![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
বাংলা পরিক্ষার আগে সারারাত ‘গরু’ রচনা মুখস্ত করে, প্রশ্ন পত্রে দেখতাম ‘আমাদের গ্রাম’ আসছে তখন যেমন বানিয়া বানিয়ে লিখতে হতো, আমার এই লেখাটা অনেকটা সেরকম। আমার ‘লেখালেখি’র(!) সাথে অপরিচত এবং অল্প-পরিচতদের জন্য একটু ভুমিকা প্রয়োজন। ফেইসবুকের এর নোটে মাঝে মাঝে ছাইপাশ লিখে রাখার কল্যানে ইদানিং বন্ধু মহলে আমার একটা লেখক ইমেজ দারিয়েছে। সবাই মজার মজার কমেন্ট দিয়ে আমাকে উৎসাহ দিচ্ছে। কেউ কেউ আমার কাছ থেকে খিচুরী খাবার অভিসন্ধি নিয়েও কমেন্ট করছে! সে যাই হোক না কেন, আল্টিমেট বেপার হলো, আমি লেখালেখিতে উৎসাহ পেয়েছি। তাই পরবর্তি লেখাটা কি নিয়ে লিখব ভাবছিলাম। নিরামিশ জীবনে তেমন কোন ঘটনাও ঘটছেনা যে লিখে ফেলব। যেহেতু অবসরের বেশিরভাগ সময়ই ফেইসবুকে পরে থাকি। তাই হঠাৎ মনে হল যে ‘ফেইসবুকের আদর্শ ব্যাবহার’ টাইপ একটা রচনা লিখে ফেলি। ভাবনা অনুযাই মনে মনে লেখার জন্য প্রস্তুত হচ্ছিলাম। উইকএন্ডে লিখব বলে ঠিক করে রেখেছি। কিন্তু সকালে ঘুম থেকে উঠে দেখি আমার এক পুরোনো বন্ধু সুদুর অস্ট্রেলিয়া থকে এফ. বি. তে ম্যাসেজ পাঠিয়েছে যে তার মন খুব উদাস। সে কিভাবে ছোট থেকে বড় হয়ে গেলো, তার খালা, মা, বাবা কিভাবে বুড়ো হয়ে যাচ্চে তার একটা ছোটখাটো সাহিত্যিক বর্ননা দিয়েছে এবং ম্যাসেজ এর একদম শেষর অংশে আমাকে এই বিষয়ে একটি লেখা লেখার জন্য অনুরোধ করেছে!!
আর আমি যেহেতু এখনো বিরাট কোন লেখক হয়ে যাইনি, তাই এই ধরনের অনুরধে আগ্রহ নিয়ে সারাদিচ্ছি। যদিও বেপারটা আমার জন্য কঠিন হয়ে গেল। রচনাটা কমন পরলো না! বানিয়ে বানিয়ে লিখতে হচ্ছে। তাই মার্কসও তেমন বেশি পাবার আশা নেই। পৃষ্ঠা ভরে কিছু একটা লিখে পাশ করতে পারলেই হলো…
ছোটবেলাঃ
আমাকে স্কুলে ভর্তি করানো হলো। ৪ বছর বয়স। প্রথম ক্লাসে নিয়ে গেলো আম্মু। কিছুতেই ক্লাসে বসাতে পারছিল না। কয়েকটা চড় থাপ্পর খাবার পর গলা ফাটিয়ে চিৎকার শুরু করলাম।মনে পরছে, আমার ক্লাস টিচার আমাকে কোলে নিয়ে ক্লাসে পড়াচ্ছিলেন,
‘সবাই বলো- A। সাবাই চিৎকার করে বলছিল এ…এ…এ…। সবাই বলো B… ’।
ইউনিভার্সিটিতে পড়ার সময়ও তাঁর সাথে মাঝে মাঝে রাস্তায় দেখা হয়ে যেত। উনাকে আমার একদম আগের মতই লাগতো। আমি যেভাবে বড় হয়েছি উনি ঠিক সেভাবে বুড়ো হননি।
ঝুমু আপু আর আমি পিঠাপিঠি ভাইবোন। আমারা একসাথে একই রকম ব্যাগ নিয়ে, একই রকম জুতা মুজা পরে স্কুলে যেতাম। ও যে আমার থেকে বয়সে বড় সেটা সে আমার উপর খবরদারি করে প্রতি নিয়ত বুঝিয়ে দিত। কিন্তু আমি কিছুতেই মেনে নিতে পারতাম না যে আমি ওর চেয়ে ছোট। আমাকে যদি কেউ জিজ্ঞাস করত-
তোমরা কয় ভাইবোন?
আমি বলতাম, দুই ভাই-বোন।
তুমি বড় না তোমার বোন বড়?
- আমরা পিঠাপিঠি (শব্দটা নানুর কাছ থেকে শেখা), এই ধরেন, ঝুমু আপু আমার চেয়ে পাচ ছ্য় মাসের বড় হবে হয়ত! (আপন ভাই-বোনদের মাঝে বয়সের যে একটা অতি চিরন্তন নুন্যতম গ্যাপ থাকে, তা তখনো আমার বোধগম্য ছিল না)
অবশ্য আট বছর বয়সে আমাকে দুইটা উত্তরই পাল্টে ফেলতে হল। কারন আমার ছোট ভাই, রিয়েল জম্মালো। রিয়েলের জন্মের পর আমাকে বেশ অনেকদিন মনে মনে প্রাক্টিস করতে হয়েছে-
‘আমারা তিন ভাই বোন। এবং আমি মেঝ’। ‘আমারা তিন ভাই বোন। এবং আমারা দুই ভাই এক বোন’। …
ঝুমু আপু আমার চেয়ে দ্রুত বড় হচ্ছিল। ও বড় হতে হতে এক সময় প্রায় আমার আম্মু আর খালাদের সমান হয়ে গেল! এক ফোটাও মিথ্যে বলছি না। নিজের চোখে দেখছি অপরিচিত লোকরা ঝুমু আপু কে আম্মুর বোন ভেবে কথা বলছে আর খালাদের সাথে কোথাও গেলে ওকে তাদের বোন ভাবছে। এবং আশ্চর্য্য রকম ভাবে এক সময় এদের চেহারাও একই রকম হয়ে গেল!(কেউ বিশ্বাস না করলে আমি ছবি দেখাতে রাজি আছি)
সেই সময় আমি ভাবছিলাম, আমিও বুঝি বড় হতে হতে একদিন আমার ছোট মামাকে ধরে ফেলব। কিন্তু বেপারটা আমার বেলায় এত সহজ ছিল না। আমি যত বড় হই মামাও ততোই বড় হয়ে যায়। আমি কিছুতে আর তার সমান হতে পারি না। নিজের আপন ছোটভাই এর থেকে ৮ বছরের বড় হওয়া সত্তেও আমাকে বেশ অনেকদিন পর্যন্ত ছোটই থেকে যেতে হয়েছিল শুধুমাত্র ঝুমুআপুর কারনে।(চলবে)
মে ০৪, ২০১০
লিনশপিং
সুইডেন
©somewhere in net ltd.
১|
১৪ ই মে, ২০১০ ভোর ৪:৪৪
ছাইপাশ বলেছেন: অদ্ভুত বেপার! আমি শুধু আমার ব্লগে মন্তব্য করতে পারবো! আমি অন্য কারো লেখায় মন্তব্য করতে চাই!!! এর জন্য আমাকে কি করতে হবে????