নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

যা দেখেছি

চমন১৯৬২

সমাজকর্মী

চমন১৯৬২ › বিস্তারিত পোস্টঃ

ব্রাহ্মণবাড়িয়ার পৈরতলা গণ কবর পাক নির্যাতনের নিরব স্বাক্ষী

১৬ ই ডিসেম্বর, ২০১৬ সকাল ১১:৩৬

ব্রাহ্মণবাড়িয়ার পৈরতলা গণ কবর পাক নির্যাতনের নিরব স্বাক্ষী

ব্রাহ্মণবাড়িয়া শহরে পাক হানাদার বাহিনীর নির্মমতার ও বিভৎসতার জলন্ত প্রমান হিসেবে দারিয়ে আছে পৈরতলা গণ কবর। এই গণ কবরে প্রায় ৯৪জন নিরপরাধ নিরস্ত্র বাংগালীকে হত্যা করে গণ কবর দেওয়া হয় এখানে। যে কয়েকজনে নাম জানা গেছে তাদের মধ্যে রয়েছেন শহীদ লাল মিয়া, হাসান মিয়া, আজি মিয়া, সিরাজ মিয়া, ওসি সিরু মিয়া ও তার শিশু পুত্র সহ নাম না জানা অনেকেই। পাক হানাদার বাহিনী ও তাদের সহযোগীরা জেলার বিভিন্ন অংশ থেকে ধরে আনে বহু নিরস্ত্র বাংগালীকে তাদের কাউকে সাথে সাথেই হত্যা করা হয়। কাউকে কাউকে আটক রাখে তৎকালীন ব্রাহ্মণবাড়িয়া সাব জেলে। পাকবাহিনী যখন বুঝতে পারে তাদের পরাজয় নিশ্চিত তখনই রাতের আধারে জেলখানা থেকে ট্রাক বোঝাই করে নিরস্ত্র বন্দিদের নিয়ে যায় শহরের বিভিন্ন বদ্য ভূমিতে। শহীদ শেখ কামাল ও শেখ ফজলুল করিম সেলিমের স্নেহভাজন দক্ষিণ পৈরতলার বাসিন্দা বীর মুক্তিাযোদ্ধা ফিরোজ আহমেদ এর কাছ থেকে জানা যায় ৭১ সালের ০৫ ডিসেম্বর রাতে দক্ষিণ পৈরতলার গোকর্ণ রোড লেভেল ক্রসিংয়ের পশ্চিমে রেলওয়ে ব্রিজের পার্শ্বে ব্রাসফায়ার করে হত্যা করে দলবদ্ধ ভাবে কবর দিয়ে দেওয়া হয় তাদের। তাঁর কাছ থেকে এমনই এক বন্দির কথা জানা যায় যিনি ছিলেন মোহাম্মদপুর থানার ওসি। নাম সিরু মিয়া। কিশোর পুত্রকে নিরাপদ আশ্রয়ে নিয়ে যাওয়ার সময় আটক হন হানাদারদের হাতে। ডিসেম্বরের ৫ তারিখ আরো অনেক বাংগালীর সাথে তাাঁকে স্বপুত্র জেলখানা থেকে বের করে নিয়ে হত্যা করা হয় এই স্থানে। আশে পাশের মানুষজন ভয়ে কাঠ হয়ে থাকতেন। কখন গর্জে ওঠবে হায়েনাদের বন্দুক আর্ত চিৎকার শুনা যাবে নিরীহ মৃত্যু পথ যাত্রীদের। গা শিউরে উঠে সেসব বিভৎসতার কথা শুনে। সরকার বর্তমানে গণ কবরের স্থানটি বাউন্ডারী উয়াল দিয়ে সংরক্ষন করেছেন। পাকহানাদার বাহিনীর এমনি বহু বিভৎসতার সাক্ষি হয়ে দাড়িয়ে আছে দাতিয়ারা চাদমারীর পাশের বদ্যভূমি। ওয়াপদা টর্চার ক্যাম্প। মৌড়াইল দানা মিয়ার বাড়ীর টর্চার সেল। নিয়াজ মোহাম্মদ উচ্চ বিদ্যালয় ও ব্রাহ্মণবাড়িয়া সরকারী কলেজের বন্দি শিবির । কাউতলী কুড়–লিয়া ব্রিজ বদ্য ভূমি। এসব স্থানে কান পাতলে আজো শুনা যাবে নিরীহ বাংগালীদের কান্নার গুঞ্জরন। বিজয়ের মাসে ব্রাহ্মণবাড়িয়া বাসীর একমাত্র প্রত্যাশা ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় এই নারকীয় বিভৎসতার সাথে জড়িতদের বিচার ও মুক্তিযুদ্ধের সঠিক ইতিহাস তৈরী।

মন্তব্য ১ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (১) মন্তব্য লিখুন

১| ১৬ ই ডিসেম্বর, ২০১৬ দুপুর ১:৫৭

জগতারন বলেছেন:
কি বিভৎসতার সাক্ষি হয়ে দাড়িয়ে আছে দাতিয়ারা চাদমারীর পাশের বদ্যভূমি।
সত্যি গা শিউরে উঠে সেসব বিভৎসতার কথা শুনে।

পাকিস্থান! সে এক অভিশপ্ত নিকৃষ্ট নরপশুদের জাতি।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.