![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
যুবলীগ নেতা জাকির হোসেন অভিযোগ প্রসঙ্গে বলেন, "হিন্দুরা ইচ্ছা করেই এলাকা থেকে ঘরগুলো বিক্রি করে চলে গেছে।"
বড় বড় নারকেল, সুপারি, বরইসহ বিভিন্ন ধরনের ফল আর ফুলগাছে ঘেরা ভিটেগুলো। ঘর নেই, মানুষও নেই। শূন্য ময়দানে সনাতন ধর্মাবলম্বী পরিবারগুলোর শেষ চিহ্নগুলো জানান দিচ্ছে কিছুদিন আগেও সেখানে মানবের বসবাস ছিল। বরগুনার তালতলী উপজেলার পঞ্চকোড়ালিয়া ইউনিয়নের চন্দনতলা (মগপাড়া হিসেবে পরিচিত) গ্রামে গিয়ে এমন চিত্র দেখা গেছে। স্থানীয় এক যুবলীগ নেতার ইশারায় সন্ত্রাসীদের তাণ্ডবে ওই গ্রামের ১৪টি হিন্দু পরিবার তাদের বাপ-দাদার ভিটেমাটি ছেড়ে চলে যেতে বাধ্য হয়েছেন বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে।
সরেজমিন ওই গ্রামে গিয়ে দেখা গেছে, শূন্য ভিটেয় আছে পুকুর, পাকা টয়লেট। পড়ে আছে ক’দিন আগে রান্নার কাজে ব্যবহৃত চুলা। ঘরের মেঝেতে পড়ে আছে মাটির সানকিসহ পুরানো অসংখ্য চিহ্ন। শুধু মানুষ নেই। দিনের পর দিন অত্যাচার-নির্যাতনের শিকার হয়ে বিচার না পেয়ে হিন্দু পরিবারগুলো বাপ-দাদার ভিটে ছেড়ে চলে যেতে বাধ্য হয়েছেন বলে ভুক্তভোগী ও স্থানীয়দের অভিযোগ। ভুক্তভোগী যাদব সরকার (৪৩) দ্য রিপোর্টকে বলেন, ‘স্থানীয় মুনসুর আকনের ছেলে আ. রশিদ আকন (৪২) প্রায়ই তাদের নিকট চাঁদা দাবি করতো। না দিতে পারলে ভয়ভীতি দেখাতো। তার স্কুলপড়ুয়া মেয়েকেও সে নানাভাবে উত্ত্যক্ত করতো।’ তিনি বলেন, ‘রশিদের রক্তচক্ষুর ভয় উপেক্ষা করে স্থানীয়ভাবে বিচার চেয়েও না পেয়ে অবশেষে বাধ্য হয়ে নারী ও শিশু নির্যাতন আইনে মামলা দায়ের করেন। মামলায় রশিদ জেল খাটে। জেল থেকে ফিরে সে আরও ক্ষিপ্ত হয়ে ওঠে। পরে স্থানীয় আওয়ামী লীগ নেতাদের সমন্বয়ে বিচারের আশ্বাসে মামলা তুলে নেওয়া হয়। কিন্তু বিচার পাওয়া তো দূরের কথা জেল থেকে ছাড়া পেয়ে রশিদ হিন্দু পরিবারগুলোর ওপর বিভিন্নভাবে অত্যাচার শুরু করে।’ তিনি অভিযোগ করেন, ‘নির্যাতনের মুখে ২০১৩ সালের শুরুর দিকে প্রথম তিনটি পরিবার গ্রাম ছেড়ে বরগুনা শহরে আশ্রয় নেয়। একই কারণে ২০১৪ সালের শুরুর দিকে আরও দুটি পরিবার শহরে আশ্রয় নেয়। সর্বশেষ ১৩ মার্চ মগপাড়া গ্রাম থেকে নয়টি পরিবার একযোগে ভিটেমাটি ত্যাগ করেন।’
স্থানীয়দের অভিযোগ, একের পর এক অন্যায়ের বিচার না পেয়ে পরিবারগুলোর সদস্যদের বুক ফেটেছে তবু মুখ ফোটেনি। অবশেষে অত্যাচার-নির্যাতন সহ্য করতে না পেরে বাপ-দাদার ভিটেমাটি ছেড়ে অনিশ্চিত ভবিষ্যতের দিকে পা বাড়িয়েছে পরিবারগুলো। ভয়ে-আতঙ্কে মামলা পর্যন্ত করতে তারা সাহস পায়নি।
২| ২৮ শে মার্চ, ২০১৫ ভোর ৫:৩৭
ছিপি বলেছেন: রাজনৈতিক নিক :/
ঘটনা সত্য হইলে ঐ বেটার ইয়ে খুলে নেয়া হোক। >
©somewhere in net ltd.
১|
২৮ শে মার্চ, ২০১৫ রাত ১:২৬
গ্রহান্তরের বাসিন্দা বলেছেন: Click This Link