ভালোবাসা মানে কি শুধু মেয়েদের ই ত্যাগ করতে হবে?

২৯ শে জুলাই, ২০১০ রাত ২:৪৩

আমার এক বান্ধবীর কথা বলি, সে এক ছেলে কে অনেক ভালবাসে,ছেলেটাও তাকে অনেক ভালবাসে কিন্তু দুজন ই খুব পসেসিভ, যেমন মেয়েটির কোনো ছেলে বন্ধু তার প্রতি খুব ফ্রী বা ক্লোজ হয়ে গেলে ছেলেতা খুব আপসেট হয়ে যায়,তখন মেয়েটি ঠিকই ঐ ছেলের সাথে দুরত্ত রাখছে কিন্তু যদি বিপরিত ব্য্যপার হয় কোনো মেয়ে যদি ছেলেটির খুব ক্লোজ হয় আর এতে মেয়েতি দুঃখ পায় তখন তার ইনসিকিউরিটি কে বোকামি,বিরক্তিকর ভাবা হয় মেয়েটা হাজার অভিমান গপনে রেখে নিরবে হার মেনে নেয় র ছেলেটি যখন বুঝে জ মেয়েটি তার ইনসিকিউরিটি প্রকাশ করছে না তখন ও মেয়েটি কেই ব্লেম করে অন্যদের বলতে পারো আমাকে তোমার মনের কথা কেন বলো নি?আবার বলে আমার ফ্রেন্ড তোমার জন্য হারট হলে তোমাকে কখনও মাফ করব না্‌্‌্‌,এখানে আমার ঐ বান্ধবির আমি একটি ই দোস দেখি সে মেয়ে প্রেমিকার বন্ধু থাকা অন্যায় কিন্তু প্রেমিকের বান্ধবি থাকা সাভাবিক।

এবার র একটি উদাহরন এক ছেলে তার আগের ক্রাশ বা এক তরফা ভালোবাসার মেয়েটীর সাথে রাতের পর রাত নেট এ চ্যাট করতে পারে,তার বরতমান প্রেমিকা কে সব কিছু জানায় তাকে ফোন না দিয়ে ঐ মেয়ে কে প্রায়োরিটি দিতে পারে ঐ মেয়ের সাথে দেখা করতে পারে অপেনলি ফ্লারট করতে পারে,ঐ সব কথা আবার তার গারলফ্রেন্ড কেও বলতে পারে কিন্তু তার গারলফ্রেন্ড যদি একজন অনেক ভাল বন্ধু পায় যে তাকে অনেক ভাল বুঝে,এমন অনেক বিসয় খেয়াল রাখে যা অনেক ভাল লাগে তখন সেই ছেলে অই বন্ধুত্ত কে মেনে নিবে না তখন হুট করে তার সমাজের কথা মনে পরে জায় যে সমাজ কে সে ভিত্তিহিন বলেছিলো যখন তার ঐ ক্রাস কএ ইগনোর করতে বলা হয়।আর এখন বলে এটা কেউই মেনে নিবে না,এটা খুব খারাপ দেখায়,আমার সব বন্ধুরা অবাক হয়ে গেছে কিন্তু যখন বলা হল তোমার বন্ধুরা ঐ মেয়ের সাথে কথা বলা কে কি সমরথন করেছিল তখন বলে দুইটা ভিন্ন কথা,পরে যখন মেয়েটা জানতে চায় আমি কিভাবে তোমার সাথে তোমার ক্রাশ এর বন্ধুত্ত কে মেনে নিলাম তখন ছেলেতির সরল জবাব তুমি ফেরেশতা কিন্ত আমি মানুস আমি পারব না এবং এই বিশাল যুক্তি তে মেয়েটী এক্ষেত্রেও হার মানল।

এমনটা বার বার কেন হয়?আমাদের ভালবাসা,অনুভুতি কে আমরা কেন এত সস্তা করে দেই জ আমাদের মানসিকতা বুঝতে চাওয়াটা গৌন বিষয় হয়ে গেল?জবাব টি খুব ই সহজ আমরা এ ধরনের বোকামি কে সামঝতা বলে বলে এ প্রথা কে চালু করেছি।সমঝোতা তখন হয় যখন সম্পরকের খাতিরে এক পক্ষের কোন এক বিষয় (সময় না দিতে পারা,বা অন্য যে কোন কিছু যা শুধু এক জনই করে) একটু মানিয়ে নেওয়া।কিন্তু যখন ছেলে করবে তখন সাধারন আর মেয়ে করলে মহাপাপ এটি আর কতদিন?হাজবেন্ড-ওয়াইফ এর ক্ষেত্রে অনেক কম্পলিকেটেড কিন্তু প্রেমিক-প্রেমিকার ক্ষেত্রে এটি থামানো যায়।ভালবাসা যুক্তিনিরভর নয় তবে জিবনে বাচতে হলে যুক্তি আবশ্যিক।তাই ভালবাসা কে জিবনে চিরস্থায়ী করতে চাইলে যুক্তিনিরভর হউয়া কি দোষের কিছু?মেয়েদের বলছি এমন আচরন ক প্রশ্রয় দেওয়া মানে নিজের দুঃখ ডেকে আনা।প্রথম থেকেই যদি কিছু যুক্তি না দেখান তখন ছেলেরা কিভাবে সচেতন হবে?আপনাদের ভালবাসার মানুষ নিশ্চই আপনার কাছে অমুল্য, তাহলে তার প্রতি পরে কন বিরুপ চিন্তাধারা জন্মানোর আগে তাকে যদি ঠিক-ভুল সমন্ধে ধারনা দেন তাও খুব এ ঠান্ডা মাথায় তখন কিন্তু সম্পরক আরও মজবুত ও সুন্দর হয়।কখনও ভাববেন না যে আজ না হয় কাল আমার প্রতিদানের মরম বুঝবে,জিবনেও বুঝবে না যদি না আপনি চোখে আঙ্গুল দিয়ে দেখান,এটা কতটা কষ্টের তা প্রকাশ না করলে এরা বুঝবে না।

ফ্রী মিক্সিং খুব ই নরমাল বিষয় কিন্তু লিমিটেশন অনেক জরুরি।একটি রিলেশন দু'জনের জন্য তৈরি হয় এখানে দু'জন কেই সমান প্রাধান্য দেওয়া উচিত।কাউকে একটু বেশি বা কম দিলে ভারসাম্য হারাতে পারে যা কখনই সুফল বয়ে আনবে না।যদি কেউ তার বিপরিত লিঙ্গের বন্ধুর সাথে ক্লজ থাকতে পারে তখন তার অই বন্ধুত্তের মিনিং আরও ভাল করে বোঝা উচিত,আরেকজনের অনুরুপ বন্ধুত্তে ইরষানিত হউয়া টা আসলেই বেমানান।

একটু ভেবে দেখুন বিষয় টি।

বিঃদ্র এটি আমার প্রথম ব্লগ,তাই পুরপুরি নিরভুল লিখতে পারিনি,বানান ভুল ক্ষমাসুন্দর দৃষ্টি তে দেখবেন আশা করি।

১৪ টি +৩/-০