেট সম্পত্তি এবং দেশের গনমানুষেরা প্রজা বা শ্রমিক কর্মচারীতুল্য; তারা তো এমনই হবে। আর এই জন্যই শহীদদের আত্মত্যাগের প্রতি সম্মান জানানোর সময় শিষ্টাচার ভেঙ্গে শহীদ বেদীতে জুতা পায়ে ফুল দিলেন জাতীয় সংসদের চিফ হুইপ আ. স. ম ফিরোজ। এর আগেও প্রতি বছরই এদের কেউ না এমন করতে দেখছি যেন কোন বিকারই নেই।
বৃহস্পতিবার সকালে পটুয়াখালীর বাউফল উপজেলা চত্বরের স্বাধীনতা স্তম্ভে জুতা পায়ে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা নিবেদনের এমন দৃশ্য দেখে উপস্থিত অনেকে হতবিহব্বল হয়ে পড়েন। বিষয়টি নিয়ে উপজেলার বিভিন্ন মহলে সমালোচনার ঝড় বইছে। ঘটনার সময়ে উপস্থিত নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক পৌর সদরের একাধিক ব্যাবসায়ী বলেন, শহীদদের প্রতি এমন অবমাননা মেনে নেয়া যায় না। ক্ষমতার উচ্চ আসনে থেকে ও নিজেকে স্বাধীনতার স্বপক্ষের মানুষ পরিচয় দিয়ে বেদীতে কিভাবে জুতা নিয়ে ওঠেন তিনি। জেলা মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার এম এ হালিম বলেন, জুতা ‘পবিত্র’ হলে তা পড়ে জানাজার নামাজ পড়া যায়। হয়তো চীফ হুইপ মহোদয়ের জুতা ‘পবিত্র’ ছিল এ কারণে তিনি জুতা খোলেন নি। তবে জুতা খুললে ভাল হতো।
ভাই কেউ কথা বললেও কি লাভ, তাই একদম চুপ...........................?
©somewhere in net ltd.